27 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
প্রতিষ্ঠার বছর ১৯৫২ থেকে শুরু করে ১৯৭১ পর্যন্ত সময়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সকল মত ও পথের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত প্রামাণ্য দলিল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ..
TK. 4000TK. 3000 You Save TK. 1000 (25%)
Product Specification & Summary
প্রতিষ্ঠার বছর ১৯৫২ থেকে শুরু করে ১৯৭১ পর্যন্ত সময়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সকল মত ও পথের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত প্রামাণ্য দলিল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন : গৌরবের দিনলিপি (১৯৫২-৭১)’ শীর্ষক বইটি। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রনেতা মাহফুজ উল্লাহ রচিত রয়্যাল সাইজের প্রায় তেরশ পৃষ্ঠার এই বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা অ্যাডর্ন পাবলিকেশন। প্রকাশনা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবদুল মতিন, কাজী জাফর আহমদ, রাশেদ খান মেনন, মোস্তফা জামাল হায়দার, হায়দার আকবর খান রনো, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, শামসুদ্দোহা, মাহবুব উল্লাহ ও ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকে।
এ বইটি প্রথাসিদ্ধ কোনো ইতিহাসগ্রন্থ নয়। তবে ইতিহাস রচনার, একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি সমাজে বিরাজমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আচরণ বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাত্তের ভাণ্ডার। ১৯৫২ সালের ২৪শে এপ্রিল ঐক্য, শিা, শান্তি ও প্রগতি এই মূলমন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নামে যে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে এই বই ১৯৭১ পর্যন্ত বিস্তৃত সেই সংগঠনের কর্মকাণ্ডের খতিয়ান। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল, সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনায় আস্থাবান মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা এই সংগঠনের পতাকাতলে সমবেত হয়। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের অনেকেই কর্মজীবনে প্রভূত সাফল্যের এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন েেত্র নেতৃত্ব দিয়েছেন। পূর্ব পাকিস্তানের সামগ্রিক রাজনীতিতে এই সংগঠনের উপস্থিতি ছিল গৌরবদীপ্ত এবং এর সদস্যদের জীবন ছিল সেই গৌরবে উজ্জ্বল।
মাহফুজ উল্লাহ
বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী মাহফুজ উল্লাহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় কর্মী হিসেবে ঊনসত্তরের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এই আন্দোলনের বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনা পরিচালনায় এবং প্রচারপত্র রচনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে বাংলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্ররাজনীতির কারণে আইয়ুবী সামরিক শাসনামলে তাকে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রাবস্থায়ই মাহফুজ উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রার ১৯৭২ সালে জন্মলগ্ন থেকেই তিনি এ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ হিসেবে, কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন, রেডিও ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। মাহফুজ উল্লাহ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একজন সক্রিয় পরিবেশবিদ এবং বাংলাদেশে তিনিই প্রথম পরিবেশ সাংবাদিকতা শুরু করেন। বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা তার বইয়ের সংখ্যা ৫০-এর অধিক এবং এসবের অধিকাংশই পৃথিবীর বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে সংরতি আছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরলোকগত কমরেড মুজাফফর আহমদের দৌহিত্র। তার অগ্রজ অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মাহবুব উল্লাহ ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রপ) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা মরহুম শিাবিদ হাবীব উল্লাহ এবং মাতা মরহুমা ফয়জুননিসা বেগম। তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক।