User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার দোপাটি ফুল, লজ্জাবতী লতা, ডায়েরির ভাঁজে রাখা, শুকনো বট পাতা কিছুই ছিল না ছল । মৃত্যু আমার মুঠো ভরেছে শুষ্ক ঘাসে, আমি মাটি ভেদ করে এনেছি অমৃত, ভাসিয়ে দিয়েছি জলে । স্বপ্নাবিষ্ট বেভুল বাউল, সাগরের পানে ছুটি পিছু ডাকে কোন নষ্ট জান্তা মায়াময় মুখ, ধূপের ঘ্রাণ, আধো আধো বোল, সিক্ত ঠোঁট নারী । পাঁজরের হাড় ভেঙে সিঁদ কেটে চোর অনিমেষ বোনে স্থবির কাব্য, সীতার পাঁচালী, পাঞ্চলীর প্রেম, মিছে মহত্ত্বের মলাটে । [ পিছুটান / কাকলী মুখোপাধ্যায় ] স্বপ্নাবিষ্ট বেভুল বাউল … সাগরের পানে ছুটি । স্বপ্নাবিষ্টদের সমুদ্র যাত্রার কথা শুনলেই আমার মনে পড়ে কবিদের রাজা শার্ল বোদলেয়ারের খুব প্রিয় THE VOYATE কবিতাটি one morning we depart our brains full of flame hearts swollen with ranwar and bitter desire and we travel following the rhythm of the waves and rocking our infinity on the finite sea . কবি ড. কাকলী মুখ্যোপাধ্যায় জন্ম ১৯৬৮ ৮ই জুন রাজশাহীতে । তাঁর বাবা প্রয়াত ড. সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়, মা মহান ভাষা সৈনিক প্রয়াত পারিজাত মুখোপাধ্যায় । কবি ২০১০ এ ” জীবনানন্দ দাশের উপন্যাসে মানুষের আন্তর্জীবন ও বহির্বাস্তব ” অভিসন্দর্ভের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় থেকে পি এইচ ডি অর্জন করেন । বর্তমানে ফরিদপুর গভ. কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কবির এই টুকরো পরিচয় জানতে পারি তাঁর কাবিতার বই ” ঈহিতা ” র পেছন মলাটে । তাঁকে প্রথম যে নামে চিনি ভামতি হোসেন … নামটা প্রথমবার দেখে ভাবি এ আবার কেমন নাম ! ফেসবুক ইনফো তেও বিস্তারিত কিছু লিখা ছিলো না … যতটুকু মনে করতে পারি ” কবিতার ক্লাস ” গ্রুপে প্রথম ভামতি হোসেনের কবিতা পড়ি, পড়তাম মন্তব্য করেছি নির্ভয়ে ভালো লাগা থেকে অদ্ভুত একটা মোহ কাজ করতো শেষ রাতে ঘুম না আসা রাস্তায় হাঁটতে যেমন ঘোর তেমনি একটা ঘোর । হুম হেঁটে যাওয়ার ঘোর অতিক্রমের ঘোর সব ছেড়ে ছুঁড়ে যাওয়ার মতো । “ পথের দীঘল রেখা লেপে দিল ক্লান্তি অমাবস্যা। বাড়াইনি হাত দেয়ালে লেগে ঠিক ফিরে আসবে জানি। তুমি, সে ,তিনি জীবনের যত মিছে আয়োজন সফেদ চাদরে কবর দিয়েছি কষে। আশৈশব বা আমৃত্যু কেবলই হাত খালি করে ফেরা ললাট লিখন। তবুও জানি আছে ভিনগ্রহী নাবিক যার বিউগেলে বাজে বেজে যায় ঝরে অবিরল স্রোত আমারই প্রাণপঙ্ক ধারা। [ …অ্যালিয়েন / কাকলী মুখোপাধ্যায় ]… কোন কোন ভ্রমণে তিক্ততা আছে কিছুটা ক্ষোভ আছে সমাজ প্রথা চ্যালামি ভণ্ডামি ভেলকবাজী আর শ্রেণীবিনাস্যের প্রতি । যেমন তাঁর ” উদ্ভট ” কবিতাটি ….. আর কত হাঁটায় যায় উটের নগরে ? ডানাভাঙা পায়রার চোখে, মৃত আকাশের ঘোলা স্ন্যাপ । দুর্বাসা মুনির গুরুমারা চ্যালা বটে চাণক্য পণ্ডিত । কূটকলা বিশারদ তারই শিষ্যরা আজ, বণিকাধিপতি, গ্রাসে