User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি অনেক ভালো । রহস্যজনক। বই কিন্তু একটু পুরাতন টাইপের দিয়েছে। যাই হোক খুবই ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের একটা অনন্য নক্ষত্র এই বইটা, অন্তত আমার মতে। জাদু বাস্তবতা নিয়ে এক অমোঘ আকর্ষণে পাঠক কে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এক বৈঠায় শেষ করতে এক প্রকার বাধ্য করে বই-এর লেখা গুলো। অসাধারণ। অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
বইঃ ম্যাজিক মুনশি। লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ। ধরণঃ স্লাইস অফ লাইফ, অ্যাডভেঞ্চার, ম্যাজিক, মিস্ট্রি। পৃষ্ঠাঃ ৮৩। মূল্যঃ ১৫৪ টাকা। প্রকাশকালঃ নভেম্বর, ২০১০। ‘ম্যাজিক মুনশি’কে কি উপন্যাস বলা যাবে? উপন্যাস বললে প্রকাশেকের সুবিধা হয়। পাঠকরা উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন। সমস্যা হচ্ছে ‘ম্যাজিক মুনশি’কে কোনো পর্যায়েই ফেলা যাচ্ছে না। ‘ম্যাজিক মুনশি’ হলো রহস্যময়তার বর্ণনা এবং কিছুটা বিশ্লেষণ। উপন্যাসের কাঠামো অবশ্যি ব্যবহার করা হয়েছে। - হুমায়ূন আহমেদ সত্যি বলতে কি, ‘ম্যাজিক মুনশি’কে কোনো ক্যাটাগরিতে ফেলা একরকম সমস্যাই বটে। এই লেখার ধরণ সম্পর্কে উপরেই লিখেছি- স্লাইস অফ লাইফ। অর্থাৎ এ লেখা জীবনেরই একটা অংশ থেকে নেয়া। সে হিসেবে একে ডায়রিতে লিখে রাখা কথামালার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। যদিও এই কথামালা উপন্যাসের আদলে লেখা। যেটা লেখক নিজেই বলেছেন। এখন, একে জীবনের অংশ কেন বলছি, তা রিভিউ পড়লেই বুঝতে পারবেন- রিভিউঃ লেখক চলচ্চিত্র বানাবেন। নাম, ঘেটুপুত্র কমলা। তো এই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য একটা পুরনো রাজবাড়ি কিংবা জমিদারবাড়ি দরকার। যেখানে নাচঘর থাকবে, টানা বারান্দা থাকবে, আর থাকবে শ্বেত পাথরে বাঁধানো বড় একটা দিঘী। আর হ্যাঁ, দিঘীতে পদ্মফুল থাকাটা বাঞ্ছনীয়। এই পুরনো বাড়ির খোঁজে লেখক বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াতে শুরু করেন। এরমধ্যে একদিন সুনামগঞ্জের হাওড়ে লঞ্চ ভ্রমণের সময় অকস্মাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে লেখকে লঞ্চ। লেখক এবং তার দল সেদিন কোনোরকম বেঁচে ফেরে। তাদের লঞ্চটাকে একটা গ্রামে ভেড়ানো হয়। সেখানেই অদ্ভুত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন লেখক হুমায়ূন আহমেদ। যার নাম ম্যাজিক মুনশি। আর কিছু না বলাই ভালো। আবার স্পয়লার না হয়ে যায়। যাহোক, অ্যানশিয়েন্ট রোপ ম্যাজিক, ব্ল্যাক ম্যাজিক, ডাইনি বিদ্যা, জাদুটোনা, বান মারা, বশীকরণ, শরীর দ্বিখণ্ডিত করার ম্যাজিক, পামিং (হাত সাফাই), শূণ্যে ভেসে থাকা সহ নানারকম ম্যাজিকের কথা উঠে এসেছে 'ম্যাজিক মুনশি' বইয়ে। বইয়ের মূল ঘটনা ছাড়াও বিশ্বজোড়া জাদুবিদ্যার বিস্তৃত পরিধি সম্পর্কে ধারণা দেয়াও লেখকের উদ্দেশ্য ছিলো। আর স্বাভাবিক ভাবেই, তিনি সফল এই ব্যাপারে। আরেকটা কথা, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ডাইনি' গল্পটা সংযুক্ত আছে বইয়ের শেষে। একটা পর্যায় ব্ল্যাক ম্যাজিক ও ডাইনি সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক