13 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
রংপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার অন্তর্গত তাজনগর গ্রামের সম্ভ্রান্ত শাহ-পরিবারের সন্তান আখতার উল-আলমের জন্ম ১৯৩৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি। পিতা : আবুল কাসেম মা: ..
TK. 200TK. 160 You Save TK. 40 (20%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
রংপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার অন্তর্গত তাজনগর গ্রামের সম্ভ্রান্ত শাহ-পরিবারের সন্তান আখতার উল-আলমের জন্ম ১৯৩৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি। পিতা : আবুল কাসেম মা: রমিছা খাতুন। জনাব আলম বলদীপুকুর প্রাইমারী স্কুল, রাণীপুকুর হাইস্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ ও ঢাকা সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন এবং প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সা্ংবাদিকতায় এম. এ ডিগ্রী লাভ করেন। জনাব আলমের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৬৯ সালে, বাংলাদেশের প্রাচীনতম দৈনিক আজাদে। তখন দৈনিক আজাদ গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স এ সুপ্রসিদ্ধ মাসিক পত্রিকা ‘মোহাম্মদীর’ তিনি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। একই সঙ্গে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁর তত্ত্ববধানে তিনি দৈনিক আজাদের সম্পাদকীয় এবং কলাম লেখকের দায়িত্ব পালন করেন।
মাঝখানে তিনি তাঁর সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম ওস্তাদ মরহুম মুজীবুর রহমান খাঁর অনুরোধে, দৈনিক পয়গাম (অধুনালুপ্ত)-এর সহকারী সম্পাদক পদে যোগদান করেন। পরে তিনি সহকাররি সম্পাদক ও কলামিস্ট হিসাবে পুনরায় দৈনিক আজাদে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ,মিলিটারী ক্র্যাক ডাউনের পর তিনিই প্রথম সাংবাদিক যাকে পাকিস্তানী আর্মীরা অস্ত্রের মুখে দৈনিক আজাদ থেকে ধরে নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে রাখে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জনাব আলম দৈনিক ইত্তেফাকে সহকারি সম্পাদক হিসাবে যোগদান করেন । অত্যল্পকালের মধ্যে ইত্তেফাকে তাঁর ‘স্থান -কাল-পাত্র’, কলামটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়। ৭০ ও ৮০ দশকে লুব্ধক এর এই কলামটি ছিল এদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় কলাম। ১৯৮৫ সালে জনাব আলম ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিযুক্ত হন। এই সময়ে ইত্তেফাক দেশে শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় পরিণত হয়।
১৯৯২ সালে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের জন্য জনাব আলম বাহরাইন গমন করেন। ইতিমধ্যে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে; তিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব ত্যাগ করে পুনরায় সাংবাদিকতা পেশায় ফিরে আসেন এবং দৈনিক দিনকালের সম্পাদক হিসাবে কাজ শুরু করেন। পরে ২০০১ সালের ১লা জানুয়ারী উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করে পুনরায় দৈনিক ইত্তেফাকে যোগদান করেন।
সাংবাদিকতা ছাড়াও আখ্তার-উল-আলম এক সময়ে নিয়মিত কবিতা, গল্প ও উপন্যাস লিখতেন। সাংবাদিকতা জীবনের ফাঁকে ফাঁকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদের কাজও করেছেন। তাঁর অনূদিত ফরাসী বিজ্ঞানী ড. মরিস বুকাইলির ‘বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান’ ৮ম সংস্করণ, ৭ম মুদ্রণ, সর্বমহলে সাড়াজাগানো একটি পুস্তক। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫০।
ব্যক্তিগত জীবনে জনাব আলম জাতীয়তাবদী আদর্শে অনুপ্রাণিত ও উদার ইসলামিক ঐতিহ্যে সমর্পিত। পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জনাব আলম ডজনাধিক পুরষ্কার ও পদক পেয়েছেন। এশিয়ার মধ্যে তিনি অন্যতম বক্তিত্ব যিনি সাংবাদিক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেবারাস্কা স্টেটের অনারাবী সিটিজেনশপ লাভ করেন ১৯৮২ সালে। ২০০০ সালে সউদী আরবের সরকারি পত্রিকা ‘সউদী গেজেট’ তাঁকে বিশ্বের ‘ফাইভ লিডিং মুসলিম জার্নালিস্ট’-এর একজন হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
জনাব আলমের স্ত্রী ড. রেজিনা বেগম একজন উপসহকারী কম্যুনিটি মাডিকেল অফিসার। রেজিনা বেগমের সাড়া জাগানো পুস্তক ‘দি ম্যান অব দি মিডল ইস্ট’ ১৯৯৬ সালে লন্ডনের মিনার্ভা প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত হয়। তাঁদের দুই ছেলে এক মেয়ে।