47 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
"অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
জারী মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ডিক্রীদারের মামলার সুফল পাইতে বিলম্ব হয় এই আইনে সাধারণ নিয়ম ছাড়াও প..
TK. 650TK. 451 You Save TK. 199 (31%)
Product Specification & Summary
"অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
জারী মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ডিক্রীদারের মামলার সুফল পাইতে বিলম্ব হয় এই আইনে সাধারণ নিয়ম ছাড়াও পত্রিকার মাধ্যমে ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে জারী মামলা নোটিশ জারীর কাজ সমাপণ করিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জারীর বিভিন্ন স্তরের কাজ সমাপণ করিবার বিধান করা হইয়াছে। এই আইনের বিশেষত্ব এই যে, মামলার বিভিন্ন স্তরের বিচারকার্য সমাপ্তের একটি সময়সীমা নির্ধারণ করিয়া দেওয়া হইয়াছে । ডিক্রীকৃত টাকা আদায়ের জন্য দেওয়ানী আটকাদেশেরও বিধান করা হইয়াছে। জারীকার্য পরিচালনাকালে আদালতকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারীর ক্ষমতা এবং দেওয়ানী কারাগারে আটকের উদ্দেশ্যে আদালতকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে। জারীর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর হইতে ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে শেষ করিতে হইবে এবং আদালত কারণ উল্লেখ করিয়া আরো ৬০ (ষাট) দিন বর্ধিত করিতে পারেন।
এই আইনে আপীল ও রিভিশনের বিধান রাখা হইয়াছে। ডিক্রিকৃত টাকার পরিমাণ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকার নিমে হইলে জেলা জজ আদালতে এবং উর্ধ্বে হইলে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করা যাইবে। তবে ডিক্রিকৃত টাকার ৫০ পার্সেন্ট এর সমপরিমাণ টাকা বা জামানত জমা দেওয়ার শর্তে আপীল গ্রহণ করা হইবে। ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে আপীল নিষ্পত্তি করিতে হইবে এবং আদালত কারণ দর্শাইয়া আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করিতে পারেন। আপীলে প্রদত্ত রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে রিভিশনের ক্ষেত্রে ডিক্রিকৃত টাকার সর্বমোট ৭৫ পার্সেন্ট এর সমপরিমাণ টাকা ও জামানত জমা দেওয়ার শর্তে রিভিশন গ্রহণ করা যাইবে। ৬০ (ষাট) দিবসের মধ্যে রিভিশন মামলা নিষ্পত্তি করিতে হইবে । আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করিতে পারেন।
আদালতের মর্যদা অক্ষুন্ন রাখিবার লক্ষ্যে আদালত অবমাননাকারীকে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার ক্ষমতাও আদালতকে দেওয়া হইয়াছে । ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আদালতকে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা ও সহজাত ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে।
বকেয়া ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে সদ্য প্রণীত এই বৈপ্লবিক আইনকে কেন্দ্র করিয়া অর্থ ঋণ আদালত আইন নামক এই বইটি লিখিত হইয়াছে। আইন সুন্দরভাবে হৃদয়াঙ্গম করিবার জন্য ধারার শেষে উহার বিশ্লেষণ দেওয়া হইয়াছে। অর্থঋণ আদালতের প্রত্যেকটি ধারার বিশ্লেষণের সহিত সংশ্লিষ্ট উচ্চতর আদালতের সিদ্ধান্তগুলিও সন্নিবেশিত করা হইয়াছে। বইটি অর্থঋণ আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিচারক ও আইনজীবী, আদালতের কর্মচারী ও পেশাজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সম্পৃক্ত সকলের উপকারে আসিবে ।
উল্লেখ্য যে, ১৯৯০ সনে অর্থঋণ আইনটি প্রথমে প্রণীত হয়। এই আইনের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলি সুরাইয়া দীর্ঘ ১৩ বৎসর পর ২০০৩ সনে বর্তমান অর্থঋণ আইনটি প্রণীত হয়। এই দীর্ঘ ১৩ বৎসরের মধ্যেও অনেক মামলা হইয়াছে। এই সকল মামলাগুলি ঐ ১৯৯০ সনের অর্থঋণ আইন মাফিক নিষ্পত্তি হইবে। তাই যদিও ১৯৯০ সনের অর্থঋণ আইনটি বর্তমানে কার্যকর নাই, তথাপি ২০০৩ সনের পূর্বের মামলাগুলি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ১৯৯০ সনের অর্থঋণ আইনটির প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে। তাই ১৯৯০ সনের অর্থঋণ আইন এবং তদসম্পর্কিত উচ্চতর আদালতের সিদ্ধান্তগুলি এই বইটিতে সন্নিবেশিত হইয়াছে।