উল্লেখ করেছেন, বাংলা সাহিত্যে ডাইনিদের নিয়ে খুব একটা লেখা হয়নি। উল্লেখযোগ্য লেখা একটাই আছে। সেটা হলো তারাশঙ্করের লেখা গল্প ‘ডাইনী’। তাই বইয়ের শেষ অংশে লেখক পাদটীকা হিসেবে 'ডাইনি' গল্পটিও সংযোজিত করেছেন। ব্যক্তিগত মতামতঃ এই এক ঝামেলা। আমি আবার মতামত টাইপ জিনিসগুলো খুব একটা সাজিয়ে বলতে পারি না। আচ্ছা একটু চেষ্টা করি- বইটা পড়া শুরু করেছিলাম এই ভেবে যে, যেহেতু নাম ‘ম্যাজিক মুনশি’, সেহেতু ম্যাজিকের ব্যাপারটা থাকবেই। সাথে জমজমাট একটা থ্রিলার গল্প পেতে যাচ্ছি। কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখলাম, কাহিনী আদতে তেমন কিছু নয়। তবে হতাশ একদমই হইনি। তার কারণ বই দেয়া ব্ল্যাক ম্যাজিক, উইচক্র্যাফট ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। এসব ব্যাপারে আগে খুব একটা ধারণা ছিল না আমার। যাহোক, শেষে কেএফসির স্বাদ বার্গারে মিটলো আরকি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ভালো। ব্যক্তিগত রেটঃ এইটা দিতে আমার ভয় করে, পড়ার পর আপনারাই দিয়েন। পড়বেন কি পড়বেন না? – অবশ্যই পড়বেন। ম্যাজিক সম্পর্কে আগ্রহী হলে তো কথাই নেই। সারা বিশ্বে প্রচলিত-অপ্রচলিত বিভিন্ন ম্যাজিক সম্পর্কে তথ্যসমৃদ্ধ এমন লেখা দেশে খুব একটা নেই। সাথে লেখকের স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করা কিছু রহস্য। ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : ম্যাজিক মুনশি লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ প্রকাশকাল : নভেম্বর, ২০১০ ঘরানা : ম্যাজিক বিষয়ক উপন্যাস পৃষ্ঠা : ৮৮ প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ মুদ্রিত মূল্য : ১৭৫ টাকা গল্পের জাদুকর হিসেবে পরিচিত কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদের আরেকটা অসামান্য সৃষ্টি 'ম্যাজিক মুনশি'। আত্মজীবনী'র ধাঁচে বর্ণিত এই রচনাটাকে হুট করেই উপন্যাসের কাতারে ফেলা একটু কঠিনই হয়। তারপরো, এটা একটা উপন্যাসই। হুমায়ূন আহমেদের শেষ ছবি 'ঘেঁটুপুত্র কমলা'-এর শূটিং স্পট এক্সপ্লোর করার সময়ে ম্যাজিক মুনশি নামের অদ্ভুত এক ব্যক্তি'র সংস্পর্শে আসা নিয়েই লিখিত হয়েছে এই উপন্যাসটা। সুনামগঞ্জের হাওড়ে লঞ্চ ভ্রমণের সময় অকস্মাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে লেখক হুমায়ূন আহমেদের লঞ্চ। সেই সময়ে একটা গ্রামে ভেড়ানো হয় লঞ্চটাকে। সফরসঙ্গী আরজু ওরফে সর্পরাজের সাজেশনে সেখানেই ম্যাজিক মুনশি'র সাথে সাক্ষাতের সুযোগ ঘটে লেখকের। পেশায় স্থানীয় মসজিদের ইমাম এই মানুষটার চরিত্র রহস্যে আবৃত। অদ্ভুত কিছু ম্যাজিক দেখিয়ে তিনি লেখককে চমকে দেন। এমনকি গ্রামের লোকজনও মুনশি সাহেবকে ভাবেন অন্যরকম একজন হিসেবেই। এই ব্যাপারটা লেখককে আরো কিছুটা চমৎকৃত করে। অ্যানশিয়েন্ট রোপ ম্যাজিক, ব্ল্যাক ম্যাজিক, ডাইনি বিদ্যা, জাদুটোনা, বান মারা, বশীকরণ, শরীর দ্বিখণ্ডিত করার ম্যাজিক, পামিং (হাত সাফাই), শূণ্যে ভেসে থাকা সহ নানারকম ম্যাজিকের কথা উঠে এসেছে 'ম্যাজিক মুনশি' বইয়ে। হুমায়ূন আহমেদের লেখনী'র সাথে যারা পরিচিত তারা একটা জিনিস বিলক্ষণ জানেন। সেটা হলো, যেকোন ব্যাপারে লেখকের অগাধ পাণ্ডিত্য। এই বইয়েও লেখক সারা