User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
outstanding!!
Was this review helpful to you?
or
কী যে নেশা কাজ করে বূঝী না। নতুন প্রজন্ম কে মোবাইল মুক্ত করার একমাত্র ওশূঢ হতে পারে এশোব বই ।
Was this review helpful to you?
or
Great
Was this review helpful to you?
or
স্যারের বইয়ের রিভিউ দেবার মতো যোগ্যতা আমার নেই।
Was this review helpful to you?
or
বইটির প্রতিটা লাইন মানুষকে ভাবাবে। দেশের জন্য, সমাজের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার মূলমন্ত্র খুব সুন্দর আর সাবলীল ভাবে লেখা আছে এখানে। যারা হুমায়ূন আহমেদকে জানতে চান, যারা তার ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, পাওয়া - চাওয়া সম্পর্কে জানতে চান তাদের অবস্যই পাঠ্য এই বই।
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
Truth be told, I read this book only after the author's death, because of the author's death. The title of the book is a little ironic. This fantastic wordslinger did not live long enough to revisit the sunshine in the sky of his own country. Reading the book was an amazing journey itself. It gave detailed insight into a cancer patient's journey. You have to read between the lines to feel the sorrow that seeped into the letters from the author's pen. I love that about HA books: he makes the reader think about the characters rather than directly saying it. I think this book is more about a patient person than a patient.
Was this review helpful to you?
or
মৃত্যুপথযাত্রী একজন মানুষের প্রতিদিনের চিন্তাভাবনা কিংবা কিছু ঘটনার লিখিত বিবরন "নিউইয়র্কের নীলকাশে ঝকঝকে রোদ"। সাধারণ কিছু ঘটনার অসাধারণ উপস্থাপন। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ছিলাম। কিছু কিছু লাইন পড়তে পড়তে চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল,আবার কোথাও লেখকের রসিকতায় ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে ওঠেছে। সত্যিই হুমায়ূন আহমেদ জাদুকর। শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ নিয়ে যখন সব দিক থেকে নিরাশ হয়েছে তখনও তিনি হাল ছাড়েনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন "আমি হচ্ছি কচ্ছপ। কচ্ছপ একবার যা কামড়ে ধরে তা ছাড়ে না।কচ্ছপের কামড় থেকে বাঁচার একটাই উপায় তার গলা কেটে ফেলা। স্কুল আমি একাই চালাব"। তার স্বপ্নের স্কুল এখন চলছে। হুমায়ূন আহমেদের শেষ স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশে একটি ক্যানসার ইনস্টিটিউট করা। এ নিয়ে তার সব পরিকল্পনাও লেখা আছে বইতে। কিন্তু বাংলাদেশে মনে হয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট নিয়ে কারো কোন ভাবনা নেই। কারন যে কচ্ছপ টা কামড় দিবে সে কচ্ছপ টাই আর বেঁচে নেই। ? পুনশ্চঃ প্রিয় লেখক, আজকের এই জন্মদিবসে আপনার কথা খুব মনে পড়ছে, বাংলাদেশে আপনার মতো মানুষের আরও অনেক বছর প্রয়োজন ছিলো। ক্যান্সার ইনস্টিটিউট সম্পর্কে হুমায়ূন আহমেদের কিছু কথাঃ ★ বৃদ্ধ কচ্ছপ এইবার ‘ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’ কামড়ে ধরেছে। কচ্ছপের কামড় বলে কথা। বেঁচে থাকলে কচ্ছপ যে ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার করে যাবে, তা নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায়। আমার পরিকল্পনা হলো, তিনজন ভিক্ষুকের কাছ থেকে প্রথম ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারের জন্য অর্থ ভিক্ষা নেওয়া হবে। এদের ছবি তুলবেন নাসির আলী মামুন। স্কেচ করবেন ও ইন্টারভিউ নেবেন মাসুক হেলাল। তারপর আমরা যাব বাংলাদেশের তিন শীর্ষ ধনী মানুষের কাছে। ভিক্ষুকেরা দান করেছে শুনে তাঁরা লজ্জায় পড়ে কী করেন, আমার দেখার ইচ্ছা। শীর্ষ ধনীর পর আমরা যাব তিন রাজনীতিবিদের কাছে। তাঁরা কিছুই দেবেন না আমরা জানি। তাঁরা নিতে জানেন, দিতে জানেন না। তবে খালি হাতে আমাদের ফেরাবেন না। উপদেশ দেবেন। আমাদের উপদেশের তো প্রয়োজন আছে। ★পৃথিবীর সেরা অনকোলজিস্টের অনেকেই বাংলাদেশি। একজন অনকোলজিস্ট রথীন্দ্রনাথ বসু ওভারিয়ান ক্যানসারে যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন। এঁরা সবাই বাংলাদেশের ক্যানসার ইনস্টিটিউটের জন্যে যা করণীয় তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অনলাইনে দেখলাম, ২৫০ জন নিজেদের ভিক্ষুক ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা অর্থ সংগ্রহের জন্যে ভিক্ষার থালা নিয়ে পথে বের হবেন। আর হিমুর দল তো হলুদ পাঞ্জাবি পরে তৈরি হয়েই আছে। তারা নাচুনি বুড়ি। ঢোলের বাদ্যের অপেক্ষা। কনফুসিয়াসের বিখ্যাত বাণী সবাইকে মনে করিয়ে দেই। ‘আ জার্নি অব আ থাউজ্যান্ড মাইলস বিগিনস উইথ আ সিংগল স্টেপ’। আমরা কিন্তু প্রথম ‘স্টেপ’ নিয়ে নিয়েছি। আল্লাহপাক বলেছেন, তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করবে হিংসামুক্ত অবস্থায়। আমাদের ক্যানসার হাসপাতালে একই অবস্থা। তবে হিংসা না, সবাইকে প্রবেশ করতে হবে রাজনীতিমুক্ত অবস্থায়। ডাক্তাররা আওয়ামী লীগ, বিএনপি করবেন, ইলেকশন হবে, মারামারি হবে—তা কখনো না। পৃথিবীর কোথাও আমি ছাত্রদের এবং শিক্ষকদের রাজনৈতিক দল করতে দেখিনি। এই অর্থহীন মূর্খামি বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার। এই মূর্খদের মধ্যে আমিও ছিলাম। ড. আহমদ শরীফ এবং অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী অতি শ্রদ্ধেয় দুজন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাদা দলে ইলেকশন করেছি। এখন নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয়। মূর্খ মনে হয়। আমাদের ক্যানসার ইনস্টিটিউটে মূর্খদের প্রবেশাধিকার নেই।
Was this review helpful to you?
or
OSM BOOK
Was this review helpful to you?
or
This is my Favourate book.
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনীমূলক বই গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি বই। মূলত লেখক যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে নিউইর্য়ক গমন করেন তখনকার সময়ের পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলোই মূল উপজীব্য বইটির। পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কথা আমরা দেখতে পাব বইটিতে। লেখক এর দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন তার পুত্র সন্তানের সাথে কাটানো সময়গুলোর বর্ণনা আছে। এছাড়া আছে শীলা আহমেদের কথাও।
Was this review helpful to you?
or
The book is almost a autobiography of humayn ahmed in america.This book may not be greatest work of humayan ahmed but surely as a fan of humayan ahmed everyone should read it to know about his personallity.
