মহাভারতের একটি বড় ঘটনা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এজন্য যে, এই যুদ্ধে পাণ্ডুপুত্র বীর অর্জুনের রথের সারথি ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। অর্জুনকে তার প্রতিপক্..
TK. 200TK. 150 You Save TK. 50 (25%)
Get eBook Version
US $2.24
Product Specification & Summary
মহাভারতের একটি বড় ঘটনা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এজন্য যে, এই যুদ্ধে পাণ্ডুপুত্র বীর অর্জুনের রথের সারথি ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। অর্জুনকে তার প্রতিপক্ষ আত্মীয়-পরিজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র চালনায় দ্বিধান্বিত দেখে শ্রীকৃষ্ণ বলেন, হে ক্ষত্রিয় বীর স্বধর্ম পালন কর। ক্ষত্রিয় ধর্ম যুদ্ধ করা, কর্মফল নিয়ে ভেব না। নিস্কাম কর্মের এই উপদেশের ওপর রচিত হয়েছে ধর্মগ্রন্থ গীতা।
কুরুক্ষেত্রের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অর্জুনপুত্র সতেরো বছরের বীর অভিমন্যু, যার বীরত্বের কারণে যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয় হয়। মহাভারতের এইসব চরিত্র বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রূপক হিসেবে এই গ্রন্থের কিছু কবিতায় এসেছে, যা গ্রন্থটিকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
কবি যখন বলেন, 'কোথায় সে-অগ্নিবালক অর্জুনপুত্র বীর অভিমন্যু,/ সেই সতেরোর টগবগে তরুণ দেশপ্রেমিক,/ রাজনীতির কলুষ যাকে এখনও করেনি স্পর্শ,/ মেঘের কলিজা ছিঁড়ে/ যুগে যুগে তো এদেশে বালকেরাই ছিনিয়ে এনেছে আলো;/ ভগত সিং, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, সালাম,/ বরকত, আসাদ, নূর হোসেন, কত কত নাম...’
তখন এই জনপদের হতাশ মানুষেরা নিশ্চয়ই চোখের সামনে তারুণ্যের কোনো এক শুভ উত্থান দেখতে পান। তারা আশায় বুক বাঁধেন, কোনো এক অভিমন্যুর আগমনধ্বনি শুনতে পান। কবির কাজ স্বপ্ন দেখানো। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম এই জনপদের মানুষকে ক্রমাগত সুন্দর এক ভোরের স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছেন।
এই গ্রন্থে বেশ কিছু ভ্রমণকবিতা আছে যা বাংলা কবিতায় এক নতুন হাওয়া।
মহাভারতের একটি বড় ঘটনা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এজন্য যে, এই যুদ্ধে পাণ্ডুপুত্র বীর অর্জুনের রথের সারথি ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। অর্জুনকে তার প্রতিপক্ষ আত্মীয়-পরিজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র চালনায় দ্বিধান্বিত দেখে শ্রীকৃষ্ণ বলেন, হে ক্ষত্রিয় বীর স্বধর্ম পালন কর। ক্ষত্রিয় ধর্ম যুদ্ধ করা, কর্মফল নিয়ে ভেব না। নিস্কাম কর্মের এই উপদেশের ওপর রচিত হয়েছে ধর্মগ্রন্থ গীতা।
কুরুক্ষেত্রের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অর্জুনপুত্র সতেরো বছরের বীর অভিমন্যু, যার বীরত্বের কারণে যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয় হয়। মহাভারতের এইসব চরিত্র বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রূপক হিসেবে এই গ্রন্থের কিছু কবিতায় এসেছে, যা গ্রন্থটিকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
কবি যখন বলেন, 'কোথায় সে-অগ্নিবালক অর্জুনপুত্র বীর অভিমন্যু,/ সেই সতেরোর টগবগে তরুণ দেশপ্রেমিক,/ রাজনীতির কলুষ যাকে এখনও করেনি স্পর্শ,/ মেঘের কলিজা ছিঁড়ে/ যুগে যুগে তো এদেশে বালকেরাই ছিনিয়ে এনেছে আলো;/ ভগত সিং, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, সালাম,/ বরকত, আসাদ, নূর হোসেন, কত কত নাম...’
তখন এই জনপদের হতাশ মানুষেরা নিশ্চয়ই চোখের সামনে তারুণ্যের কোনো এক শুভ উত্থান দেখতে পান। তারা আশায় বুক বাঁধেন, কোনো এক অভিমন্যুর আগমনধ্বনি শুনতে পান। কবির কাজ স্বপ্ন দেখানো। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম এই জনপদের মানুষকে ক্রমাগত সুন্দর এক ভোরের স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছেন।
এই গ্রন্থে বেশ কিছু ভ্রমণকবিতা আছে যা বাংলা কবিতায় এক নতুন হাওয়া।