বিশ্বে প্রচলিত-অপ্রচলিত বিভিন্ন ম্যাজিক সম্পর্কে তথ্যসমৃদ্ধ বর্ণনা দিয়েছেন। যা একই সাথে চিত্তাকর্ষক এবং কৌতুহল উদ্দীপক। হাওড়াঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাসরত একজন মুনশি'র ম্যাজিশিয়ান রূপে আবির্ভূত হওয়াটা এই উপন্যাসের একমাত্র উপজীব্য বিষয় না। পাশাপাশি বিশ্বজোড়া ম্যাজিকের বিস্তৃত পরিধি সম্পর্কে ধারণা দেয়াও হুমায়ূন আহমেদের উদ্দেশ্য ছিলো। আর স্বাভাবিক ভাবেই, তিনি সফল এই ব্যাপারে। ব্যক্তিগত মতামত : আমার জীবনের একটা কঠিন সময় পার করেছি আমি, যে সময় হুমায়ূন আহমেদের বই আমাকে সঙ্গ না দিলে সময়টা আরো কঠিনতর হতো আমার জন্য। ঐ ভয়াবহ সময়টা থেকে রিলিফ পাওয়ার জন্য তাঁর বই একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো। তাঁর অন্যান্য অনেক বইয়ের সাথে 'ম্যাজিক মুনশি' আমি প্রথম পড়ি সেই সময়। অনেকদিন পর আবারো উপন্যাসটা পড়লাম। দৈনিক 'কালের কণ্ঠ' তখন শিশু পত্রিকা। সেই সময় তাদের ঈদ সংখ্যায় প্রথম আসে 'ম্যাজিক মুনশি'। তবে তখন এতোটা বিস্তৃত আকারে ছিলোনা উপন্যাসটা। তারপর যথারীতি বই আকারে প্রকাশিত হয়। 'ম্যাজিক মুনশি' যখন প্রথম বার পড়ি, তখন রিভিউ জিনিসটা কি সে সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলোনা। আজ যখন দ্বিতীয় বার পড়ে শেষ করলাম, তখন রিভিউ না দিয়ে থাকতে পারলামনা। ব্যাপারটা এই উপন্যাসের মতোই অদ্ভুত, তাইনা? চিরচেনা হুমায়ূনীয় বাচনভঙ্গিতে লেখা এই উপন্যাসের মান বিচার করার কোন যোগ্যতা আমার নেই। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। ভালো লেগেছে, এবং সেই ভালো লাগাটা প্রথম বারের তুলনায় কোন অংশেই কম না - এটা বলাই বোধহয় যথেষ্ট। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ডাইনি' গল্পটা সংযুক্ত আছে বইয়ের শেষে। তা না থাকলে 'ম্যাজিক মুনশি'-এর কলেবর আরেকটু ছোটই হতো। প্রচ্ছদ ভালো লেগেছে। বইয়ের মতোই রহস্যঘন আবহ আছে প্রচ্ছদে। মানিয়ে গেছে বলা যায়। রেটিং : ৫/৫ © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ হুমায়ুন আহমেদের একটি চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপূত্র কমলা’। এই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এমন একটি পুরনো রাজবাড়ি দরকার যেখানে একটা নাচঘর থাকবে, থাকবে টানা বারান্দা, আর থাকবে শ্বেতপাথরের বাধানো ঘাটের একটা বড় দিঘী, যে দিঘীতে পদ্মফুল থাকাটা বাঞ্ছনীয়। তো সেরকমই এক রাজবাড়ির খোঁজে অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় যাত্রা শুরু করেন প্রখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদ। সেই যাত্রাপথে তিনি দেখা পান রইসুদ্দিন নামের এক ইমামের, যাকে নিয়েই এই বইয়ের অবতারনা। মধ্যবয়স্ক রইসুদ্দিন গ্রামের মানুষের কাছে ম্যাজিক মুনশি নামে পরিচিত। লেখকের সাথে তাঁর দেখা খুব বেশি সময়ের জন্য না হলেও তাঁর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাটা লেখকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। অজ পাড়াগাঁর লোকজন তিলকে তাল করতে ওস্তাদ, তাই ম্যাজিক মুনশির ম্যাজিকের উপর লেখকের বিশেষ ভরসা ছিলনা, তবে ম্যাজিক দেখার পর লেখক যে একদমই চমৎকৃত হননি, তা কিন্তু