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন স্যারের আমেরিকা প্রবাসে থাকার স্মৃতি। এখানে তিনি লিখেছেন তিনি যখন অসুস্থ হয়ে আমেরিকা ছিলেন সেই গল্প। সঙ্গে তিনি লিখেছেন তার মনে আসা আরও অনেক স্মৃতি। এক ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনার সুত্র যোগ করে সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। হুমায়ুন স্যারের বর্ণনা অনেক সুন্দর। আর আমেরিকার কথা যখন তিনি লিখেছেন, আমরাও যেন আমেরিকাকে দেখতে পাই। তিনটি ছোট গল্প আর পনের টি অন্য বিষয়ে লেখা বইটি চমৎকার। শাওন, নিনিত নিষাদের কথা তিনি লিখেছেন। আবার লিখেছেন শিলা আহমেদের কথাও। স্যারের জীবনের কথা জানতে বইটি পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
" নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ - হুমায়ূন আহমেদ " আমি মাঝে সাঝে রিভিউ লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করি।কখনো সখনো অপাঠ্য সেই রিভিউ পড়ে দু এক জন বই পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।ইহাতে আমি বড়ই তৃপ্তি পাই।দু দিন ধরে বসেছি আমার সর্বাধিক পাঠ্য বইয়ের রিভিউ লিখবো বলে।কোথা হতে শুরু করে কোথাই শেষ করবো এই ভাবনায় এক জ্যোসনা রাত ছাদের কার্নিশে অনিদ্রা পার করেছি। নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ বইটি হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন নিউইয়র্কে বসে।বইটিতে মোট আঠারোটি শিরোনামে লেখা আছে।তিনটি ছোটগল্প এবং পনেরোটি বিষয়বস্তু স্থান পেয়েছে বইটিতে।স্যারের লেখালেখি জীবনে যে সকল বিস্ময়কর ঘটনা তার বর্ণনা আছে বইটিতে। কি আছে বইটিতে? হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন আছে বইটিতে।যে স্বপ্ন তিনি শেষ জীবনে দেখেছিলেন,যা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ যাচ্ছে হাজার হুমায়ূন ভক্ত। অসহায়,সংগ্রাম করে টিকে থাকা মানুষের পাশে দাড়ানোর কথা লেখা আছে বইটিতে।কাজকে তিনি কচ্ছপের মতো কামড় দিয়ে মানুষের জন্য করে যেতে চেয়েছিলেন।তিনি কিভাবে কাজ করবেন,কিভাবে করতে চান তার বর্ণনা এই বইতে আছে। নিউইয়র্কে চিকিৎসা নেওয়ার সময় যাপিত জীবনের বর্ণনা আছে বইটিতে।তার শেষ জীবনের সমস্ত ইচ্ছা, আর সত্যিকার বন্ধুদের কথাও বইটিতে আছে। বইটির প্রতিটা লাইন মানুষকে ভাবাবে।দেশের জন্য,সমাজের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার মূলমন্ত্র খুব সুন্দর আর সাবলীল ভাবে লেখা আছে এখানে।যারা হুমায়ূন আহমেদকে জানতে চান,যারা তার ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, পাওয়া - চাওয়া সম্পর্কে জানতে চান তাদের অবস্যই পাঠ্য এই বই। দুর্বল শব্দ চয়ন এবং অগোছালো বর্ণনা থাকতে পারে আমার এই লেখাতে।হইতো পাঠক আকৃষ্ট করার মতো কোন বর্ণনা নেই এখানে।কিন্তু বইটিতে আছে সত্যিকারের সাহিত্যরস।পাঠকের মনে ভাবাবেগ আর বোধ তৈরির জন্য যথেষ্ট উপকরণ দিয়ে তৈরি এই বই। বই: নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ। লেখক: হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ। মূল্য: দুইশত টাকা।
Was this review helpful to you?
