10 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 1620TK. 1183 You Save TK. 437 (27%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
"কোয়ান্টাম ফিজিক্স" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই বদলে গেল পদার্থবিদ্যার ইতিহাস। জন্ম হলাে নতুন এক বিজ্ঞানের। প্লাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্বের হাত ধরে পথ চলা শুরু বিজ্ঞানের নবতম শাখাটির বিজ্ঞানী নীলস বাের একঝাঁক তরুণ শিষ্য নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লেন অতি পারমাণবিক জগতের রহস্যভেদ করতে। জন্ম হলাে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার। নতুন এই বিজ্ঞান তছনছ করে দিল প্রকৃতির চিরচেনা নিয়মগুলােকে। অনিশ্চয়তাই হয়ে উঠল আধুনিক পদার্থবিদ্যার মূল ভিত্তি। এই বইয়ে পদার্থবিদ্যার নতুন ও জটিলতম শাখাটিকে সাধারণ পাঠকের বােধােগম্যের ভেতরে আনার চেষ্টা করা হয়েছে সহজ-সরল প্রাঞ্জল গদ্যে। সেই সাথে উঠে এসেছে কালের গর্ভে গুমরে মরা আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক অজানা ইতিহাস।
"কোয়ান্টাম ফিজিক্স" বইয়ের ভূমিকা:
কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক আছে। অনেকেই ভাবে, সাধারণ মস্তিষ্কে এটা বােঝা সহজ নয়। এর জন্য অতি মেধাবী হতে হবে। বিজ্ঞানী-টিজ্ঞানী আরকি। তাছাড়া দুর্বোধ্য গণিত না জনলে নাকি কোয়ান্টাম ফিজিক্স বােঝা অসম্ভব । অনেকে আবার মনে করেন, কোয়ান্টাম জগৎ বাস্তব জ্ঞানে বোেঝা সম্ভব নয়। এটা ঠিক, কোয়ান্টাম ফিজিক্স বেশ জটিল। তবে দুর্বোধ্য নয়। চেষ্টা করলে স্কুলের গণিত আর বিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়েই সেটা বােঝা সম্ভব। আমি জানি, এই কথাটা অনেকেই মানতে চাইবেন না। তাঁদের বলব দয়া করে বইটা শুরু থেকে শেষ করুন, আশা করি কোয়ান্টামের ধ্রুম্রজাল কেটে যাবে। অন্তত প্রাচীন কোয়ান্টাম বা কোয়ান্টাম তত্ত্ব কি, সেটা বুঝতে বেগ পেতে হবে না। আর এই বইটা পড়ার জন্য আপনাকে ক্যালকুলাস, টেন্সর বিশ্লেষণ, হ্যামিল্টনীয়ান গতিবিদ্যা, ফুরিয়ার ধারা এমনকি ম্যাটিক্স বলবিদ্যার দখল না থাকলেও চলবে। বাস্তব জগতের সাথে কোয়ান্টাম জগতের সাদৃশ্য তেমন নেই। তবু কিছু কিছু বিষয় বােঝাতে বাস্তব জগতের উদাহরণ টানা হয়েছে। উদ্দেশ্য, পাঠকের মনে কোয়ান্টাম জগতের একটা ছবি তৈরি করা। আর সেই ছবি দেখতে গিয়ে পাঠক কোয়ান্টাম জগৎ আর বাস্তব জগতকে মিলিয়ে ফেলবেন না বলেই আমার বিশ্বাস। বইটাতে শুধু প্রচীন কোয়ান্টাম আর কোয়ান্টাম বলবিদ্যা নিয়েই আলােচন করা হয়নি, কোয়ান্টামের ভীত কীভাবে তৈরি হলাে, কীভাবে জন্ম হলাে পূর্ণাঙ্গ কোয়ান্টাম তত্ত্বের, সেসবও তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে গল্পের ঢংয়ে। তারপরও ভালাে-মন্দ যাচাইয়ের ভার পাঠকদের হাতে। কিছু ভুল-ত্রুটি হয়তাে রয়ে যাবে। তবে তথ্যগত ত্রুটি থাকলে, দয়া করে ই-মেইলে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবানুমতমতই বইটির ভবিষ্যৎ সংস্করণ নির্ভল হতে সাহায্য করবে। থিওরি অব রিলেটিভিটি