বলা যাবেনা। ম্যাজিক মুনশি লেখকের মস্তিস্কের একটি স্থান দখল করে বসেছিল, যার ফলে ঢাকায় ফিরে এসেও তিনি তাঁর কথা ভুলতে পারেননি, অসুস্থ রইসুদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসতে চেয়েছেন। মুনশি রইসুদ্দিন ছাড়াও এই বইয়ে স্থান পেয়েছে জাদুবিদ্যার নানা ইতিহাস ও জাদু সম্পর্কিত লেখকের অভিজ্ঞতাসমূহ। ভারতবর্ষের তান্ত্রিক থেকে শুরু করে ঊনবিংশ শতাব্দীর যাদুকর রবার্ট হেলার, সম্রাট কুফুর দরবারের জাদুকর চাটচা আংখ, জমিদারপুত্র গণপতি বাবু, প্রসিদ্ধ জাদুকর পি সি সরকার, প্রাচীন মিশরের ফারাও (ফেরাউন), মালব দেশের ভোজরাজা, আমেরিকান স্ট্রিট ম্যাজিশিয়ান ডেভিড ব্লেইন উঠে এসেছেন এই বইয়ের পরিসরে। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ এই বই আমার ভাল লেগেছে ম্যাজিক মুনশির জন্য না, যাদুবিদ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনের জন্য। এই বই পড়েই আমি জানতে পারি ম্যাজিকের ইতিহাস, প্রখ্যাত ম্যাজিশিয়ানদের নাম, তাদের পরিনতি, ইত্যাদি। হাতসাফাই, রোপ ট্রিক, মিসডিরেকশন, কালোশক্তি, কুসংস্কার সম্পর্কেও মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায় এই ‘ম্যাজিক মুনশি’ পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
"ম্যাজিক মুনশি" উপন্যাসটি হুমায়ন আহমেদের একটি বিশ্লেষন ধর্মী রহস্যময় উপন্যাস বলা যেতে পারে।এই উপন্যাসের মূল রহস্যের উপাদান হল ম্যাজিক যার বিশ্লেষন দেয়ার অনন্য চেষ্টা লেখক করেছেন অনেকটা সফল হলেও কিছু জিনিস তার কাছে অবর্ণনীয়ই থেকে গেছে।তবে পাঠকগন এই উপন্যাস পরে ম্যাজিকের জন্ম ও প্রসারের ইতিহাস জানতে পারবেন যা এই বইয়ে অনেক সুন্দরভাবে বিশ্লেষন করেছেন লেখক।তবে এই বই পড়ে যাদু বিদ্যা বা ব্লাক ম্যাজিক চর্চাকরা আমি মনে করি নিতান্তই বোকামি ছাড়া অন্য কিছু হবে না।এই উপন্যাসের পটভূমি সৃষ্টি হয় হুমায়ন আহমেদ যখন তার অন্যতম চলচিচত্র "ঘেটুপুত্র কমলা" এর সুটিং লোকেশন দেখতে লঞ্চে করে সুনামগঞ্জ যাচ্ছিলেন তখন।পথেরমধ্যে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চ।তারপরও কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়ে লঞ্চ একটা জায়গাই আটকে যায়।সেখানে হুমায়ন আহমেদের পরিচয় হয় রইচ উদ্দিন মুন্সি নামের এক মসজিদের ইমামের সাথে।কথায় কথায় জানতে পারেন রইচ উদ্দিন মুনশি ম্যাজিক পারেন।হুমায়ন আহমেদের ম্যাজিক ব্যাপারে প্রবল আকর্ষণ আগে থেকেই।রইচউদ্দিন মুনশি একটা ঘরে খালি হাতেই হুমায়ন আহমেদের সামনে অনেক ধরনের ম্যাজিক দেখাতে লাগলেন।খালি হাতেই ম্যাজিক দেখে হুমায়ন আহমেদ অনেক বিস্মিত হন এবং এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাড় করাতে চান।কিছু সফল হলেও কিছু কিছু জিনিস তার কাছে অপার্থিব বা অবিশ্লেষণীয় থেকে যায়।যাকে সবরকম যুক্তি- তর্কের উর্ধ্বে শুধু "রহস্য" বলেই অভিহিত করা যায় ।এরপর তিনি তার জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক রহস্যময় ঘটনার কথাও তুলে ধরেন তিনি যা তার কাছে অবিশ্লেষণীয় থেকে গেছে।তবে বলতে পারি রহস্যপ্রেমী ও ম্যাজিক নিয়ে যাদের অনেক আগ্রহ আছে তাদের জন্য বইটা অনেক ভাল লাগবে আশাকরি।
Was this review helpful to you?
