User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে বেশি একটা ভালো লাগেনি। পড়ে কিছুটা বিরক্ত হয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
প্রথমত বইটি মোটেও ছোটদের জন্য নয়।ভাষাগুলো খুবই বাজে।এমন আশা করিনি।??
Was this review helpful to you?
or
'দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই' লেখক~হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী~ কাকলী প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা~৮৮ মুদ্রিত মূল্যা~ ১৮০ ফ্ল্যাপের কথা~ কানন বালা দেবীর বিখ্যাত গান- ‘যদি ভালো না লাগে তো দিও না মন।' মানব প্রজাতির একটি সমস্যা হলো, ভালো না লাগলেও তারা মন দিয়ে বসে থাকে। এ রকম একটি সমস্যা নিয়ে উপন্যাস লিখতে বসে লিখে ফেললাম, ‘দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই।' এটা প্রেমের উপন্যাস নাকি অপ্রেমের বুঝতে পারছি না। লেখকরা সব সময় বুঝেসুঝে লিখেন তা কিন্তু না। বইটা যে প্রেম নিয়ে লেখা তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ৷ তবে প্রেমটা কিন্তু অন্যান্য প্রেমের চেয়ে ক্ষানিকটা ভিন্ন স্বাদের ৷ কেমন ভিন্ন তা উপন্যাসটি না পড়লে বুঝা যাবে না। উপন্যাসটিতে প্রধান চরিত্র হিসেবে আছে লিপি। এর সাথে আছে লিপির বাবা, লিপির মা, লিপির বান্ধবী প্রতিমা, বড় মামা, কাজের বুয়া এমনকি হুমায়ুন আহমেদের পরিবারের দৃশ্যও লক্ষ্য করা যায়। উপন্যাসটি শুরু হয় লিপি নামক এক মেয়েকে কেন্দ্র করে। যে লালমাটিয়া গালর্স স্কুলের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। গরমের ছুটিতে সে সিদ্ধান্ত নিলো সে একটি উপন্যাস লিখবে। লিপি ঠিক করেন স্কুলের গরমের ছুটিতে তার এই সব কাহিনী নিয়ে সে একটা উপন্যাস লিখবে। আর সে সেই উপন্যাসের নাম দেবে "দাঁড়কাকের সংসার" আর উপন্যাসের কাহিনী হবে একজন বৃদ্ধ লোক ১৬ বছরের অসম্ভব এক রূপবতীর প্রেমে পড়বে। তারপর তাদের প্রেম সামাজিক বাধার সম্মুখীন হবে। এভাবেই লিপি কখনো উপন্যাস লেখার জন্য আহসান সাহেবের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার জন্য দেখা করে, কখনো একসাথে দাবা খেলে, কখনো বিকালে ছাদে গল্প করে তো কখনো মামাকে উচ্ছেদ করার ব্যাপারে পরিকল্পনা আটে। লিপিদের পরিবার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। তার বাবার বন্ধু আহসান সাহেবের বাসায় তারা আশ্রিতের মতো থাকে। লিপি তার বাবার বন্ধু ৫৫ বছর বয়সী আহসান সাহেবের প্রতি ভয়ানক দূর্বল হয়ে পড়ে এবং এভাবেই গল্পের কাহিনী এগিয়ে চলে। আহসান সাহেব বিবাহিত হলেও তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। নিঃসঙ্গ এই মানুষটার প্রতি লিপি গভীর মমতা অনুভব করে। