3 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বাংলাদেশের মঙ্গোলীয় আবিদাবসী গ্রন্থে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত কতিপয় মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর মানুষের আত্ম-পরিচয়, সাংস্কৃতিক-নৃতাত্ত্বিক অভিধা তুলে..
TK. 300TK. 266 You Save TK. 34 (11%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বাংলাদেশের মঙ্গোলীয় আবিদাবসী গ্রন্থে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত কতিপয় মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর মানুষের আত্ম-পরিচয়, সাংস্কৃতিক-নৃতাত্ত্বিক অভিধা তুলে ধরা হয়েছে। অবিচ্ছিন্ন ধারায় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে কালক্রমে বাঙালি জাতির সৃষ্টি করেছে। বাঙালিরা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় সকল পরিচিত জাতিগোষ্ঠী, প্রধানত নিষাদ-ভেড্ডিড, মঙ্গোলীয়, আর্য দ্রাবিড়ীয় প্রভৃতির সংমিশ্রণজাত একটি সঙ্কর জাতি হলেও তাদের পাশাপাশি স্বতন্ত্রভাবে এদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস রয়েছে মঙ্গোলীয় মানবগোষ্টীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষদের সঙ্কর বাঙালির জনসভা পরিগ্রহ করেছে এক নিজস্ব নৃতাত্ত্বিক রূপ ও পরিচয়। আর এরই মাঝে পাশাপাশি বসবাসরত মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীভুক্ত বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি বা আদিবাসী মানুষেরা একীভূত হয় নি। বরং ধর্ম-বর্ণ ও সাংস্কৃতিক ভেদাভেদ সত্ত্বেও সকল সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে তারা প্রাচীনকাল থেকেই স্বতন্ত্র সত্তা নিয়ে বসবাস করছে।
মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠী ছড়িয়ে আছে এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা। বাংলাদেশের সমতল ও পার্বত্য এলাকায়ও শাখা বিস্তার করেছে মঙ্গোলীয়রা। বিশেষত বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের এগারটি আদিবাসী নৃগোষ্ঠী যথাক্রমে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমী, খেয়াং, চাক, পাঙ্খেয়া ও লুসাই, কক্সবাজার ও পটুয়াখালী রাখাইন; বৃহত্তর ময়মনসিংহের গারো, হাজং, ডালু; বৃহত্তর সিলেটের মনিপুরী ও খাসিয়া এবং উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ও কোচরা মঙ্গোলীয় মহানৃগোষ্ঠীভুক্ত এক একটি ক্ষুদ্র জনসমাজ।
মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর মানুষদের চুল হয় সোজা, খড়খড়ে ও কালো মাথার আকার গোল। নাক মাঝারি হতে চ্যাপ্টা, তবে নিগ্রোয়েডদের মতো মাংসল নয়। চোখের উপরের পল্লব ঝুলে থাকে সামনের দিকে। চোখের পাতায় থাকে বিশেষ ধরনের ভাঁজ। মঙ্গোলীয়দের দাড়ি, গোঁফ থাকে না বললেই হয়। চোখ ধূসর বা গাঢ় ধূসর। গায়ের বড় পীতাভ বা পীভাভ-বাদামি। বাঙালিদের সঙ্কর বৈশিষ্ট্যর সাথে মঙ্গোলীয়দের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যকে সমতুল করা যায় না। মাঝারি দেহ-প্রকৃতির বাঙালিরা নৃতাত্ত্বিকভাবেই আলাদা। বাঙালিরা পাঁচমিশালি হয়েও স্বতন্ত্র এবং এই অর্তে মঙ্গোলীয়দের চা্ইতে পৃথক। পার্থক্য খোলা চোখেই স্পষ্ট বলে একজন মঙ্গোলীয় চাকমা, গারো বা রাখাইন একজন বাঙালি হতে নিজেকে পৃথক ভাবে এবং একজন বাঙালিও সে অর্থে এদের সাথে নিজেকে একাকার বা অনুরূপ ভাবে না।
এই গ্রন্থে বাংলাদেশে বসবাসরত মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীভুক্ত কতিপয় ক্ষুদ্র জাতিসত্তা তথা চাকমা, গারো হাজং, মারমা, রাখাইন, ত্রিপুরা ম্রো, কোচ ও রাজবংশীদের আত্মপরিচিতি তথা তাদের সমাজ-সংস্কৃতি, ধর্ম ও বিশ্বাসবোধ, আচার-আচরণ, উৎসব, আর্থ-সামাজিক পটভূমি ইত্যাদি বিষয়ে গবেষকরা লিখেছেন, যা এদেশের মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানুষদের নতুনভাবে পরিচিত করতে মূল স্রোতের বাঙালি জনগোষ্ঠীর মানুষের কাছে।