3 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
শতবার্ষিকী সংকলনের আলােচনা নীহাররঞ্জন গুপ্তের জন্মশতবার্ষিকী সংকলনে অন্তর্ভুক্ত গ্রন্থগুলি এইরকম ভাবে বিন্যস্ত কালােভ্রমর চারটি পর্ব একত্রে, অস্তি ভাগীরথী তীরে, উত্তরফাল্গুনী, রাজক..
TK. 720
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
বইটি বিদেশি সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে।
Product Specification & Summary
শতবার্ষিকী সংকলনের আলােচনা নীহাররঞ্জন গুপ্তের জন্মশতবার্ষিকী সংকলনে অন্তর্ভুক্ত গ্রন্থগুলি এইরকম ভাবে বিন্যস্ত কালােভ্রমর চারটি পর্ব একত্রে, অস্তি ভাগীরথী তীরে, উত্তরফাল্গুনী, রাজকুমার ও বাদশা।এর মধ্যে ‘রাজকুমার’ নীহাররঞ্জনের প্রথম রচনা। তখন তার বয়স মাত্র ১৮, যখন তিনি কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজের (বর্তমান আর. জি. কর মেডিক্যাল কলেজ) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কৃষ্ণনগর কলেজে আই এসসি পড়ার সময়ে যে সাহিত্যচর্চা শুরু করেছিলেন, মেডিক্যাল কলেজে পড়ার চাপে তাতে বাধা পড়ে যায়। মা লবঙ্গলতাই বলে বলে সে সাহিত্যের নেশা উত্সকে দিলেন। লেখা হল ছােটোদের উপন্যাস ‘রাজকুমার। ছােটোদের মাসিক ‘শিশুসাথী’তে ধারাবাহিক প্রকাশের পর আশুতােষ লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত হল গ্রন্থাকারে প্রথম উপন্যাস ‘রাজকুমার। একটি গরিব ঘরের কাহিনী। মা ও পুত্র নিমাইকে নিয়ে তাদের জীবন কাটে। নিমাইয়ের বাবা সন্ন্যাস রােগে অকস্মাৎ মারা যাবার পর দুর্দশা শুরু হয় তাদের। অবশেষে উপায়ান্তর
দেখে নিমাইয়ের মা তার আপন বােনের কাছে আশ্রয় নেন, নিমাইয়ের মাসীমার কাছে। তাঁরা নিমাইকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। সাদরে আশ্রয় দেন তাদের। নিমাইয়ের মাসীমার কোনাে সন্তান ছিল না। তিনি নিমাইকে এত ভালােবেসে ফেলেন, অনুরােধ- উপরােধ করে বােনকে রাজী করিয়ে নিমাইকে দত্তক নেন। তার নতুন নাম হয় রাজকুমার। কিন্তু মাসীমামেসােমশাইকে ভালাে লাগলেও রাজকুমার নিজের মা-কে ভুলতে পারে না। আদরে যত্নে লালিত হলেও মানসিক ভাবে গুমরে থেকে থেকে রাজকুমার একদিন কঠিন জ্বরে আক্রান্ত হল। শেষে ডাক্তারবাবুর পরামর্শেই মাসিমা-মেসােমশাই রাজকুমার তথা নিমাইয়ের মাকে ডেকে আনালেন। তারপর নিমাই মাকে পেয়ে উৎফুল্ল হয়ে উঠল। নিমাইয়ের মেলােমশাইয়ের একটি কথা পরের ছেলেকে জোর করে কোনাে দিনও আপন করা যায় না। পরকে আপন করতে হলে তাকে সময় দিতে হয়।এই বাক্যটির মধ্যেই কাহিনীর সার সত্য নিহিত আছে। সতেরাে-আঠারাে বছরের এক নবীন যুবকের হাতে কাহিনী-বয়নের এই ধরনের মুন্সিয়ানা অবশ্যই অকুণ্ঠ প্রশংসা দাবি করে।এর পরের গ্রন্থই ‘কালােভ্রমর। কালােভ্রমর ১ম পর্ব সুব্রত, রাজু, সুব্রতর পরম বন্ধু নীতীশ এবং সনৎ-এর কাহিনী। সেই সঙ্গে অ্যাটনী অমর বসুর কর্ম-তৎপরতারও কাহিনী। কালােভ্রমর ১ম পর্বে কিন্তু কিরীটীর আবির্ভাব ঘটেনি। কিরীটীর আবির্ভাব দ্বিতীয় পর্বে। যখন সুব্রতর বাড়িতে গৃহপ্রবেশ উপলক্ষে আয়ােজিত প্রীতিভােজে কিরীটী রায় আমন্ত্রিত হয়েছে। তার কিছুদিন পরেই, সনৎ-এর উপর কালােভ্রমরের আক্রমণ। কিরীটী পেশাদার গােয়েন্দা ছিল না। সব্রতর সঙ্গে পরিচয় এবং সুব্রত ও সনৎ-এর উপর কালােভ্রমরের প্রতিহিংসাই তাকে রহস্যভেদী ও গােয়েন্দা করে তুলল। নানা ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাত আর ব্রহ্মদেশ থেকে রাঁচী পর্যন্ত নানা অভিযানের মধ্য দিয়ে উদঘাটিত হল কালােভ্রমরের আসল পরিচয়। প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার সান্যালই কালাে ভ্রমর। বিপথগামী হয়ে কী করুণ পরিণতিতেই না শেষ হল তার জীবন। এইখানে কিরীটীর চরিত্রের এক মহৎ দিক উন্মােচিত হয়েছে। ফাঁসির দড়ির পরিবর্তে, যত অপরাধই করে থাকুক কালােভ্রমর, কালােভ্রমর তার নিজের জীবন নিজেই শেষ করুক। নীহাররঞ্জনের ১৯ বছর বয়সে কালােমর ১ম পর্ব প্রকাশিত হয়। তারপর চিকিৎসাবিদ্যার স্নাতক কালের মধ্যেই কালােভ্রমরের আরও তিনটি পর্ব প্রকাশিত হয়।