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপারে সচেতন হলেও লিপি আহসান সাহেবের বিষয়ে অনেকটা খামখেয়ালি। বয়সের তুলনায় অনেক বেশি বুদ্ধিমতী লিপি ছোটো থেকে দুঃখ- দুর্দশার মাঝে বড় হলেও আহসান সাহেব তার জীবনে নিয়ে আসে জাঁকজমকতা। লিপির সকল চাওয়াকে বাস্তবায়ন করে। বৃষ্টির দিনে গাড়ি পাঠিয়ে লিপিকে স্কুল থেকে নিয়ে আসা। এছাড়াও তার বিশাল বাগান বাড়িতে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া। ঘরে এসি লাগানো, লিপির জন্মদিনে দামী গিফট দেওয়া। এভাবেই লিপির জীবনে আহসান সাহেব এক গভীর ছাপ ফেলে। তাদের বয়সের মধ্যে বিস্তর ফাড়াক হলেও সৃষ্টি হয় এক অসম প্রেম। এই গল্প লিপিকে কেন্দ্র করে হলেও কাহিনীর আবর্তে আসে লিপির মমতাময়ী বাবা-মা, কাজের বুয়া, লিপির মামা। লিপির মামা একজন ধুরন্ধর প্রকৃতির লোক। অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো একদিন লিপিদের বাসায় হাজির হয় এবং একটি রুম দখল করে থাকতে শুরু করে। লিপি লক্ষ্য করে তার মামা তার মায়ের সকল সম্পত্তি ছলেবলে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে। চরিত্রের অধপতনে জর্জরিত তার এই মামা তাদেরই কাজের বুয়ার সাথেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে লিপি শুরু করে তার মামাকে শায়েস্তা করার উদ্ভট সব প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় লিপিকে সাহায্য করার জন্য লিপির বাবা কখনো তার সাথে সলাপরামর্শ করে, কখনোবা আহসান সাহেব আবার কখনো লিপির সম্পর্কে স্কুলের বাথরুমে কুৎসিত সব কথাবার্তা লেখা লিপির একমাত্র প্রিয় বান্ধবী প্রতিমা এগিয়ে আসে। লিপির এসব উদ্ভট কর্মকাণ্ডে তার মামা তাকে আহসান সাহেবের রক্ষিতা বললেও তার উচ্ছেদ অভিযান চলতে থাকে। আমার কাছে বইটা হাস্যকর মনে হলেও কিছু সেন্সিটিভ বিষয় আছে বইটিতে। কয়েকটা জায়গায় এসব জিনিসগুলো বাদ দিলে পুরো বইটাই খুব ভালো লেগেছে। হুমায়ুন আহমেদের লেখা মানেই উদাসীনতার গন্ধ। লিপি চরিত্রটা আমার কাছে বরাবরের মতোই ভালো লেগেছে। লিপির উদাসীনতার সাথে ধীরে ধীরে পরিকল্পনা অনুসারে তার মামাকে দেয়া শিক্ষা টা আমার বেশ ভালো লেগেছে। [ভালোবাসা আর ঘৃণা আসলে একই জিনিস। একটি মুদ্রার এক পিঠে ভালোবাসা আরেক পিঠে থাকে ঘৃণা। প্রেমিক প্রেমিকার সামনে এই মুদ্রা মেঝেতে ঘুরতে থাকে। যাদের প্রেম যত গভীর তাদের মুদ্রার ঘূর্ণন তত বেশি। এক সময় ঘূর্ণন থেমে যায় মুদ্রা ধপ করে পড়ে যায়। তখন কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় "ভালোবাসা" পিঠটা বের হয়েছে। আবার করো করো ক্ষেত্রে "ঘৃণার" পিঠটা বের হয়েছে। কাজেই এই মুদ্রাটি যেন সব সময় ঘুরতে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এতেই হয়তো প্রেমের প্রকৃত সুখ পাওয়া যাবে।] রেটিং~ ৩.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
সাবলীল ভাষা ছাড়াও মাঝে মাঝে কিছু বইয়ে টুইস্ট থাকা প্রয়োজন। বইটিতে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে পরিপূর্ণ করা হয়েছে। অসম্ভব ভালো লেগেছে। উপন্যাসে সবসময় সাবলীল ভাষা আর দুঃখের কাহিনী থাকবে এমনটা নয়। হাস্যরসাত্মক এবং সাবলীল ভাষার কিছুটা বাইরেও বইকে নান্দনিক রুপ দেয়া যায়। তারই উদাহরণ এই বইটি। অসম্ভব ভালো লেগেছে❤️
Was this review helpful to you?
