14 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
রহস্যপত্রিকা’র অন্যতম জনপ্রিয় লেখক রুবেল কান্তি নাথ। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ‘সেবা প্রকাশনী’র এই জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকায় লিখে চলেছেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন দক্ষিণ কাট্টলী, চট্টগ্র..
TK. 300TK. 225 You Save TK. 75 (25%)
Get eBook Version
US $2.76
Product Specification & Summary
রহস্যপত্রিকা’র অন্যতম জনপ্রিয় লেখক রুবেল কান্তি নাথ। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ‘সেবা প্রকাশনী’র এই জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকায় লিখে চলেছেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন দক্ষিণ কাট্টলী, চট্টগ্রামে। পেশায় ব্যবসায়ী। লেখালেখি ও বই পড়া তার অন্যতম নেশা।
প্রথম আলো, সমকাল ও সংবাদ-এর ফান সাপ্লিমেন্ট আলপিন, প্যাঁচআল ও বাঁশ-এ কন্ট্রিবিউটর হিসেবে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে নিয়মিত লিখছেন।বর্তমানে ইত্তেফাক-এর ঠাট্টা, যুগান্তর-এর বিচ্ছু ও খোলা কাগজ-এর বাংলা ওয়াশ-সহ বিভিন্ন রম্য সাময়িকীতে তার সরব উপস্থিতি প্রমান করে তার লেখার পাঠকপ্রিয়তা।তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১০টি।
সাহিত্যদেশ প্রকাশিত ‘সর্পমানবী’ একটি মৌলিক হরর সংকলণ। এতে 20টি গল্প রয়েছে। ‘‘অশরীরী, আজরাইল, মরণডাক, রক্তপিপাসা, প্রায়শ্চিত্ত, প্রেতদৃষ্টি, অতৃপ্ত আত্মা, পৈশাচিক, প্রেতাত্মা, মুক্তিদাত্রী, নরখাদক, মায়াবিনী, শ্মশানভূত, মগজখেকো, ভয়ালনিশি, অপাকৃত, যমদূত, অপার্থিব, সর্পমানবী, দানবী।” এ গ্রন্থের প্রত্যেকটি গল্পই পাঠককে নিয়ে যাবে অন্য এক ভৌতিক মোহণীয় জগতে।
বইয়ের একটি গল্পের ভেতরে যাওয়া যাক- ‘‘ভাইজান, আপনি কি পথ হারিয়ে ফেলেছেন? আমার সঙ্গে চলেন। আপনাকে পথ দেখিয়ে দেবো।’
বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কপালকুন্ডলা’ উপন্যাসেও প্রায় একই ডায়ালগ ছিল।
নবকুমারকে জিজ্ঞাসা করেছিল কপালকুন্ডলা, ‘পথিক, তুমি কি পথ হারাইয়াছো?’
এই নতুন কপালকুন্ডলার আবির্ভাবে স্বস্তি পেলো ও।
ভাবছিল, এ গভীর জঙ্গলে মেয়েটি কীভাবে, কোথা থেকে এলো? এতো বড় সাতাশ বছরের গাধা জঙ্গলের মধ্যে পথ হারিয়ে বসে আছে আর এতোটুকুন একটা পুঁচকে মেয়ে ওকে পথ দেখাবে?
তবুও দ্বিধা না করে তার পেছন-পেছনে হাঁটা দিল। মেয়েটি যেভাবে হাঁটছে তাতে বোঝা গেল, পুরো জঙ্গলটাই তার খুব চেনা।
তার সঙ্গে হাঁটতে-হাঁটতে অনেক প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে পারল, এই বিরাট পৃথিবীতে তার আপন বলতে কেউ-ই নেই। জন্মের পর থেকে বাবা-মাকে দেখেনি সে। জঙ্গলের পাশে রেললাইনের ধারে সে এক বস্তিতে থাকে এক বিধবার সাথে। ... দিন-রাত অনেক পরিশ্রম করেও ঠিকমতো দু’বেলা পেট পুরে খেতে পারে না সে। মহিলাটি বিভিন্ন অত্যাচার করে তার উপর।
এসব বলতে-বলতে মেয়েটির চোখে জল এসে গেল।
দেখে ওর খুব মায়া হলো।
একটুও দ্বিধা না করে বলল, ‘তুমি কি আমার সঙ্গে যাবে?’
বুঝতে পারেনি মানুষরুপী এক কালনাগিনীকে স্বেচ্ছায় নিজের ডেরায় নিয়ে যাচ্ছে ও.. ’’
আরেক গল্পে আচমকা নাম না জানা এক পাখি ডেকে উঠল। পাখিটার ডাক শুনেই কলজে কাঁপা শুরু হলো ওর। ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকল।
কারণ ও ভালো করেই জানে, এই পাখিটার ডাক শুনলেই পৃথিবীতে মৃত্যু নেমে আসে। জারি হয়ে যায় কারো মৃত্যু পরোয়ানা।
যে একবার পাখিটার ডাক শুনতে পেয়েছে, তার আর রক্ষা নেই। তবে কি আজ রাতটাই ওর জীবনের শেষ রাত হতে যাচ্ছে? রাত শেষের সাথে-সাথেই কি ওর জীবনও শেষ হয়ে যাবে? আর কি জীবনে সকাল দেখা হবে না ওর?
গল্প: মরণডাক
মেয়েকে ঘুম পাড়াতে-পাড়াতে গভীর রাত হয়ে গিয়েছিল মায়ের। হঠাৎ করে ওই গভীর রাতে ভালুকের মতো দেখতে ভয়ংকর চেহারার দুটো দানব ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ল।
ওরা তীব্র আক্রোশে ছিঁড়ে-খুঁড়ে ফেলতে চাইছিল মা-মেয়েকে। মা মেয়েকে বাঁচাতে চাইলে, মাকে আক্রমণ করছিল ওরা। মা নিজেকে রক্ষা করতে তৎপর হতেই মেয়ের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ছিল।
ওরা কারা? ভালুকরুপী ওরা? ওদের উদ্দেশ্যটাই বা কী? প্রেত নয় তো! গল্প: প্রেতদৃষ্টি
হ্যাঁ এই রকম 20 টি গল্পের সমাহার সর্পমানবী।