User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বহু লেখল গল্প লিখেছে, হাজারো কবি কবিতা লিখেছে, শতশত শিল্পী গান গেয়েছেন তবে এসব কিছুর ভিতর কিছুটা কৃত্রিম শোক বা ব্যাথা রয়েছে কিন্তু একাত্তরের চিঠি গুলোতে সব গুলো চিরন্তন সত্য শোক, ব্যাথা,আবেগ আর সংগ্রামের কথা আছে। তাই বইটিকে বাংলাদেশ ইতিহাসের ডকুমেন্টারি বললে ভুল হবে না বা এটাকে একটি দলিল ও বলা যেতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
অর্ডার করার সাথে সাথেই পেয়ে গিয়েছি। রকমারিকে ধন্যবাদ। বইটা দেশের অমূল্যবান সম্পদ। আশা করি আমার জ্ঞান আরো সমৃদ্ধ হবে।
Was this review helpful to you?
or
I think Everybody should collect this Book <3
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Inspiring and informative.
Was this review helpful to you?
or
thanks for delevary
Was this review helpful to you?
or
Love it
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব ভালো বই। নতুন প্রজন্মের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
চোখে জল পেরিয়ে পড়ে
Was this review helpful to you?
or
#সপ্তর্ষি_রকমারি_বুকরিভিউ_প্রতিযোগ রিভিউকারীঃ মোঃ মুজাহিদ হাসান সিফাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ জেলাঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ই-মেইলঃ [email protected] বইয়ের নামঃ একাত্তরের চিঠি প্রকাশনাঃ প্রথমা প্রকাশন একাত্তরের চিঠি মূলত পত্র সংকলন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের বাবা, মা, বোন, স্ত্রী, কন্যাকে যে চিঠি দেওয়া হয় সেগুলোর মধ্যে ৮২ টি চিঠি নিয়ে একাত্তরের চিঠি বইটি রচিত হয়। এ বইয়ের লেখক মুক্তিযোদ্ধারা। তারা ছিলেন ছাত্র, সরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষক, তরুণ যোদ্ধারা, অল্পশিক্ষিত যুবকেরা। প্রথম চিঠিটি শহীদ কাজী নূরন্নবীর। যিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন। শেষ চিঠিটা অ্যাডভোকেট এম এ সামাদ, তিনি ২০০৭ সালে মৃত্যু বরণ করেন। ৮২ টি চিঠির বেশির ভাগই মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা। তন্মধ্যে ১০ টি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা রুমীর। পুরো নাম শাফী ইমাম রুমী। বাবা শরীফুল আলম ইমাম আহমেদ, মা জাহানারা ইমাম। মুক্তিযুদ্ধের লিখিত চিঠিগুলো শুধু লেখক-প্রাপকের সম্পর্কে সীমাবদ্ধ নয়; যেন রক্ত দিয়ে রচিত এই কথামালা যেমন সবার সম্পদে পরিণত হয়, তেমনি পরিগণিত হবে ইতিহাসের এক অনন্য সম্পদ রূপে। ০৪ অক্টোবর, ১৯৭১ তারিখে মুক্তিযোদ্ধা দুলাল মায়ের মাধ্যমে অধিকৃত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার মতো প্রতিটি সন্তান কে এভাবেই আহ্বান জানানঃ "মাগো—বাংলার প্রতিটি জননী কি তাদের ছেলেকে দেশের তরে দান করতে পারে না—পারে না মা-বোনেরা ভাইদের পাশে এসে দাঁড়াতে? তুমিই তো একদিন বলেছিল, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন এ দেশের শিশুরা মা-বাবার কাছে বিস্কুট-চকলেট না চেয়ে চাইবে পিস্তল-রিভলভার।" এভাবে অজস্র উদাহরণ দেওয়া যায়। প্রকাশ করা যায় স্ত্রী ফাতেমা বেগম অনুকে লেখা চিঠিতে স্বামী পাটোয়ারী নেসারউদ্দিন নয়নের আকুতির কথাঃ "লক্ষ্মী আমার—মানিক আমার—চিন্তা করো না। তোমার নয়ন কুশলেই আছে।" "একাত্তরের চিঠি" কেন পড়বেন: "একাত্তরের চিঠি" বইটি আাসলেই অসাধারণ। পাঠকরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন। হাসি-খুশি, মমতা, ভালোবাসা, কান্না, সুখ-দুঃখ সব পাওয়া যাবে সকল চিঠির মাধ্যমে। সুতরাং, দেরি না করে বই টি পড়ে ফেলুন। লেখক সমালোচনা করার প্রশ্নই আসে না! কারণ, সকল লেখক মুক্তিযোদ্ধা, তাদের ঋণ শোধ করার মতো না। তাদের জন্যই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। সকল মুক্তিযুদ্ধার জন্য রইলো অপরিসীম ভালোবাসা। আমার মতামতঃ পাঠক, প্লিজ ইগনোর করবেন না। মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। কাঁদতে চান? তাহলে এই বইটি আপনার জন্য। শরীরে শিহরণ, হৃদয়ে শ্রদ্ধা, চোখে জল। বইটার সংজ্ঞা এমনই। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে যোদ্ধাদের লেখা চিঠির সংকলনে তৈরি করা হয়েছে বইটি। যোদ্ধাদের কষ্ট, পাকিস্তানিদের নিপীড়ন, তাদের পরিবারের অপেক্ষা; চিঠিগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। এই বই পড়ে খুব গর্ব কাজ করেছিল। হ্যাঁ, দেশকে পাওয়ার জন্য এতোটা কষ্ট আমরা করেছি। যোদ্ধারা সবসময় কাগজ কলমে লিখতেন না। অনেক সংগ্রাম পেরিয়ে পরিবারের কাছে নিজেদের খবর পাঠাতে হতো তাদের। সিগারেটের প্যাকেটে লেখা একটি চিঠি দেখে থমকে গিয়েছিলাম। আমাদের সকলের এই বইটা পড়া উচিত। নয় মাস কী পরিমাণ সংগ্রামের পর আমরা এ দেশকে পেয়েছি, তা জানার জন্য হলেও বইটা পড়া উচিত। "খোকা এলি" ঝাপসা চোখে মা তাকায়... ©Mujahid Hasan
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
ওকে
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল একটা বই
Was this review helpful to you?
