148 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
Mathematics is full of beauty and surprises, and many an author in the West has tried to convey this sense of wonder to the general reader but not a single one could be traced in B..
TK. 240TK. 180 You Save TK. 60 (25%)
In Stock (only 3 copies left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Related Products
Product Specification & Summary
Mathematics is full of beauty and surprises, and many an author in the West has tried to convey this sense of wonder to the general reader but not a single one could be traced in Bengal who ever had
attempted to do this. যত কিছুই লেখা হয়েছে তা নীরস গণিতের মরুভূমির গােলক ধাঁধা মাত্র। শুধুমাত্র কতগুলাে পাঠ্য বই।
স্কুলের কোন ছাত্রকে যদি জিজ্ঞেস করা যায়, কোন বিষয়টি তােমার সবচেয়ে শক্ত লাগে?' সে এক কথায় উত্তর দেবে, অংক’ । যে কোনও সাধারণ শিক্ষিত লােককে ঐ প্রশ্ন করলে সম্ভবত হুবহু ঐ একই জবাব মিলবে। তবে এমন দু'চারজন লােকও আছেন।
(উদাহরণস্বরূপ বক্ষ্যমান গ্রন্থের প্রণেতা) যাদের কাছে অংক খারাপ লাগে না, বরঞ্চ তারা উল্টো আনন্দ পান এতে। তারা অংকের সৌন্দর্যটুকু দেখতে পান এবং তা উপভােগ করেন। বিজ্ঞানের সবগুলি শাখার মধ্যে গণিতই হল সবচেয়ে পুরােনাে। মানুষ প্রয়ােজনের তাগিদেই হাজার হাজার বছর (সম্ভবতঃ দশ-বিশ-পঞ্চাশ) আগে অংকের বিভিন্ন প্রক্রিয়া আবিষ্কার করতে বাধ্য হয়েছিল। অংকশাস্ত্র ছাড়া কোন বিজ্ঞানই এগােতে পারে না। তাই গণিতকেই সব বিজ্ঞানের রাণী বলা হয়। বলা হয় গণিত হচ্ছে প্রকৃতির ভাষা। ও ছােটোবেলা থেকেই শুনে আসছি অংক’ জানার জন্য দরকার মাথা থাকার।
যে-সে মাথা নয়, আলাদা ধরনের শক্তিসম্পন্ন মাথা। অনেকটা ভাগ্যের দানের মত ফলে ‘কোটিতে গুটিকয়েক’ ছাড়া আর সবাই অংকের নাম শুনলেই চমকে যায় মনে।
মনে ব্যাপারটা আসলে কিন্তু তা নয়। অংক জানার জন্য আলাদা বিশেষ ধরনের মাথা লাগে না। যে কেউ-ই তা শিখতে পারেন। অংক কঠিন’ দীর্ঘকাল থেকে চলে আসা এই সাধারণ ধারণাটিকেই বদলে দিতে চাইছেন আধুনিক গণিত বিশারদগণ। তারা বলছেন
অংক’ কেবলমাত্র একটি হিসাবের ব্যাপার নয়। অংক’ হচ্ছে জীব ও জড় প্রকৃতির ‘মৌলিক ভাষা। তাই সকল কিছুর শুরুতেই ‘গণিতের জ্ঞান’ অনিবার্য ।
গণিতের সঙ্গে কেবল মানুষের সম্পর্ক নয় প্রকৃতির প্রতিটি ঘটনা শৃঙ্খল আবর্তিত-বিবর্তিত হচ্ছে সুনির্দিষ্ট গাণিতিক বিন্যাস অনুসরণ করে। তাই যে-ভাষায় প্রকৃতিকে অধ্যয়ন করা হয় সেই সুশৃঙ্খল ভাষাই হচ্ছে গণিত। প্রকৃতিতে জীব ও জড়ের সকল নিয়ম, সকল জীবের।
অস্তিত্বের মূল, এমনকি সৌন্দর্যের যে ধারণা—তাও গড়ে উঠেছে বিশেষ কতকগুলাে * মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, ঢাকা।
