12 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
‘ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা’ বইটির ফ্ল্যাপে লেখা কথাঃ
কাজেই দেখাই যাচ্ছে এখন আমাদের স্কুলের কোনো নাম ডাক না থাকতে পারে কিন্তু আজ থেকে পনেরো কিংবা বিশ বছর পরে আমাদের স্কুল থেকে অনে..
TK. 1370TK. 1181 You Save TK. 189 (14%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
‘ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা’ বইটির ফ্ল্যাপে লেখা কথাঃ
কাজেই দেখাই যাচ্ছে এখন আমাদের স্কুলের কোনো নাম ডাক না থাকতে পারে কিন্তু আজ থেকে পনেরো কিংবা বিশ বছর পরে আমাদের স্কুল থেকে অনেক বিখ্যাত (কিংবা কুখ্যাত) মানুষ বের হবে। ফুটবল প্লেয়ার, দার্শনিক, সিরিয়াল কিলার, মাদক সম্রাজ্ঞী, নায়কা, পীর, শীর্ষ সন্ত্রাসী, সাহিত্যিক কিংবা নেতা এরকম অনেক কিছু তৈরী হলেও এই স্কুল থেকে কোনো বৈজ্ঞানিক বের হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা গেল আমাদের হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন খাঁটি বৈজ্ঞানিক বের হওয়ারও একটা বিশাল সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। তবে এটাকে সম্ভাবনা বলব না আশংকা বলব সেটাও অবশ্যি আমরা এখনো ঠিক জানি না।
‘হরিপদ ও গেলিয়েন’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
সুপারহিরো তো দূরের কথা, হিরোই হওয়ার কথা ছিল না তাঁর। তিনি যে হরিপদ, হরিপদ কেরানি। মেসবাড়িতে একা থাকেন। বন্ধুবান্ধব নেই, আত্মীয় নেই। আত্মীয় আর বন্ধু আছে কজন, যাদের খবর আমরা জানতাম না। পিপলি নামে এক পিঁপড়া আছে, হরিপদ অফিস চলে গেলে ওর ভীষণ মন খারাপ হয়। আছে দারুণ জ্ঞানী এক ধেড়ে ইঁদুর—নেপাল। আছে আলাভোলা তেলাপোকা তেচু। আছে ভুলু—সবকিছু ভুলে যান বলে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ বোধ হয় তিনিই। আর আছে পরি। পরির মতোই দেখতে মেয়েটার ভীষণ অসুখ। অনেক টাকা লাগবে। হরিপদ ভাবেন, একদিন তাঁকে চমকে দিয়ে ব্রিফকেসভর্তি টাকা কেউ রেখে যাবে ঘরের দুয়ারে।
হরিপদ জানতেন না, এর চেয়েও বড় চমক অপেক্ষা করছে। একদিন হরিপদের দুয়ারে হাজির হয় সেই আগুন্তুকেরা, যাদের বড় বড় গোল গোল চোখ। হরিপদ কেরানিকে যারা মনে করে, এই তো সেই সুপারম্যান!
‘শূন্য’ বইটির ভূমিকা
আমাদের চারপাশের চেনা জগৎ এবং চারপাশের বাইরে অচেনা জগৎ নিয়ে আমার নিজের কিছু চিন্তা-ভাবনা আছে। মাঝে মাঝে আমার অনিন্দ্রা রোগ হয়। বাসার সবাই ঘুমিয়ে থাকে আমি বারান্দায় বসে সিগারেটের পর সিগারেট টেনে হার্ট, ফুসফুসের যত রকম ক্ষতি করা সম্ভব ক্ষতি করতে থাকি। আর তখন অদ্ভুত সব চিন্তা-ভাবনা আসতে থাকে। মনে হতে থাকে- আমাদের এই শরীরের ভেতর আছে আরেকটি শরীর, আমাদের এই জগতের ভেতরে আছে আরেকটি জগৎ। সেই জগৎ সম্পর্কে লিখলে কেমন হয়?
শূন্য নামের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখার এই হল ‘শানে নজুল।’ শূন্য বইটিতে যুক্তির চেয়ে কল্পনাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখার সময় লেখককে সচেতনভাবে কল্পনা পরিহার করে যুক্তিতে থাকার চেষ্টা করতে হয়। আমি কখনো তা পারি না। আমি শ্রদ্ধা করি- যুক্তি, কিন্তু ভালবাসি-কল্পনা। আর এটা তো জাগতিক সত্য ভালবাসার এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ভালবাসাই জয়ী হয়।
আমার এই কল্পকাহিনী যদি পাঠক-পাঠিকাদের কিছুটা হলেও দ্বিতীয় জগৎ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে তাহলেই আমার অনিদ্র রোগে রাত জাগা সফল হবে। জয় হোক অনিদ্রার।
হুমায়ূন আহমেদ
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী : সেরিনা বইটির ফ্ল্যাপে লেখা অংশঃ আলেক্স হঠাৎ করে গম্ভীর গলায় বলল, “দেখ শামীম। মানুষের প্রতি মহূর্তে বিবর্তন হচ্ছে, মিউটেশান হচ্ছে। তাই ঘটনাক্রমে খুব বিচিত্র কিছু হওয়া অসম্ভব কিছু না। এই মিউটেশানগুলো টিকে থাকে না বলে আমরা এই বিচিত্র উদাহরণগুলো দেখি না। মানুষের চামড়ারপ্রতি বর্গ ইঞ্চিতে চার মিটার রক্তনালী, সেগুলো যদি কোনোভাবে চামড়ার কোষের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন একসচেঞ্জ করতে পারে সে হয়তো চামড়া দিয়ে নিশ্বাস নিতেও পারে। মাছ তার ফুলকা দিয়ে পানি থেকে অক্সিজেন নেয়-”