নিউটন মনে করতেন সময় পরম, দুটি বস্তু পরস্পরকে মহাকর্ষ বলের কারণে আকর্ষণ করে। নিউটন আরও মনে করতেন আলাের বেগ পরম নয়, আপেক্ষিক।
নিউটনের সেই ধারণা বদলে গেল বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই। আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি বদলে দিল আগের সব হিসাব। বিজ্ঞান জগতে আমূল পরিবর্তন ঘটল। পাল্টে গেল আমাদের চিরচেনা জগতের ইতিহাস। আইনস্টাইন প্রমাণ করলেন, সময় বা কাল পরম নয়। পরম নয় বস্তুর দৈর্ঘ্য ও ভর। আইনস্টাইন বললেন মহাকর্ষ বলের জন্য বস্তুর ভর দায়ী নয়, মহাকর্ষ আসলে ‘স্থানকাল জ্যামিতি’র খেলা।
আইনস্টাইনের হাত ধরে বিজ্ঞানের সেই বদলে যাওয়া ইতিহাস এই বইয়ে বর্ণিত হয়েছে অত্যন্ত সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল গদ্যে। কৃষ্ণগহ্বর
ব্ল্যাকহােল। যার ব্লপােশাকি বাংলা নাম কি বাংলা নাম কৃষ্ণগহ্বর। একশ বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস এর। কিন্তু কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে সত্যিকার গবেষণা শুরু হয় গত শতাব্দীর ষাটের দশকে। কত তত্ত্ব এলাে-গেল, কত তত্ত্ব প্রমাণ হলাে, কত তত্ত্ব বাতিল হলাে, বিজ্ঞানীরাও কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পেলেন মহাকাশে, কিন্তু ধোয়াসার আঁচল ছেড়ে মুখ বের করেনি মহাকাশের এই মহারহস্যটি। এর অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ, কৃষ্ণগহ্বরের সমাধান করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের কালঘাম ছুটে যাওয়ার কাহিনি, সেই সাথে কৃষ্ণগহ্বরের জন্য তৈরি হওয়া তত্ত্বের বর্ণনা সহজ ও সাবলীল ভাষায় উঠে এসেছে এই বইয়ে। ‘গুপ্ত মহাবিশ্বের খোঁজে’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি নিজেদের লুকিয়ে রেখেছে ধোঁয়াশার আড়ালে। সেই আড়াল সরিয়ে গুপ্ত বস্ত্ত আর শক্তিগুলোর দিনের আলোর মতো আলোকিত হওয়ার আশু সম্ভাবনা নেই। তাই বলে কি বসে থাকবেন বিজ্ঞানীরা? তাঁরা চেষ্টা করছেন মহাবিশ্বকে বোঝার, মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য পুরোপুরি উন্মোচন করার। সে কাজে সফল হতে হলে গুপ্ত ভরশক্তির প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেতে হবে। না হলে অজানা থেকে যাবে মহাবিশ্বের ৯৬ শতাংশ রহস্যই। তাই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন: ডার্ক ম্যাটারের খোঁজে ফাঁদ পেতেছেন মাটির বহু গভীরে, গুপ্ত শক্তির খোঁজে মহাকাশে ছিপ ফেলেছেন নভোটেলিস্কোপের সাহাঘ্যে। কিন্তু ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জি রহস্যই রয়ে গেছে। ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জি কী এমন জিনিস যে নিজেদের এরা এতটা রহস্যাবৃত করে রেখেছে, বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করেও কেন সেই অবগুণ্ঠন সরাতে পারছেন না—এসবের বিস্তারিত বিবরণ আছে এ বইয়ে।