5 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
ফ্ল্যাপে লেখা কথা
অনেকে বলেন বাঙালি ঘরকুনো। অনেকে বলেন বাঙালির আসল কাজ পলিটিক্স করা। এটা মেনে নিতে কষ্ট হয় যে বাংলাদেশের মানুষ অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় নয়। বাধ্য না হলে আমরা না..
TK. 300TK. 257 You Save TK. 43 (14%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
ফ্ল্যাপে লেখা কথা
অনেকে বলেন বাঙালি ঘরকুনো। অনেকে বলেন বাঙালির আসল কাজ পলিটিক্স করা। এটা মেনে নিতে কষ্ট হয় যে বাংলাদেশের মানুষ অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় নয়। বাধ্য না হলে আমরা নাকি কঠিন কাজ করতে চাই না। এই অভিযোগ অনেকের! বটে! যে জাতি, সশস্ত্র যুদ্ধ করে মাত্র নয় মাসে স্বাধীনতা অর্জন করে, তার বিরুদ্ধে এই অপবাদ মেনে নেওয়া নেহায়েতই কঠিন।
সেই অর্থে সার্বিক দিক থেকে এভারেস্ট জয়টা প্রতিকী। এটা আসলে ব্যক্তির নিজেকেই জয়। কারণ এভারেস্ট অভিযানের প্রতিটি পদেই যখন মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে, এবং জেনেশুনেই মানুষ যখন এই অভিযানে নামে, তখন আসলে সেই দুয়ার থেকে ফিরে আসা মানে নিজের চূড়ান্ত ক্ষমতাকে কষ্টিপাথরে অনুপুক্সক্ষ যাচাই করে নেয়া। সেই পরীক্ষায় মুসা ইব্রাহীম উত্তীর্ণ তো হয়েছেনই, সেই সঙ্গে ২৩ মে ২০১০-এর বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৫ মিনিট থেকে তার প্রাণপ্রিয় দেশকে এভারেস্টজয়ী দেশ হিসাবে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশী হিসেবে এর হিসাব আলাদা। কারণ এদিন থেকে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে এক নতুন উচ্চতায়। যে সম্মানের দাবিদার এদেশের ষোল কোটি মানুষ। বাংলাদেশের জন্য এ এক নতুন পরিচয়।
পেশায় তিনি সাংবাদিক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তিনি কাজ করে চলেছেন। কিন্তু অ্যাডভেঞ্চার তার অনুপ্রেরণা। এর মাধ্যমেই তিনি এগিয়ে চলার উদ্যম খুঁজে পান। সে কারণেই টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে সেভেন সামিট অভিযান শুরু করে জয় করেছেন আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমানজারো।
লেখালেখি করাটা ছিল তার ১৯৯৯ সাল নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন অন্যতম লক্ষ্য ও নেশা। দেশের বহু স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমে তিনি লেখালেখি করেছেন। যার কিছু এখন পর্যন্ত বেশ আলোচনার খোরাক হয়ে আছে। অ্যাডভেঞ্চারÑআলেখ্যটাই পাঠকের জন্য তার উপহার।
অসম্ভবকে জয়ের স্বপ্ন তরুণদের ভেতর ছড়িয়ে দেয়াটাই এখন তার মূল চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে সবাইকে প্রতিকূল বিশ্বে সফল করে তোলার চ্যালেঞ্জটাও উপভোগ করতে চান। মানুষকে তার সামর্থের সঙ্গে পরিচিত করে তুলতে চান। কারণ সবার জীবনে একটা করে এভারেস্ট আছে। সবাই সেটাকে অর্জন করতে চায়। সেই উপলদ্ধি হওয়াটাও একটা অ্যাডভেঞ্চার, সেই অর্জনটাকে আয়ত্ত্ব করাটাই একটা চ্যালেঞ্জ।
তরুণদের সামনে লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে চ্যালেঞ্জ জয়ের ঝান্ডা তাদের হাতে তুলে দেয়াটাই আসল মুন্সিয়ানা। তিনি বিশ্বাস করেন, এ মুন্সিয়ানা যতো বেশি উপস্থাপন করা যাবে, ততোই আরও অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে। এ কারণেই বাংলাদেশের অনেক সমস্যা সমাধানের জীয়নকাঠি ভাবা শুরু করেছেন এই এভারেস্ট জয়কে। বাড়ির কাছের এই চ্যালেঞ্জ লালÑসবুজ পতাকাবাহীদের কাছে হার মেনেছে। এ দেশের তরুণদের কাছে মাথা নুইয়েছে এভারেস্ট।