2 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
লেখক পরিচিতি : মাহমুদ জাহাঙ্গীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা মোল্লা বাড়িতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫৭ সালের ৭ই এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম নুরুল ..
TK. 800TK. 600 You Save TK. 200 (25%)
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
লেখক পরিচিতি : মাহমুদ জাহাঙ্গীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা মোল্লা বাড়িতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫৭ সালের ৭ই এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম নুরুল হুদা মোল্লা ওরফে মূর্শিদ মোল্লা। তিনি ঘাটিয়ারায় প্রাইমারী শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ৫ম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভ করেন। তিনি সপ্তম শ্রেণি থেকে কিশোরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। এসএসসি পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে লেটার নিয়ে প্রথম বিভাগে পাশ করেন।
১৯৭৫ সালে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে বৃত্তি নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে আইন বিভাগে অনার্স পাশ করেন। আইন বিজ্ঞানে উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণিতে পঞ্চম স্থান লাভ করে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত হন এবং দৈনিক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দেশ বাণী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্কুলজীবন থেকে বিভিন্ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় তিনি কয়েকটি বিভাগে ১ম স্থান লাভ করেন এবং কিশোরগঞ্জ জেলায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আমির আলী হলের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় তিনি চ্যাম্পিয়ন হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার ঢাকা ও রাজশাহী কেন্দ্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন।
১৯৮৩ সনের ২০শে এপ্রিল তিনি মুন্সেফ হিসেবে চাকুিরতে যোগদান করেন। দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে মুন্সেফ ম্যাজিস্ট্রেট-প্রথম শ্রেণি হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলায়, সহকারী জজ হিসেবে কিশোরগঞ্জ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলায়, সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে ভোলা, ময়মনসিংহ ও নোয়াখালীতে, সাব জজ (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) পদে নোয়াখালীতে, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে পাবনা ও বরিশালে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা জজ পদ মর্যাদায় মেহেরপুর, রাজশাহী ও নীলফামারীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে উপ-পরিচালক এবং পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকায় ৪নং দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক (জেলা জজ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৭তম বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সে শতকরা ৮৬ নম্বর পেয়ে ১ম স্থান লাভ করেন। তিনি সরকারি সফরে ভারতের লক্ষেèৗ ও হায়দরাবাদে জুডিসিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ব্যাঙ্গালোর ন্যাশনাল ল’ স্কুল অব ইন্ডিয়া ইউনির্ভাসিটি এবং নয়া দিল্লিতে সুপ্রীম কোর্ট পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন। কয়েকটি সাহিত্য সংকলন সম্পাদনা করেন। দৈনিক প্রথম আলো, যুগান্তর, মানবজমিন, নওরোজ ও ভোরের ডাক সহ বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর অনেক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ২০১৬ সনে চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
তাঁর স্ত্রী মিসেস ফাতেমা আলম শাহানা শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁদের দুই ছেলে। বড় ছেলে ডা: আবু জাফর মোঃ তারেক মোরশেদ কার্ডিয়াক সার্জন এবং বর্তমানে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারী বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট ছেলে আবু ওয়ালিদ মোঃ জাভেদ মোরশেদ একজন সরকারি কর্মকর্তা। বড় ছেলের স্ত্রী ডা: নাজরানা মর্তুজা আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক এবং পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বাড্ডা শাখায় জুনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত। একমাত্র নাতনি শায়রানা ফাতিমা।