মাংস মদ রক্ত, পুঁজির প্রতাপ । একদা একটি বাঘের গলায় হাড় ফুটেছিল জানি । জানি নাই উপকারী বকদের কথা । আর কত দেখা যায়, ঠকে যাওয়া কাক অশ্রুশূন্য রোদনে ? বিড়ালের প্যাঁচাদের মুখে উটের নিরীহ গ্রীবা ঝুলে আছে কাত হয়ে, জল ঝরে পড়ে নগরীর বুকে । এমন আরো কিছু উচ্চারণ … *** কক্ষপথে কলুর বলদ গ্রহ মহারাজ, ছিটকে সরিয়ে নেবে নিজেকে সে পথ বন্ধ করেছেন বিধাতা পুরুষ । [ কক্ষভ্রষ্ট ] *** আজীবন ছোটা বাসে ঝোলা বাদুড়ের বেশে । কুকুরের অভিশাপে বিষ, উচ্ছিষ্ট পায় না কোনো থালে । পশুরাও ভুলে গেছে গোলামীর সব ইতিহাস । খাদ্যের গুদামে জ্বলে ক্ষুধার্ত উদর । ভেজালির মুখে ঝোলে পাকস্থলী এক পচনের দেরি নাই আর । [ অভিশাপ ] *** ভোজ শেষ হলে বাঁকা চাঁদ উঁকি দেয় থালার ফুটো গলে অবিরাম আলোর প্রপাত নামে, ভুগা ফাঁকা ঘরে । আগুন জ্বলবে । উচ্ছিষ্টের উচ্ছিষ্ট হবে মৃতসঞ্জীবনী [ সঞ্জীবনী ] একপাশে ক্ষুধার্ত অন্যপাশে যাদের ক্ষুধা শেষ হয় না কখনো … আরো কিছু কবিতার পঙক্তি *** মেধাহীন নাগরিক করে, কেবলই নগর পাতন । জোয়ারের স্রোতে ঘর ভাঙে ক্ষুধা জরা ব্যাধি ক্লেশ, কেবলই গ্রামের পতন । আকাশ জুড়িয়া মাতালের হাসি নক্ষত্রের বুকে আজ বোধের মরণ ।[পতন ] *** হনুমানের আঙ্গুলে ধরিয়ে আগুন তামাশা দেখে রাবণজান্তারা লঙ্কপুরী পোড়ে না তো পোড়ে যে মানুষ সং সেজে ঢং সারারাত তারপর উপোসীর ভাত টলমল হাসি নাই মঞ্চে এপাশে ওপাশে শুধু জন্ম অভিশাপ । [ সং ] আবার কখনো স্নিগ্ধতার মায়াজালে লেখা যা পড়তে মন হিম হয়ে যায় । অপূর্ব চিত্রকল্পের প্রাণময়তা আত্যন্তিকতা উদ্দীপনশৈলীতে Cecil Day Lewis থেকে emotion and passion এর সাথে Word picture পরিবর্তনের যেমনি বলেছিলেন … বারবার মুগ্ধ হয়া খুব প্রিয় কয়েকটি কবিতা জল কাব্য তিনটি নস্টালজিক সাথে চমত্কার এবসট্রাক্ট , সাথে ফেরা ১ ২ ৩ আমার ভীষণ মনে ধরেছে । Ezra Pound এর Alba , A Girl , Causa র মত নাতিদীর্ঘ কবিতাগুলো কিংবা হেলাল হাফিজের অশ্লীল সভত্যা শহীদ কাদরীর বৈষ্ণব যদি একদেখায় মুখস্ত হয়ে তবে, কবি কাকলী মুখোপধ্যায়ের নার্সিসাস, মোছা কবিতাগুলোও পড়তে পড়তে মুখস্ত হয়ে যাবে ফুটপাত চিরচেনা দাগ একটি চায়ের ঢপ চেনা স্বাদ, চেনা দাম , চেনা টিটকারি । মুছে দিতে চাও রবারের পোঁচে ? কালো কালো গুঁড়োগুলো মিলে অন্ধকার বোনে কবিতা । [ মোছা ] A nature artist however does not propose to evade the riddles around him . He takes stock of significant directions and purpose of his age and of their more clear and concrete embodiments in the men of his age . He arrives at his own philosophy and builds his own world which is never a negation of the actual one, but this is the same living world organized more truly and proportionately by the special reading of it by the special poet ( Bangla poetry today ) জীবনান্দের