17 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
আইনকে সাধারণত: দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা : মূলনীতি বিষয়ক আইন ও পদ্ধতি বিষয়ক আইন। মূলনীতি বিষয়ক আইনে মূলনীতিসমূহ বিধৃত হয়। দণ্ডবিধি, চুক্তি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, সুনি..
TK. 1200TK. 900 You Save TK. 300 (25%)
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
আইনকে সাধারণত: দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা : মূলনীতি বিষয়ক আইন ও পদ্ধতি বিষয়ক আইন। মূলনীতি বিষয়ক আইনে মূলনীতিসমূহ বিধৃত হয়। দণ্ডবিধি, চুক্তি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন প্রভৃতিকে মূলনীতি বিষয়ক আইন বলা যায়। মূলনীতি বিষয়ক আইনকে কার্যকরী করিবার জন্য পদ্ধতি বিষয়ক আইনের প্রয়ােজন হয়, কিভাবে মূলনীতি বিষয়ক আইন আদালতে কার্যকরী হইবে, উহা পদ্ধতি বিষয়ক আইনে বর্ণিত থাকে। ফৌজদারী কার্যবিধি একটি পদ্ধতি বিষয়ক আইন। ফৌজদারী আদালত কিভাবে পরিচালিত হইবে এবং ফৌজদারী আদালতে ফৌজদারী সংক্রান্ত মূলনীতি বিষয়ক আইন কিভাবে কার্যকরী হইবে উহা ফৌজদারী কার্যবিধিতে বর্ণিত আছে। দণ্ডবিধি একটি মূলনীতি বিষয়ক আইন এবং ইহা স্বয়ংসম্পূর্ণ নহে। দণ্ডবিধি কার্যবিধির উপর নির্ভরশীল। ইহার একটি অপরটি ব্যতীত চলিতে পারে না। দণ্ডবিধিতে অপরাধের পরিচয় দেওয়া হইয়াছে এবং উক্ত অপরাধের শাস্তির বিধান দেওয়া হইয়াছে।
দণ্ডবিধি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকিলে অপরাধ কাহাকে বলে তাহা বুঝা যায় এবং এই অপরাধের শাস্তি কি তাহাও জানিতে পারা যায়। শুধু এইটুকু জানাই যথেষ্ট নহে। কোন অপরাধের বিচার করিবার জন্য আরও জানা দরকার, তদন্ত কিভাবে করা যায় এবং তদন্ত পদ্ধতি কি? এইগুলি জানিতে হইলে ফৌজদারী কার্যবিধির আশ্রয় লইতে হয়। দণ্ডবিধিতে যেই সমস্ত অপরাধের কথা বলা আছে তাহার বিচার হয় আদালতে। ফৌজদারী কার্যবিধিতে আদালত গঠনের কথা, আদালতের এখতিয়ার, শ্ৰেণী, ক্ষমতা ইত্যাদির কথা বলা আছে। ফৌজদারী কার্যবিধিতে তদন্ত হইতে শুরু করিয়া ফৌজদারী মামলা পরিচালনার নিয়ম-কানুন, রায় দেওয়া এবং উহা কার্যকরী করিবার বিধান আলােচিত হইয়াছে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ভাষায় লেখা আছে। তাহা অনেকের নিকট বােধগম্য নহে। ফৌজদারী আদালতে ফৌজদারী আইনের ব্যবহারিক দিকটি “ফৌজদারী মামলা পরিচালনা পদ্ধতি” নামক এই গ্রন্থে লেখক সুন্দরভাবে ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। ফৌজদারী আইনের যেই সমস্ত বিষয় আদালতে সচরাচর ব্যবহার হইয়া থাকে উহা সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় বিস্তারিতভাবে আলােচনা করিয়া সাথে সাথে উক্ত বিষয় সম্পর্কে উচ্চতর আদালতসমূহের সিদ্ধান্তগুলিও একই সাথে লেখক এই গ্রন্থটিতে বিধৃত করিয়াছেন। এইভাবে গ্ৰন্থখানি ফৌজদারী আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত সহায়ক বই হিসাবে কাজ করিবে। বইটিতে শুধু যে, ফৌজদারী আইনের পদ্ধতিগত দিক তুলিয়া ধরা হইয়াছে তাহাই নহে, বইখানিতে ফৌজদারী আইনের বিষয়ভিত্তিক দিকগুলি আলােচনাপূর্বক উচ্চতর আদালতের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তসমূহও বিশদভাবে তুলিয়া ধরা হইয়াছে। এই বইখানিকে একটি পূর্ণাঙ্গ বই তৈয়ার করার উদ্দেশ্যে ফৌজদারী কার্যবিধি ও পদ্ধতিগত দিক ছাড়াও ফৌজদারী রিভিশন, আপীল ও কতিপয় গুরুত্ব ফৌজদারী বিশেষ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করা হইয়াছে।
এইভাবে বইখানিকে ফৌজদারী মামলা পরিচালনার জন্য একটা পূর্ণাঙ্গ বই রচনা করা হইয়াছে। এইভাবে বইখানি গুণগত দিকদিয়া একটি উচ্চমান প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। আমার বিচারিক জীবনে অভিজ্ঞতার আলােকে “ফৌজদারী মামলা পরিচালনা পদ্ধতির বিভিন্ন দিক সুন্দর ভাবে তুলিয়া ধরা হইয়াছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ফৌজদারী মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে ইহা একটি সফলও বলিষ্ট পদক্ষেপ। বইখানিতে ফৌজদারী মামলা পরিচালনার বিভিন্ন দিক নূতন আঙ্গিকে যুগােপযােগী করিয়া তুলিয়া ধরা হইয়াছে। তাই এই বইখানি বিচারকগণের ফৌজদারী মামলার বিচারকার্যে যেমন সহায়তা করিবে আইনজীবীদের আইন ব্যবসায়েও ততােধিক সহায়ক হইবে। আইনের ছাত্র, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণের জ্ঞানের প্রসারতা বৃদ্ধির সুযােগ সৃষ্টি করিবে।