or
Fantastic
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে বইটি ভালো লেগেছে।বইয়ের মূল চরিত্র,,গল্পের নায়িকার সাথে তার ভালোবাসার মানুষের বয়সের বিস্তর ফারাক।কিন্তু মেয়েটা এসব কিছুই মানেনা।তাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসে।নানা রকম পাগলামী করে।অভিমান করে। এই বইটি পড়ার পর কিছুদিন আমারও অমন বেশি বয়সের মানুষ ভালো লাগতে শুরু করেছিলো।সত্যিই হুমায়ূন স্যারের গল্প মানুষকে প্রভাবিত করে। ?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই- দাড়কাকের সংসার কিংবা মাঝেমাঝে তব দেখা পাই। লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। ধরন- কমেডি, জীবনধর্মী। প্রধান চরিত্র- লিপি, আহসান, লিপির বাবা, লিপির মা, কাজের বুয়া, লিপির মামা। গল্পটি লিপি নামক এক মেয়েকে কেন্দ্র করে যে লালমাটিয়া গালর্স স্কুলের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। গরমের ছুটিতে সে সিদ্ধান্ত নিলো সে একটি উপন্যাস লিখবে। লিপিরা একটি ভাড়া বাসায় থাকে। তাদের বাসার মালিক আহসান সাহেবের প্রতি তার দুর্বলতা আছে। তবে তাদের মধ্যে বয়সের বিস্তর প্রার্থক্য। তবে লিপির জন্য তা কোনো ব্যাপারই না। যদিও লিপি জানে তার পরিবার কিছুতেই এটা মেনে নেবেনা। তবে কিভাবে তা মানাতে হবে সে আগেই তা ভেবে রেখেছে। আহসান সাহেব লিপির বাবার বন্ধু। তার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই যে লিপি তার প্রতি আকর্ষিত হয়ে আছে। তবে লিপির প্রতি তিনি একটা আলাদা মায়া অনুভব করেন। এজন্য মাঝেমাঝে লিপিকে স্কুল থেকে আনার জন্য তিনি নিজের গাড়ি পাঠিয়ে দেন। লিপি কিছুটা অদ্ভুত টাইপের মেয়ে। তার কাজকর্ম অন্যান্য মেয়েদের চেয়ে আলাদা। যারফলে মাঝেমাঝে তার পরিবারের সদস্যদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এরকম এক পর্যায়ে দৃশ্যপটে হাজির হয় লিপির মামা। সে এসে লিপিদের বাসার একটা রুম দখল করে। কিছুদিন এখানে থাকবে বলে। লিপি লক্ষ্য করে তার মামা তাদের নানীর সমস্ত সম্পত্তি একাই মেরে দিচ্ছে। তার মায়ের জন্য কিছুই রাখছেনা। এছাড়া তাদের কাজের বুয়ার সাথেও তার মামার রাতের আলাদা সর্ম্পক তার নযরে পড়ে। লিপি তার মামাকে শায়েস্তা করার ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি আহসান সাহেবকেও সে একটা পর্যায়ে পটিয়ে ফেলে। তবে এরপর লিপি কি করে? সে কি আহসান সাহেবকে বিয়ে করে? নাকি তার অল্প বয়সের মতিভ্রম কেটে যায়? তার মামাকেই বা সে কিভাবে শায়েস্তা করে? যারা লেখালেখি শিখতে চান তাদের জন্য কিন্তু এই বইতে সুন্দর কিছু টিপস উনি কৌশলে দিয়ে দিয়েছেন। শুরুতেই ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিয়েছেন, পড়লেই বুঝতে পারবেন। এছাড়া কাহিনীকে খুব সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। আমার দিক থেকে আমি বলবো এটা একটা কমেডী উপন্যাস। পড়া ধরার একটু পরপর খিলখিল করে হাসতে হয়েছে। আমার কাজিন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করতো অযথা হাসছিস কেনো? তাকে তো আর দীর্ঘ ব্যাখা দিতে পারছিনা কেনো হাসছি। যাহোক, যদি কারো মন খারাপ থাকে, বিষন্নতা ভর করে, কিংবা অনেকদিন হাসা হয়না তারা বইটা হাতে নিয়ে দেখতে পারেন। পুরোপুরি না হলেও কিছুক্ষনের জন্য মনটা হালকা হয়ে যাবে। পড়তে পড়তে মাঝেমাঝে এমন হাসি চলে আসে যে আশেপাশে কেউ থাকলে অবাক দৃষ্টিতে তাকায়। যে কেউ সানন্দে বইটা পড়তে পারেন। ধন্যবাদ রিভিউ পড়ার জন্য। রেটিং- ৪.৭০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