or
নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ অন্যপ্রকাশ প্রথম প্রকাশঃ ২০১২ পৃষ্ঠাঃ ৯৫ মুল্যঃ ২০০৳ ধরণঃ আত্মজীবনী যেহেতু এটি একটি আত্মজীবনী সেহেতু এটিকে কাহিনী কিংবা প্রতিক্রিয়া আকারে লেখা যায় না আসলে। বইটা প্রকাশিত হবার আগে “প্রথম আলো” তে ধারাবাহিক ভাবে লেখাটা প্রকাশিত হত। তখন রেগুলার পড়েছিলাম। অনেকগুলো লেখা আমার কাছে রাখাও ছিল। পরে হারিয়ে গেছে সব। হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে যান। উনার চিকিৎসা হয় মেমোরিয়েল স্লোয়ান কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারে। একদিন নিউইয়র্কের আকাশের ঝলমলে আর ঝকঝকে রোদ দেখে পুর্নেন্দু পত্রীর লেখা “ক্রেমলিনের আকাশে ঝকঝকে রোদ” এই লাইন থেকে আর ঘন নীল আকাশ, ঝকঝকে নিউইয়র্কের রোদ দেখে উনার মাথায় আসে “নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ”। উনার সাথে অনেক মানুষ ছিল সে সময়। এস আই টুটুল নাকি স্যার এর লেখা গান তাকে গেয়ে শোনাতে চেয়েছিল। টুটুলের কাজ সম্পর্কে লেখক বলেছেন “ সে সবাইকে ধারণা দিয়ে দিয়েছে, নিউইয়র্কযাত্রা আমার অগস্ত্যযাত্রা ।“ নির্মম বাস্তব হলেও এসব কথা কি সহজে হজমের যোগ্য?? কিংবা যত সহজ বলা মেনে নেয়া কি ততই সহজ?? হুমায়ূন আহমেদ তার নিউইয়র্কের বেশ অনেক মুহূর্ত আমাদের পাঠকদের লিখে জানিয়েছেন। জানিয়েছেন কি নির্বিকার ভাবে ডক্টর তাকে ধুম করে বলে দিয়েছিল “ক্যান্সার ৪র্থ পর্যায়ে”, “তুমি মারা যাচ্ছ”। আবার ডক্টর আর বললেন যা তা হল , মারা সবাই যাচ্ছে তবে লেখক যে খুব দ্রুত মারা যাবেন সেরকম মনে হচ্ছে না”। পুত্র নিষাদের সাথে তেলাপোকা পর্বের নিষাদের কথা টা কষ্ট দেয়। মৃত্যু অবধারিত সবার জন্যই। তারপর ও অকাল মৃত্যু কিংবা যেকোন মৃত্যুই মেনে নেয়া সহজ না। নিষাদ বলেছিল “তেলাপোকাকে বেচারা বলতে হয় না। মানুষকে বেচারা বলতে হয়। তুমি যখন মারা যাবে, তখন বলবে বেচারা।“ এটি কি শুধুই কথা না প্রতীকী কিছু? কেমোথেরাপী জিনিসটা খুব কষ্টের। একটা মানুষ ক্যান্সারে যতটা কষ্ট পায়, তার থেকে কয়েকশ গুন বেশি কষ্ট, সেই কষ্ট থেকে দূরে থাকতেই তিনি আবার অসুস্থ শরীরে হাতে নিয়েছেন কলম। পুরো বই টা একটা ডায়েরির মত। নানা জীবিত মৃত মানুষ, ছোট-খাট নানা গল্প, নানা ঘটনা, নানা কথা তুলে ধরেছেন। স্মৃতিচারণ করেছেন। বলেছেন একটা স্কুল বানাতে গিয়ে, বানানোর পর কি কি ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। নিজেকে বৃদ্ধ কচ্ছপ বলেছেন। তার ইচ্ছা একটা “ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার” বানানো। এটা নিয়েও তার কত পরিকল্পনা। আসলে ছোট একটা বই বা লেখা, কিন্তু প্রতি লাইন নিজেই এক এক ইতিহাস, এক একটা অনুভূতি । সেটা কে সারমর্ম করা বা প্রতিক্রিয়া কিংবা রেটিং এর পর্যায়ে ফেলা টা খুব সহজ না। শুধু নিজের কথা বলা। বলা শুরু করলে সেই লেখা এই বইয়ের পাতার চেয়েও বেশি হয়ে যাবে। রকমারিঃ https://www.rokomari.com/book/11275/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%9D%E0%A6%95%E0%A6%9D%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A6
