49 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
কাইভের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার 'দিওয়ানি' লাভ করে। যদিও সাধারণ প্রশাসন পরিচালনার ভার তখনও ছিল ন..
TK. 550TK. 473 You Save TK. 77 (14%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
কাইভের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার 'দিওয়ানি' লাভ করে। যদিও সাধারণ প্রশাসন পরিচালনার ভার তখনও ছিল নবাবেরই হাতে। কিন্তু নেপথ্যে থেকে 'পলাশির যুদ্ধের' ইংরেজ কুশীলবেরাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছিল।
ইংরেজরা পরীক্ষামূলকভাবে ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম জেলাগুলির দায়িত্বে নিজেদের লোক নিযুক্ত করে, এদের পদবি ছিল 'সুপারভাইজার'/ 'সুপারভাইজর'। ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে এটাকে পাল্টে করে 'কালেক্টর'। পরবর্তীকালে 'কালেক্টর'দেরকে প্রত্যাহার করে সে পদে দেশি 'আমিল'দেরকে বসিয়েছিল। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ইংরেজ কালেক্টরদেরকেই ফিরিয়ে আনে। মোটামুটি ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বর্তমান জেলা প্রশাসন তার পূর্ণাঙ্গ রূপ ও চরিত্র পেয়েছিল।
ওয়ারেন হেস্টিং, মার্কুইস কর্নওয়ালিস এবং অন্যরা বিদ্যমান জেলাগুলোকে বিন্যাস-পুনর্বিন্যাসের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর বাংলার জেলা প্রশাসনের যে মজবুত অবকাঠামো দাঁড় করিয়েছিল, বন্তুত তারই ধারাবাহিক ইতিহাস বা ক্রমবিকাশের চিত্র উঠে এসেছে বর্তমান গ্রন্থে। সেই সঙ্গে রয়েছে 'ফোর্ট উইলিয়াম'-কেন্দ্রিক 'কলকাতা কাউন্সিল' ও 'সিলেক্ট কমিটি' তথা মূল ÿমতা বলয় ও এর অন্ত্মরবর্তী প্রশাসনিক দপ্তর/ সংস্থাগুলোর বিবর্তনের কাহিনী। কাবেদুল ইসলাম
ইংরেজ আমলে (বাংলার প্রশাসনিক সংস্কার ও পুনর্বিন্যাস ১৭৬৫-১৯৪৭)
কাইভের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার 'দিওয়ানি' লাভ করে। যদিও সাধারণ প্রশাসন পরিচালনার ভার তখনও ছিল নবাবেরই হাতে। কিন্তু নেপথ্যে থেকে 'পলাশির যুদ্ধের' ইংরেজ কুশীলবেরাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছিল।
ইংরেজরা পরীক্ষামূলকভাবে ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম জেলাগুলির দায়িত্বে নিজেদের লোক নিযুক্ত করে, এদের পদবি ছিল 'সুপারভাইজার'/ 'সুপারভাইজর'। ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে এটাকে পাল্টে করে 'কালেক্টর'। পরবর্তীকালে 'কালেক্টর'দেরকে প্রত্যাহার করে সে পদে দেশি 'আমিল'দেরকে বসিয়েছিল। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ইংরেজ কালেক্টরদেরকেই ফিরিয়ে আনে। মোটামুটি ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বর্তমান জেলা প্রশাসন তার পূর্ণাঙ্গ রূপ ও চরিত্র পেয়েছিল।
ওয়ারেন হেস্টিং, মার্কুইস কর্নওয়ালিস এবং অন্যরা বিদ্যমান জেলাগুলোকে বিন্যাস-পুনর্বিন্যাসের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর বাংলার জেলা প্রশাসনের যে মজবুত অবকাঠামো দাঁড় করিয়েছিল, বন্তুত তারই ধারাবাহিক ইতিহাস বা ক্রমবিকাশের চিত্র উঠে এসেছে বর্তমান গ্রন্থে। সেই সঙ্গে রয়েছে 'ফোর্ট উইলিয়াম'-কেন্দ্রিক 'কলকাতা কাউন্সিল' ও 'সিলেক্ট কমিটি' তথা মূ্ল্যমত বলয় ও এর অন্ত্মরবর্তী প্রশাসনিক দপ্তর/ সংস্থাগুলোর বিবর্তনের কাহিনী
কাবেদুল ইসলাম
জন্ম ১ লা জানুয়ারি ১৯৬৪, খুলনা। বাংলাভাষা ও সাহিত্যের স্নাতকোত্তর। সম্ম্প্রতি ৯ মাসের একটি ঢ়ড়ংঃ এৎধফঁঃব উরঢ়ষড়সধ রহ এড়াবৎহধহপব ঝঃঁফরবফ ঈড়ঁৎংব সম্পন্ন করেছেন।
আশির দশকের গোড়ায় কয়েকটি বিশিষ্ট জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে কবিতা,ছোটগল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে সাহিত্যজগতে অনুপ্রবেশ। এ পর্যন্ত্ম প্রকাশিত গ্রন্থ ২৬ টি। কবিতা-সনেট ছাড়াও ছোটগল্প, ছড়া, রূবাই, প্রবন্ধ ইত্যাদি উলেস্নখযোগ্য গবেষণাকর্মও রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ভূমিব্যবস্থা ও ভুমিরাজস্ব ব্যবস্থার ওপর ৪ খ-ের প্রায় ১৫ শ পৃষ্ঠার সিরিজগ্রন্থ এবং প্রাচীনবাংলার বিভিন্ন জনপদ,জনগোষ্ঠী ও রাজতান্ত্রিক জীবনচর্যা সম্পর্কিত বই সমালোচক ও সুধীম-লীর সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা; বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন উপসচিব। সেই সূত্রে ঢাকায় বসবাস।
চাকুরিসূত্রে মালয়েশিয়া,থাইল্যা- ও ভারত ভ্রমণ করেছেন।
বিবাহিত, স্ত্রী ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্ত্মানকে নিয়ে স্বল্পবিত্তের সুখী জীবনযাপন।
প্রিয় ও একমাত্র শখ বইকেনা ও সংগ্রহ। তাঁর ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে প্রায় ৮ হাজারের মতো গ্রন্থ রয়েছো