এই জনপ্রিয় ইংরেজী প্রবন্ধের এই কয়েকটি লাইন হয়তো আধুনিক কবিতার জন্য চিরন্তন সত্যের মতো কিছু । একজন কবির চারপাশ কে অস্বীকার না করে বরং তার মধ্যে থেকেই নিজেকে আলাদা করা, যাকে তিনি বলেছেন মুদ্রাদোষ ; সকল লোকের মাঝে বসে আমার নিজের মুদ্রাদোষে আমি একা হতেছি আলাদা ? … আমি নিজে ভাবি এই দোষটি না থাকলে কবি ধর্মই থাকে না । কাকলী মুখোপাধ্যায়ের নিজের কবিতাতে তিনি নিজেকে চিনিয়েছেন এই ভাবে, আমি অন্তত এমন আমিত্বকে দেখেনি কোন বাংলা কবিতায় … ইউক্যালিপটাসের রং দেখে ভাবি সাদা হাতির কালো মাহুত এই আমি কেন এতো বর্ণহীন । বিকারে ঘোরে রচি কাব্য রসাতল । ভয়াল বাঘের মুখে বাজিকর দিলো তার মাথা যেমন নিষ্কাম প্রত্যাখ্যান জানায় উদর তাহার । তেমনি অন্ধকারে দিয়েছি রাখী জলে ফেলে । [ রাখী বিসর্জন ] *** আমি নাকি ছায়া এলে এত রাতে ঘরে ? পিশাচের মতো স্যাকস্যাকে সাদা মুখ বিবর্ণ অধর ? বাঁচতে চাও কত শত বছর কাছিমের মতো শ্যাওলা মাখানো গায়ে ? … [ বেঁচে থাকা ] *** কিছুই ভালো লাগে না আর । রাতভর শুনিয়েছে গল্প জ্ঞানী ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী । শিথানে বালিশ আর, কপালে মায়েয় হাতখানা । বিকেলের নরম রোদেলা মাঠে, বৌচির আয়োজনে আমিই দুধভাত, হাঁদা গঙ্গা রাম । [ভালো লাগে না ] আরো কিছু প্রিয় কবিতা জলে ডুব দিয়ে দেখি অথৈ জীবন ভাসছে দুলছে নির্বকার পদ্মের মূলে জমেছে শ্যাওলা সবুজ । মত্সকন্যা শৈবালেই পেয়েছে কস্ত্তরী লাস্যের ঘামে চমকায় জল ছল ছল ছল ছল অতল অতল জলে নামে রোদ ধুয়ে নেয় তাপ হাসের মেয়েরা সারাদিনমান সন্তরণে ধোয় কপটতা বিষ ডাঙায় উঠেই যেন সফেদ শরীরী সাধ্বী জল কত ধোবে ? কত আর নেবে পাপ ক্লেদ ? ডুবসাঁতারে ধরতে চাই জলকন্যা এক পাপের তলানি মেখে ফিরে আসি ঘাটে । ..[. ডুব/ কাকলী মুখোপাধ্যায় ] *** দেখেছি বর্শার ফলা, দেখিনি বনতুলসীর পেলবতা । পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে যান বনদেবী, ময়ূরপাখা হেসে ওঠে, অসঙ্কোচে নদীটির বাঁকে । দারুণ পাথুরে হাত, ফাগুন কোমলতায়, তার কটিদেশে । হিংস্র জান্তব থাবা ক্ষত আঁকা দেহ জুড়ে, ঝরে ঘাম রক্ত বীর্য, একই বাঁচবার স্রোতে । গহীন গহনে চোখ তার করেছে সন্ধান খাদ্য, মজুদ আছে প্রজন্মান্তরে । এখনও অরণ্য ভয়াল, অচেনা সে মানুষের কাছে । শিকড় কাঁদে আজ, জলের তৃষ্ণায় । [... উন্মূল / কাকলী মুখোপাধ্যায় ] *** চিঠি এসে গেছে জানে ধৃতরাষ্ট্র পিতা শব্দভেদী বাণে গান্ধারী আজ খোলো পটি বাঁধা চোখ দেখো আলো ছোটে চোখে শব্দের গতিতে মানুষ আসছে দলে দলে সাগরের ঢেউ যেন চাপা আর্তনাদে মাথা খুঁড়ে উপকূলে গ্রাসে সবকিছু ইস্রাফিল শিঙ্গা ফুঁকে ঝুপঝাপ ঝরে গ্রাম গ্রামান্তর । [ শব্দ / কাকলী মুখোপাধ্যায় ] এবার আরো কিছু এলোমেলো কথা বলি একান্ত নিজের কিছু কথা আজ বলতে ইচ্ছে হচ্ছে । এই বছর খানিকের মধ্য লেখালেখির খাতিরে কিছু মানুষের সাথে পরিচয় তাঁরা খুব সাধারণ মানুষ আমার