1 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
সকলের উদ্দেশ্যে অবমুক্ত প্রসঙ্গ
বিশ্ব মুসলিম আজ বহুদলে বিভক্ত। যিনি যে দলে কাজ করেন, তিনি তার দলকেই সঠিক মনে করেন। একই নবীর উম্মত হওয়া সত্তেও অনৈক্যের কারণে আমরা মুসলমানিত্ব হারিয়..
TK. 300TK. 210 You Save TK. 90 (30%)
Get eBook Version
US $2.76
In Stock (only 2 copies left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
সকলের উদ্দেশ্যে অবমুক্ত প্রসঙ্গ
বিশ্ব মুসলিম আজ বহুদলে বিভক্ত। যিনি যে দলে কাজ করেন, তিনি তার দলকেই সঠিক মনে করেন। একই নবীর উম্মত হওয়া সত্তেও অনৈক্যের কারণে আমরা মুসলমানিত্ব হারিয়ে ফেলছি। কাজেই এক ভাই অন্য ভাইয়ের সহযোগিতা না করে পরিণত হচ্ছি শত্রুতে। আজ আমরা আত্মকলহে নিমজ্জিত হয়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন। আমাদের মধ্যে নেই কোনো ঐক্য।
বহু দলের মধ্যে শিয়া এবং সুন্নী দু’টি বড় দল। দুঃখজনক হলেও সত্য পৃথিবীর বহু জায়গায় শিয়া-সুন্নী দ্বন্দে রক্তের বন্যা বয়ে চলেছে। আর এই চলমান দ্বন্দের অবসানের রাস্তাই বা কি?
যে কালেমায় স্বীকৃতি দেওয়ার কারণে একজন মানুষ ‘মুসলমান’ হিসেবে পরিচয় দিতে পারে, উভয় দলই সে কালেমা ওয়ালা। “আমান্তু বিল্লাহি ওমা মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসূলিহী ওয়াল ইয়াউমিল আখিরি ওয়াল ক্বদরি খয়রিহী ওয়া শাররিহী মিনাল্লাহি তায়ালা ওয়াল বা’সি বা‘দাল মাউত” -এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকরি। এ হিসেবে আমরা সকলেই মুসলমান। অথচ আমরা পরস্পর পরস্পরকে বিভ্রান্ত বলে থাকি।
নামাজ-রোজা ইসলামের আনুষ্ঠানিক ইবাদত-বন্দেগীর ক্ষেত্রেও আমরা বিবাদ করতে থাকি। একদল অন্য দলকে বিভ্রান্ত বলে থাকি। উদাহারণ স্বরূপ একটি আয়াতে কারিমা তুলে ধরলাম-
ٱلأَسْوَدِ مِنَ ٱلْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّواْ ٱلصِّيَامَ إِلَى ٱلَّليْلِ
“আর তোমরা খাও ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের কালো রেখা দূর হয়ে সাদা রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠে। আর রাত পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করো।” [সূরা ০২ বাকারা, আয়াত-১৮৭]
এ আয়াতে আল্লাহ পাক ‘রাত পর্যন্ত’ রোজা পূর্ণ করতে বলেছেন। রাত শুরু হয় মূলত সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর থেকে। ফলে আমরা মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনো-কোনো মানুষ ইফতার করি সূর্য অস্তের সাথে-সাথে। কোনো-কোনো মানুষ ১০ মিনিট পরে, আবার ২০ মিনিট পরেও অনেকে ইফতার করি।
অতঃপর ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, কে দেরিতে ইফতার করল অথবা সূর্য অস্তমিত হওয়ার সাথে-সাথে, কে বুকে হাত বেধে নামাজ পড়ল অথবা নাভির নিচে হাত বেধে নামাজ পড়ল, এসব কারণে আমরা কাউকে ইসলামের দুশমন মনে করতে পারিনা; বরং আমরা সকলেই দ্বীনি ভাই। হতে পারে কেউ আল্লাহ এবং রাসূল (সা.)-এর নিকট বেশী অথবা কম প্রিয়। ইসলামের দুশমন সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহ এবং রাসূল (সা.)-এর নির্দেশ অস্বীকার করবে। কাজেই শিয়া বিদ্বেষী, শত্রুতভাবাপন্ন মানসিকতা পরিহার করে, দ্বীনি ভাই মনে করে বিষয়টি ভেবে দেখার আবেদন জানাই।
সম্মানিত পাঠক পাঠিকাবৃন্দ, গ্রন্থটি ১৯৯৮ সালেই প্রকাশ উপযোগী হওয়া সত্ত্বেও সকলের উদ্দেশ্যে প্রকাশ না করে; রবং দেশবরেণ্য আলেমগণের কাছে বিনীত ভাবে এ গ্রন্থের উল্লেখিত প্রশ্নগুলির উত্তর প্রদানের অনুরোধ করেছি। অবশেষে কোনো পক্ষ থেকে কোনরূপ সাড়া না পেয়ে সকলের উদ্দেশ্যে অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
অতঃপর কোনো ভাই এখনো যদি যুক্তি-প্রমাণ সহ এ গ্রন্থে’র উল্লেখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দেন, তাহলে আমি তার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো। আর এটিই হয়তোবা গোটা মুসলিম জাতির ঐক্যের জন্য হবে সর্বাপেক্ষা বড় প্রচেষ্টা।
আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক যুক্তি গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী কথা বলার ও আমল করার তৌফিক দিন। -আমিন