or
Good Collection
Was this review helpful to you?
or
চিঠি গুল পড়লে চোখে জল চলে আসে
Was this review helpful to you?
or
সংগ্রহে রাখার মত বই
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর বই।
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর বইটি।
Was this review helpful to you?
or
some letter will make u cry
Was this review helpful to you?
or
Best forever
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
এতবছর এই ওই করে পড়া হয়নি জানিনা কেন.. খুব আগ্রহ করেই কেনা...যুদ্ধের সময় মানুষ কী ভাবত? কে ভেবেই তারা যুদ্ধে গিয়েছিল? তারা কী আমাদের মতোই ছিল? এইসব তখনকার চিন্তা আমার, মনে হয় স্কুলে পড়তাম আজকে অনেকটা সময় নিয়ে বই শেষ করলাম, রেখে উঠতে পারিও না, অনেককিছু বুঝেও উঠতে পারিনি... একটা চিঠিতে লেখা যে পরের মাসে হয়ত মার সাথে দেখা করতে যাবেন, উনিই সেইমাসের শেষের দিকে শহীদ হন.….পরের মাস আর আসেনি তার জীবনে.... আরেকটায় ছোট করে আঁকা মানচিত্রের ভিতরে মা লেখা... এই মানুষগুলি যে আবেগ নিয়ে, যে চিন্তা নিয়ে দেশের জন্যে এগিয়েছেন তা হয়তো আজকে আমি চিন্তাও করতে পারব না... পাঁচ ঘন্টা, ১২৭ পৃষ্ঠা - শুনলে মনে হয় খুব বেশি মনে হয় না কিন্তু এটার তুলনা আমি অন্য কোনকিছুর সাথে করতে পারব না...।
Was this review helpful to you?
or
বইটা বহু আগে কেনা, প্রায় আট- দশবছর হবে... এতবছর এই ওই করে পড়া হয়নি জানিনা কেন.. খুব আগ্রহ করেই কেনা...যুদ্ধের সময় মানুষ কী ভাবত? কে ভেবেই তারা যুদ্ধে গিয়েছিল? তারা কী আমাদের মতোই ছিল? এইসব তখনকার চিন্তা আমার, মনে হয় স্কুলে পড়তাম আজকে অনেকটা সময় নিয়ে বই শেষ করলাম, রেখে উঠতে পারিও না, অনেককিছু বুঝেও উঠতে পারিনি... একটা চিঠিতে লেখা যে পরের মাসে হয়ত মার সাথে দেখা করতে যাবেন, উনিই সেইমাসের শেষের দিকে শহীদ হন.….পরের মাস আর আসেনি তার জীবনে.... আরেকটায় ছোট করে আঁকা মানচিত্রের ভিতরে মা লেখা... এই মানুষগুলি যে আবেগ নিয়ে, যে চিন্তা নিয়ে দেশের জন্যে এগিয়েছেন তা হয়তো আজকে আমি চিন্তাও করতে পারব না... পাঁচ ঘন্টা, ১২৭ পৃষ্ঠা - শুনলে মনে হয় খুব বেশি মনে হয় না কিন্তু এটার তুলনা আমি অন্য কোনকিছুর সাথে করতে পারব না...
Was this review helpful to you?
or
কাঁদতে চান? তাহলে এই বইটি আপনার জন্য। শরীরে শিহরণ, হৃদয়ে শ্রদ্ধা, চোখে জল। বইটার সংজ্ঞা এমনই। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে যোদ্ধাদের লেখা চিঠির সংকলনে তৈরি করা হয়েছে বইটি। যোদ্ধাদের কষ্ট, পাকিস্তানিদের নিপীড়ন, তাদের পরিবারের অপেক্ষা; চিঠিগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। এই বই পড়ে খুব গর্ব কাজ করেছিল। হ্যাঁ, দেশকে পাওয়ার জন্য এতোটা কষ্ট আমরা করেছি। যোদ্ধারা সবসময় কাগজ কলমে লিখতেন না। অনেক সংগ্রাম পেরিয়ে পরিবারের কাছে নিজেদের খবর পাঠাতে হতো তাদের। সিগারেটের প্যাকেটে লেখা একটি চিঠি দেখে থমকে গিয়েছিলাম। আমাদের সকলের এই বইটা পড়া উচিত। নয় মাস কী পরিমাণ সংগ্রামের পর আমরা এ দেশকে পেয়েছি, তা জানার জন্য হলেও বইটা পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
একাত্তরের চিঠি, বইটির নাম শুনলেই বোঝা যায় যে, বইটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি বই। বইটিতে রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ( তারা যখন যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে গিয়েছিলো এবং যুদ্ধে অবস্থান কালে প্রিয় জনদের কাছে পাঠানো চিঠি) আলোচনা করা হয়েছে। বইটি পড়ে আমি মুক্তিযুদ্ধকালিন যোদ্ধাদের মনের অবস্থা সমন্ধে জানতে পেরেছি। এবং, যার মাধ্যমে আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
১৯৭১ সাল একই সাথে বাঙালির জন্য আনন্দ ও বেদনার বছর। বাঙালি তার বহু বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জন করেছিল এই বছর। একইসাথে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তির মন্দিরের সোপানতলে প্রাণ দিয়েছে ৩০ লাখ বাঙালি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করে লাখ লাখ মুক্তিকামী বাঙালি রণাঙ্গনে গিয়েছে। সেই মানুষগুলোর লেখা প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে পাঠানো অনেক চিঠি সংগ্রহ করা হয়েছে এই গ্রন্থে। এই গ্রন্থে ফুটে উঠেছে বহু মর্মস্পর্শী ঘটনা ; যা নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Was this review helpful to you?