কাছে, অসাধারণ মানুষদের আমি খুব ভয় পাই । এই সাধারণ মানুষগুলোর মধ্যে কখনো অহংকার দেখিনি দেখেছি আপন করে নেয়ার অদ্ভুত শক্তি, তাঁরা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো নিরবে কবিতা লিখে নিজেদের নিয়ে কখনো কিছু বলেন না কখনো কখনো কোথায় হারিয়ে যায় আবার আসে । তেমনি কবি ভামতি হোসেন, অনেকদিন তাঁর খোঁজ পাইনি পরে কবি সরদার ফারুক স্যারের কাছে জানতে পারি কবি অসুস্থ তাঁর স্টোমাক ক্যান্সার, ফারুক স্যারের কাছেই শুনি কবি ভামতি হোসেনই কবি কাকলী মুখোপাধ্যায় … আমার মায়ের একটা ভয়াণক রোগ ছিলো, স্কুলে থাকা সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠে গা … তিনি হঠাত্ অজ্ঞান হয়ে পড়তেন শ্বাস নিতে কষ্ট হতো গলা দিয়ে গড়গড় শব্দ বের হতো চোখের কোণা দিয়ে পানি ঝরতো ফোঁটায় ফোঁটায় মায়ের এই অসুখটা হলেই আমি ভীষণ ভয় পেতাম বাবা মায়ের মাথায় হাত বুলাতে থাকতেন আমার বোন রসুন সরষে গরম করে এনে পায়ে মালিশ করতো । আর আমি দরজার পর্দা জড়িয়ে কাঁদতে থাকতাম চুপচাপ দাঁড়িয়ে আমার বাবা বলতেন তোর মায়ের জন্য দোয়া কর বাপ । পর্দার ভিতরে থেকে হাত বের করে মুনাজাত ধরতাম আল্লা আমার মাকে ভালো করে দাও … এতটো সময় এতোগুলো বছর এখনও চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঐদিনগুলো । আমি এখন মিলাতে পারি ঐ অসুখটা কী ছিলো … আল্লাহর কৃপায় মায়ের এই রোগটা সেরে গিয়েছে । গত কিছু দিন আগে ভামতি হোসেনের লেখা শেষ কবিতাটি পড়েছি ট্যাগ করেছিলেন, আমি কিছু লিখিনি ঐ নোটে এছাড়া বাঁকি নোটগুলোতে উনার বই থেকে আমার পছন্দের কবিতা লিখতাম উনি খুশি হয়ে বলেতেন শৈবাল এটা আমার অক্সিজেনের মতো কাজ করে … তাঁর শেষ নোটটি মেয়ের জন্মদিনে লিখা জন্মদিন Wednesday, 14 March 2012 কাব্যর জন্মদিন আজ আমি ওর মা ঘাড় বাঁকিয়ে তাকায় আমার দিকে আমি পড়ে ফেলি ওর কথা ও বলে মা এভাবে জন্ম দিয়ে কী ঠিক করেছো? আমি তখন প্রশান্ত থেকে অতলান্ত ওষধির সন্ধান করি কেবল ঘাষ আর ঘাষ কাদা আর জল কাব্যর জন্মদিনে আমি ওর মা আজ অবধি কোন উপহার দিতে পারিনি। আমি আবার হাত তুলছি আল্লা তুমি আমার মাকে ভালো করে দাও … আখাউড়া জংশন লালপাড় শাড়ি উঠেছিলেন প্রপিতামহী সতীসাধ্বী সীতা কত ট্রেন যায় আসে অ্যলবার্ট কাটে চুলে বাঁধা চোখে কাজলের ব্রীড়া সেই তুমি নারী সিঁথিতে সিঁদুর মেখে আজীবন একই দেবতায় প্রণতা বিন্দুমাত্র অবসাদ আসেনি তোমার ? কোনো ফাগুনের জোছনায় হয়নি কি মন আকুল ব্যাকুল কোনো নব্য গন্ধে ? করেনি জিজ্ঞাসা কেউ নেয়নি সন্ধান লালপাড়ে চাপা দেয়া মুখটির কাছে ? পিছে কত স্বপ্ন নিত্য হয়েছে বলি প্রতি রাতের ব্যর্থ সঙ্গে উনুনের ভাবে সেদ্ধ স্বপ্নের পাহাড় অবিচল দেবতার পায়ে দিয়েছ যে বলি বাসরশয্যায় তারই নামাবলি থেকে লাল রং নিয়ে পরেছ সিঁদুর সিঁথিটি ভরিয়ে দুখে রেখেছ ট্রেনের সিঁড়িতে পা ফেরা আর হবে নাকো জেনে মৃত্যু / কাকলী মুখোপাধ্যায় …