13 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
ইতিহাসের মূলধারার বাইরে যে সমস্ত ঘটনা কাহিনি ও চরিত্র সময়ের ঘূর্ণিপাকের কারণে সবসময় আমাদের চোখে পড়ে না, সেরকম কিছু ঘটনা-কাহিনি এখানে যথাযথ তথ্য ও মান্যসূত্র ঘেঁটে সরসভাবে উপস্থাপন ..
TK. 150TK. 113 You Save TK. 37 (25%)
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
ইতিহাসের মূলধারার বাইরে যে সমস্ত ঘটনা কাহিনি ও চরিত্র সময়ের ঘূর্ণিপাকের কারণে সবসময় আমাদের চোখে পড়ে না, সেরকম কিছু ঘটনা-কাহিনি এখানে যথাযথ তথ্য ও মান্যসূত্র ঘেঁটে সরসভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কীভাবে আকবরের নবরত্ন সভার অন্যতম উজ্জ্বলরত্ন বীরবল নানা গুণে ভূষিত হয়েও আজ আমাদের কাছে নিছক বিদূষক বা ভাঁড় হিসাবে পরিচিত হয়ে আছেন। শুধুমাত্র সমসাময়িক ঐতিহাসিকদের বিদ্বেষের কারণে। নবাব শায়েস্তা খানের সব চেয়ে বড় অবদান যে মগ-ফিরিঙ্গি জলদস্যুদের কবল থেকে চট্টগ্রাম জয় করে বাংলাদেশে এক অভূতপূর্ব শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির সূচনা করা এমন সব তথ্য এখানে দেয়া হয়েছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত মুঘল নৌবাহিনীর পুনর্গঠন ও কূটনীতির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে শায়েস্তা খানের এই কৃতিত্ব লেখক তথ্য ও বিশ্লেষণের সংমিশ্রণে তুলে ধরেছেন।
জগদ্বিখ্যাত কোহিনূর নাদির শাহের বংশধরদের হাত থেকে কাবুল হয়ে পরাজিত বাদশা শাহসুজার সঙ্গে লাহোরে ফিরে এসে রঞ্জিত সিংয়ের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। রঞ্জিত সিং এই আশ্রয় দেয়ার বিনিময়ে তার অতিথি শাহসুজার কাছ থেকে উৎপীড়ন ও চাপ সৃষ্টি করে কিভাবে মুঘলদের এই হিরাটি কেড়ে নিয়েছিলেন সেই কাহিনি যথাযথ তথ্যসহকারে এই বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপমহাদেশের টানা পাখার ব্যবহার যে ইংরেজদের অবদান নয় এবং এই গরমের দেশে টানা পাখা ছাড়া তাদের সমাজ জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতো সেই রসঘন বর্ণনা লেখক কৌতুক ও তথ্যসহকারে যথাযথভাবে তুলে ধরেছেন। লেখক আরো জানিয়েছেন যে, টানা পাখা নবম শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ করে বাগদাদে বহুল প্রচলিত ছিল।
প্রাচীনকালে বেদব্যাস মহাভারত লিখতে শ্রুতিলেখক হিসেবে গণেশকে ব্যবহার করেছিলেন। সেই থেকে শ্রুতিলেখকদের বলা হতো গণেশ। বাংলা সাহিত্যের অনেক কৃতিমান লেখক তাদের জীবনের কোনো না কোনো পর্বে শ্রুতিলেখক বা গণেশ ব্যবহার করেছিলেন- তা এই বইয়ের ‘সেইসব গণেশেরা’ নিবন্ধ থেকে জানা যাবে। গণেশ ব্যবহারকারী লেখকদের মধ্যে ছিলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বিখ্যাত নাট্যকার গিরিশ ঘোষ প্রমুখ। এমনকি স্বামী বিবেকানন্দ একজন ইংরেজ সাহেব গণেশের সহায়তা নিয়েছিলেন তার মৌখিক ইংরেজি বক্তৃতাগুলো লিপিবদ্ধ করার জন্য।
ইংরেজি শিক্ষিত বাঙালির উচ্চাকাক্সক্ষা মেটাতে লর্ড বেন্টিংকের প্রবর্তিত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদ জেলার ছোট হুজুর বা ছোট হাকিমের পদ বিশেষ সহায়তা করেছিল। কিন্তু ঔপনিবেশিক প্রভুদের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং জাত্যাভিমানের কারণে সেসময়ের বাঙালি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট- যার মধ্যে ছিলেন নবাব আবদুল লতিফ, বঙ্কিমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র সেন, দিজেন্দ্রলাল রায় প্রমুখের হেনস্থা এবং আশাভঙ্গের কাহিনি লেখক এই বইয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি ও সহানুভূতি দিয়ে। স্বাদু গদ্যে লেখা এই বইটি পাঠকের কৌতূহল ও অনুসন্ধিৎসা মেটাতে সহায়তা করবে।