or
excellent book
Was this review helpful to you?
or
এই যে আজ আমরা খুব নিশ্চিন্তে এদেশে বসবাস করছি! নিজেদের মত করে থাকতে পারছি আমরা স্বাধীন একথা বলতে পারছি সব কিছু সম্ভব হয়েছে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের মাধ্যমে তাদের প্রাণের বিনিময়ে তারা আমাদের এনে দিয়েছে মুক্তি। আমরা তাদের বীরত্বের কথা সবাই জানি কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন কেমন ছিলো তাদের অবস্থান? কেমন ছিলো তাদের অনুভূতি? কিভাবে তারা পরিবার পরিজনদের সাথে যোগাযোগ করতো বা যোগাযোগ করে কি কি বলতো সে কথা আমরা সবাই হয়তো জানি না। "একাত্তরের চিঠি" বইটা পড়ে মনে হলো আমি খুব কাছ থেকে আমাদের বীরদের জানতে পারছি! তারা সারাদিন কিভাবে কাটাতেন, কার সাথে কি করতেন, আগামীকাল তারা কোথায় যাবে, কিভাবে শত্রুদের হামলা করেছে, পরিবার প্রিয়জনের জন্য তাদের কি অনুভূতি কাজ করছিলো সেই সময় খুব স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে ১০০ টার অধিক চিঠি রয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলার সাহসী সন্তানরা তাদের প্রিয় মানুষকে পাঠিয়েছিলো। ভাবা যায় সেই সময় কতটা আবেগ, কষ্ট আর এক ঝাক ভালোবাসা নিয়ে তারা চিঠি লিখতো? পরিবার দিনের পর দিন মাসের পর মাস অপেক্ষা করতো একটা চিঠির জন্য! মা বাবা ভাই বোন অথবা প্রিয় মানুষটি ব্যকুল হয়ে অপেক্ষার প্রহর গনতো! শুধু একটা চিঠির জন্য। এই বুঝি খোকার চিঠি এলো রে! মুক্তিযুদ্ধ বাঙালী চেতনার একটা বড় অংশ আর মুক্তিযোদ্ধারা তার প্রাণ। এই বইটি মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধাদের খুব কাছ থেকে জানতে সাহায্য করে যারা অনেকেই শহীদ হয়েছেন! যাদের চিঠি নিয়ে বইটি তৈরি করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই বেঁচে নেই কিন্তু তাদের সেই দিনের অনুভূতি অনেকটা অনুভব করা যাবে বইটি পরতে গেলে। মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সময় একই কাগজে ৫/৬ জন মিলে চিঠি লিখে পরিবারের কাছে পাঠাতো। শুধু মাকে বলতো "আমি ভালো আছি মা! আপনি চিন্তা করবেন না, সবার খেয়াল রাখবেন" এমন সামান্য খবর পেয়ে মা খুশি হয়ে যেত। আবার চিঠি দিয়েই তারা একে অপরের সাথে গোপন তথ্য আদান-প্রদান করতো। কোথায় কখন কি হবে বা হতে পারে তা জানানো হতো। অনেকে নিজের পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কথা জানাতো। আসলে বইটি না পড়লে সেই দিনের অনুভূতি গুলো অনুভব করা সম্ভব না। আমরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অনেক বেশি ঋণী। বর্তমানে আধুনিকতার কাছে পূরনো অনেক নিয়মই হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের কি উচিত না তাদের সর্বত্র স্মরণ করা যাদের জন্যই আজ আমরা স্বাধীন। পরিশেষে এটাই বলবো নিত্যনতুন নানা গল্পের কাছে আমাদের মাঝ থেকে মুক্তিযুদ্ধের অনেক কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ এবং যোদ্ধাদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে না বা জানার আগ্রহ দেখায় না আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব! আর এই গর্ব আমরা যাদের জন্য করতে পারি চলুন না তাদের কে আমাদের সব ভালো কাজের মাধ্যমে স্মরণ করি। এই বইটি সহ মুক্তিযুদ্ধের সব বই পড়ার আহবান জানিয়ে শেষ করছি। ধন্যবাদ ❤
Was this review helpful to you?