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ (হার্ডকভার) লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ অন্যপ্রকাশ প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী, ২০১২ প্রচ্ছদঃ মাজহারুল ইসলাম পৃষ্ঠাঃ ৯৫ মুদ্রিত মুল্যঃ ২০০৳৳ রেটিংঃ ৫/৫ #রিভিউঃ যারা বই পড়তে ভালোবাসেন অথচ হুমায়ুন আহমেদের লেখা পড়েননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হুমায়ুন আহমেদের রয়েছে অগনিত ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী। থাকবেইবা না কেন? তিনি তার কথার জাদুতে, লেখার জাদুতে সকলকে এতটাই বিমোহিত করে রেখেছিলেন, হয়তোবা অন্য কোনো লেখকের পক্ষে তা সম্ভব নয়। নন্দিত নরকে- দিয়ে শুরু। এরপর লিখেছেন অসংখ্য গল্প-কবিতা-উপন্যাস। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের অদৃশ্যমান বা আড়ালের গল্পগুলো তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন একজন নিখুঁত শিল্পীর ন্যায়। নাটক-সিনেমায়ও দেখিয়েছেন নিজের অসাধারন প্রতিভা। অনন্য প্রতিভার এই মানুষটা সারাটা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন জোছনা ফুল ধরতে। সেই ক্যান্সারের কি সাধ্য আছে তাকে জীবনের কাছে হার মানানোর! নিউইয়র্কে তখন চলছিল তার চিকিৎসা সাথে লেখালেখিও। তিনি নিজেই বলেছেন যে, কেমোথেরাপির কষ্ট ভুলতে কলম ধরেছেন। একজন লেখকের সবচেয়ে আরাধ্যের বিষয় হল শত প্রতিকূলতার মাঝেও লেখা চালিয়ে যাওয়া। হুমায়ুন আহমেদ সে কাজটি যথার্থরূপে করতে পেরেছিলেন যা আমাদের হতবাক করে। এই লেখকের নিউইয়র্কে শুরু হয়েছিল ক্যান্সার পরবর্তী নতুন জীবন , নতুন সংসার। সেইসব দিনগুলির টুকরো লেখার একটি বিশেষ সংকলন ‘নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ’। কেমন চলছিল তার সেইসব দিনগুলো? কিভাবে মেনে নিয়েছেন ক্যান্সার নামক ব্যাধিটিকে? সবই জানতে পারবেন এই বইটি পাঠ করলে। তার লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ হবে জানতে পেরে পাঠকদের জন্যে উপহার দেন তিনটি অসাধারণ গল্প। বইয়ের ভাষা অবশ্যই সহজ ও সাবলীল। জীবনকে নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা বইটির আবেদনকে আরো তীব্র করেছে। বইটির শুরুতে লেখক যেভাবে গল্পের আদলে ভূমিকা টেনে গেছেন তা যে কাউকে মুগ্ধ করবে। সেইসাথে তিনটি ভিন্নধর্মী গল্পতো রয়েছেই। সব মিলিয়ে বলা যায়, লেখকের জীবনের শেষ দিনগুলোর সৃষ্টি পাঠকের মনে ভিন্ন অনুভূতি জাগাবে। রকমারি থেকে কিনতে পারবেন বইটি। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/11275/নিউইয়র্কের-নীলাকাশে-ঝকঝকে-রোদ-
Was this review helpful to you?