ফ্ল্যাপে লিখা কথা কানন বালা দেবীর বিখ্যাত গান- ‘যদি ভালো না লাগে তো দিও না মন।' মানব প্রজাতির একটি সমস্যা হলো, ভালো না লাগলেও তারা মন দিয়ে বসে থাকে। এ রকম একটি সমস্যা নিয়ে উপন্যাস লিখতে বসে লিখে ফেললাম, ‘দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই।' এই প্রেমের উপন্যাস নাকি অপ্রেমের বুঝতে পারছি না। লেখকরা সব সময় বুঝসুঝে লিখেন তা কিন্তু না। গল্পের নায়িকা অসম্ভব রূপবতী লিপি তার বাবার বন্ধু যে কিনা আবার তার অফিসের বস, আহসান সাহেবের প্রতি দুর্বল এবং এটি নিয়েই গল্পের কাহিনী। সাথে লিপির বান্ধবী প্রতিমা (সেও অসম্ভব সুন্দরী), লিপির বড় মামা চরিত্রগুলো বইটির আকর্ষণ বৃদ্ধি করেছে। বইটিতে একটি চমক হল স্বয়ং লেখক হুমায়ূন আহমেদ এবং তার স্ত্রী শাওনের উপস্থিতি। সেই চির চেনা হুমায়ুন আহমেদ, যার লেখা প্রতিটা লাইন ভালো লাগে। কাহিনী খুব দারুণ কিছু না হলেও, গল্প বলে যাওয়ার ঢঙ্গ সবসময়ের মতোই আঁকড়ে ধরে রাখে প্রতিটা লাইনে। “ভালোবাসা আর ঘৃণা আসলে একই জিনিস। একটি মুদ্রার এক পিঠে "ভালোবাসা" আরেক পিঠে লেখা ঘৃণা। প্রেমিক প্রেমিকার সামনে এই মুদ্রা মেঝেতে ঘুরতে থাকে। যাদের প্রেম যতো গভীর তাদের মুদ্রার ঘূর্ণন ততো বেশি। এক সময় ঘূর্ণন থেমে যায় মুদ্রা ধপ করে পড়ে যায়। তখন কারো কারোর ক্ষেত্রে দেখা যায় "ভালোবাসা" লেখা পিঠটা বের হয়েছে, কারো কারো ক্ষেত্রে ঘৃণা বের হয়েছে। কাজেই এই মুদ্রাটি যেন সবসময় ঘুরতে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ঘূর্ণন কখনো থামানো যাবে না।” দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই বইয়ের কিছু বিখ্যাত উক্তি।
Was this review helpful to you?
or
Amar valo legeche
Was this review helpful to you?
or
লিপি মেয়েটাকে আমার ভালো লেগেছে, বয়স কম হলেও যথেষ্ট বুদ্ধি আছে যেটা সে কিছু কিছু জায়গাতে খুব ভালো মত এই বুদ্ধি খরচ করে,কিন্তু আহসান সাহেবকে নিয়ে কিছু কিছু জায়গাতে বোকামি করলেও তার বয়সের ক্ষেত্রে এই বোকামি করাটা স্বাভাবিক।
Was this review helpful to you?
or
ফালতু, জঘন্য একটা বই...
Was this review helpful to you?
or
কানন বালা দেবীর বিখ্যাত গান- ‘যদি ভালো না লাগে তো দিও না মন।' মানব প্রজাতির একটি সমস্যা হলো, ভালো না লাগলেও তারা মন দিয়ে বসে থাকে। এ রকম একটি সমস্যা নিয়ে উপন্যাস লিখতে বসে লিখে ফেললাম, ‘দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই।' এই প্রেমের উপন্যাস নাকি অপ্রেমের বুঝতে পারছি না। লেখকরা সব সময় বুঝসুঝে লিখেন তা কিন্তু না। ভালোবাসা আর ঘৃণা আসলে একই জিনিস। একটি মুদ্রার এক পিঠে ভালোবাসা আরেক পিঠে লেখা ঘৃণা। প্রেমিক প্রেমিকার সামনে এই মুদ্রা মেঝেতে ঘুরতে থাকে। যাদের প্রেম যগ গভীর তাদের মুদ্রার ঘূর্ণন তত বেশি। এক সময় ঘূর্ণন থেমে যায় মুদ্রা ধপ করে পড়ে যায়। তখন কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় "ভালোবাসা" লেখা পিঠটা বের হয়েছে। করো করো ক্ষেত্রে "ঘৃণা" বের হয়েছে। কাজেই এই মুদ্রাটি যেন সব সময় ঘরতে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
Was this review helpful to you?
