গল্পের নামে যখন বইয়ের নামকরণ হয় তখন সেই গল্পটি যে একটি বিশেষ গল্প তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘রহস্যময় পেন্সিল’ এ বইয়ের প্রথম গল্প। আর গল্পকার আমিনুল ইসলাম মামুন এ গল্পের নামেই বইট..
TK. 120TK. 90 You Save TK. 30 (25%)
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
গল্পের নামে যখন বইয়ের নামকরণ হয় তখন সেই গল্পটি যে একটি বিশেষ গল্প তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘রহস্যময় পেন্সিল’ এ বইয়ের প্রথম গল্প। আর গল্পকার আমিনুল ইসলাম মামুন এ গল্পের নামেই বইটির নামকরণ করেছেন। এ ছাড়াও বইটিতে রয়েছে আরো ৯টি গল্প। গল্পগুলোর নাম হলো―ধূর্ত শেয়াল, সাদির বুদ্ধি, মাহির লাটিম, ভালো মানুষ, দুটি গাভীর গল্প, তানিমের পাখি, রাজপুত্র, পাখির প্রতি ভালোবাসা এবং পতাকা।
প্রতিটি গল্পের নামকরণের মধ্যেই যেন গল্পের কাহিনির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। গল্পের রচনাকৌশল এতই নিপুণ যে পাঠককে গল্প থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দেয় না। বইয়ের প্রথম গল্প ‘রহস্যময় পেন্সিল’ তেমনই একটি গল্প।
বিপ্লব নামের স্কুলপড়–য়া এক কিশোরের মন ভালো নেই! তার স্কুলের ড্রইং ক্লাসে তাকে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে। কারণ সে ভালো ড্রইং করতে পারে না। পরীক্ষায় কোনোমতে টেনেটুনে পাস করে। একদিন তার সাথে এক মুসাফিরের দেখা হলো। সেই মুসাফির তাকে একটি পেন্সিল দিল। এর পর থেকে সে যা কিছুই আঁকে সবই অনেক সুন্দর আঁকা হয়ে যায়। এমনকি স্কুলের সবার চেয়ে তার ড্রইং ভালো হয়।
এতে সবাই সন্দেহ করে! কী করে বিপ্লবের ড্রইং এত ভালো হচ্ছে! সবাই মিলে শিক্ষকের কাছে এর সমাধান চায়। অবশেষে মুসাফিরের দেওয়া সেই পেন্সিল একটি পুকুরে ফেলে দেয়। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এরপর সে নিজে নিজেই অনেক ভালো ছবি আঁকতে পারে।
পাখি, শেয়াল রাজপুত্র এসব নিয়েও গল্প আছে এ বইয়ে। আছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ওপরেও গল্প। পাঠকমাত্রই গল্পগুলোকে লুফে নেবে। বইটির একটি বিশেষ দিক হলো, প্রতিটি গল্পের মধ্যেই একটা শিক্ষণীয় বিষয় লক্ষণীয়; শুধু গল্প পড়ার জন্য গল্প নয়। ৪০ পৃষ্ঠার গল্পের বইটির প্রতিটি গল্পের সাথে রয়েছে চমৎকার সব আঁকা ছবি।
বিভিন্ন পাঠাগারের সংগ্রহে রাখা ও স্কুলের পাঠ্য হিসেবে বইটির বেশ কিছু গল্প নির্বাচিত হতে পারে। মৌলিক গল্প বলে এসব গল্প পড়ে আলাদা স্বাদ পাওয়া যাবে। গল্প পড়ে যদি গল্প মনে থাকে আর সেই গল্প যদি বন্ধুদের সাথে বলা যায় তবে সেই গল্পই সেরা গল্প। তেমন সেরা গল্প এ বইটিতেও রয়েছে।
অ্যাডভেঞ্চার কমিকস্
আহসান হাবীব
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কমিকস্ বলতে কী বোঝায়―‘কমিকস্ বা চিত্রকথা হলো একধরনের মাধ্যম, যেখানে চিত্র এবং লেখার দ্বারা কোনো ভাবনা প্রকাশ করা হয়। কমিকস্ প্রায়ই ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি প্যানেল বা চিত্রের রূপে থাকে। বিভিন্ন লৈখিক কৌশল, যেমন কথার বেলুন, আখ্যান এবং ধ্বন্যাত্মক শব্দ কথোপকথন, বর্ণনা, বিভিন্ন আওয়াজকে নির্দেশ করে।’
বাংলাদেশে কমিকস্ নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন আহসান হাবীব। বইটিতে ছয়টি কমিকস্ রয়েছে। প্রতিটি কমিকস্ই চমৎকার ও বুদ্ধিদীপ্ত। এই কমিকসের প্রধান দুটি চরিত্র পল্টু ও বিল্টু। পল্টু আর বিল্টুল নানা রকম কৌতূহল, অভিযান আর রোমাঞ্চকর সব বিষয় নিয়ে এই কমিকস্গুলো লেখা হয়েছে।
শিশু-কিশোরেরা কমিকস্ পড়ে এতই আনন্দ ও প্রভাবিত হয় যে, কমিকসের চরিত্রগুলোর মতোই তারা হতে চায়। যদিও আমাদের দেশে বিদেশি কমিকসের বইয়ের সংখ্যা বেশি! এই কমিকস্ বইয়ের মধ্যে আমাদের দেশীয় যে সংস্কৃতির চর্চা খুব একটা লক্ষ করা যায় না। ২৪ পৃষ্ঠার এ বইটি সম্পূর্ণ রঙিন ও উন্নতমানের কাগজে ছাপা। মজবুত বাঁধাই।
কমিকস্গুলোর নাম হলো―পল্টু-বিল্টুর এ্যাডভেঞ্চার, গোপন মিশন, মিরর ইউনিভার্সে অভিযান, বিল্টুর ঘুম, এ্যালিয়েন এবং মিথ্যা পদক।
‘এ্যালিয়েন’ নামক কমিকসে পল্টু আর বিল্টু ঘরে বসে কাজ করছিল। হঠাৎ দড়জায় ঠকঠক আওয়াজ। পল্টু গিয়ে দরজা খুলে দিল। দরজা খুলতেই দেখল এ্যালিয়েন দাঁড়িয়ে আছে! পল্টু এ্যালিয়েন দেখে ভয়ে আঁতকে উঠল! এরপর কথোপকথনের মধ্যে এ্যালিয়েনই পল্টু আর বিল্টুকে বলে আমি এ্যালিয়েন!
ছোটদের কৌতূহলের অন্ত নেই। এরা নতুন কিছু জানতে, শিখতে, দেখতে সর্বদাই উন্মুখ হয়ে থাকে। এদের যত বেশি বুদ্ধিবৃত্তিক ও কল্পনা-উদ্রেক কাজে লাগনো যাবে ততই তারা হয়ে উঠবে মেধাবী। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আমাদের বিশ্ব হাতের মুঠোয়। ফলে নানা বিষয়ে জানা খুবই সহজ।
বিশেষ করে কার্টুন ও নানা রকম অ্যানিমিশন ফিল্ম ছোটদের সময় ভাগ করে নিচ্ছে। এর পরও বলব, বইয়ের বিকল্প নেই। হাতে নিয়ে কাগজের ঘ্রাণে পাওয়া আর নীরবে স্বপ্ন কল্পনার রাজ্যে ঘুরতে বইয়ের বিকল্প কিছুই নেই। একটি ভালো বই একটি শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারে। সবাই মিলে বইটি পড়লে সবাই মিলে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যাবে।