16 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
“মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিশেষ বেঞ্চ বঙ্গবন্ধু হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি পাঁচ আসামির লিভ টু আপিল ২০০৭ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর করে..
TK. 800TK. 600 You Save TK. 200 (25%)
Product Specification & Summary
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
“মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিশেষ বেঞ্চ বঙ্গবন্ধু হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি পাঁচ আসামির লিভ টু আপিল ২০০৭ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর করে। ৫টি যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে লিভ-টু আপিল মঞ্জুর করে ছিল আদালত।
সুপ্রিমকোর্টের রায়ে বলা হয়, লিভ-টুআপিল মঞ্জুরের প্রথম যুক্তি ছিলঃ হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত রায় নিষ্পত্তিতে তৃতীয় বিচারপতি পুরো রায় বিবেচনা না করার পরিবর্তে ৬ জনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আইনের ব্যতায় বা মৌলিক ভুল করেছেন কিনা? সুপ্রিমকোর্ট বিভাগের দ্বিধাবিভক্ত রায়ে যে ৬ আসামির ব্যাপারে দুইজন বিচারপতির মধ্যে মতভেদ ছিল, কেবল সেই ৬ জনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্টের তৃথীয় বিচারপতি কোন ভুল করেননি।
দ্বিতীয় যুক্তি ছিলঃ মামলা দায়েরে ‘বিলম্ব’ স্বাভাবিক বলে নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ যথার্থ কিনা?
এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের মত হচ্ছেঃ রাষ্ট্রপক্ষ বিলম্বে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞ দায়রা জজ ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ সেটা গ্রহণ করেছেন। হত্যাকান্ড ঘটনায় মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে বিলম্ব অযৌক্তিক নয়।
তৃতীয় যুক্তি ছিলঃ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ‘সেনা বিদ্রোহ’ না নিছক হত্যাকাণ্ড এবং অভিযুক্তদের সাধারণ আদালতে বিচার কারার এখতিয়ার আছে কিনা? এ প্রসঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষন হলোঃ সেনা আইনের ৫৯ (২) ধারায় হত্যার বিষয় বলা হয়েছে, হত্যাকারী যদি ‘এ্যাকটিভ সার্ভিস- এ থাকে তাহলে সেনা আইনে বিচার করতে হবে। কিন্তু আপিলকারীরা ‘এ্যাকটিভ সার্ভিস’- এ ছিলেন না। এছাড়া সেনা আইনের ৮ (২) ধারা অনুযায়ী এটি একটি বেসামরিক অপরাধ (সিভিল অক্ষেন্স)। তাই সেনা আইনের ৯৪ ধারা মোতাবেক আপিলকারীদের প্রচলিত আইনের বিচারে কোন বাধা নেই।
চতুর্থ যুক্তি ছিলঃ তৎকালীন সরকারকে উৎখাত বা শেষ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের আওতায় পড়ে কিনা?
এতে সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছে, আসামি পক্ষের কৌসুলিগণ এমন কোন যুক্তি দেখাতে পারেননি যে, সেনা বিদ্রোহের ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তাই আদালতের মত হচ্ছে তৎকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য এটা সেনা বিদ্রোহের কোন ষড়যন্ত্র ছিল না। এটা নিছক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল।
পঞ্চম যুক্তি ছিলঃ লিভ টু আপিল মঞ্জুরের ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় ছিল রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তা ছিল ‘সিরিয়াস মিসক্যারেজ অব জাস্টিজ’। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট মত দিয়েছে যে, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছেন এবং রায়ে হত্যার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে। ফলে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালত ও হাইকোর্টের বিচারকগণ আসামিদের বিরুদ্ধে যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন তাতে আমরা কোন হস্তক্ষেপ করব না। এসব কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি আসামিদের একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের ওপর যে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছিল তাও প্রত্যাহার করা হল।”