গাণিতিক নিয়মের কারণে। যেমন ধাধার মধ্য দিয়ে বিনােদন হয়ে এসেছে অংক, লাভক্ষতির হিসাবতাে জন্মের শুরু থেকেই করছে অংকশাস্ত্র। প্রতিটি মানুষ নিজেই এক গাণিতিক জটিলতার সমষ্টি। মানুষের হাঁটা, চলা, হাত নাড়া, চোখ পিট পিট করা, কথা বলা, রাগা, ঘুমানাে, মুদ্রাদোষ সবকিছুর পিছনে রয়েছে কিছু গাণিতিক ব্যাপার। দেহবৈশিষ্ট্য, লিঙ্গভেদ এমনকি স্বভাব-চরিত্রও গাণিতিকভাবেই নির্ধারিত। এ শুধু মানুষই নয়, গাছ-পালা, জীবজন্তু, পশুপাখি সব প্রাণীরই যে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য তার পিছনে রয়েছে গণিতের নিয়ম। পৃথিবীর আবর্তন, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চতুর্দিকে ঘােরা, মহাবিশ্বের জীবন-পথ—সবকিছুই গণিতের নিয়মে আবদ্ধ। আপনি অংক কষতে না পারেন কিংবা অংককে এড়িয়ে ভুলে থাকতে চান, ভয় পান—কিন্তু অংক আপনাকে ছাড়বে না। দিনের ঘণ্টার হিসাব, বেতন, বাজার খরচ, অফিসের টাইম, কাজের হিসাব সব কিছুতেই যে রয়েছে গণিত—গাণিতিক নিয়ম। সােজা কথায়, গণিত আপনাকে জড়িয়ে আছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জন্মের শুরু থেকে ধ্বংসের শেষ দিন পর্যন্ত। পালাবেন কোথায়? কোনও জায়গা নেই গণিতবিহীন রাজ্যের।
৯ শহীদ মিনার, গাছের পাতা, পূজা-অর্চনা, গৃহসজ্জার আল্পনা, মুদ্রা সবই হচ্ছে। গাণিতিক নিয়মেই। একটি ফুলকপিকে প্রকৃতি প্রতিটি স্তবকে সুশৃঙ্খল জ্যামিতিক নিয়মে - প্রতিসাম্য ব্যবস্থাধীনে সাজিয়েছে। মৌচাকে দেখা যায় প্রতিটি কক্ষ ঠিক নির্দিষ্ট কোণে - নির্দিষ্ট আকারে আয়তনে গায়ে গায়ে সেটে থাকে। সব মিলিয়ে আজ প্রমাণ হয়ে
বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরের বিভিন্ন পরীক্ষার ফল লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বিজ্ঞান শাখায় অন্যান্য শাখার চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধেক বা তারও কম। ডিগ্রীর (১৯৯৫) পাশ-করা ৬,৩৩০ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে বিএসসি পাশ করে ৭০০ জন যার মধ্যে গণিত নিয়েছিল এমন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল মাত্র সাতশ' জন! ১৯৯৬-তে দেখা গেল বিএসসি পাশ করেছে মাত্র ২,৯১৬ জন! চার হাজার কম! আর গণিতের ছাত্র–তা ছয়শত জন মাত্র! গণিত ছাত্রছাত্রীদের কাছে ভীতিকরভাবে অপ্রিয় হয়ে আছে—তার জন্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। শিক্ষকরাই এর জন্য দায়ী। ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিজ্ঞানের ‘রাণীর সৌন্দর্য তারা তুলে ধরতে পারেননি। গণিত ছাত্রছাত্রীদের কাছে ভীতিকরভাবে অপ্রিয় হয়ে আছে—তার জন্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। শিক্ষকরাই এর জন্য দায়ী।