or
আসলে "ম্যাজিক মুনশী" বইটাকে ঠিক উপন্যাস বলা যায় কি না তা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদও অনেকটা যেন সন্দিহান । আসলে ম্যাজিক মুনশী লেখকের মতে সত্যিকার অর্থেই এক রহস্যময়তার বর্ণনা আর যতটা পারা যায় ততটা বিশ্লেষণ । তবে হুমায়ূন আহমেদের মত সবার প্রতি আমারও একই আহবান,বইটি আপনারা স্রেফ শুধু জানার জন্য কিংবা উপভোগের জন্য পড়বেন । বইয়ে উল্লেখ করা কালো যাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা করতে গিয়ে মিছেমিছি কেউ হেলুসিনেশন এর ঝুঁকি নেবেন না । এবার বইয়ের কাহিনী তে আসা যাক । হুমায়ূন আহমেদ যখন "ঘেটুপুত্র কমলা" বানাবেন এটি তখনকার প্রেক্ষাপটের একটি ঘটনা । তিনি লোকেশন দেখতে সুনামগঞ্জ যাবেন বলে ঠিক করেছেন । লঞ্চে রওনাও দিয়েছেন । কিন্তু মাঝপথে ঝড় উঠে আরও নানা বিপাকে জড়িয়ে লঞ্চসমেত একটা জায়গায় আটকে গেলেন । তবে সেখানেই লঞ্চে থাকা খাওয়ার মোটামুটি ব্যবস্থা হয়ে গেল । সেই আটকে পড়ার সময়টাতে সেখানকার এক মসজিদের ইমামের সাথে হুমায়ূন আহমেদের পরিচয় হল । তাঁর নাম মুনশি রইসুদ্দিন । এই ইমাম সাহেব নানা রকম যাদুবিদ্যায় পারদর্শী । তিনি হুমায়ূন আহমেদের সামনে বসেই একটা নির্জন ঘরে একের পর এক যাদু দেখাতে লাগলেন । হুমায়ূন আহমেদের যাদু জিনিসটার প্রতি এক ধরণের আকর্ষণ আছে । তাই তিনি যতটা সম্ভব যাদুগুলোর একটা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছেন । তবে তার জন্য দরকার নানা রকম মূল্যবান উপকরণ । কিন্তু সেই মুহূর্তে ম্যাজিক মুনশি সেই যাদুগুলো দেখিয়েছেন একবারেই খালি হাতে । যাকে সবরকম যুক্তি- তর্কের উর্ধ্বে শুধু "রহস্য" বলেই অভিহিত করা যায় । এসব যাদু বিদ্যার ব্যাখ্যায় তিনি ব্ল্যাক ম্যাজিকের নানাবিধ বিস্ময়কর ইতিহাস এবং এগুলোর ভেতর যুক্তির খেলা কতটুকু বা গাণিতিক প্রভাব কতটুকু তার নানারকম ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছেন । নিজের জীবনের কিছু বিস্ময়কর ঘটনারও উল্লেখ করেছেন (আবারও বলছি,তবে সেগুলোর চর্চা না করার চেষ্টাই উত্তম ।) । এরপর আরো অনেক রহস্য,আরো কিছু নাটকীয়তা দিয়ে ইতি টেনেছেন রহস্যময়তার গভীর ইঙ্গিতবহনকারী এ গ্রন্থটির । বাকি উত্তেজনাগুলো না হয় চাপাই রাখলাম । পাঠকরা বইটি পড়ে সেই বিস্ময়গুলোর ভাগীদার হবেন আশা রাখি ।
Was this review helpful to you?
or
Magic Munshi is a famous Novel by Popular Novelist Humayun Ahmed sir. We found Humayun in different angel in Magic Munshi. Mr. Humayun narrate his memory of a journey by which he was searching the shooting spot for #getu_putro_komola He realize his experience of launch journey in tornedo. He highlight a man who comes from remote village. Villager's Thought about him as a magician. He is an Imam by proffession. He shows magic among the people to entertain them. But Mr Author Bring him as an character. Which character is hidden in many peremetre. I have read this novel in last year by order www.rokomari.com I have enjoyed every turn and line.
