Category:রহস্য ও গোয়েন্দা
"শার্লক হোমসের দ্য কেস বুক অফ শার্লক হোমস" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
কোনান ডয়েলের সর্বশেষ গ্রন্থ হচ্ছে ‘দ্য কেস বুক অফ শার্লক হােমস। এই গ্রন্থে বারােটি গ..
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
"শার্লক হোমসের দ্য কেস বুক অফ শার্লক হোমস" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
কোনান ডয়েলের সর্বশেষ গ্রন্থ হচ্ছে ‘দ্য কেস বুক অফ শার্লক হােমস। এই গ্রন্থে বারােটি গল্প রয়েছে। গল্পগুলাে ১৯২১ সাল থেকে ১৯২৭ সালের মধ্যে রচিত। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯২৭ সালে। গ্রন্থের প্রতিটি গল্পই প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য স্ট্র্যান্ড' ম্যাগাজিনে। এই ম্যাগাজিনটি তার লেখা প্রকাশের সঙ্গে ওৎপ্রােতভাবে জড়িত ছিল।
কোনান ডয়েল একজন চিকিৎসক ছিলেন বলেই তার বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্ন রােগের কথা উল্লেখ করেছেন, যা এখন গবেষকদের লেখার উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। শার্লক হােমস কনসাল্টিং ডিটেকটিভ। এই ধরনের কোনাে পদ তখন গােয়েন্দাগিরিতে ছিল না। হােমস নিজের জন্য এই পদটি সৃষ্টি করেছেন এবং তা সরকার কর্তৃক অনুমােদিত হয়েছে। এই সুবাদে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন। ডা. ওয়াটসন হােমসের অ্যাডভেঞ্চারের ইতিবৃত্ত লেখার অনুমতি চেয়েছেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু হােমস প্রথমে তাতে রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত দশম বারে রাজি হয়েছেন। হােমসের অ্যাডভেঞ্চারের ইতিবৃত্ত লেখার সূচনা হয় অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য ইলাসট্রিয়াস’ গল্পের মাধ্যমে। গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় দুই কিস্তিতে ‘দ্য স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিনে ১৯২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ সংখ্যায়। ১৯২৪ সালের ৮ই নভেম্বরে আমেরিকার কলিয়ার্স উইকলিতে প্রকাশিত হয় গল্পটি। তখনাে হােমস বেকার স্ট্রিটেই থাকতেন। লন্ডনে বেকার স্ট্রিট খুব অভিজাত এলাকা হিসাবে পরিচিত ছিল। সেখানে রয়েছে পুরাতাত্ত্বিকভাবে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ একটি বিল্ডিং। সেখানে শার্লক হােমসের নামে একটি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অন্যান্য অনেক গল্পের মতােই অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য ইলাসট্রিয়াস ক্লায়েন্ট’ গল্প নিয়ে শার্লক হােমসের সঙ্গে ডা. ওয়াটসনের আলাপ-আলােচনার সূচনা হয়। গল্পের সূচনাতেই বলা হয়েছে, “টার্কিশ বাথ অর্থাৎ বাষ্প গােসল দারুণ ভালাে লাগে আমার আর হােমসের।” এখানে আমার অর্থ ডা. ওয়াটসনের। ডেভিট উর্কহার্ট নামে একজন ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ইস্তাম্বুলে থাকাকালে টার্কিশ বাথ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং ইংল্যান্ডে তা প্রচলনের উদ্যোগ নেন। প্রথমে তিনি তা নিজের ঘরে চালু করেন। পরে তা ইংল্যান্ডে প্রচলিত হয়।
আয়ারল্যান্ডে প্রথম টার্কিশ বাথ অর্থাৎ বাম্প-স্নানের প্রচলন করেন ড, রিচার্ড বাটার নামক একজন চিকিৎসক। এই ধরনের স্নান খুব আরামদায়ক বলে ইংল্যান্ডেও দ্রুত এর প্রসার ঘটে। এই গল্পে দেখা যায়, প্রাইভেট ডিটেকটিভ শার্লক হােমসকে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে। এই যাত্রায় তিনি বেঁচে গিয়েছেন। দুজন হানাদার হােমসকে লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করেছে। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও মারাত্মক আহত হয়েছেন। তার মাথা এবং দেহে প্রচণ্ড ক্ষত দেখে ডাক্তার বলেছেন অবস্থা ভালাে নয়। তবে তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেকার স্ট্রিটের বাসায়, তারই জেদে।
Report incorrect information