187 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
’ইনসাইড র' বইয়ের সূচিপত্র
গুপ্তচর প্রতিষ্ঠান...........১২
যাত্রা হলাে শুরু...........১৭
‘র’-এর গঠন প্রক্রিয়া...........২৩
গুপ্তচরবৃত্তির কলাকৌশল.............
TK. 400TK. 300 You Save TK. 100 (25%)
In Stock (30 copies available)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
’ইনসাইড র' বইয়ের সূচিপত্র
গুপ্তচর প্রতিষ্ঠান...........১২
যাত্রা হলাে শুরু...........১৭
‘র’-এর গঠন প্রক্রিয়া...........২৩
গুপ্তচরবৃত্তির কলাকৌশল...........২৮
রাখঢাক ছদ্মাবরণ...........৫৬
অপারেশন বাংলাদেশ...........৬১
অপারেশন সিকিম...........৭৮
পারমাণবিক অনুমােদন...........৮৮
‘র’-এর ভাগবাটোয়ারা...........৯৩
বৈদেশিক নীতিমালা...........১০৩
গুপ্তচরবৃত্তি কি আদৌ প্রয়ােজনীয়?...........১০৮
ছক ও ছবি...........১২৪
অধ্যায় : ১
বইটির কিছু অংশ
গুপ্তচর প্রতিষ্ঠান
The Institute of Spies
‘আমি গুপ্তচর, তুমি গুপ্তচর’-এ ধরণের লুকোচুরি খেলা বহুদিন যাবত পৃথিবী জুড়ে চলছে। পাতলা বা অকিঞ্চিৎকর’ আবরণে সত্য পরিচয় ঢেকে রেখে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো ইন্টেলিজেন্স জগতে বহুল আলোচিত একটি পদ্ধতি, যদিও এ ‘ঢেকে রাখা স্বীকৃত নৈতিকতার মানদণ্ডে বড় ধরণের প্রশ্নসাপেক্ষ কোনো ব্যাপার নয়। অন্যদেশের গুপ্তচর নিজদেশে প্রায় থোলাখুলিভাবে শুধু যৎকিঞ্চিৎ পাতলা আবরণের’ (Cover, কূটনৈতিক পরিচয়) আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তিতে নিয়োজিত থাকে। কিন্তু যখনই ঐ ‘পাতলা আবরণটি খসে যায় তখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, সে গ্রেপ্তার হতে চলেছে।
সকলের মনেই একটি মৌলিক প্রশ্ন জাগতে পারে “গুপ্তচর কেন?” এ ক্ষেত্রে সহজ স্বাভাবিক উত্তর হচ্ছে “টিকে থাকার জন্য”।
ক। প্রাচীন যুগে গুপ্তচরবৃত্তি (Spies in Ancient Times)
টিকে থাকার সগ্রাম, পৃথিবীতে প্রাণ বা জীবন উদ্ভবের দিনের মতোই পুরানো। প্রাচীন প্রস্তর, লৌহ ও তাম্র যুগে আমরা পাথর ও ধাতব অস্ত্রের সন্ধান পাই। এ সব অস্ত্র-শস্ত্র শুধু খাদ্য সংগ্রহের জন্য নয় বরং হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ ও পরবর্তীতে সহযোগী মানুষের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে। টিকে থাকার সংগ্রাম শুধু অস্ত্রের গুণগত মান ও তার ব্যবহারের প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল ছিল না বরং শত্রুর চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞানের ওপর অর্থাৎ কখন, কোথায় এবং কিভাবে শত্রু আক্রমণ চালাবে এ সমস্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আবর্তিত হয়েছে।
এ ধরণের তথ্য সগ্রহের উপর টিকে থাকা ও বিজয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং তথ্যের অভাব ও দুস্প্রাপ্যতা পরাজয় ও মৃত্যু ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং টিকে থাকার এ সংগ্রামে কিছু লোক নিজেদের তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত করলাম যারা ‘জাসুস’ (Spy) অর্থাৎ ‘গুপ্তচর’ হিসেবে পরিচিত। এ পদ্ধতি ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করে এবং বর্তমানে যাকে আমরা এসপায়োনেজ’ বলে জানি সে অভিধায় ভূষিত হয়।
প্রাচীন ভারতীয় পুঁথিপত্রেও গুপ্তচরবৃত্তির বিভিন্ন কাহিনীর উপস্থিতি লক্ষণীয়। মনুর’ চরিতাবিধানে এ ব্যাপারে স্পষ্ট উল্লেখ্য যে, “রাজা বা শাসনকর্তা অবশ্যই নিজদেশে ও তার শত্রুদেশে গুপ্তচরের মাধ্যমে খবরাখবর সংগ্রহ করবেন।” বেদ, মহাভারত, রামায়ণেও এরূপ বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়; রামায়ণে বিদেশি দেশগুলোয় গুপ্তচর মারফত লক্ষ্য রাখার জন্য বলা হয়েছে। দ্রুপ মহাভারতে দুর্যোধনের গুপ্তচরবৃত্তির উদাহরণ.......