or
বই: একাত্তরের চিঠি প্রকাশনী: প্রথমা প্রকাশ প্রথম প্রকাশ: মার্চ ২০০৯ (৩৪ তম মুদ্রণ মার্চ ২০১৯) অলংকরণ : অশোক কর্মকার প্রচ্ছদ : কাইয়ুম চৌধুরী মূল্য: ৩২০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৭ বই আলোচনা: একাত্তরের বিভীষিকাময় দিনের এক জীবন্ত সাক্ষ্য এ বইয়ের চিঠিগুলো। এত গৌরবময় এত বেদনাময় বছর বাঙালির জীবনে আগে কখনও আসে নাই। বছরটি ১৯৭১। এই একটি বছরের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশেকে চিনল, জানল, এবং বুঝতে পারল সবুজ শ্যামল প্রকৃতির কাদামাটির মতো নরম বাঙালি প্রয়োজনে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। পৃথিবীতর এমন দৃষ্টান্ত বিরল যে কেবল মাত্র ভাষার জন্য মানুষ সংগ্রাম করে। সাধারন, অতি সাধারণ কৃষক, জেলে, কামার, কুমার থেকে শুরু করে শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবি, শিল্পী, ছাত্র- ছাত্রী, স্ত্রী, কন্যা এমনকি বয়স্ক নারী পুরুষও এ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। অর্থাৎ এ এক জনযুদ্ধ। স্বাধীনতার জন্য যখন প্রাণের আবেগ দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে তখন পৃথিবীর যত ভয়ঙ্কর মরণাস্ত্রই ব্যবহার করা হোক না কেন, সেই আবেগের কাছে তা তুচ্ছ হয়ে যায়। এ বইয়ের চিঠিগুলো পর্যালোচনা করলেই বুঝতে পারা যায় কত আবেগ আগ্রহ আর ভালোবাসা নিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে এদেশের মানুষ জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পরেছিল স্বাধীনতার যুদ্ধে। আবেগের বসে যে সব শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত যুবক যুদ্ধে যোগদান করে। কিছুদিন পরেই তারা বুঝতে পারে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রর কতটা ভয়াবহ মারাত্মক, কতটা অসম যুদ্ধ। কিন্তু রণে ভঙ্গ দেয় না তারা বরং বুক চিতিয়ে আরও সাহস নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এসব চিঠি যেন তারই সাক্ষ্মী বহন করে। "মা, দোয়া করো। তোমার ছেলে আজ তোমার সন্তানদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে চলেছে। বর্বর পাকিস্তানি জনগোষ্ঠী আজ তোমার সন্তানদের ওপর নির্বিচারে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে তোমার সন্তানদের ইজ্জতের উপর আঘাত করেছে, সেখানে তো আর তোমার সন্তানেরা চুপ করে বসে থাকতে পারে না।...." বইয়ের সংগ্রহ করা বেশির ভাগ চিঠিই ছিল মায়ের কাছে লেখা। এদেশ টা যেমন মা,তেমন জন্মদাত্রী মায়ের কাছে তাদের লেখা চিঠিগুলোও ছিল আবেগঘন। দেশমাতৃকার সন্তানদের কাছে মা আর স্বদেশ মিলেমিশে হয়ে গেছে একাকার। ১৯ নভেম্বর, ১৯৭১ যুদ্ধের একদম শেষের দিকে নুরুল হক তার মাকে লিখেন, "যুদ্ধখানা হইতে তোমার পোলা', ' আমার মা, আশা করি ভালই আছ। কিন্তু আমি ভালো নাই। তোমায় ছাঢ়া কিভাবে ভালো থাকি। তোমার কথা শুধু মনে হয়। আমরা ১৭ জন। তার মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। তবু যুদ্ধ চালাচ্ছি। শুধু তোমার কথা মনে হয়। তুমি বলেছিলে, " খোকা মোরে দেশটা স্বাধীন আইনা দে", তাই আমি পিছু পা হই নাই হবো না।... পাঠ প্রতিক্রিয়া: প্রথম আলোর এ অভিনব উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। প্রায় অর্ধশত বছর আগের যে ইতিহাস রচিত হয়ে গেছে তার উজ্জ্বল সাক্ষী এ চিঠি গুলো। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এ যেন একখন্ড যুদ্ধ দলিল। প্রতিটা চিঠি কতটা আবেগ, বিশ্বাস আর দেশের প্রতি ভালোবাসার চিহ্ন বগন করে। বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আবেগ। সন্তানের প্রতি বাবার স্নেহের কথা চিঠিগুলো পড়তে পড়তে চোখ ভিজে যায়। প্রতিটা বাঙালির ঘরে ঘরে এ বই থাকা উচিত বলে আমার মনে হয়। একদিকে চিঠির ঐতিহ্য অন্যদিকে দেশ স্বাধীনের দলিরদল হিসেবে বইটা সবার পাঠ্য তালিকায় থাকবে বলে আমার ধারণা।
Was this review helpful to you?
or
