43 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম।মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমার “হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিস অব মেডিসিন“ বইটির শুরুতেই হোমিওপ্যাথির জনক মহাত্মা হ্যানিম্যানের প্রতি সন্মান জানিয়ে, শ্রদ্ধা ..
TK. 400
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম।মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমার “হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিস অব মেডিসিন“ বইটির শুরুতেই হোমিওপ্যাথির জনক মহাত্মা হ্যানিম্যানের প্রতি সন্মান জানিয়ে, শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় “রোগ নয়, রোগীর চিকিৎসা করা হয়।“ এই দর্শনকে ধারণ করে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারকে রোগীর রোগ চিত্র অংকন করতে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সাথে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মুল পার্থক্য হলো রোগ নির্ণয়, ঔষধ নির্বাচন পদ্ধতি ও মাত্রা নির্ধারণ। রোগ আরোগ্যের জন্য একজন চিকিৎসকের প্রথম ও প্রধান কাজ রোগ-সনাক্তকরণ বা Diagnosis। রোগীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের নিকট থেকে যত্নসহকারে রোগের বিবরণ সংগ্রহ এবং রোগীর ব্যক্তিগত, শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা দ্বারা ডায়াগনোসিস করা যেতে পারে। জটিল রোগ সমুহ চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব, রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা। রোগ দ্রুত সনাক্তকরণেই রোগীর জন্য জরুরি। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় রোগ যাহাই হোক না কেন, তৎপ্রকৃতি গুরুত্ব অর্পণ না করিয়া রোগের লক্ষণ সমুহের উপর দৃষ্টি রাখিয়া চিকিৎসা পরিচালনার নির্দেশ থাকিলেও সাথে চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা ও দুরদৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। সঠিক রোগ চিত্র রোগ আরোগ্যের শর্ত। রোগের বাহ্য ও আভ্যন্তরিক লক্ষণনাদি সম্বন্ধে জানা আবশ্যক। রোগীর তাপমাত্রা, নাড়ী, রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশ্বাস, মুখেরভাব, চক্ষু, কর্ণ, জিহ্বা, ক্ষুধা, পিপাসা ইত্যাদির সঠিক চিত্র ডাক্তারের চোখে ফুটে উঠলে রোগ আরোগ্যের ক্ষেত্রে সফলতা নিশ্চিত করা যায়। সঠিক রোগ নির্ণয় করতে অন্যান্য চিকিৎসা বিদ্যায় যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাদের পদ্ধতি ও আমাদের হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতির বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ছাড়াও হোমিওপ্যাথিক দর্শণ আমাদের পথ প্রদর্শক। অর্গানন অব মেডিসিনের নিয়ম নীতি মেনে রোগীর আদর্শ আরোগ্যের পথ সুগম করাই আমাদের গন্তব্য। রোগ নির্ণয়ের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই রোগীর A- Aggravation-বৃদ্ধি, B- Better Feeling – হ্রাস, C- Construction of the ,Patient's body- রোগীর দৈহিক গঠন, D- Desire -ইচ্ছা, E- Exciting Cause- উত্তেজক কারণ, F- Former treatment- পূর্ববর্তী চিকিৎসা, G- Genetic Influence-বংশানুক্রমিক প্রভাব, H-History of the Patient' disease- রোগীর রোগের অতীত ইতিহাস, M- Mental Symptoms- মানসিক লক্ষণ, N- Nature of the Patient- রোগীর প্রকৃতি, আচরণ, অভ্যাস, আবেগ প্রভৃতি, O- Objection-আপত্তি, ইচ্ছা, অনিচ্ছা সংগ্রহে যত্নবান হতে হবে। মহাত্মা হ্যানিম্যানের প্রদর্শিত পথে পঞ্চাশ সহস্রতমিক ঔষধ ব্যবহার নিশ্চিত করাই আমাদের রোগ আরোগ্যের হাতিয়ার। আমি আমার প্রাকটিস অব মেডিসিন বইটিতে হ্যানিম্যানিয় দর্শণের অনুকরণে রোগ আরোগ্যের জন্য একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তরকে যে সকল বিষয় নজর রাখা দরকার তাহা সহজ সরল উপস্হাপন করেছি। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জ্ঞান সমুদ্র পাড়ি দেয়া সম্ভব করতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমার অর্জিত সামান্য জ্ঞান নিয়ে একটি মৌলিক বই লেখা সম্ভব নয়। ভারত উপমহাদেশের খ্যাতিমান হোমিওপ্যাথিক মনীষীদের লেখা অনুসরণ করে তাদের লিখিত বইয়ের তথ্য উপাত্ত সংযোজন করে আমার এই বই রচিত হয়েছে। আমি প্রত্যেক হোমিওপ্যাথিক জ্ঞানীগুনী লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার বইয়ের বিষয়বস্তু, কারো লেখার সাথে মিলে গেলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আমার লেখায় কোন ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সংশোধনী থাকলে জানিয়ে দিলে, পরবর্তি সংস্করণে ঠিক করে দিব। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় সামাস্য কল্যাণে আসলে নিজেকে ধন্য মনে করব। সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।