Was this review helpful to you?
or
It,s a wonderful book . By reading this book one can know that how deep minded writer Humayun ahamed was
Was this review helpful to you?
or
সবার পড়ার মত উপযোগী এই বইটি।সকল বয়সী পাঠক এই বই টী পড়ে বুঝতে পারবেন। এই বইতে ব্যাবহৃত হয়েছে অপূর্ব ভাষাশৈলী। যা পাঠক এর মন নিমিষেই জয় করে নিবে। এই লেখকের অন্যতম সেরা বই এটি ।তাই সকলের এই বইটী পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
ম্যাজিক মুনশী" বইটাকে উপন্যাস বলা যায় না।ম্যাজিক মুনশী কে বিশ্লেষন ধর্মী বই বললেই ভাল হল।এই বিশ্লেষন সাধারন কিছু নিয়ে নয়।ম্যাজিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা রয়েছে বইটিতে। বইটি পড়তে গিয়ে কোনভাবেই ম্যাজিক চর্চা করতে যাওয়া টিক হবে না। লেখক বই লেখার পাশা পাশি চলচিত্র ও বানিয়েছেন। এটা ঠিক ঐ সমকার কথা। লেখক তখন ঘেটুপুত্র কমলা বানানোর কাজে হাত দিয়েছেন। লেখক নিজে শুটিং এর লোকেশন দেখতে লঞ্চে করে রওনা হয়েছিলেন।যাত্রা পথে ঝড়ের সম্মুখীন হয়ে বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ে একজায়গায় আটকে গেলেন। সেই আটকে পড়ার সময়টাতে সেখানকার এক মসজিদের ইমামের সাথে হুমায়ূন আহমেদের পরিচয় হল । তাঁর নাম মুনশি রইসুদ্দিন । এই ইমাম সাহেব নানা রকম যাদুবিদ্যায় পারদর্শী । তিনি হুমায়ূন আহমেদের সামনে বসেই একটা নির্জন ঘরে একের পর এক যাদু দেখাতে লাগলেন । হুমায়ূন আহমেদের যাদু জিনিসটার প্রতি এক ধরণের আকর্ষণ আছে । তাই তিনি যতটা সম্ভব যাদুগুলোর একটা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছেন । তবে তার জন্য দরকার নানা রকম মূল্যবান উপকরণ । কিন্তু সেই মুহূর্তে ম্যাজিক মুনশি সেই যাদুগুলো দেখিয়েছেন একবারেই খালি হাতে । যাকে সবরকম যুক্তি- তর্কের উর্ধ্বে শুধু "রহস্য" বলেই অভিহিত করা যায় । এসব যাদু বিদ্যার ব্যাখ্যায় তিনি ব্ল্যাক ম্যাজিকের নানাবিধ বিস্ময়কর ইতিহাস এবং এগুলোর ভেতর যুক্তির খেলা কতটুকু বা গাণিতিক প্রভাব কতটুকু তার নানারকম ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছেন । নিজের জীবনের কিছু বিস্ময়কর ঘটনারও উল্লেখ করেছেন।বইটি পড়তে যতটা আশা করে বসেছিলাম কিন্তু ততটা ভাল লাগেনি। কিন্ত যাদের ব্লাক ম্যাজিক নিয়ে আগ্রহ আছে তারা মিস করবেন না আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের কাছ থেকে অধিকাংশ পাঠক শুধু উপন্যাসই আশা করে। হুমায়ুন আহমেদের নন ফিকশন ঘরানার লেখা যে অনেক হুমায়ুন ভক্তের কাছেই সাদরে গ্রাহ্য নয়, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে 'বৃক্ষকথা' নামক বইয়ের মাধ্যমে। গাছগাছালি নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের জ্ঞানগর্ভ কথা সেই বইয়ের কাটতি বাড়াতে পারেনি। উপন্যাস ভেবে যারা বইটি কিনেছিল, তাদের মধ্যে একটা বড়সংখ্যক 'ক্রেতা' পরবর্তিতে বইটি কেনা নিয়ে হতাশা ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। তো, যারা এরকম শুধু হুমায়ুন আহমেদের কাছ থেকে উপন্যাসই আশা করেন, তাদের 'ম্যাজিক মুনশি' বইটি ভাল লাগার কথা না। কারণ এটিকে বাস্তবিক অর্থে ঠিক উপন্যাস বলা চলে না। প্রকাশক হয়ত এটিকে উপন্যাসের তকমা গায়ে লাগিয়েই 'বাজারজাত' করেছিলেন কিন্তু স্বয়ং লেখকই বইটিকে উপন্যাসের বদলে 'রহস্যময়তার বর্ণনা ও কিছুটা বিশ্লেষণ' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। 