17 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
কুরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি সামান্য অনু-পরিমাণ নেক আমল করবে কিয়ামত দিবসে সে তা দেখতে পাবে। আর যে ব্যক্তি সামান্য অনু-পরিমাণ বদ-আমল করবে কিয়ামত দিবসে তাও দেখত..
TK. 598TK. 299 You Save TK. 299 (50%)
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
কুরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি সামান্য অনু-পরিমাণ নেক আমল করবে কিয়ামত দিবসে সে তা দেখতে পাবে। আর যে ব্যক্তি সামান্য অনু-পরিমাণ বদ-আমল করবে কিয়ামত দিবসে তাও দেখতে পাবে।”br
সহিহ হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তাআলা তোমাদের বাহিক্য আকৃতি ও শারীরিক গঠনের দিকে লক্ষ্য করেন না। তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে লক্ষ্য করেন।”br
কুরআনে কারিম-হাদিস শরিফ যেমন ইলম অর্জনের তাগিদ প্রদান করা হয়েছে তেমনি বিশেষভাবে অমলেরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘ইলমের গ্রহণযোগ্যতা, সুরক্ষা, হাতিয়ার, ও সুন্দর্যতা হল আমল বা আমলে সালিহ’। হাশরের ময়দানে ইলম কি পরিমাণ অর্জন করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করা হবে না, বরং ‘আমলে সালিহ’ কি পরিমাণ সম্পাদন করা হয়েছে তা অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে। আমাদের সমাজে বর্তমানে এমন মানুষ পাওয়া খুবই দুষ্কর যিনি কুরআন-হাদিস সম্পর্কে কিছুই জানেন না। সবাই অন্তত কিছু না কিছু হলেও মাসআলা-মাসাইল জানেন।আমাদের জ্ঞানের উন্নতি ঘটলেও আমলের অধঃপতন ঘটছে প্রতিনিয়ত। অথচ কুরআনুল কারিম-হাদিস শরিফ দু'টিকেই সমান গুরুত্ব দিয়েছে।ইলমহীন আমল যেমন গ্রহণযোগ্য নয়,ঠিক তেমনিভাবে আমলহীন ইলমও গ্রহণযোগ্য নয়। ‘আমলি জিন্দেগি’র এমন গুরুত্বের কারণে সালাফদের মাধ্যে সাহাবি, তাবেয়ি, ফকিহ ও মুহাদ্দিস সকলেই অর্জিত ইলম নিয়ে সংকিত ছিলেন। তারা সর্বদা চিন্তা করতেন এবং ভীতসন্ত্রস্ত থাকতেন-আল্লাহ তাআলার দরবারে কি জবাব দিবেন তাঁরা? অর্জিত ইলমের হক কতটুকু আদায় করতে পেরেছেন? কিয়ামত দিবসে কীভাবে ইলমের হিসাব দিবেন, নাকি এই ইলমের কারণে হিসাব দিবসে আটকে যাবেন?br
সালাফগণ ইলমের সাথে সাথে ‘আমলি জিন্দেগি’কে সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। হিজরি পঞ্চম শতাব্দীর বিখ্যাত আলিম ইমাম আবু বকর খতিব আল-বাগদাদি রহ. তালেবুল ইলম সহ সকল শ্রেণীর মুসলিমদেরকে আমলের প্রতি আগ্রহী ও ‘আমলি জিন্দেগি’ গড়ে তোলার নিমিত্তে اقتضاء العلم العمل / "ইকতেজাউল ইলম ওয়াল আমল" নামে একক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। বাগদাদি রহ.এর বইটিতে নিজ বর্ণনাসূত্রে কুরআনে কারিমের তাফসির, হাদিস, সাহাবা রাযি. এর আছার ও তাবেয়ি রহ. এর বাণী সংকলন করেছেন।br
আরবি বইটি খুবই যত্নসহকারে অনুবাদ ও বিশ্লেষণ করেছেন মুফতি আবুল ওয়াফা শামসুদ্দিন আযহারী। বইটির অনুবাদক ‘গ্রন্থকার বাগদাদি রহ.’ পর্যন্ত ধারাবাহিক সনদ উল্লেখ করেছেন। তিনি আরবি গ্রন্থটির হাদিস ও আছারের তাখরিজ, টীকা সংযোজন ও সার্বিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে বাংলাভাষী পাঠকদের পাঠপোযুগী করে তুলেছেন। বইটির নাম দিয়েছেন, ‘আমলি জিন্দেগি’।br
আশা করছি, বইটির মাধ্যমে আমাদের সমাজের ছাত্র-শিক্ষক ও সকল মহলের পাঠকবৃন্দ উপকৃত হবেন।ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।এবং সবাইকে আমলি যিন্দেগি দান করুন।আমিন।