50 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
"আয়েশা (রা.)-র বিয়ে ও বাল্যবিবাহ”বইটির ১ম ফ্লাপের কিছু কথা:
২০০৮ এ ও কানাডায় বিয়ের বৈধ বয়স ছিল ১৪ থেকে ১৮। ২০০৮-তে তারা একটি ভয়ানক অপরাধ আইন পাশ করে বিয়ের বয়স পরি..
TK. 150TK. 124 You Save TK. 26 (17%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
"আয়েশা (রা.)-র বিয়ে ও বাল্যবিবাহ”বইটির ১ম ফ্লাপের কিছু কথা:
২০০৮ এ ও কানাডায় বিয়ের বৈধ বয়স ছিল ১৪ থেকে ১৮। ২০০৮-তে তারা একটি ভয়ানক অপরাধ আইন পাশ করে বিয়ের বয়স পরিবর্তন করে ফেলে। এখন আমাদের এমনিতেই প্রশ্ন। আসতে পারে, এতাে শত শত বছর কেন চৌদ্দ বছরের একটি মেয়ে বিয়ে করতে পারত এবং সে সাবালিকা ও ম্যাচুরড হিসেবে গণ্য হত, হঠাৎ ২০০৮ তে তাদের কী হলাে? কেন তারা বিয়ের বয়স সংশােধন করলাে? উত্তর হলাে, এসবের কারণ হচ্ছে স্ববিরােধী মূল্যবােধ ও নৈতিকতা। আমাদের আইনই কেবল সঙ্গতিপূর্ণ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কোন মেয়ে যদি সাবালিকা হয়, তখনই কেবল সে বিয়ে করতে পারে যদি সে চায়। আল্লাহর কসম করে বলছি, তাদের আইনের কোন ভিত্তি নেই। আমাদের এমন কিছু নেই যে যার জন্য আমাদের লজ্জা করতে হবে। আল্লাহর কসম, যদি পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণের সকল মানুষ একযােগে একসাথে রাসূলের কাজ ও কর্মে সমর্থিত কোন কাজের বিপরীতে অবস্থান নেয়, আমি তখনও বলব, তিনিই সঠিক অবস্থানে আছেন, আর বিশ্বের তাবৎ মানুষ ভুলের মধ্যে আছে।
ভূমিকা:
শাইখ আহমদ মুসা জিবরিল জ্ঞান, প্রজ্ঞা, নির্ভীকতা এবং স্পষ্টভাষিতায় সমসাময়িক আলেম ও স্কলারদের মধ্যে প্রাচ্যে এবং পাশ্চাত্যে তাঁর মত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ একেবারেই বিরল। তিনি যখন কোন বিষয়ে আলােচনা করেন বা বক্তব্য প্রদান করেন স্বাভাবিকভাবেই, স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এবং শক্তিমত্তার সঙ্গেই তার সেই বক্তব্যে ও আলােচনায় জ্ঞান, প্রজ্ঞা, নির্ভীকতা। এবং স্পষ্টভাষিতার একত্র উচ্ছ্বাস ও সিম্ফনির উজ্জ্বল অভিপ্রকাশ ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন, তাঁর পিতা শাইখ মুসা জিবরিল রাহিমাহুল্লাহ, যিনি মদিনার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। সেই সুবাদে তাঁর শৈশবের বেশ কিছু সময় কাটে মদিনায়। এগারাে বছর বয়সে তিনি হিফয সম্পন্ন করেন। নিম্ন মাধ্যমিক শেষ হওয়ার পূর্বেই তিনি বুখারী ও মুসলিম শরিফ মুখস্ত সম্পন্ন করেন। তাঁর কৈশােরের বাকি সময়টুকু যুক্তরাষ্ট্রেই কাটে। পরবর্তীতে তিনিও তার বাবার মতাে মদিনার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরীয়াহর উপর ডিগ্রী লাভ করেন।