এখানে কয়টা চিঠি আছে আর! হয়তো আরো হৃদয় বিদারক চিঠি অনেক মায়ের কান্নার জলে বর্ণ ধুয়ে গেছে। হয়তো অনেক চিঠি রক্তে ভেসে গেছে কল্পালোকে। হয়তো অনেক চিঠি ভয়ে ধ্বংস করেছে আত্নীয়রা। তবু প্রথমা এতগুলো চিঠি যোগাড় করেছে এবং পাঠের সম্মান দিয়েছে, ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ বইঃএকাত্তরের চিঠি প্রকাশনীঃপ্রথমা সংকলন ধরনঃমুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- চিঠি, ডায়েরি ও স্মৃতিচারণ দামঃ ৩২০ টাকা অনেকদিন আগে চিঠি লেখাটা ছিলো, একটা শিল্পের মতো, কিন্তু এখন এই ফেসবুকের দুনিয়ায় এই শিল্প বিলীনের পথে।।। আগে মনের ভাব প্রকাশ করা হতো এই চিঠির মাধ্যমে, এটা আমাদের সবারই জানা। এরকম ই এক সময়ে, সংঘটিত হয় মুক্তিযুদ্ধ,, দিনের পর দিন না দেখা হওয়া মানুষগুলো লিখতে থাকে তাদের মনের ভাব, আর লেখা সম্পূর্ণ হইলেই পাঠিয়ে দেয় প্রিয়জনের কাছে।। কিন্তু চিঠিগুলো কি আদৌ ঠিক মানুষের কাছে পৌছাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান থাকে চিঠির লেখকেরা।। সব সময় মনে একটা ভয়, কি হবে!! কি হবে!! বইটিতে ১৫০টি চিঠি সংগ্রহ করা আছে।।। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন ক্যাম্পে থেকে মুক্তিযোদ্ধারা যে চিঠি লিখেছেন তাদের আত্মীয়স্বজনদের উদ্দেশ্যে সেগুলো, এবং যারা বাড়ি থেকে যুদ্ধের জন্য বাবা মা কে না বলে চলে গিয়েছিল তাদের চিঠি সংকলিত রয়েছে।। এর মাঝে কেউ কেউ ছিলেন যারা দেশ স্বাধীন করে আবার ঘরে ফিরতে পেরেছিল,,আবার কেউ কেউ আছে চিঠি লেখার কিছুদিন পরেই পাকিস্তানি সৈনিকদের হাতে মারা যায়,,, মায়ের প্রতি নিজের সংসারের প্রতি কিছু দ্বায়িত্ববোধ থেকেও রয়েছে আবেগমাখা কিছু চিঠি।। কিছু চিঠি ছিল বড় অনেক সাংসারিক আলাপে ভরপুর,,সেগুলোর বিষয়বস্তু ছিলো জমিজমা নিয়ে।এগুলো পড়তে একটু খারাপ লেগেছে, আবার কিছু ছিলো বাবার দ্বায়িত্ববোধ থেকে সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখার আবদার, তার সহধর্মিনির প্রতি।।এগুলো খুবই আবেগে পরিপূর্ণ ছিলো। বাবা এবং তার ছোট বাচ্চা, মা ও তার ছেলে, আবার সদ্য জন্মগ্রহন করা বাচ্চার সাথে তার না দেখতে পারা বাবার যে কষ্ট এইসব চিঠিগুলো পড়ার সময় দৃশ্যগুলো চোখে ভাসছিলো।। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ প্রথম দিকে ভালোই আাগাচ্ছিলাম চিঠিগুলো পড়তে পড়তে, মাঝে একটু একঘেয়েমি লেগেছিল পড়ে আবার ঠিক হয়ে গেছে। আশা করি কারও খারাপ লাগবেনা,, তবে একটু সময় নিয়ে পড়তে হবে,,, প্রতিদিন ২/৩ টা করে পড়লে একঘেয়েমি আসবেনা।।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা বই। বইটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল
Was this review helpful to you?
or
Exceptional .Everyone should read specially who are interested about 1971 war.
Was this review helpful to you?
or
এত গৌরবময় বছর বাঙালির জীবনে আর কখনও আসেনি। 1971 সালের যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন , তারা স্বাধীন করেছেন আমাদের এই প্রিয় দেশ। সেই ভয়াবহ যুদ্ধের সময় লেখা তাদের হাতে লেখা চিঠি সমূহের সংকলন এই বইটি। প্রত্যেকটি চিঠি অসাধারণ। কোনটার সাথে কোনটার তুলনা চলে না। প্রত্যেকটা চিঠি হৃদয় ছুঁয়ে যায়।যে আবেগ, ভালোবাসা নিয়ে তারা যুদ্ধে গেছে তার কিছুটা হলেও এই চিঠি গুলো পরে বুঝতে পারা যায়।
Was this review helpful to you?
or
প্রতিটি চিঠিই সুন্দর লেগেছে। খটকাটা ভিন্ন জায়গায়, সত্যিই কি রণাঙ্গনের মাঝে বসে এভাবে লেখা সম্ভব? সুলিখিত চিঠি ছিল প্রতিটি। আবেগ আছে, প্রাণ আছে। এই সংকলনের কাজটাও ভাল। একাত্তরে যে বেদনা, যে গৌরব, যে গর্ব আর অহংকার তার ছাপ আছে প্রতিটা চিঠিতে। এককথায় সাধারণের মাঝে অসাধারণ প্রতিটি পত্র।
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়তে গিয়ে সেসব দিনের কঠিন ও ভয়ংকর দিনগুলোর ছবি বারবার চোখের উপর ভেসে উঠেছে।প্রত্যেকটি চিঠি ছিল এক একটি ভালবাসার আকুল প্রতিচ্ছবি। “একাত্তরের চিঠি” “একাত্তরের ডায়েরী” বইগুলোর মাধ্যমে মনে হয় যেনো মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোকে স্পষ্ট চোখের সামনে দেখতে পাই ।হাহাকার লাগে ভেতরে।হৃদয় ছুয়েঁ যায় প্রতিটা চিঠি।চোখের সামনে ভেসে উঠে বারবার মানুষগুলোর মততাময়ী মুখগুলো।
Was this review helpful to you?
