1 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
মঙ্গোলীয় মহাজাতির তিব্বত-ব্রহ্ম শাখার কুকি-চীন গোষ্ঠীর অন্তর্গত ‘মণিপুরি’ একটি জাতিসত্তার নাম। সাধারণভাবে তারা ‘মৈতৈ’ নামে পরিচিত। তাদের মাতৃভাষা ‘তিবেতো-বার্মিজ’ ভাষাপরিবারভুক্ত। ..
TK. 210TK. 165 You Save TK. 45 (22%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Related Products
Product Specification & Summary
মঙ্গোলীয় মহাজাতির তিব্বত-ব্রহ্ম শাখার কুকি-চীন গোষ্ঠীর অন্তর্গত ‘মণিপুরি’ একটি জাতিসত্তার নাম। সাধারণভাবে তারা ‘মৈতৈ’ নামে পরিচিত। তাদের মাতৃভাষা ‘তিবেতো-বার্মিজ’ ভাষাপরিবারভুক্ত। ‘মণিপুরি ভাষা’ ‘মৈতৈ লোন বা ভাষা’ বলে পরিচিত। br
br বাংলাদেশে বিষ্ণুপ্রিয়া নামের ‘ইন্দো-এরীয়’ পরিবারভুক্ত একটি জনগোষ্ঠী আছে। এক ভ্রান্ত বিবেচনাবোধ থেকে এদেশে তারাও সাধারণভাবে মণিপুরি নামে পরিচিত। তাদের ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের অন্তর্গত ‘বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষা’কে তারা মণিপুরি ভাষার একটি অংশ বলে দাবি করে থাকেন। বিষ্ণুপ্রিয়া জনগোষ্ঠীর কেউ কেউ তাদের মাতৃভাষাকে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি’ ভাষা বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন, কেউ বলেন ‘মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া’, আর কেউ কেউ অভিহিত করেন শুধুই ‘মণিপুরি ভাষা’ বলে। অথচ, বিষ্ণুপ্রিয়া একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ জাতিসত্তা এবং তাদের ভাষাও সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি ভাষা।br
br বিষ্ণুপ্রিয়া জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়ের এই সংকট মণিপুরিদের জাতিগত ও ভাষাগত পরিচয়ের ওপরও এক ধরনের বিভ্রান্তির ছায়া বিস্তার করে। ফলে, বিষয়টি নিয়ে এই দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি একাডেমিক বিতর্ক অনেকদিন ধরেই চলমান। এই বিতর্কের প্রেক্ষিতেই ‘মণিদীপ্ত মণিপুরী ও বিষ্ণুপ্রিয়া বিতর্ক-ইতিহাসের দর্পণে দেখা' নামের ছোট্ট গ্রন্থটি রচিত। এই গ্রন্থে উপরোক্ত বিতর্ক নিয়ে নির্মোহ দৃষ্টিতে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গ্রন্থটি অনেকের মধ্যে বিরাজমান ভ্রান্তির কুয়াশা দূর করে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই বিতর্কের প্রত্যাশিত একটি সমাপ্তি ঘটাতে সহায়ক হবে নিঃসন্দেহে।br
br মঙ্গোলীয় মহাজাতির তিব্বত-ব্রহ্ম শাখার কুকি-চীন গোষ্ঠীর অন্তর্গত ‘মণিপুরি’ একটি জাতিসত্তার নাম। সাধারণভাবে তারা ‘মৈতৈ’ নামে পরিচিত। তাদের মাতৃভাষা ‘তিবেতো-বার্মিজ’ ভাষাপরিবারভুক্ত। ‘মণিপুরি ভাষা’ ‘মৈতৈ লোন বা ভাষা’ বলে পরিচিত। br
br বাংলাদেশে বিষ্ণুপ্রিয়া নামের ‘ইন্দো-এরীয়’ পরিবারভুক্ত একটি জনগোষ্ঠী আছে। এক ভ্রান্ত বিবেচনাবোধ থেকে এদেশে তারাও সাধারণভাবে মণিপুরি নামে পরিচিত। তাদের ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের অন্তর্গত ‘বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষা’কে তারা মণিপুরি ভাষার একটি অংশ বলে দাবি করে থাকেন। বিষ্ণুপ্রিয়া জনগোষ্ঠীর কেউ কেউ তাদের মাতৃভাষাকে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি’ ভাষা বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন, কেউ বলেন ‘মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া’, আর কেউ কেউ অভিহিত করেন শুধুই ‘মণিপুরি ভাষা’ বলে। অথচ, বিষ্ণুপ্রিয়া একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ জাতিসত্তা এবং তাদের ভাষাও সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি ভাষা।br
br বিষ্ণুপ্রিয়া জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়ের এই সংকট মণিপুরিদের জাতিগত ও ভাষাগত পরিচয়ের ওপরও এক ধরনের বিভ্রান্তির ছায়া বিস্তার করে। ফলে, বিষয়টি নিয়ে এই দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি একাডেমিক বিতর্ক অনেকদিন ধরেই চলমান। এই বিতর্কের প্রেক্ষিতেই ‘মণিদীপ্ত মণিপুরী ও বিষ্ণুপ্রিয়া বিতর্ক-ইতিহাসের দর্পণে দেখা' নামের ছোট্ট গ্রন্থটি রচিত। এই গ্রন্থে উপরোক্ত বিতর্ক নিয়ে নির্মোহ দৃষ্টিতে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গ্রন্থটি অনেকের মধ্যে বিরাজমান ভ্রান্তির কুয়াশা দূর করে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই বিতর্কের প্রত্যাশিত একটি সমাপ্তি ঘটাতে সহায়ক হবে নিঃসন্দেহে।