or
নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদঃ প্রসংগ ক্যান্সার। আমরা যারা হুমায়ুন আহমেদ এবং ক্যান্সার নিয়ে কাজ করি, তাদের বিভিন্ন কথায় সহায়ক হতে পারে এটি। জানি হুমায়ুন আহমেদের কথা অমিয় বানী নয়, বা তার সব তথ্য সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু একদিন এই ম্যাগাজিন হয়তো বিশ্বের প্রতিটি হুমায়ুন প্রেমীর লাইব্রেরিতে স্থান পাবে। তখন হয়তো এই লেখাটি কাজে দিতে পারে। ক্যান্সার নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন তিনি এই বইতে। বলেছেন মৃত্যু নিয়ে তিনি ভীত নন। “আমার স্বভাব হচ্ছে, যেকোনো অবস্থায় যেকোনো বিষয় নিয়ে রসিকতা করা। মৃত্যু নিয়ে ক্রমাগত রসিকতা করে যাচ্ছি। এই রসিকতা কেউ সহজভাবে নিতে পারছে না”। এরপরে তিনি আস্তে আস্তে ক্যান্সারে প্রবেশ করলেন। একদম চতুর্থ স্তরে। “ডাক্তার ভেচ হঠাতই আমার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বললেন, তুমি একা মারা যাচ্ছ না। আমরা সবাই মারা যাচ্ছি। এই কারনে বললাম তুমি মারা যাচ্ছ। তবে খুব দ্রুত যে মারা যাবে, সে রকম মনে হচ্ছে না”। স্টিভ জবস থেকে অনুপ্রেরনার অংশটুকুঃ “তিনি বলছেন, এক অর্থে ক্যান্সার আমার জন্য শুভ হয়ে এসেছে। আমি বুঝতে পেরেছি, আমার সময় শেষ। আমি আমার সর্ব মেধা ব্যয় করেছি হাতের কাজ গুটিয়ে আনতে”। স্তন ক্যান্সার নিয়ে হিমু পরিবহন কাজ করে যাচ্ছে। “মহিলাদের প্রায় সবাই মারা যায় ব্রেস্ট ক্যান্সারে। আমাদের দেশের মেয়েদের এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অনেককে দেখা যায় স্তন শব্দটি যুক্ত থাকার কারনে লজ্জাবোধ করেন। রোগের কাছে লজ্জার কিছু নেই। রোগ লুকানোতেই লজ্জা” হুমায়ুন আহমেদের শেষ কচ্ছপ প্রকল্প ছিল ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার করা। এই বিষয়ে একটু সমালোচনা করি। আমাদের সবার ক্যান্সার সেন্টার করার ইচ্ছা জাগে যখন আমরা আক্রান্ত হই তখন। এমনকি তার সময়ে যারা অর্থের সহযোগিতা করতে আশ্বাস দিয়েছিলেন-তারা যদি এখন এগিয়ে আসতো। “বৃদ্ধ কচ্ছপ এইবার ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার কামড়ে ধরেছে। কচ্ছপের কামড় বলে কথা। বেচে থাকলে কচ্ছপ যে ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার করে যাবে, তা নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায়”। তিনি কিভাবে টাকা তুলবেন তার পরিকল্পনা পড়ে নিবেন। সিগারেট নিয়ে তার চিন্তা ভাবনা আপাতত থাক। বলা মানা। বরঞ্চ তার নায়কের গল্প বলি, যাকে ঘিরে হুমায়ুন আহমেদ স্বপ্ন দেখেছিলেন, গুরু মেনেছিলেন। “পশ্চিমা একজন হিরোর গল্প দিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি। তার নাম টেরি ফক্স। কানাডার এক যুবক। মাত্র বাইশ বছর বয়সে ভয়াবহ ক্যান্সার তাকে আক্রমন করল। তার একটি পা কেটে ফেলে দিতে হল। টেরি ফক্স বিছানায় শুয়ে ভাবলেন ক্যান্সার গবেষনার জন্য আরো অর্থ প্রয়োজন। তিনি ঘোষনা করলেন, এক পা নিয়েই তিনি কানাডার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত দৌড়ে অর্থ সংগ্রহ করবেন। আটলান্টিক সমুদ্রে পা ডুবিয়ে তিনি দৌড় শুরু করলেন”। হয়তো হুমায়ুন আহমেদ দৌড় শুরু করলে হত সেটা। অনেকে সেই সময়ে অনেক সাড়া দিয়েছেন। “ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের জন্য আমি যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমার মনে হয়েছে মানবজীবন ধন্য”। তারা এখন কই? তার স্বপ্ন কিভাবে হবে, কিভাবে দলমত নির্বিশেষে হাসপাতাল গড়ে উঠবে তাও লিখেছেন তিনি এই বইতে। হিমুদের যেখানে ঢোল হাতে নিয়ে স্যারের পিছন পিছন নেমে পড়ার কথা, আজ হিমুরা সুর্য উঠার আগেই জেগে বলছে, “আমরা যদি না জাগি মা , কেমনে সকাল হবে?” আর বইয়ের শেষে হুমায়ুন আহমেদ এর সেই আহবান, যা হিমু পরিবহন