38 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
উত্তর আফ্রিকা একটি প্রাচীন জনপদ। এর সীমারেখা নিয়ে ঐতিহাসিকদের অনেক মতামত রয়েছে। বর্তমান এটি মাগরিবে আরাবি নামে পরিচিত। এর অধীনে রয়েছে লিবিয়া, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো এবং মৌরিতা..
TK. 500TK. 325 You Save TK. 175 (35%)
In Stock (only 2 copies left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Product Specification & Summary
উত্তর আফ্রিকা একটি প্রাচীন জনপদ। এর সীমারেখা নিয়ে ঐতিহাসিকদের অনেক মতামত রয়েছে। বর্তমান এটি মাগরিবে আরাবি নামে পরিচিত। এর অধীনে রয়েছে লিবিয়া, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো এবং মৌরিতানিয়া। খ্রিষ্টপূর্ব যুগ থেকেই সেখানে জনবসতি গড়ে ওঠে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এতদঞ্চল আবাদ করে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বার্বার, আফ্রিকান, সুদান, কারামানতি, ফিনিশিয়ান, কার্টেজিনা, রোমান, ফ্রাঙ্ক এবং ভানদাল জাতি। এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে অগ্নিপূজা, ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্মের চর্চা হতো।
২২ হিজরি মোতাবেক ৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে এ অঞ্চলে ইসলামের বিজয়ী আগমন ঘটে। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর রা.-এর প্রতিনিধি আমর ইবনুল আস রা. লিবিয়া অভিমুখে অভিযানে বের হন। তিনি একের পর এক বারকা, ত্রিপোলি, সাবরাতাহ ও শারুস শহর জয় করেন। তখন রণকৌশল হিসেবে উমর রা. তাঁকে অভিযান স্থগিত করে মিসরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। উসমান রা. খেলাফতের দায়িত্বগ্রহণের পর ২৬ হিজরি/৬৪৬ খ্রিষ্টাব্দে আবদুল্লাহ ইবনু সাদ রা.-কে আফ্রিকায় অভিযানে পাঠান। তিনি তিউনিসিয়া জয় করে মিসরে ফিরে যান। এরপর মুআবিয়া ইবনু আবু সুফিয়ান রা.-এর শাসনামল তথা ৪৫ হিজরি/৬৬৫ খ্রিষ্টাব্দে মুআবিয়া ইবনু হুদাইজ রা. আফ্রিকায় অভিযান পরিচালনা করে বিজার্ট, সোস ও জালাওলা শহর জয় করেন। এছাড়াও তিনি ‘কারন’ পর্বতের পাদদেশে জনবসতি গড়ে তোলেন এবং সে স্থানের নাম দেন ‘কায়রাওয়ান’।
৫০ হিজরি/৬৭০ খ্রিষ্টাব্দে উকবা ইবনু নাফি তদঞ্চলে অভিযানে বের হন। তিনি মরক্কো জয় করেন এবং মুআবিয়া ইবনু হুদাইজ রা.-এর নির্বাচিত স্থান থেকে একটু দূরে সরে ইসলামের প্রথম শহর ‘কায়রাওয়ান’ নির্মাণ করেন। সেসময় এ শহরটি মুসলিমদের জিহাদি আন্দোলনের ঘাঁটি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। এ শহরে ইসলামের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের গোড়াপত্তন হয়। এরপর তিনি তিলিমসান, তিয়ারেত, তানজিয়া, ওয়াল্লিলি, সোস আল-আদনা, সোস আল-আকসা এবং উত্তর আফ্রিকার শেষ ভূখণ্ড মালিয়ান শহর জয় করেন। তাঁর শাহাদাতের পর মধ্য-আফ্রিকা ও দূর-আফ্রিকা অভিযান পরিচালনা করেন আবুল মুহাজির দিনার, যুহাইর ইবনু কায়স বালাভি, হাসসান ইবনু নু‘মান আযদি গাসানি, মুসা ইবনু নুসাইর লাখমি। এতদঞ্চলের অভিযানে আরও বহু সাহাবি অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর রা. এবং রুওয়াইফা ইবনু সাবিত আনসারি রা.।
বক্ষ্যমাণ বইটিতে উল্লিখিত মুসলিম মহাবীরদের ঈমানদীপ্ত বিজয়াভিযানের রোমাঞ্চকর ঘটনাগুলো আলোকপাত করা হয়েছে। তাদের নেতৃত্বগুণাবলি, সমরনীতি ও রণকৌশল তুলে ধরা হয়েছে। বিজিত অঞ্চলে ইসলামি শাসন টিকিয়ে রাখার জন্য ভূখণ্ড জয়ের পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দাদের হৃদয় জয় করতে তাদের নীতি-নৈতিকতা, সততা, মহানুভবতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার অনুসরণীয় আদর্শ আলোচনা করা হয়েছে। দীন-প্রচারের উদ্দেশ্যে তদঞ্চলে আগত দাঈ সাহাবিদের পরিচয় এবং কায়রাওয়ান শহরকে কেন্দ্র করে তাদের জ্ঞানচর্চার কথা উঠে এসেছে।