or
কিছু গল্প আছে যার ধারা পাঠককে বইয়ের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। যে বইটি সম্পর্কে বলতে চলছি তা এমনি একটি গল্প যার ধারা আপনাকে মোহিত করবে। হৃদয়ের কোণে লুকিয়ে থাকা মুক্ত সত্তাকে নাড়া দেবে, নিঃশব্দে বলে যাবে অনেক কিছু ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ৭ বইঃএকাত্তরের চিঠি প্রকাশনীঃপ্রথমা সংকলন ধরনঃমুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- চিঠি, ডায়েরি ও স্মৃতিচারণ দামঃ ৩২০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপেঃ একাত্তরের চিঠি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে লেখা ৮২ টি চিঠির একটি সংকলন। দৈনিক প্রথম আলো ও গ্রামীনফোনের উদ্যোগে চিঠিগুলো সংগ্রহ করা হয়। সংকলনটি প্রথম প্রকাশিত হয় চৈত্র ১৪১৫, মার্চ ২০০৯ এ। সালাউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সম্পাদনা পবিষদে আরও ছিলেন আমিন আহম্মেদ চৌধুরী, রশীদ হায়দার, সেলিনা হোসেন এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ। চিঠি পড়ে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করতে পারি আমাদের বীর সন্তানদের, যে চিঠি উজ্জীবিত করবে দেশপ্রেম, আনবে শহীদের রক্ত ঋণ শোধে দৃপ্ত শপথ।তারমধ্য থেকে একটি চিঠি.... জনাব আব্বাজান, আজ আমি চলে যাচ্ছি। জানি না কোথায় যাচ্ছি। শুধু এইটুকু জানি, বাংলাদেশের একজন তেজোদৃপ্ত বীর স্বাধীনতাকামী সন্তান হিসেবে যেখানে যাওয়া দরকার আমি সেখানেই যাচ্ছি। বাংলার বুকে বর্গী নেমেছে। বাংলার নিরীহ জনতার উপর নরপিশাচ রক্তপিপাসু পাক-সৈন্যরা যে অকথ্য বর্বর অত্যাচার আর পৈশাচিক হত্যালীলা চালাচ্ছে, তা জানা সত্ত্বেয় আমি বিগত এক মাস পচিঁশ দিন যাবৎ ঘরের মধ্যে বিলাস-ব্যসনে মত্ত থেকে যে ক্ষমাহীন অপরাধ করেছি, আজ সেই অপরাধের পায়শ্চিত্ত করার জন্য যাত্রা শুরু করলাম। সমগ্র বাঙ্গালী যেন আমাকে ক্ষমাকরতে পারেন। আপনি হয়ত দুঃখ পাবেন। দুঃখ পাওয়ারই কথা। যে সন্তানকে দীর্ঘ ষোল বছর ধরে তিল তিল করে হাতে কলমে মানুষ করেছেন, যে ছেলে আপনার বুকে বারবার শনি কৃপনের আঘাত হেনেছে, যে ছেলে আপনাকে একটু শান্তি দিতে পারেনি, অথচ আপনি আপনার সেই অবাধ্য দামাল ছেলেকে বারংবার ক্ষমাসুন্দুর দৃষ্টিতে দেখেছেন, যার সমস্ত অপরাধ আপনি সীমাহীন মহানুভবতার সঙ্গে ক্ষমা করেছেন। আপনি আমাকে ক্ষমা করেছেন সম্ভবত একটি মাত্র কারণে যে, আপনার বুকে পুত্রবাৎসল্যের রয়েছে প্রবল আকর্ষন। চিঠির এতোটুকু পড়ে গভীরতা টা বোঝা যায় খুব সহজে, এরকম আরো ৮৪ টি চোখের জল ফেলানে চিঠি রয়েছে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পড়ে নিজেকে একাত্তরের মধ্যে খুজে পেলাম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নানা রকমের আবেগ অনুভুতি গাথা প্রিয়জনদের কাছে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লেখা চিঠিগুলো নিজের অজান্তেই চখের কোনে অশ্রুবিন্দু জমা করে।ছোট ছোট চিঠিগুলা সম্পূর্ণ ভালোবাসায় পূর্ণ। নিজের অজান্তেই চোখের কোনে পানি জমে উঠে। কিছু বই আছে যা ২য় বার পড়ার সাহস হয় না। এই বইটি তার মধ্যে অন্যতম। আসলে আমার অনুভূতি টা বুঝাতে পারছি না
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ সব চিঠির সমাহার পড়ে মুগ্ধ হয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
সাংবাদিক শেখ ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান,উপ-পরিচালক,প্রকৌশলী কোচিং সেন্টার,দিশারী অফিসের নিচতলা,খালিশপুর,খুলনা। মোবাইল : ০১৯১১-৯৬৫৩৩৯
Was this review helpful to you?
or
"Akattorer Chithi" boiti darun korese. Prothoma prokashonir book gulor modhe ata amar kase sera mone hoy. Jara 71 er judho dakheni tader jonno ata vishon sohayok tokhonkar manush ki obostay silo ata bujhar jonno. I like it. My family all members like this book.
Was this review helpful to you?
or
really all the letters are hear touching.
Was this review helpful to you?
or
ai chitiguli amder torun somajer jonno onek prerona jogai mukti joddo somporke.ai chiti gulo podle sadinota joddo na korleo jodder akta shad ,sheta ki koshter chila na shuker chilo ,koshter thakle kototuko koshter ta amra ai boi pode sorbouttom idea pai....
Was this review helpful to you?
or
ami boi ti pode c.wow..!! wt n xclnt job this is..!ami amr abeg dore rakte pari ni.Onk golu citi(letter) pode kanna krte hoise.allah amar shohid muktijodda bai der kobul korun amin. ami war criminal der mirthu deke jete parle vlo lagtho.amr mone hoi tader k khoma korar odikar karo nei..jodi na victim ra khoma na kore.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। ইতিহাসের অন্যতম একটা দলিল বললেও ভুল হবে না। কত আবেগ মিশ্রিত সব চিঠি। পড়তে পড়তে চোখ ভিজে যায়। সবার বুক শেলফের তাকে এই বইটি থাকা আবশ্যক বলে আমি মনে করি।
Was this review helpful to you?
