329 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
আমরা এখন প্রচুর স্যাটানিক কাল্টের নাম জানি। শুধু নাম-ই নয় এসব কাল্টের ইতিহাসও আমরা কমবেশি জানি৷ তবে সবথেকে দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের দেশের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা এক স্যাটানিক কাল্ট যা "আদ..
TK. 450TK. 338 You Save TK. 112 (25%)
In Stock (only 13 copies left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
আমরা এখন প্রচুর স্যাটানিক কাল্টের নাম জানি। শুধু নাম-ই নয় এসব কাল্টের ইতিহাসও আমরা কমবেশি জানি৷ তবে সবথেকে দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের দেশের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা এক স্যাটানিক কাল্ট যা "আদম ধর্ম" নামে আত্মপ্রকাশ করেছিলো, সে সম্পর্কে আমরা প্রায় কিছুই জানি না।
এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা সুপরিচিত ছিলেন "আনোয়ার দরবেশ" নামে। প্রথমে তিনি পীর - দরবেশ হিসেবেই এলাকায় খ্যাতি অর্জন করেন। বেশ কিছু লোক তার মুরিদও হন। কিন্তু, হঠাৎ-ই আনোয়ার দরবেশের চিন্তা-চেতনা এবং আচার আচরণে আমূল পরিবর্তন আসা শুরু করে। তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্মের বিরোধীতা শুরু করেন। তিনি ইসলামের সর্বশেষ নবীকে শয়তানের প্রতিনিধি হিসেবে আখ্যা দেন। জানা যায় তার চারপাশের মানুষজন তার এরকম অদ্ভুত বিশ্বাসের কারণে তাকে একঘরে করে দেয়। কিন্তু আসলে তিনি নিজেই স্বেচ্ছায় প্রতিবেশীদের "বয়কট" করেছিলেন।
ধীরে ধীরে তিনি তার এই নতুন ধর্মকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন। তিনি স্বতন্ত্র ইবাদতের পদ্ধতি, সূরা, নানা রকম নিয়ম-নীতি তৈরি করতে থাকেন। নিজ পরিবারের সকল সদস্যদের তিনি তার ধর্মে দীক্ষিত করেন। প্রথম অবস্থায় পীর হওয়ার কারণে তার মুরিদদের মধ্যেও অনেকে এই ধর্মে দীক্ষিত হন। চলতে থাকে তাদের গোপন ধর্মচর্চা।
তাদের এই চর্চার মূল বিষয় ছিলো "কুফরি কালাম"। আনোয়ার দরবেশ মারা যাবার পর তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার আত্মাকে হাজির করার চেষ্টা করে। আনোয়ার দরবেশের আত্মা হাজির হয় এবং তাদের প্রতি নির্দেশনা আসে "একসাথে আত্মহত্যা করার"। এতে তাদের আত্মা সংঘবদ্ধভাবে মুহাম্মদ সাঃ-র আত্মাকে আক্রমণ করতে পারবে। শুনতে কিছুটা অদ্ভুত মনে হলেও এটাই ছিলো তাদের জন্য সত্য।
১১ জুলাই, ২০০৭ সাল। জামালপুরের জগন্নাথগঞ্জ স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করে জিএম এক্সপ্রেস ২৫৪ ডাউন নামক লোকাল ট্রেনটি। আজ ট্রেন চালাচ্ছেন ড্রাইভার (লোকো মাস্টার) আব্দুল মতিন এবং মোঃ এনায়েত খান। ময়মনসিংহ পৌরসভার কাশর এলাকার ইটখোলায় যখন ট্রেনটি আসে, তখন ঘড়িতে সময় বেলা ৩টা ১০ মিনিট। হঠাৎ ড্রাইভাররা দেখেন, রেলপথের বাঁ পাশ থেকে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ একে অন্যকে ধরাধরি করে রেল লাইনের দিকে আসছে।
মোট ৯ জন। পুরুষ, নারী, শিশু—সবাই একই পরিবারের সদস্য। রেললাইন ধরে চুপচাপ বসে পড়ে তারা।
প্রথমে ড্রাইভাররা কিছুই বুঝতে পারেননি। পরে খেয়াল করলেন, তারা আসলে রেললাইন পার হচ্ছে না, রেললাইনের উপরেই বসে আছে। ড্রাইভার হুইসেল দিলেন। তারা লাইন থেকে সরল না। ড্রাইভাররা বুঝতে পারলেন এরা সবাই আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। ট্রেন ইমার্জেন্সি ব্রেক করলো। কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। চোখের সামনে ৯ জন মানুষকে চাপা দিয়ে ট্রেনটা বেশ খানিকটা সামনে এগিয়ে গিয়ে থামল।
পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে তার বাড়ির ভেতর কিছু নথি আবিষ্কার করেছিলেন। সেসব নথি তে নানা রকম তথ্য লিপিবদ্ধ ছিলো।
একটি ডায়েরির ভেতর ইংরেজিতে লেখা ছিল—“আমরা পৃথিবীর একমাত্র পরিবার যারা স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল। মোহাম্মদের আইনের বাইরে এবং সব ধর্মের সব কার্যকলাপের বাইরে। তাহলে আমরা কে? আমরা হলাম আদম।”
এ ছাড়া লেখা ছিলো “সবার উপরে আদম সত্য, জুলুমের বিচারের ব্যবস্থা করিব।”
আনোয়ার দরবেশ মারা যাওয়ার আগে অছিয়ত করে গিয়েছিলেন। অছিয়তনামার একটি অংশ নিম্নে দেয়া হলোঃ
"আমার মৃত্যুর পরে কেউ আমার জানাজা পড়বে না।আমাকে গোসল দিবে না এবং আমাকে যেনো কাফনের কাপড় না পরানো হয় । আমি যে পোশাক পরে মারা যাবো সে পোশাক সহ-ই ঘরের ভেতর আমাকে মাটি চাপা দেয়া হবে। যখন তোমরা আমাকে কবরে শোয়াবে, তখন আমার মাথাটি পূর্ব দিকে, পা পশ্চিম দিকে, এবং আমার মুখ দক্ষিণের দিকে করে দিবে। যদি এই নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয় তবে আমি প্রতিশোধ নেব।"
ভাগ্যক্রমে এই ধর্মের এক অনুসারীর কাছ থেকে কিছু টাকার বিনিময়ে একটি পান্ডুলিপি আমি গোপনে সংগ্রহ করি। সেই সাথে পাই কিছু ভয়ানক তথ্য। এই বইটিতে আমি চেষ্টা করবো সেসব তথ্য পাঠকের সামনে তুলে ধরার