or
লিপি লালমাটিয়া হাই স্কুলের দশম শ্রেণীতে পড়ে।বয়ঃসন্ধিকালীন কিছু অদ্ভূত বৈশিষ্ট্য তার চরিত্রে লক্ষ্যণীয়। সে একই সাথে প্রখর বুদ্ধিমতি এবং আবেগী।সে তার বাবা-মায়ের সাথে তার বাবার বন্ধুর বাড়িতে থাকে এবং তার বাবা সেই বন্ধুর অধীনে ছা-পোষা কোনো কাজ করে।লিপি তার পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার ব্যাপারে সচেতন।বয়ঃসন্ধিকালীন মনঃস্তাত্ত্বিক জটিলতা অথবা নিঃসঙ্গ একজন মানুষের প্রতি স্বাভাবিক মমতা তাকে তার বাবার বন্ধু আহসান সাহেবের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে।।এই মানসিক সংকট এবং অন্যান্য পারিবারিক জটিলতা গল্পকে গতিশীল রাখে।তার মধ্যবিত্ত,সাদামাটা জীবনে বৈচিত্র্য নিয়ে আসে প্রৌড় আহসান সাহেব।লিপি যা চায় সে মোতাবেক সে অদ্ভূত সকল পরিকল্পনা করে এবং তার চওয়াকে বাস্তবায়ন করে।তবে লিপি তার বয়সের তুলনায় অনেক বেশি বিচক্ষণতা এবং পরিপক্কতা নিয়ে সকল পরিস্থিতি নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসে, ঘটাতে থাকে অদ্ভূত সব ঘটনা।শেষ পর্য্ন্ত সে এক অভাবনীয় কান্ড ঘটায় নিজের জীবনে।লিরপিকে আপাতঃভাবে খানিকটা অদ্ভূত মনে হলেও তার চরিত্রের এক অদ্ভূত আকর্ষন ও ভাল লাগা রয়েছে, যাকে সহজে অস্বীকার করা যায় না। এভাবেই এগিয়ে চলে লিপির গল্প।--- লেখক পরিচিতি: হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত।
Was this review helpful to you?
or
বইমেলার সময় পত্রিকায় বইটির বিজ্ঞাপনে 'হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস' দেখে আগ্রহের সাথেই বইটি কিনেছিলাম। সন্দেহ নেই বইটি বেশ সুন্দর এবং প্রাঞ্জল তবে তাঁর অন্যান্য প্রেমের উপন্যাস গুলোর চেয়ে এটিকে কেমন যেন মলিনই মনে হল। গল্পের নায়িকা অসম্ভব রূপবতী লিপি তার বাবার বন্ধু যে কিনা আবার তার অফিসের বস, আহসান সাহেবের প্রতি দুর্বল এবং এটি নিয়েই গল্পের কাহিনী। সাথে লিপির বান্ধবী প্রতিমা (সেও অসম্ভব সুন্দরী), লিপির বড় মামা চরিত্রগুলো বইটির আকর্ষণ বৃদ্ধি করেছে। বইটিতে একটি চমক হল স্বয়ং লেখক হুমায়ূন আহমেদ এবং তার স্ত্রী শাওনের উপস্থিতি। আরেকটি কথা, বইটির ভাষা ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে মোটেই শালীন নয়। একটা উদাহরণ দেই। অংক ম্যাডামকে লেখা প্রতিমার চিঠি- " ও আমার লুতু লুতু পুতু পুতু গুতু গুতু সোনা। তুমি কেমন আছ লক্ষ্মী? তুমি আমার পক্ষী। আচ্ছা পুতু পুতু গুতু গুতু, শোনো। তুমি তোমার পাছাটা এত বড় কীভাবে বানিয়েছ? নিশ্চয়ই বিশেষ কোনো এক্সারসাইজ করো।" (এগুলো এই রিভিউ-এ দেয়া ঠিক হল কিনা বুঝতে পারছি না। ভুল হলে পাঠক নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন) এই হল অবস্থা। পুরো বইয়েই এরকম কথা আছে আরও বেশ কিছু। রক্ষণশীল পরিবারের সদস্য হলে বইটি পরিবারের সদস্যদের পড়তে না দেয়াই ভালো !!
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের পাড়ভক্ত হলেও এই বইটি পড়ে যারপরনাই বিরক্ত হয়েছি। হুমায়ূন সূলভ লেখা এই বইতে পাওয়া যায়নি। এই সময়ে তার প্রেমের উপন্যাস লেখার লেখনীশক্তি বোধহয় কিছুটা ফুরিয়ে গিয়েছে। মেঘের উপর বাড়ি, হিমু এবং হার্ভার্ড পিএইচডি বল্টু ভাই, যখন নামিবে আধার অসাধারণ রকমের সুন্দর হয়েছে। কিন্তু এই গল্পটা আশাহত করেছে।