or
আজকের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি,যুদ্ধের ভয়াবহতা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অবলোকন করেনি । কিন্তু তাদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা , মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা ধীরে ধীরে একটা পাকাপোক্ত আসন করে নিচ্ছে । মুক্তিযুদ্ধকে জানবার জন্য,জানাবার জন্য কয়েকটি গ্রন্থের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে । সেই অল্প কয়েকটি গ্রন্থের মাঝে নিঃসন্দেহে এই গ্রন্থটি একটি বলে আমি মনে করি । একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর যোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন । তারা বিভিন্ন সময় তাদের বাবা মা কিংবা আপনজনদের সাথে পত্র মারফত যোগাযোগ করেছেন । চিঠির ভাষাগুলো কখনও আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায় আবার কখনো বা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ৭১এর বীর সেনাদের দেশপ্রেম কত টা গভীর ছিল । তাদের চিঠিতে কেউবা বিদায় চেয়েছেন আপনজনের কাছ থেকে কেউবা বিদায়ের পাশাপাশি চেয়েছেন দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য দোয়া আবার কারও কলমের ভাষায় ঝরেছে দেশকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় । আর তাই এসব চিঠি আমাদের ভেতরের সুপ্ত মানুষটাকে জাগিয়ে তোলে,জাগিয়ে তোলে সুপ্ত দেশপ্রেম । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয় । দৈনিক প্রথম আলো এবং গ্রামীণফোনের এ অনন্য উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবীদার । তারা ৭১ সালে লেখা যুদ্ধের চিঠিগুলো সংগ্রহ করে তার সংকলন বের করার একটি সাহসী এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগের জন্য সত্যিই অভিনন্দন পাবার যোগ্য ।
Was this review helpful to you?
or
একাত্তরের চিঠিঃ আমরা ‘৭১-এ ছিলাম না। তাই ঠিক কোন প্রেক্ষাপট থেকে আমাদের দেশমাতৃকার “প্রবল উদ্যমী ও অসীম সাহসী” ( বলতে ও লিখতে যে বিশেষণগুলো আমরা হরহামেশাই ব্যবহার করি, কিন্তু বুঝিনা কেন করি !! ) ছেলেরা সব ছেড়ে-ছুড়ে কেনইবা যুদ্ধ করতে গিয়েছিলো তা বুঝতে পারি না। সবসময়ের শতব্যস্ততার ভিড়ে যেহেতু ‘এখনো জীবিত’ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গিয়ে তা শোনার সময়টুকুও আমাদের নেই তাই তাদের কিছু কথা হাতের কাছে এনে দিয়ে একটু হলেও সেই সময়ের অনুভূতিটুকু বোঝার সুযোগ করে দিয়েছে প্রথমা ও গ্রামীণফোন। বইটির পাতায় পাতায় ইতিহাস-আত্মত্যাগের, প্রত্যয়ের, ভালবাসার ও অনেকখানি অজানা ভবিষ্যৎ আশার। সেখানে আমাদের বীরসেনাদের সেই মুহুর্তের ভাবনাগুলোকে আমরা খুব কাছে থেকে দেখতে পাই, কয়েক সেমি. দূরত্বের বইয়ের পাতা পড়েই যেন অনুভব করতে চেষ্টা করি কয়েকশ মাইল দূরে থাকা, নাম না জানা স্বজনদের প্রতি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনাবিল আবেগগুলো । এই আবেগ আমাদের যেমন অতীত ত্যাগের স্মৃতিতটাকে তাড়িত করে তেমনি আমরা ভেতর থেকেও কিছু করার তাড়নাটা টের পাই। একসাথে আমার বেশ কিছু চিঠির কথা মনে পড়ছে। কিছু চিঠি ভাই লিখেছেন ভাইয়ের কাছে। কিছু আছে মায়ের কাছে ঘর পালানো সন্তানের লেখা। একটা চিঠি পেলাম বাবা লিখেছেন তার ছোট মামণিকে যে তার মাকে হয়তো দেখে রাখবে। অজস্র চিঠি আছে অর্ধাঙ্গীকে উদ্দেশ্য করে লেখা যেখানে সেই মুক্তিযোদ্ধা হয়তো আর কখনই তার সাথে দেখা করার সুযোগ পাবেন না। কিছু চিঠি হয়তো ডাকে পোস্ট হতে পেরেছে, কিছু হয়তো উদ্ধার হয়েছে মৃত্যুর পর। কিছু সীমান্তের ওপারে যাবার আগে লেখা, কিছুবা কোনো গেরিলা অপারেশনের আগে পরে লেখা। প্রতিটি চিঠিই একেকটা ভিন্ন ভিন্ন আবেগের প্রকাশবাহী। কিছু আবেগ শংকার, কিছু আবেগ আশাকে শতপূর্ণতা দেবার। কিছু আবেগ পাক বেনিয়াদের অন্যায়-গুলোকে যেমন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, কিছু ঠিক তেমনি ভাবে দেশের প্রতি সূর্যসন্তানগুলির হার-না-মানা মনোভাবকে তুলে ধরে। আলাদা আলাদা করে কোনো চিঠির কথাই বলে শেষ করতে পারবো না। তবে কয়েকটা ভাললাগার লাইনের কথা বলতে পারি আলাদাভাবে - " ওরা পশু। পশুত্বের কাহিনী শুনবে, মা? তবে শোনো। শত্রুকবলিত কোনো এক এলাকায় আমার এক ধর্ষিতা বোনকে দেখেছিলাম নিজের চোখে। ডেকেছিলাম বোনকে। সাড়া দেয়নি। সে মৃত। সম্পূর্ণ বিবস্ত্র দেহে পাশবিক অত্যাচারের চিহ্ন শরীরের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে। বাংলার শিশু ছিলো তার গর্ভে। তবু পাঞ্জাবী পশুর হায়না কামদৃষ্টি থেকে সে রেহাই পায়নি। সে মরেছে কিন্তু একটা পশুকেও হত্যা করেছে। গর্বিত, স্তব্ধ, মূঢ় ও কঠিন হয়েছিলাম। মাগো, বাংলাদেশে হানাদার বাহিনীর এমন অত্যাচারের কাহিনী শুনে ও দেখে কি কোনো জননী তার ছেলেকে প্রতিশোধের দীক্ষা না দিয়ে স্নেহের বন্ধনে ঘরে আটকে রাখতে পারে? পারে না ।" (মুক্তিযোদ্ধা 'বিপ্লব' , 'জাগ্রত বাংলা'-য় প্রকাশিত) সবাই শুধু মুক্তিযুদ্ধের গল্প লেখে আর শুনে, কয়জন অনুভব করতে পারে তা??