75 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও দুর্গেশনন্দিনী
১৮০১ সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলার মাধ্যমে আধুনিক যুগের যাত্রা শুরু হয়। গদ্য সাহিত্য আধুনিক যুগে যাত্রা শু..
TK. 125TK. 108 You Save TK. 17 (14%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও দুর্গেশনন্দিনী
১৮০১ সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলার মাধ্যমে আধুনিক যুগের যাত্রা শুরু হয়। গদ্য সাহিত্য আধুনিক যুগে যাত্রা শুরু করে। সুতরাং সেই হিসেবে উপন্যাসের যাত্রা আধুনিক যুগেই। ‘ইতিহাস বিচারে যাকে আধুনিক কাল বলা হয় সে- কালের সাহিত্যকর্মের প্রধান এবং শক্তিশালী শাখা হলো উপন্যাস- একথা সমালোচকদের দৌলতে আমাদের জ্ঞাত।` এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা না বলা কথাগুলোকে শিল্পীত দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরেছি।
উপন্যাস বা কথাসাহিত্য এমন একটি আধুনিক সাহিত্য রূপ, যার উদ্দেশ্য জীবনের সমগ্রতার সন্ধান করা। সমাজ ও মানুষের ব্যক্ত-অব্যক্ত জীবনের সামগ্রিক রূপায়ণ সম্ভব এখানে। ঔপন্যাসিকের দায়িত্ব থাকে মানুষের বহির্লোক-অন্তর্লোকের পূর্ণাঙ্গ চালচিত্রের অনুসন্ধান করার। কেননা কথাসাহিত্যের প্রধান দাবিই যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে জীবনকে বিচার করে তার মূলসুরকে ধারণ করা ।
ব্যক্তি মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব, মানসিক সংকট ও জীবন বাস্তবতার মূলীভূত সত্তার অন্বেষণ আধুনিক কথাসাহিত্যের বিষয় হিসেবে পরিগণিত। বাংলা উপন্যাসে এর প্রাথমিক স্ফুরণ লক্ষ করা যায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (১৮৩৮-১৮৯৪) উপন্যাসে ।
উপন্যাস এমন একটি শিল্পমাধ্যম যেখানে আমাদের জীবনের সমগ্রতাকে ধারণ করা হয়। তবে অবশ্যই শিল্পীত স্বরগ্রামে। এ বিষয়ে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘উপন্যাস হচ্ছে আধুনিকতম এবং সমগ্রতাস্পর্শী সেই শিল্প-প্রতিমা, যেখানে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয় জীবনের আদি-অন্ত; শিল্পীত স্বরগ্রামে উদ্ভাসিত হয় লেখকের জীবনার্থ আর তাঁর স্বদেশ-সমাজ-সমকাল ।
আর যিনি ঔপন্যাসিক তাঁর মানসভূমি নির্মিত হয় তাঁর দেশ, কাল ও সমাজের প্রেক্ষিতে। উনিশ শতকের নবজাগরণের ঢেউ বাংলাকে নানাভাবে পল্লবিত করেছিল। এ থেকে বঙ্কিমচন্দ্রও মুক্ত ছিলেন না। তাই তাঁর সৃষ্টিকর্মে এসবের শিল্পীত রূপ ধরা পড়েছে।
ঔপন্যাসিকের মানসোৎকর্ষের প্রতিফলন ঘটে তাঁর শিল্পকর্মে । শিল্পীর স্বাধীন জীবন- জিজ্ঞাসার নিজস্ব নিয়মে সে মানসোৎকর্ষের ক্রমবিকাশ ঘটলেও দেশকালীন চিন্তাসূত্রগুলিকে অনুধাবন না করলে সে মানোসোৎকর্ষের সঠিক ঠিকানা মেলে না । ঊনবিংশ শতাব্দীতে যেহেতু প্রথম আমাদের মনোলোক বিশ্বের চলিষ্ণু জীবনধারার সঙ্গে লগ্ন হবার সুযোগ লাভ করল, সেহেতু বঙ্কিমের দেশকালীন ভাব ও ভাবনার রূপ পরিচয়ে প্রায় বিশ্বপরিচয়ের আনন্দই লভ্য। সে বিচারে রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের নতুন কালের ভাব-স্পন্দন অনেক গভীরভাবে অনুভূত হলেও সেকালের ইংল্যাণ্ডীয় শিক্ষার প্রকৃত পরিণাম কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্ৰ ।