তার প্রতিটি লিফলেটে যোগ করেছে- সর্বাধুনিকে, বিশ্বমানের একটি ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষনাকেন্দ্র কি বাংলাদেশে হোয়া সম্ভব না? অতি বিত্তবান মানুষের অভাব তো বাংলাদেশে নেই। তাদের মধ্যে কেউ কেন স্লোয়ান বা কেটারিং হবেন না? বিত্তবানদের মনে রাখা উচিত, কাড়ি কাড়ি টাকা ব্যাংকে জমা রেখে তাদের একদিন শুন্য হাতে চলে যেতে হবে। বাংলাদেশের কেউ তাদের নামও উচ্চারন করবে না। অন্যদিকে আমেরিকার দুই ইঞ্জিনিয়ার স্লোয়ান ও কেটারিং এর নাম তাদের মৃত্যুর অনেক পরেও আদর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে সমস্ত পৃথিবীটে স্মরন করা হয়। আমি কেন জানি আমেরিকায় আসার পর থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি, বাংলাদেশেই হবে এশিয়ার ক্যান্সার চিকিতসার পীঠস্থান”। যারা ভুল করে এখনো বইটি পড়েন নি, পড়ে নিবার প্রেরনা দিয়ে দিলাম । আর গুগলে সার্চ করে-স্লোয়ান কেটারিং মেমোরিয়াল(sloan kettering memorial hospital) দেখে নিবেন।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ হঠাত্ করে আক্রান্ত হলেন মরণব্যাধি ক্যান্সারে । চিকিত্সার জন্য যেতে হল আমেরিকায় । নিউইয়র্কে শুরু হল তাঁর কেমোথেরাপি । কিন্তু লেখালেখিতে নিবেদিতপ্রাণ একজন মহান লেখক লেখালেখি থেকে দূরে থাকবেন তা কিভাবে সম্ভব ! তাই সুদূর নিউইয়র্কে বসেও তিনি লিখতে শুরু করলেন । "নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ" গ্রন্থটির প্রতিটি লেখাই তিনি লিখেছেন নিউইয়র্কে বসে । তার মাঝে বেশ কিছু লেখা "নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ" শিরোনামেই ছাপা হয়েছে জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোতে । এ গ্রন্থের তিনটি গল্পও লেখা হয়েছে নিউইয়র্কে বসে । বাংলাদেশের মহান এ লেখকের নিউইয়র্কে শুরু হল আরেক জীবন , আরেক সংসার আর জীবনের আরেক অধ্যায় । তাই তিনি লিখতে বসে গেলেন তাঁর সেই জীবনের গল্প নিয়েই । নিউইয়র্কে কিভাবে কেটেছে তাঁর দিন , কিভাবে শুরু হয়েছে চিকিত্সা সবকিছুই লিখেছেন । বইয়ের পাতায় পাতায় উঠে এসেছে তাঁর প্রতি মানুষের আর ভক্তকুলের অনন্য ভালবাসার গল্প । স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দেখতে গিয়েছেন নিউইয়র্কের বাসায় , দেশের মানুষের পক্ষ থেকে শুভকামনা জানিয়েছেন আর অর্থ সাহায্যও করেছেন । তিনি নিউইয়র্কে গিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন যদি বেঁচে ফিরে যেতে পারেন তবে বাংলাদেশে একটি আধুনিক ক্যান্সার চিকিত্সা কেন্দ্র স্থাপন করবেন । বাংলাদেশ হবে এশিয়ার ক্যান্সার চিকিত্সার পীঠস্থান । শুধু ব্যক্তিগত জীবনের কথাই নয়,বইটি মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেবে এক এক বিচিত্র দেশ "আমেরিকার" সঙ্গে । আমেরিকার বিচিত্র সব নিয়মকানুন,বিচিত্র সব জীবনধারা-সবকিছুই তিনি লিখেছেন নিউইয়র্কে বসে "নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ" এ ।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনীমূলক বইগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। মূলত এই বইটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে কেমোথেরাপি চলাকালিন সময়ে বইটি লিখেছেন।স্ত্রী, পুত্র সন্তানদের সাথে কাটানো সময় গুলো এবং ক্যান্সার সময়ে নিজের কলমকে সচল রেখে তার কিছু পুরনো ঘটনার কথা লিখে গেছেন লেখক বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
2011 সালেই ”প্রথম আলোতে” পড়ে ফেলেছিলাম এই বই এর পুরোটাই । তাই কখনো সংগ্রহে রাখার প্রয়োজন বোধ করি নি । কিন্তু ফেব্রুয়ারি এলেই হুমায়ূনের শূন্যতায় ছেয়ে থাকে মনটা । তাই এবার কিনে ফেল্লাম এবং আবারো পড়ছি । আমরা কি হারালাম । আহা আহা ।
Was this review helpful to you?