আহমাদ মুসা জিবরিল শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল উসাইমীনের তত্ত্বাবধানে অধ্যায়ন করেন এবং তার কাছ থেকে তাযকিয়্যাহ লাভ করেন। শাইখ বাকর আবু যাইদের কাছে একান্ত দরসে তিনি শাইখ মুহাম্মাদ ইবন | আব্দুল ওয়াহহাব ও শাইখ আল-ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যার কিছু গ্রন্থ। অধ্যায়ন করেন। তিনি শাইখ মুহাম্মাদ মুখতার আশ-শিনষ্কৃিতীর অধীনে চার বছর পড়াশুনা করেন। আল্লামা হামদ বিন উকালা আশ-শুয়াইবির অধীনেও তিনি অধ্যায়ন করেন এবং তাযকিয়্যাহ লাভ করেন। শাইখ মুসা জিবরিল ও শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিলের ইলম থেকে উপকৃত হবার জন্য শাইখ বিন বায আমেরিকায় অবস্থানরত সৌদি ছাত্রদের উৎসাহিত করেন। শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল শাইখ বিন বাযের কাছ থেকে তাযকিয়্যাহ অর্জন করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করার সময় শাইখ বিন বায তাকে “শাইখ, হিসেবে সম্বােধন করেন এবং তিনি আরাে বলেন, তিনি ”আলিমদের কাছে সুপরিচিত,ও”উত্তম আক্বিদা পােষণকারী ।
২য় ফ্লাপ:
ইসলাম নিয়ে গর্ব কর, ইসলামের আদর্শ নিয়ে গর্ব কর। আমরা দাওয়াত ভালবাসি, আমরা দাওয়াতের জন্য সবচেয়ে ভাল ও উত্তম পথ গ্রহণ করি। অমুসলিমদের মধ্যে যারা দ্বীন জানতে চায়, তাদের জন্য আমার লেকচারগুলাে আপনারা হয়ত শুনে থাকবেন। তবে যখন তারা আমাদেরকে আক্রমণ করতে চায় তখন আমরা তাদের সাথে আমরা বসতে পারি না, আল্লাহর কসম করে বলছি, তখন আমরা বলতে পারি না, আমাদের হাদিস দুর্বল, আমি কীভাবে ইলম গােপন করতে পারি, আমাদের পক্ষে কীভাবে সম্ভব তাদের সাথে আপোেষ করা? আমরা কখনই তা করতে পারব না। তাদের বাড়ি কাঁচের তৈরি, তা সত্ত্বেও সেখান থেকে তারা আমাদের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারে। তােমার। বাড়ি যেহেতু কাঁচের তৈরি, সেহেতু কাউকে তােমার পাথর মারা উচিৎ না। আমরা হিকমত ও প্রজ্ঞার কথা বলি, তবে যদি তারা আমাদের আক্রমণ করে, তাহলে আমরা তাদের দেখিয়ে দিব, যে তাদের আইনকানুনই বিশৃঙ্খল, এলােমেলাে ও হাস্যকর, আমাদেরটা না। যারা দ্বীন শিখতে চায়, জানতে চায়, তাদের জন্য আমরা আমাদের মনপ্রাণ উজাড় করে দেব, তাদের প্রতি আমরা কোমল ও সদয় হব, যারা দ্বীনকে জানতে আগ্রহী তাদের মাঝে এবং প্রাচ্যবিদেরা যারা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত অসত্তাবে আক্রমণ করে আসছে তাদের মাঝে বিশাল পার্থক্য আছে। দ্বীনের দাওয়াত ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপে পার্থক্যটা ঠিক এ জাগাতেই, তাই ইন্টারফেইথ মূলত দাওয়াতের অংশ নয়।
শেষের ফ্লাপ:
আয়েশা রা.-এর সাথে অল্প বয়সে বিয়ের ব্যাপারটা সেসময়ের বিচারে মােটেই নতুন কোন বিষয় ছিল না, কারণ এ বয়সে মেয়েদের বিয়ে করা তকালীন সমাজের একটি সাধারণ প্রথা ও রেওয়াজ ছিল। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও তৎকালিন সমকালকে পৃথক করে শুধু মাত্র ঘটনা বর্ণনা করা একটি মারাত্মক পর্যায়ের ভুল। এছাড়াও, আয়েশা রা. বিয়ের সময় শিশু ছিলেন না, বরং তিনি পূর্ণ সাবালিকা ছিলেন, কারণ, এর আগে তার জন্য যুবায়ের বিন মুতয়িম বিন আদির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়।