166 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
‘ক্রাই উলফ্’ বইয়ের কিছু কথাঃ
উচ্ছল তরুণ জেক বারটন পেশায় এঞ্জিনিয়ার, যুদ্ধ শেষে কাজের আশায় ঘুরে ফিরছে। তাঞ্জনিয়ায়। নিদারুণ অর্থনৈতিক মন্দা চলছে পৃথিবী জুড়ে। অপরদিকে অভি..
TK. 3010TK. 2187 You Save TK. 823 (27%)
Related Products
Product Specification & Summary
‘ক্রাই উলফ্’ বইয়ের কিছু কথাঃ
উচ্ছল তরুণ জেক বারটন পেশায় এঞ্জিনিয়ার, যুদ্ধ শেষে কাজের আশায় ঘুরে ফিরছে। তাঞ্জনিয়ায়। নিদারুণ অর্থনৈতিক মন্দা চলছে পৃথিবী জুড়ে। অপরদিকে অভিজাত ইংরেজি, মেজর গ্যারেথ সোয়েলস-এর রয়েছে তড়িৎ দান মেরে টাকা কামানোর স্পৃহা| বন্ধুত্ব হলো দুজনের। ১৯৩৫ সালের শীত তখন ইতালির একনায়ক মুসোলিনি, অসহায় ইথিওপিয়ার অধিবাসীদের দেশ-ছাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এগিয়ে চলেছে তার বর্বর সেনাবাহিনী| এমন সময়, ইথিওপিয়া গোত্রের এক সর্দারের সঙ্গে ব্যবসায় নামলো গ্যারেথ এবং জেক। ওদের কাজ- সমুদ্র এবং মরু পাড়ি দিয়ে যুদ্ধরত অসহায় আদিবাসীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে চারটি আর্মরড কার। একই সঙ্গে, সুন্দরী তরুণী মার্কিন সাংবাদিক ভিকি কেমবারওয়েল যাবে তাদের অভিযানে। উদ্দেশ্য ভয়াবহ নৃশংস এই অন্যায় যুদ্ধের কথা বিশ্ববাসীকে জানানো৷
শুরু হলো দুই বন্ধুর অ্যাডভেঞ্চার। শেষ পর্যন্ত কী ইথিওপিয়ায় পৌঁছুতে পারলো তারা? কে পেলো ভিকির ভালোবাসা?
টান টান উত্তেজনার ক্রাই উলফ ... একই সঙ্গে মানবতার জয়গান এবং প্রেমের কাহিনী।
‘রিভার গড’ বইয়ের ভূমিকাঃ
উইলবার স্মিথের অত্যাধিক আলােচিত উপন্যাস, রিভার গড বা নদী-ঈশ্বর-এর কাহিনীর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক আছে, আছে তুমুল জল্পনা-কল্পনা। বইয়ের সমাপ্তিতে লেখকের বক্তব্য এই বিতর্কের মূল কারণ, বইটির অসাধারণ জনপ্রিয়তার পর তিনি লিখেছেন এর সিকুয়েল। চার হাজার বছর আগের মিশরীয় ক্রীতদাসের মূল কাহিনী থেকে লেখক কতটুকু কাব্যিক স্বাধীনতা নিয়েছেন, সে বিতর্কে আমরা যাবাে না। অনুবাদ প্রসঙ্গে বলতে পারি, প্রাচীন পটভূমির ভাব-গাম্ভির্য্য এবং সম্রাট-সাম্রাজ্যের বর্ণনা ফুটিয়ে তােলার জন্যে আলঙ্কারিক ভাবটুকু আনা হয়েছে অনুবাদে। বহুদিন ধরেই উইলবার স্মিথের এই উপন্যাসটি অনুবাদের ইচ্ছে ছিলাে, অবশেষে প্রকাশক রিয়াজ খানের নিরবচ্ছিন্ন উৎসাহ এবং সমর্থনে শেষ হলাে পরিশ্রম-সাধ্য এই কাজ। আমার জানা মতে, বাঙলা ভাষায় এটিই উইলবার স্মিথের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ। চারহাজার বছর আগের পটভূমিতে রচিত হওয়ায় ভাষার আভিজাত্য উপন্যাসটির একটি বড় দিক। প্রচন্ড ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে অনুবাদ-কর্ম চালাতে হয়েছে; কিন্তু যে কোনাে ভুল-ভ্রান্তির সবটুকু দায় আমারই। ইংরেজী