30 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
"শরৎ রচসাসমগ্র -২য় খণ্ড"বইটির ভূমিকা:
বাংলা কথাসাহিত্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮) প্রাতিস্বিকতায় উজ্জ্বল এক যুগপুরুষ। তিনি অপরাজেয় কথাশিল্পী হিসেবে সমধিক..
TK. 400TK. 220 You Save TK. 180 (45%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Related Products
Product Specification & Summary
"শরৎ রচসাসমগ্র -২য় খণ্ড"বইটির ভূমিকা:
বাংলা কথাসাহিত্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮) প্রাতিস্বিকতায় উজ্জ্বল এক যুগপুরুষ। তিনি অপরাজেয় কথাশিল্পী হিসেবে সমধিক পরিচিত। গল্প বলার নৈপুণ্য, নারীমহিমা-কীর্তন, ভাবালুতাসৃষ্টির দৃঢ়তা ও একান্তভাবে হৃদয়াবেদন শরৎচন্দ্রকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে দিয়েছে। ঘরােয়া পরিবেশ ও আটপৌড়ে ভাষা বাঙালি পাঠককে অন্ধ শরম্ভক্ত করে তুলেছে। উপন্যাস সাহিত্যে শরৎচন্দ্র আমাদের অনেক কাছের মানুষ, আপনজন।
শরৎ-উপন্যাস পল্লীর জীবনভাষ্য। নগরসভ্যতার সর্বাঙ্গীন আশীর্বাদপুষ্ট নগরজীবন। থেকেই সাহিত্যের উপকরণ সংগ্রহ করেছিলেন উনিশ শতকের সাহিত্যিকরা। ঐ সময়কার গদ্য রচনায় ও প্রবন্ধ পুস্তকে বাংলার দুর্ভাগা চাষীদের দারিদ্র্য-সমস্যা ও বৃত্তি সংকট নিয়ে বেশ কিছু উল্লেখযােগ্য নিদর্শন পাওয়া যায়। কিন্তু সৃজন শিল্পের এ বিষয়ে কার্পণ্য বেশ চোখে পড়ার মতাে। দু-একটি নাটক প্রহসনে পল্লীজীবন এসেছে প্রসঙ্গের প্রেরণাবশেই। উপন্যাস শিল্পে গ্রাম্য জীবন প্রবর্তন ঘটেছে আরাে বিলম্বে, একেবারে পরের শতাব্দীতে।
প্যারীচাদ শহরতলিকে আখ্যানসূত্রে (আলালের ঘরের দুলাল) জড়াতে চেয়েছিলেন বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিক অভিলাষ থেকে। শরৎচন্দ্রই প্রথম সাহিত্যিক যিনি ব্যাপক ভিত্তিতে গ্রামের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। তবে এ প্রসঙ্গে শরৎচন্দ্রের পল্লীপ্রত্যয়ের কিছু অপূর্ণতার প্রসঙ্গ বলে রাখা প্রয়ােজন। পল্লীর সমস্যা সমাধানের প্রথম কথা ভূমিসংস্কার। শরৎ উপন্যাসের পল্লী চরিত্রের এই ভূমিজ বন্ধন তেমন স্পষ্ট নয়। জমিদার ও কৃষকের আবহমানকালব্যাপী মূল লড়াইয়ের ছবি তাঁর রচনায় স্পষ্ট হতে পারেনি। অন্যদিকে পল্লীর মানুষের জীবন বাস্তবতার মূল ভিত্তি হলাে তার বৃত্তি সম্পৃক্ততা। শরৎ উপন্যাসে বৃত্তিখাত জীবন-যাপনের ছবি আদৌ সুপরিস্ফুট নয়। ‘মহেশ' ছােটগল্পে বাস্তবানুসন্ধানের যে ঝিলিকটি দেখা দিয়েছিল, শরৎ উপন্যাসে সেই প্রেরণা জাগ্রত থাকলে চিত্রগুলাে অন্যপ্রকার হতে পারতাে। ঐ গল্পের শেষে শােষকশ্রেণির প্রতি যে ক্রোধ-ঘৃণা-অভিশাপ বর্ষণ করা হয়েছে, তার বদলে নিরপেক্ষ বিষন্নতা ও সহজ সহানুভূতি নিশ্চয় স্থান করে নিতে না উপন্যাসে।
তবে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, সমাজ বিন্যাসের গভীর স্তরে যেতে না চাইলেও পল্লী শােষণের রূপ সম্বন্ধে মােটেই অন্ধ নন শরৎচন্দ্র। শরৎ উপন্যাসে এই উৎপীড়ন ব্যক্তি ভূ-স্বামীর ক্ষমতার মদমত্ততার পরিচায়ক নয়, বরং গােষ্ঠী ষড়যন্ত্রের মুখােশটি ছিড়ে দেয়। জমিদার বা ধনী ভূ-স্বামীর সঙ্গে স্বার্থান্ধ ব্রাহ্মণ শ্রেণির আঁতাতের রূপটি তাঁর রচনায় খুবই স্পষ্ট। ব্রাহ্মণ-পূর্ব প্রতিপত্তির জায়গা থেকে ইতিহাসের বিচারেরই স্খলিত হয়ে এসেছে।
অথচ তেজোহীন ব্রাহ্মণের হাতেই আজও ধর্মীয় রায়দানের অধিকার ন্যস্ত। ক্ষমতার লালসর কারণে হতশ্রী ব্রাহ্মণ্য সমাজ, সমাজ প্রশাসকের সঙ্গে স্বার্থ বৃষ্ট সম্পর্কে যুক্ত। আর সন্তে ছড়ি যার হাতে, ধর্মীয় প্রতিভূর রায় তার পক্ষে গেলে শশাষণ উৎপীড়ন