62 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
চলচ্চিত্র এমনই একটি শিল্পমাধ্যম যা অন্যান্য শিল্প মাধ্যমের বহুকিছু ধারণ করতে পারে। চলচ্চিত্র এক প্রকারের দৃশ্যমান বিনোদন মাধ্যম। চলমান চিত্র বা ‘মোশন পিকচার’ থেকে চলচ্চিত্র শব্দটি ..
TK. 300TK. 225 You Save TK. 75 (25%)
Get eBook Version
US $2.76
In Stock (only 3 copies left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Related Products
Product Specification & Summary
চলচ্চিত্র এমনই একটি শিল্পমাধ্যম যা অন্যান্য শিল্প মাধ্যমের বহুকিছু ধারণ করতে পারে। চলচ্চিত্র এক প্রকারের দৃশ্যমান বিনোদন মাধ্যম। চলমান চিত্র বা ‘মোশন পিকচার’ থেকে চলচ্চিত্র শব্দটি এসেছে। চলচ্চিত্রের ধারণা এসেছে ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে। বাংলায় চলচ্চিত্রের প্রতিশব্দ হিসেবে ছায়াছবি, সিনেমা, মুভি বা ফিল্ম শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়। চলচ্চিত্রের মতো অন্য কোনো শিল্পমাধ্যম সাধারণের সাথে এতোটা যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম নয়।
শর্টফিল্মের ধারণাটিকে অনেকে নতুন ধারণা বলে মনে করেন। মূলত তা নয়। চলচ্চিত্রের ধারাই ছিল শর্টফিল্মের ধারা। শর্ট চলমান চিত্র এবং সবাক ও নির্বাক শর্টফিল্ম দিয়েই বিশ্ব চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু। ইতিহাস থেকে জানা যায়, অ্যাডোয়ার্ড মাইব্রিজ প্রথম নির্বাক শর্ট চলমান চিত্র (প্রায় ৪ মিনিট) Female Subjects (১৮৮৪) ধারণ করেন। তিনি বিভিন্ন অ্যাংগেল থেকে নারীর অনেকগুলো চিত্র তুলে সেগুলো এডিটিং করে জোড়া দেন। উইলিয়াম ডিকশন প্রথম সবাক মিউজিক্যাল শর্ট চলমান চিত্র (প্রায় ৩ মিনিট) The Dickson Experimental Sound Film (পিয়ানোবাদক ও ডান্সার, ১৮৯৫/৯৬) ধারণ করেন। শর্টফিল্ম বলতে যা বোঝায় তা আমরা প্রথম পাই জর্জ মেলিয়ের নিকট থেকে। তিনি প্রথম নির্মাণ করেন The Haunted Castle (১৮৯৬) নামের নির্বাক হরর শর্টফিল্মটি (৩ মিনিট ২৫ সেকেন্ড)। প্রথম কাহিনি শর্টফিল্ম ঈরহফবৎবষষধ (১৮৯৯) নির্মাণ করেন জর্জ মেলিয়ে। এটি বিশ্বের প্রথম ফ্যান্টাসি, সায়েন্স ফিকশন, জাদু এবং সাহিত্যপ্রধান স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ওয়ার্নার ব্রাদার্স নির্মাণ করেন প্রথম সবাক শর্টফিল্ম The Jazz Singer (১৯২৭)। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের হাত ধরে বাংলাদেশে শর্টফিল্ম নির্মাণ শুরু হয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধকে (১৯৭১) কেন্দ্র করে নির্মাণ করেন চারটি শর্ট তথ্যচলচ্চিত্র। এগুলোর মধ্যে Stop Genocide (১৯৭১), A State You Born (১৯৭১) এবং Liberation Fighters The Juj Singer (১৯৭১) অন্যতম।
সাধারণত এক মিনিট থেকে সর্বোচ্চ চল্লিশ মিনিটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে শর্টফিল্ম। চিত্রনাট্য মাথায় রেখে পরিচালকই যাবতীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। পরিচালকের সাথে দু-চারজন সহযোগী ও অভিনয় শিল্পী নিয়ে খুব সহজে ফিল্ম নির্মাণ করা যায়। শর্টফিল্ম নির্মাণের কলাকৌশল জানা আবশ্যকীয়। যেমনÑ দল গঠন, চিত্রনাট্য রচনা, শিল্পনির্দেশনা, অভিনয় শিল্পী নির্বাচন, কাহিনি অনুযায়ী ক্যামেরাম্যান, লাইটম্যান প্রভৃতি বিষয়ে পরিস্কার ধারণা থাকতে হয়। এসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ ও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে হাসান রাউফুনের ‘শর্টফিল্ম নির্মাণের কলাকৌশল’ বইটিতে। চিত্রনাট্যের গুণ ও কাহিনি বা দৃশ্য কীভাবে সাজাতে হয় তা নিয়ে তিনি লিখেছেন যতœসহকারে। চিত্রনাট্য তৈরির ক্ষেত্রে দেখা যায় বানান ভুলের ছড়াছড়ি। এজন্য বাংলা বানানে ভুল এড়াতে লেখক মোটামুটি ফিল্ম নির্মাণের জন্য প্রমিত বানানের কিছু নিয়ম তুলে ধরেন। শুদ্ধ উচ্চারণ শেখার অধ্যায়টিও আলোচিত হয়েছে যা একজন অভিনয় শিল্পীর জন্য খুবই জরুরি। সংক্ষিপ্ত এবং সহজ ভাষায় চিত্রনাট্যের কাঠামো অনুযায়ী নাটকের পঞ্চাঙ্ক কীভাবে লিখতে হয় চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। শর্টফিল্মের নমুনা কীভাবে ঢেলে সাজাতে হয় তাও অত্যন্ত গুছিয়ে আলাদা দৃশ্য বা সংলাপের বর্ণনা দিয়েছেন সময়ের জনপ্রিয় লেখক হাসান রাউফুন। সংক্ষিপ্ত ডায়লগের মাধ্যমে ও মূল বিষয়ে গল্পের শুরু, চ‚ড়ান্ত ও কত সহজে সমাপ্তি টানা যায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
‘শর্টফিল্ম নির্মাণের কলাকৌশল’ বইটি পড়ে শর্টফিল্ম নির্মাণ ইচ্ছুকরা উপকৃত হবেন এবং জানা, অজানা বিষয়কে নতুন করে নবায়ন করে নিতে পারবেন। বাংলা ভাষায় শর্টফিল্ম নিয়ে খুব একটা তাত্তি¡ক বই নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে হাসান রাউফুন রচিত বইটি একটি মাস্টার কপি হিসেব বিবেচ্য হতে পারে।