'ম্যাজিক মুনশি'তে লেখক কিছুটা উপন্যাসের কাঠামো ব্যবহার করেছেন ঠিকই। কিন্তু সেটা নিছকই কোন প্রেক্ষাপটে কিভাবে ম্যাজিক মুনশির সাথে তাঁর দেখা হয়েছিল, তার প্রস্তাবনা হিসেবে। উপন্যাসের আঙ্গিকে লেখা সেই প্রস্তাবনা অংশের ব্যাপ্তি অবশ্য খুব বেশি দীর্ঘ নয়। তবে সেটুক অংশে বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে হুমায়ুন আহমেদের তীক্ষ্ণ রসবোধ। এই অংশটুকু তিনি বর্ণনা করেছেন নিজেকেই উত্তম পুরুষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে। এখানে মূলত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার স্মৃতিই বর্ণনা করেছেন তিনি। তাই উপন্যাসের চেয়ে আত্মজৈবনিক লেখার স্বাদ বেশি পাওয়া যাবে এই অংশে। যে সময়ের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবনা অংশে তখন হুমায়ুন আহমেদ প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন 'ঘেটুপুত্র কমলা' নামক চলচ্চিত্রের নির্মাণের। এই চলচ্চিত্রের শুটিং স্পট দেখার উদ্দেশ্যে হাওড় অঞ্চলে যাচ্ছিলেন তিনি। এই যাত্রার বিভিন্ন মজাদার ঘটনা এবং কিভাবে যাত্রার মাঝপথে তাঁর লঞ্চ ঝড়ের প্রকোপে পড়েছিল এবং ঘটনাচক্রে তারই প্রেক্ষিতে ম্যাজিক মুনশির সাথে তাঁর দেখা হয়েছে, সেই বর্ণনা আছে বইয়ের শুরুতে। এরপর ম্যাজিক মুনশির ম্যাজিকের কথা শোনা এবং ম্যাজিক মুনশির কয়েকটি ম্যাজিক দেখার পর থেকেই লেখক চলে যান নন ফিকশন টাইপের লেখায়। এই অংশে তিনি ম্যাজিকের নানা ইতিহাস, বিভিন্ন ম্যাজিকের কৌশল, গণিত, ধর্মীয় মিথ, ব্ল্যাক ম্যাজিক সংস্লিষ্ট ঐতিহাসিক কিছু ঘটনা প্রভৃতির উল্লেখ করেছেন এবং এসবের মাধ্যমে ভোজবাজির ম্যাজিকের মধ্যেও যে কিছু রহস্যময়তা রয়েছে, সেটা তুলে ধরেছেন। যেহেতু ম্যাজিকের জগতটাই অনেক বেশি রহস্যময় ও জটিল, সেকারণে নন ফিকশনের আঙ্গিকে লেখা এই অংশগুলোকে লেখক যতই সাবলীলভাবে তুলে ধরেন না কেন, তবু বিষয়বস্তুগত জটিলতা বর্ণনার ভাষায়ও ধরা পড়েছে। ম্যাজিক বিষয়ে কিংবা নেহাতই হুমায়ুন আহমেদের লেখার প্রবল ভক্তদের কাছে এটা খুব বড় সমস্যা না হলেও, সাধারণ পাঠক যারা কেবল হুমায়ুন আহমেদের গল্প-উপন্যাস পড়েই অভ্যস্ত, তাদের কাছে এই অংশটি সহজবোধ্য নাও হতে পারে। যাইহোক, নন ফিকশন ঘরানার বিশ্লেষণাত্মক লেখনীর ফাঁকে ফাঁকে লেখক ম্যাজিক মুনশির কথা এবং কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণও করেছেন। কোটেশন হিসেবে ব্যবহার করেছেন কুরআন, বাইবেল উত্যাদির আয়াত এবং কিছু কবিতার লাইনও। একটা পর্যায় ব্ল্যাক ম্যাজিক ও উইচদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক উল্লেখ করেছেন যে বাংলা সাহিত্যে ডাইনিদের নিয়ে খুব একটা লেখা হয়নি। উল্লেখযোগ্য লেখা একটাই আছে। সেটা তারাশংকরের 'ডাইনি'। পরবর্তিতে এই বইয়ের শেষ অংশে লেখক পাদটীকা হিসেবে 'ডাইনি' গল্পটিও সংযোজিত করেছেন। কালের কন্ঠের ঈদ সংখ্যায় যখন 'ম্যাজিক