শব্দ যথাসম্ভব পরিহার করে চেষ্টা করেছি বাংলা শব্দ ব্যবহারের। ভিন্ন কোনাে অনুবাদ-উপন্যাসে হয়তাে এর তেমন প্রয়ােজন নেই- মূল ইংরেজী শব্দ বরঞ্চ অনেকক্ষেত্রে মানানসই হয় সেখানে। কিন্তু রিভার গডে’র বাঙলা রুপান্তরে প্রাচীন ভাব ফুটিয়ে তােলা নিতান্তই প্রয়ােজনীয় ছিলাে। বানানরীতি এবং বিশেষ কিছু আধুনিক শব্দ ও পংক্তি’র জন্যে ঋণী হয়ে রইলাম বাংলাদেশের প্রধান প্রথাবিরােধী কবি, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী এবং গবেষক প্রয়াত হুমায়ুন আজাদের নিকট।
সবশেষে, উপন্যাসের শেষে লেখকের বক্তব্যে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ভূমিকার সমাপ্তি টানছি।
"দ্য সেভেন্থ স্ক্রৌল" বইটির
ভূমিকাঃভার গড এর বাংলা সংস্করণ প্রকাশের পর থেকে প্রচুর পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, যারা ই-মেইল, ফোন বা পত্রের মাধ্যমে নিজেদের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছে, তাদেরকে ধন্যবাদ। যতোটা না লেখক বা অনুবাদক, তার চেয়ে বেশি পাঠক আমি। বিদেশি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার স্বাদ নেওয়ার সময় বারবারিই মনে হতো, প্রাচীন মিশরের পটভূমিতে যে প্রচুর সংখ্যক ঐতিহাসিক উপন্যাস আছে, তার একটা ঝলক বাংলায় আসা উচিত। ভয়ও ছিল, বিশাল কলেবর এবং কাহিনীর ধীরগতি হয়তো পাঠকের জন্য সুস্বাদু মনে হবে না। কিন্তু রিভার গড সেই ভয় দূর করেছে। আমি ভাগ্যবান-বাংলাদেশের পাঠক আমার রূপান্তর গ্রহণ করেছেন। উইলবার স্মিথের মিশরীয় পটভূমির উপন্যাসগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়, বিশ্বের বড় বড় সব কয়টি ভাষায় তা অনুবাদিত হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জননী, আমার বাংলায় তা কেন হবে না- এ রকমই একটা জেদ থেকে উইলবারের সাহিত্য-দূত মার্টিন পিক সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কাকতালীয় ব্যাপার, মার্টিন সাহেব ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে ছিলেন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের পক্ষে কাজ করতেন এ ঢাকায়। তাঁর উৎসাহ, উইলবারের সমর্থন আমার আগ্রহ আরো বাড়িয়েছে।
আগে যেমন বলেছি, অনুবাদ সময় সাপেক্ষ এবং অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য কাজ। পেশাগত ব্যস্ততা অনেক সময়েই বাধ সাধে এ কর্মে, তারই ফলে বই প্রকাশে অপ্রত্যাশিত বিলম্ব। আগের মতোই বানানরীতি রইলো এখানেও, যদিও কাহিনীটি অনেকটাই ভিন্নতর।
যারা রিভার গড পড়ে জানতে চেয়েছেন টাইটা’র তারপর কী হলো, তাদেরকে কেবল এতোটুকু বলি, টাইটা কিন্তু এখনো বেঁচে -আমি শুনেছি, এ মুহূর্তে বিশ্বের বেশ কয়টি দেশে তার নাম তালিকার এক নম্বরে আছে, গত আগস্ট মাস থেকেই ।
কেমন লাগলো দ্য সেভেন্থ স্কোল, জানার আগ্রহ রইলো।
ডা. মখদুম আহমেদ