1 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
মীরা, একটি চাকরি করবে?
কী চাকরি? আমার তো কোনো যোগ্যতাই নেই। কে দেবে আমায় চাকরি?
করবে কি না, তা বলো?
তুমি বললে অবশ্যই করব।
চাকরির ধরণ হলো, কাপড় আয়রন করে দিতে হবে, জুতা এগিয়ে দিতে হব..
TK. 150TK. 129 You Save TK. 21 (14%)
Get eBook Version
US $1.99
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
মীরা, একটি চাকরি করবে?
কী চাকরি? আমার তো কোনো যোগ্যতাই নেই। কে দেবে আমায় চাকরি?
করবে কি না, তা বলো?
তুমি বললে অবশ্যই করব।
চাকরির ধরণ হলো, কাপড় আয়রন করে দিতে হবে, জুতা এগিয়ে দিতে হবে। অফিসে যাওয়ার আগে খাবারের বক্স রেডি করে দিতে হবে। টাই বেঁধে দিতে হবে, গল্প করতে হবে, ঝগড়া করতে হবে। একটা নিষ্পাপ মেয়ের যত্ন নিতে হবে? করবে চাকরি?
মাহিয়ান!
জি। করবে আমার চাকরি? এবং এ চাকরি ছেড়ে কোনো দিন যেতে পারবে না। এ চাকরি করতে হবে আমৃত্যু পর্যন্ত।
মীরার গাল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। কী বলবে কিছু ভেবে পাচ্ছে না। শুধু ফ্যালফ্যাল করে মাহিয়ানের দিকে তাকিয়ে রইল। এ অশ্রু আনন্দাশ্রু।
মীরা বলল, না, আমি আর কোথাও যাব না! কোথাও না!
মাত্র ৬৪ পৃষ্ঠার একটি উপন্যাস। খুব পরিপাটি, ঘটনার পট পরিবর্তনে নাটকীয়তা, চরিত্রগুলোর মধ্যে মানসিক টানাপড়েন আর ভালোবাসার খরস্রোত এ উপন্যাসকে করে তুলেছে অনন্য। মীরার হাউজ টিউটর মাহিয়ান। গ্রামের স্বচ্ছল একটি পরিবারের ছেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী স্টুডেন্ট। হলে থেকে ভালো কাটছিল জীবন। কিন্তু রাজনৈতিক গোলযোগে হল ছেড়ে বাইরে বাসা ভাড়া নিতে হলো। কিন্তু বাসা এতোই দূরে সে সেখান থেকে এসে মীরাকে পড়ানো সম্ভব না। মীরার বাবার অনুরোধে মীরাদের বাসাতেই উঠতে হলো মাহিয়ানকে।
দিনে দিনে মাহিয়ানের প্রতি মীরার ভালোবাসা জন্মে। কিন্তু এ ভালোবাসার কোনো পরিণতি পায় না। মীরার মা চায় না মাহিয়ানের সাথে সম্পর্ক হোক তাদের পরিবারের।
মঞ্জুর এ এলাহীর এ উপন্যাসটি পাঠে উঠে আসে আমাদের সমাজ বাস্তবতার চিত্র। মানুষের সম্পর্কের নানামুখি বৈচিত্র্যতাকে গভীরভাবে বুঝতে এ উপন্যাস পাঠ করতে হবে। মীরার অন্যত্র বিয়ে। মীরার স্বামীর প্রতারণা। মাহিয়ানের বিয়ে করা। স্ত্রীর মৃত্যু! সবই ঘটতে থাকে সময়ের সাথে সাথে। সময়কে অতিক্রম করে কেউ যেনো এগিয়ে যেতে পারে না। দুঃখ, হতাশা, পাওয়া না পাওয়ার এক সম্মিলিত আয়োজন এ বইটি।
চরিত্রের প্রয়োজনে অনেক রোমান্টিক দৃশ্যের দেখা মেলে এ উপন্যাসটিতে। কেবল অপরিহার্য চরিত্রগুলোই এ উপন্যাসকে প্রাণময় করে তুলছে। ভাষা, বর্ণনা কিংবা দার্শনিকবোধ সৃষ্টিতে উপন্যাসিককে আরো মনোযোগী হতে হবে। তবে তার একটা চেষ্টা যে তিনি করেছেন তা বলাই যায়। অনেক ঝড় শেষে প্রকৃতি যেমন নিরব নিশ্চুপ হয়ে যায় তেমনি মীরা আর মাহিয়ানের জীবনের ঝড় থেকে পরস্পর পরস্পরকে কাছে পায়। তাই কেউ কাউকে ছেড়ে আর কোথাও না যাবার প্রত্যয়ী হয়ে ওঠে অবশেষে।
বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর মঞ্জুর এ এলাহির জন্ম মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার পদ্মাতীরে দানিস্তপুর গ্রামে। লেখালেখি নিয়েই তার চিন্তা ভাবনা। তার পাঠক দিন দিন বৃদ্ধি পাক ও একই সাথে কালজয়ী লেখার স্রষ্টা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুক এই প্রত্যশা পাঠকমাত্রই।