53 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
(বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিকপদে ভর্তি পরীক্ষার সহায়িকা)
ভূমিকা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ বিশ্বের অন্যতম পেশাদার সেনাবাহিনী হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৭১ সালের ম..
TK. 200TK. 176 You Save TK. 24 (12%)
Product Specification & Summary
(বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিকপদে ভর্তি পরীক্ষার সহায়িকা)
ভূমিকা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ বিশ্বের অন্যতম পেশাদার সেনাবাহিনী হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া এই বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রধান অংশগ্রহণকারী। নিয়মিত সেনাসদস্যদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে আমাদের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করেছে। কিন্তু পরিচর্যা যত উন্নতই হোক না কেন, সঠিক জাতের বীজ যদি নির্বাচন করা না হয়, তাহলে ফলন যেমন কখনোই ভালো হয় না; তেমনি খুব দুর্বল রিক্রুটকে যত উন্নত প্রশিক্ষণই দেওয়া হোক না কেন তাকে আদর্শ পেশাদার সৈনিকে পরিণত করা অসম্ভব। তাই যেকোনো পেশার মতোই সেনাবাহিনীতেও রিক্রুটিং একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সেনাবাহিনী যেকোনো রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বের অন্যতম রক্ষাকবচ। রাষ্ট্রের অস্তিত্ব যখন সংকটে, তখন শ্রেণি-পেশা-নির্বিশেষে সবাই হয়তো একসময় দেশরক্ষার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে এগিয়ে আসে। কিন্তু পেশাগতভাবে একমাত্র সেনাসদস্যরাই প্রতিনিয়ত মাতৃভূমি রক্ষার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখে এবং যুদ্ধের সময় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত। তাই বিশ্বের সব দেশেই সেনাসদস্যদের আলাদা শ্রদ্ধা আর সম্মানের চোখে দেখা হয়। প্রত্যেক তরুণই স্বপ্ন দেখে তার দেশের সেনাবাহিনীর সৈনিক হওয়ার। আর তাই প্রতিবছর হাজার হাজার তরুণ সেনাবাহিনীতে ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকে। কিন্তু সেনাসদস্য হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীর ভেতর কিছু বিশেষ মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক, আর রিক্রুটারদের কাজই হলো হাজার প্রার্থীর ভিড়ে সেই বিশেষ মৌলিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রার্থীকে খুঁজে বের করা।
সঙ্গতকারণেই সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে ভর্তির পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। এজাতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের পরিকল্পিত প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। এমন প্রস্তুতির জন্য উপযুক্ত সহায়িকার গুরুত্বও অপরিসীম। যেমন— বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য আছে বিসিএস ভর্তি গাইড, আবার কমিশন্ড অফিসারদের জন্য আছে আইএসএসবি গাইড। কিন্তু বাংলাদেশে সৈনিক পদে ভর্তির জন্য কোনো গাইড বা সহায়িকা এখনো আমার চোখে পড়েনি। তাই এমন একটি বইয়ের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন যাবৎ অনুভূত হয়ে আসছে।
আমি মেজর দেলোয়ারকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই এই প্রয়োজনীয়তাটা অনুভব করে এমন একটা বই লেখার অভিনব উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আমি নিশ্চিত ইতোপূর্বে তার প্রকাশিত ‘আধুনিক দৃষ্টিকোণে সানজুর দ্য আর্ট অব ওয়ার’-এর মতো তার এই উদ্যোগটিও আরেকটি ‘মাইল স্টোন’ হিসেবে স্বীকৃত হবে এবং এই উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক হতে আগ্রহী অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী তরুণ দারুণভাবে উপকৃত হবে। পরিশেষে আমি বইটির লেখক এবং এর পাঠকদের জন্য জানাই আন্তরিক শুভকামনা।
ধন্যবাদান্তে
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তোফায়েল আহমেদ, পিএসসি
গুইমারা, খাগড়াছড়ি।