26 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
শ্রেষ্ঠ গল্প,
শ্রেষ্ঠ কবিতা,
শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ,
কবির মুখ
‘শ্রেষ্ঠ গল্প' বইয়ের কথাঃ
ততদিন আল মাহমুদ কবি হিসেবেই খ্যাত ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাঁর প্রথম গল..
TK. 2960TK. 2220 You Save TK. 740 (25%)
Related Products
Product Specification & Summary
শ্রেষ্ঠ গল্প,
শ্রেষ্ঠ কবিতা,
শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ,
কবির মুখ
‘শ্রেষ্ঠ গল্প' বইয়ের কথাঃ
ততদিন আল মাহমুদ কবি হিসেবেই খ্যাত ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত বের হওয়ার পরপরই বাংলা সাহিত্য আরেকটি ঝাঁকুনি খায়। সমকালীন লেখক, পাঠক ও সমালোকরা নড়েচড়ে বসেন। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থের পানকৌড়ির রক্ত ও জলবেশ্যা তো আজতক বাংলা সাহিত্যে এক ও অদ্বিতীয়ম। অনুভূতির এমন উত্তুঙ্গতা, ঘটনার এমন অভিনবত্ব, নির্মিতির এমন চমৎকারিত্ব বাংলা সাহিত্য আর দেখেনি।
বর্তমান সংকলনটিতে সাহিত্যিক বিচেনায় যেসব গল্প ‘শ্রেষ্ঠ’ পদবাচ্য তার বাইরে গিয়েও একটি জনগোষ্ঠীর মাটি ও মানুষের গাল্পিক আল মাহমুদকে আবিষ্কারে চেষ্টা করা হয়েছে। এ আবিষ্কার কতটা সার্থক হয়েছে সে বিবেচনা পাঠকের। শ্রেষ্ঠ কবিতা' বইয়ের কথাঃ
বাংলা কবিতায় আল মাহমুদের শ্রেষ্ঠত্ব আজ আর অস্বীকার করার উপায় নেই। সমালোচকদের চোখে আল মাহমুদ জীবননান্দ দাশ পরবর্তী সবচেয়ে শক্তিশালী কবি। প্রায় পঞ্চাশ বছরের কবিজীবনে অসখ্য লিখেছেন এবং এখনও সমানে লিখে যাচ্ছেন। তার অধিকাংশ কবিতাই কালোত্তীর্ণ, স্বমহিমায় ভাস্বর। তাঁর প্রকাশিত প্রায় পঁচিশটি কবিতা ও ছড়াগ্রন্থ থেকে শ্রেষ্ঠ কবিতা বাছাই করা বেশ দুরূহ কাজ। সাধারণ পাঠকের কাছে তাঁর সব কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা বলে বিবেচিত হতে পারে। কবিতার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ অভিধাটিই বিতর্কিত এবং কবির জন্য বিব্রতকরও বটে। তবুও সবকিছুর মতো কবিতারও মূল্যায়নে আসতে হয়। কোন কিছুর মানদণ্ড নির্ধারণে— হোক তা কবিতা বা শিল্পকলা—কে নির্ধারণ করছেন কিসের মানদণ্ডে নির্ধারণ করছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব বিষয় মাথায় রেখেও বর্তমান গ্রন্থে আমরা মাহমুদের সমগ্রতা ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আল মাহমুদ কেন বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ কবি এ জিজ্ঞাসার উত্তর খুঁজতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের আধুনিকতাবাদী কাব্যরুচি থেকে বের হয়ে নতুনভাবে আল মাহমুদকে আবিষ্কার করতে হয়েছে। বর্তমান গ্রন্থটি এ আবিষ্কারেরই স্মারক। ‘শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ’ বইয়ের কথাঃ
কাব্যপ্রেমিকগণ এক বাক্যেই স্বীকার করবেন যে, “আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের সেরা কবিদের একজন”। কোনো কোনো বোদ্ধা পাঠক আবার আল মাহমুদকে জীবনানন্দ দাশ পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বড় কবি মনে করেন। গল্পকার, গদ্যশিল্পী হিসেবেও আল মাহমুদের তুলনা পাওয়া ভার।
“সেরা আল মাহমুদ” নামে লিস্টে থাকা বইগুলো পাঠ করলেই পাঠকগণ তার প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। ‘কবির মুখ’ বইয়ের কথাঃ
আমি আমার নয় পুরুষের নাম জানি। এঁদের আগমন সম্পর্কে যেটুকু জানি, আমাদের বাড়িতে একটা কুরসিনামা ছিলো। তা থেকে আমি জানি যে এঁরা বাইরে থেকে এসেছিলেন। এঁরা সব ধর্মপ্রচারক। দিল্লিতে এসেছিলেন। রাষ্ট্রীয় উত্থান-পতনে এঁরা নানান দিকে ছড়িয়ে ছিটকে পড়েছেন। এঁদের মধ্যে ধর্মপ্রবণ একজন ভাটি অঞ্চলে চলে আসেন। এখানে থেকেছেন। এদেশের সাথে মিশে গেছেন।’—আল মাহমুদ
একজন আল মাহমুদ যখন আত্মজীবনী লিখেন তখন একটি জনগোষ্ঠীর ইতিহাসই লেখেন। যার প্রমাণ ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’। গ্রন্থটি প্রথম যখন প্রকাশ হয় বোদ্ধাপাঠক মহলে বেশ সাড়া পড়ে যায়। কবিতা, গল্পের পর আত্মজীবনী রচনায়ও সাফল্য তার মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করে।
একটি পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছা আল মাহমুদের বহুদিনের। কিন্তু বয়স ও স্মৃতিশক্তির কারণে এখন আর তা সম্ভব নয়। ফলে দুটি গ্রন্থ মিলিয়েই একটি হয়তো মাহমুদের একটি পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনীর কাছাকাছি যাওয়া যাবে। কেননা ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’-তে মাহমুদের জীবন সমাজ ও বাস্তবতার যেসব অধ্যায় অনুপস্থিত ছিল ‘বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ’ গ্রন্থে যেসব তো উঠে এসেছে।
আল মাহমুদের কবিতা ও ফিকশন তৈরির ক্ষমতা সম্পর্কে পাঠকমাত্রই জ্ঞাত। হুঁশিয়ার পাঠকগণ মাহমুদের আত্মজীবনীতে এই ক্ষমতার ভিন্ন প্রয়োগ দেখে চমৎকৃত হবেন।