Category:বইমেলা ২০২৫
(ভূমিকাঃ ২৮শে অক্টোবর '২৩ইং আমার "জ্ঞানতাপস" উপন্যাসের এই পঞ্চম অধ্যায়টি, অপরাজনীতিবিদ হাসিনা ওয়াজেদের দ..
(ভূমিকাঃ ২৮শে অক্টোবর '২৩ইং আমার "জ্ঞানতাপস" উপন্যাসের এই পঞ্চম অধ্যায়টি, অপরাজনীতিবিদ হাসিনা ওয়াজেদের দুঃশাসনকালে, আমি সাহস সঞ্চার করে পোস্ট দিয়ে লিখেছিলাম। ফেসবুকে। কিন্তু চট্টগ্রামের বিশিষ্ট রপ্তানি গার্মেন্টস শিল্প ব্যবসায়ী, আমার সহ-উদ্যোক্তা বন্ধু BGMEA leader একজন সুসংগঠক, সুলেখক ও উদ্যোমী শিল্প উদ্যোক্তা জনাব দিদারুল আলম ভাই, ওই ক্রান্তিলগ্নে আমার পোস্ট পাওয়া মাত্র তড়িৎ গতিতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করলেন,
"হারুন ভাই, এই পোস্ট দ্রুত ডিলিট করেন। তা না হলে আপনার নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে"।
সাহস যেমন সংক্রামক। ভীতিও সংক্রামক। কাজেই বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা ও সুসংগঠক, সুলেখক জনাব দিদারুল আলম ভাইয়ের উপদেশ মেনে, সেদিন আমি পোস্টটি দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিলিট করেছিলাম। জনাব দিদারুল আলম ভাই এখনও আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে আছেন। দেখি জনাব দিদার ভাই বর্তমান ফ্যাসিস্ট হাসিনা ওয়াজেদ মুক্ত বাংলাদেশে, কি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এই পোস্টে? জনাব দিদার ভাইয়ের কল্যাণে সেদিন ফ্যাসিস্ট হাসিনা ওয়াজেদের রোষাণল থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম হয়তো। কারণ শেষের দিকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ওয়াজেদ নির্মমভাবে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। কণামাত্র বিরোধীমত গ্রহণ না করে ক্ষ্যাপাটে পাগলা কুকুরের মতো আচরণ করছিলো। অতএব শ্রদ্ধেয় দিদারুল আলম ভাইয়ের সতর্কতা অমূলক ছিল না। বাংলাদেশে পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র "একে প্রতিশোধ পরায়ন অশীতিপর বৃদ্ধা তদুপরি ভয়ংকর মহিলা" ফ্যাসিস্টের শাসন কালের সেই দুঃসময়ের কথা, শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর ইতিহাসে রেডমার্ক দিয়ে লেখা থাকবে।
এই জ্ঞানতাপস উপন্যাসের বিশেষত্ব হলো, এখানে আমার বর্ণনা কম। এই "জ্ঞানতাপস" উপন্যাসে একের পর এক ডায়ালগের মাধ্যমে অন্তর্নিহিত বক্তব্য পাঠক সমীপে উপস্থাপিত হয়েছে। অথচ অতি সাম্প্রতিক সময়ে আমার রচিত উপন্যাস "সৌপ্তিক"-এ এসেছে বিপরীত চিত্র। সৌপ্তিক উপন্যাস হলো বর্ণনা বহুল। ডায়ালগ এসেছে সৌপ্তিক-এ সেমাইয়ের মাঝে কিসমিসের মতো। আশা করি সম্মানিত পাঠক উভয় উপন্যাস পাশাপাশি পাঠে একঘেয়েমি মুক্ত হতে পারবেন। বাংলা গদ্য রীতি ও উপন্যাসের আঙ্গিকগত তফাতের কারণে। বিষয় বৈচিত্র্য তো আছেই। দু'টো উপন্যাস মিলে হলো একটি বাড়ি। "জ্ঞানতাপস" উপন্যাস হলো বহির্বাটী বা ড্রইংরুম। আর "সৌপ্তিক" উপন্যাস হলো অন্দরমহল বা বেডরুম। প্রকারান্তরে দু'টো উপন্যাস মিলে একটি জীবন। আমাদের বহির্জীবন বা সামাজিক জীবন হলো জ্ঞানতাপস। আন্তঃজীবন বা পারিবারিক জীবন হলো সৌপ্তিক। মোটাদাগে এটাই "জ্ঞানতাপস" ও "সৌপ্তিক" উপন্যাসের মধ্যেকার আঙ্গিকগত তফাত।
গত কয়েকদিন আগে "সৌপ্তিক" উপন্যাস সমাপ্ত করছি। এই পঞ্চম অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে "জ্ঞানতাপস" উপন্যাসের ফেসবুকীয় প্রকাশনা সমাপ্ত হলো। সেই সঙ্গে সমাপ্ত হলো আমার উপন্যাস রচনাকাল। ইতোপূর্বে যেমন সমাপ্তি টেনেছিলাম কবিতা রচনাকাল। সেটা ফেসবুক আবিষ্কারেরও বহু বছর পূর্বেকার নব্বইয়ের দশকের কথকতা। ফেসবুকের ডিজিটাল জগৎ থেকে আলাদা হয়ে, আশা করছি সব ভালোয় ভালোয় চললে '২৫-র বই মেলায় সম্মানিত পাঠক "জ্ঞানতাপস" উপন্যাসের প্রিন্টেড কপি হাতে পাবেন। প্রত্যাশা করছি প্রিন্ট আকারে '২৬-র বইমেলায় প্রকাশিত হবে "সৌপ্তিক" উপন্যাস।
৩রা আগষ্ট '২৪ইং আমার ফেসবুক ফেজ-এ প্রকাশিত "তৃষিত কিংশুক" ছোটো গল্পের মতো, ভবিষ্যতে কিছু শৈল্পিক ছোটো গল্প নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে। যদি ব্যবসায়িক ব্যস্ততা কাটিয়ে পর্যাপ্ত অবসর সময় হাতে মেলে। অবশ্য আমি তো ভ্রাম্যমান লেখক। গাড়িতে চলার পথে দীর্ঘ যানজট অবসর জুটিয়ে দিবে ইনশাল্লাহ। কাজেই অবসর পাওয়া দুঃসাধ্য না।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।)
Report incorrect information