মুনশি' পড়েছিলাম, সেখানে কিন্তু এই বাড়তি অংশটুকু ছিল না। কিন্তু 'ম্যাজিক মুনশি' লেখাটি গ্রন্থবদ্ধ করার সময় লেখক এই বিশেষ কাজটি করেছেন। এর ফলে সহজেই যে পাঠকের একটি কৌতূহল মেটানো সম্ভব হয়েছে বা ভবিষ্যতেও হবে, তা অনস্বীকার্য। তারপরও একটি কথা না বলে উপায় নেই, বাড়তি সংযোজনের পেছনে প্রকাশকের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে কেননা তারাশংকরের 'ডাইনি' গল্পটি জুড়ে দেয়ায় বইটি ৮৬ পৃষ্টা পর্যন্ত গিয়েছে নইলে ৬৯ পৃষ্ঠাতেই শেষ হয়ে যেত! যাইহোক, আবারো বলছি 'ম্যাজিক মুনশি' বইটি ক্রয়ের আগে পাঠককে অবশ্যই বুঝতে হবে যে এটি কোন ফিকশন নয়। তারপরও যারা ম্যাজিকের ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে কিংবা হুমায়ুন আহমেদের লেখার প্রতি ভালোবাসা থেকে বইটি কিনবেন, তাদের মনোরঞ্জন যেমন করতে পারবে বইটি তেমনি জ্ঞানপিপাসাও মেটাতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
ঘেটুপুত্র কমলা ছবির শুটিং লোকেশন খুঁজতে লেখক সুনামগঞ্জের একটা জায়গায় যাচ্ছিলেন। সুনামগঞ্জ থেকে লঞ্চে করে যেতে হয়। যাত্রাপথে তার লঞ্চ ঝড়ের সম্মুখীন হয়।প্রচন্ড বাতাসে লঞ্চের অবস্থা খুব খারাপ। এখন ডুবে তখন ডুবে অবস্থা। এই অভিজ্ঞতার আলোকেই তিনি "হিমুর আছে জল" উপন্যাস লেখার প্লট পান। ঝড় থেমে যাওয়ার পর লঞ্চ তারানগর নামে একটা জায়গায় এসে আটকে যায়। লঞ্চের ডিজেলের ড্রাম ফেলে দেয়া হয়েছিল ঝড়ের সময়। ডিজেল নেই বলে লঞ্চ আগাচ্ছে না। ডিজেলের খোঁজে লোক গেছে। এই তারানগর গ্রামেরই মসজিদের ইমাম সাহেব ম্যাজিক মুনশি নামে পরিচিত।তিনি লঞ্চে এসে লেখকের সাথে দেখা করলেন। লেখককে কয়েকটা অসাধারন ম্যাজিকও দেখালেন। লেখক এ জীবনে ম্যাজিক নিয়ে ভালোই পড়াশুনা করেছেন এবং অনেক ম্যাজিক দেখেছেন। পাড়াগাঁয়ের এক ইমাম সাহেব আর কি ম্যাজিক দেখাবেন? হয়তো পয়সা ভ্যানিশ করার ম্যাজিক অথবা দড়ি কাটার ম্যাজিক। কিন্তু ম্যাজিক মুনশি যে ম্যাজিক দেখালেন তাতে তিনি আশ্চর্য হয়ে গেলেন। তিনি ফেরার সময় ম্যাজিক মুনশিকে নলিনীবাবু বি.সি.এস বইটি দিয়ে আসেন। নলিনীবাবু বি.সি.এস বইটি পড়ার পর ম্যাজিক মুনশি বড় ধরনের একটা ধাক্কা খান।সেখান থেকে তিনি আর উঠতে পারেননি। এই বইয়ে প্রাচীন ভারতের অনেক ম্যাজিক এবং ম্যাজিশিয়ানদের কথা বলা আছে।ইউরোপ আমেরিকা ও মিশরের অনেক ম্যাজিশিয়ানের কথা বলা আছে।রাজা কিং জেমস উইচক্র্যাফট এক্ট ল নামে যে আইন করেছিলেন সেই সম্পর্কেও অনেক তথ্য আছে।মোটকথা ম্যাজিক নিয়ে তথ্যবহুল একটা বই হলো ম্যাজিক মুনশি। বইয়ের শেষে তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় এর ডাইনী গল্পটাও দেয়া আছে। ব্যক্তিগত মতামতঃ এক কথায় ভালো লেগেছে। যদিও এটা কোনও উপন্যাস নয়, লেখকের জীবনে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা মাত্র, তারপরেও ভালো লেগেছে।ম্যাজিক সম্পর্কে নতুন অনেক কিছু জানতে পেরেছি। লেখক পাঠককে অনুরোধ করেছেন বইটি দুইবার পড়ার জন্য। কেনো তিনি একথা বলেছেন, সেটা বইটি পড়লেই জানতে পারবেন। জ্বিন নামানোর একটা চক্রের কথা বর্ণনা করা হয়েছে নিয়ম সহ, ভুলেও কেউ সেটি করতে যাবেন না।লেখক নিজেও এটি করতে নিষেধ করেছেন।