or
মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে কেউ আকাশ দেখছেন, আর সে আকাশ রাঙিয়ে দিচ্ছে ঝকঝকে রোদ, অথচ ভেতরে বয়ে চলছে নিরন্তর কোনো ঝড়। হুমায়ুন আহমেদ পারেন, তিনি পেরেছেন, আমরা সম্মোহিত হয়েছি। ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের অনুভূতি আর ক্রিয়ার গল্প এটি, আর তিনিই সেই মানুষ। অনন্ত অম্বরে, হিজিবিজি আর নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ হুমাযুনের জীবনের অনুগল্প বলেই আমার কাছে সমাদৃত হয়ে থাকবে। ভালবাসি প্রিয় লেখক।
Was this review helpful to you?
or
খারাপ না আবার ভালোওনা।তার জীবনের সব সময়টুকু শুধু ২য়া শাওন ছিলনা না, গুলতেকিন কি জীবনের কইয়েক সেকেন্ড ছিল তার কাছে?
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামেই বোঝা যায় বইটি আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে লেখা। তিনি যখন ক্যান্সার নামক এক ভয়ংকর দৈত্য এর সাথে লড়ছিলেন ঠিক তখনকার লেখা এটি। ওই সময় এত গুছিয়ে নিজের ভাবনা চিন্তা গুলোকে লেখা কি ভীষণ কঠিন কাজ তা এমনিতেই বোঝা যায়। তবুও তিনি লিখেছেন, লিখতে গিয়ে কতবার কলম ছুঁড়ে ফেলেছেন তা তিনি নিজেই বলেছেন আবার! যারা নিয়মিত হুমায়ূন পড়েন না তারা অনেকেই ভাবেন তিনি নাস্তিক, ধর্মে বিশ্বাস নেই, তাদের জন্য এই বইটি পড়া অনিবার্য! এই বই এ তিনি প্রথম কোরআন এর উক্তি কোট করেছেন। যাতে স্পষ্ট তিনি বুঝিয়েছেন ধর্মে তার বিশ্বাস আছে। অজানা অনেক কিছুই জেনেছি।তিনি যে এডগার এলান পো এবং জাপানী লেখক হারুকি মুকারামি এর লেখা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন সে কথা তিনি নিজ থেকেই বলেছেন। নিজের পরিবার, একান্ত কিছু অনুভূতি, অতীত -বর্তমান – ভবিষ্যৎ নিয়ে লিখেছেন তিনি। “আমি কেন জানি আমেরিকায় আসার পর থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি, বাংলাদেশেই হবে এশিয়ার ক্যান্সার চিকিতসার পীঠস্থান” লিখে নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন। বইটির সব থেকে পছন্দের লাইন “ you dont 've to love too much of any creation of God. Cause he only knows when he will erase his creation. We don’t” বইটি থেকে অনুপ্রেরণা নেয়ার মতো অনেক কিছু আছে। এখনো যারা বইটি পড়েন নি আশা করি পড়বেন, ভাল লাগবে!
Was this review helpful to you?
or
Legendary writer Humayun Ahmed has died of cancer.During his illness,he was brought to New York for better treatment.Cancer is a deadliest disease