23 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
‘উচ্চারণের ক্লাস’ বইয়ের ভূমিকাঃ
শুদ্ধ উচ্চারণ বাকশুদ্ধিরই একটি অংশ। মানুষের ভাষায় পরিচয় প্রকাশ পায় তার কথায় আর তার লেখায়। উভয় ক্ষেত্রেই ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষা করা একান্..
TK. 200TK. 150 You Save TK. 50 (25%)
Get eBook Version
US $2.24
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
‘উচ্চারণের ক্লাস’ বইয়ের ভূমিকাঃ
শুদ্ধ উচ্চারণ বাকশুদ্ধিরই একটি অংশ। মানুষের ভাষায় পরিচয় প্রকাশ পায় তার কথায় আর তার লেখায়। উভয় ক্ষেত্রেই ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষা করা একান্ত অপরিহার্য। তবে কাজটি আপনা আপনি সুসম্পন্ন হয় না প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ছাড়া। এই নির্দেশনার কাজটি করে ব্যাকরণ। ব্যাকরণের যথার্থ জ্ঞান থাকলেই ভাষা নির্ভুল ও সুন্দর করা যায়।
বাংলা ভাষার বিশুদ্ধ উচ্চারণ বিধানের নির্দেশনার কাজটি নতুন কৌশলে উপস্থাপন করেছেন লেখক সমালোচক হাসান রাউফুন তার ‘উচ্চারণের ক্লাস’ বইয়ে। বাক বা কথায় মৌখিক রূপ কীভাবে বিশুদ্ধ রূপে রক্ষা করা যায়। তারই নিয়মকানুন কলাকৌশল এই বইয়ে সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে।
যেনতেন করে শব্দ উচ্চারণ করলেই হবে না একটি যুক্তিসংগত নিয়ম দরকার হয়। নিয়মের মাধ্যমে শব্দ যত শুদ্ধ করে উচ্চারণ করা হয় ততই সফলভাবে অপরের মন জয় করা যায়। প্রবাদের সঙ্গে মিলিয়ে বলা যায়, সুন্দর কথা বলার আবেদনও তেমনি সর্বজনীন।
ভাষার বিশুদ্ধ উচ্চারণের ফলে মানুষ রুচিবান ও সংস্কৃতিমনা হয়ে ওঠে। লেখার বেলায় শুদ্ধ-অশুদ্ধের স্থায়ী রূপ থাকে বলে লেখক সচেতন থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু কথাবার্তা বলার সময় অনেকের শুদ্ধাশুদ্ধির ব্যাপারে সজাগ থাকেন না। কেবল কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দানের সময় ভাষার নিভুল প্রয়োগের ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়। শিক্ষিত লোকও পরিবেশের কারণে প্রকৃত ভাষা ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন। অশিক্ষিত লোকের কাছে নির্ভুল ভাষা আশা করা অসম্ভব। শিক্ষিতে-অশিক্ষিতে সংগ্রামে ভাষা নির্ভুলতা কোনো ভাবেই আশা করা যায় না। অথচ বাংলা ভাষার যথার্থ মর্যাদা দানের জন্য সবার উচিত বিশুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করা।
উচ্চারণের বিভিন্ন সমস্যা উপলদ্ধি করে এগুলো থেকে কীভাবে রেহাই পাওয়া যায় তার কৌশল বর্ণনা করেছেন লেখক হাসান রাউফুন তার ‘উচ্চারণের ক্লাস’ বইয়ে। আসলে শব্দ উচ্চারণের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য ব্যাকরণ জ্ঞান অপরিহার্য এ কথা মনে রেখেই বইটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে অশুদ্ধ উচ্চারণ ঘটার আশঙ্কা থাকে বলেই সেসব দিক লেখক চিহ্নিত করেছেন এবং সেসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে সঠিক রূপটি তুলে ধরেছেন।
ভুল ঘটার সম্ভাব্য বিষয়গুলো লেখকের আলোচনায় এসেছে এবং সেসব আলোচনা থেকে পাঠক সহজেই সঠিক পথের খোঁজ পাবেন। এভাবে পাঠক ভাষার স্বরূপ অবহিত হতে পারবেন এবং নির্ভুল ভাষা ব্যবহারের উপায় খুঁজে পাবেন। লেখক তার বক্তব্য উপস্থাপনকালে প্রচুর নমুনা তুলে ধরেছেন।
এতে শব্দ উচ্চারণের বিশুদ্ধ রূপটি সহজে প্রত্যক্ষ করা যাবে এবং সচেতন পাঠক নিজেকে নির্ভুল বলায় দক্ষ করে তুলতে পারবেন।
বইটিতে শব্দ উচ্চারণের প্রায় সবদিকই আলোচিত হয়েছে। আলোচনাটি সহজ সরল ও হৃদয়গ্রাহী। তবে দ্বিতীয় অধ্যায়টি খুবই কার্যকরী।
বাংলা ভাষায় কথা বলা এবং লেখালেখি করার বিষয় এখন আর উপেক্ষার বিষয় নয়। স্বাধীন দেশের ভাষার মর্যাদা দানের জন্য এবং নির্ভুলতার ব্যাপারে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
বইটি সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস। লেখকের এই নতুন উদ্যোগের সাফল্য কামনা করি। মাহবুবুল আলম