-আমার তাতে সন্দেহ আছে। পাকিরা যে আমাদের এতটা নির্মমভাবে অত্যাচার করতে পেরেছে, আমাদের আদরের মা-বোনদের ধরে নিয়ে পাষবিক নির্যাতন চালিয়েছে- কেন জানি মনে হয় একসময় এগুলো মানুষের কাছে রূপকথা মনে হতে থাকবে। এখনই আমরা বিশ্বাস করতে চাই না এতগুলো লোককে মারা হয়েছে, আমরা তর্ক করি; সামনে তাই ঐ সময়টা আসা খুবই স্বাভাবিক। সেদিক থেকে হিসেব করলে এই বইটি সকলেরই পড়া উচিত, তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন ঠিক কোন পরিস্থিতিতে পড়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা সব কিছু ত্যাগ করে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন। তিনি চাইলেই শরণার্থীর আশ্রয় নিয়ে ভারতে চলে যেতে পারতেন কিংবা নিজের জীবনকে ধরে রেখে লুকিয়ে পড়তে পারতেন, কিছু না বলে কাটিয়ে দিতে পারতেন মাসের পর মাস। কিন্তু কেন, কীসের টানে পড়ে তিনি গেলেন নিজের জীবনকে সঁপে দিতে?? কেন একজন মা তার ছেলেকে ফিরে আসবেনা জেনেও যুদ্ধে পাঠিয়ে দিলেন? কেনইবা একজন বাবা বৌ-বাচ্চাকে মৃত্যুর হুমকির মুখে ফেলে মৃত্যুঞ্জয়ীর দেশে রওনা হলেন?? এযুগের একজন মানুষের পক্ষে মুখ দিয়ে এক লহমায় বলে দেয়া সম্ভব , দেশের টানে। কিন্তু প্রাণের বিশ্বাস থেকে উচ্চারিত হয়ে ‘মুখ দিয়ে বেরোনো ধ্বনি’ কিংবা ‘কলম দিয়ে লেখা অক্ষর’ কখনোই প্রকৃত আবেগকে তুলে আনতে পারবে না। ঠিক সেই জায়গা থেকেই এই বইটির চিঠিগুলোর মাহাত্ম্য। হয়তো আমরা পুরোপুরি আবেগগুলো ধরতে পারি না, কিন্তু তার উদ্দেশ্যগুলো হয়তো ধারণ করতে পারবো চাইলে । সেই একই আবেগ যদি আমরা নাই ধারণ করতে পারলাম, এসব মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আবেগে গদগদ হয়ে যাওয়া... তা কেবলই ফক্কিকার।
Was this review helpful to you?
or
It is best book for Bangladeshi people. I hope that all people should read it. It is connected with Bangladeshi Freedom Fighter. It pain full for life.
Was this review helpful to you?
or
''এত গৌরবময়, এত বেদনার বছর বাঙালির জীবনে আগে কথনো আসেনি। বছরটি ১৯৭১। এই এতটি বছরের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশকে জানল, চিনল এবং বুঝতে পারল সবুজ শ্যামল প্রকৃতির কাদামাটির মতো নরম বাঙলি প্রয়োজনে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।'' আর এই বাঙালির দেশপ্রেম, প্রত্যয়, দৃঢ়তা, মুক্তির অনির্বাণ আকাঙ্ক্ষা এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে আবেগ মিলেমিশে একাকার হয়ে এক অনির্বচনীয় 'মুক্তিযুদ্ধ' স্বাধীন বাংলাদেশকে জন্ম দিচ্ছিল। দেশপ্রসবকালিন সেই সময়ের অসাধারণ নিখাদ দলিল ‘একাত্তরের চিঠি’ । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে লেখা ৮২ টি চিঠির একটি সংকলন। দৈনিক প্রথম আলো ও গ্রামীণ ফোনের উদ্যোগে চিঠিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। সংকলনটি প্রথম প্রকাশিত হয় চৈত্র ১৪১৫, মার্চ ২০০৯ এ। সালাউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সম্পাদনা পবিষদে ছিলেন আমিন আহম্মেদ চৌধুরী, রশীদ হায়দার, সেলিনা হোসেন এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ। ইতিহাস ও সভ্যতার সন্ধান মিলে সেই সময়কার উপাদান দলিলদস্তাবেজ, সাহিত্যকর্ম, শিল্পকর্ম, ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের ডায়রি ও চিঠিপত্র ইত্যদির মাধ্যমে। এগুলোর গুরুত্ব সর্বজনীন ও বৈশ্বিক। আমরা আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি থেকে জানতে পারি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি পরিবারে কি ভয়াবহ অবস্থা নেমে এসেছিল। সেই কিশোরীটির দুই বছর দুই মাসের দিনলিপি পড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে মানুষ আতংকে হয়ে যায় বাকরুদ্ধ, মানুষের কষ্টের বাধ ভেঙে যায়, সারা পৃথিবীর মানুষ চমকে ওঠে সদ্য কিশোরীর কলমের আঁচড়ে। একইভাবে ‘একাত্তরের চিঠি’ পড়তে পড়তে স্মরণে আসে ১৯৬৭ সালে বলিভিয়ার সৈন্যদের হাতে নিহত মহান বিপ্লবী চে গুয়েভারা ডায়েরির কথা। একাত্তরের চিঠি সেরকম ওন একক ব্যক্তির ব্যক্তিগত ডায়রি নয়, সমষ্টিগত চিঠির সংকলন, যাতে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রণাঙ্গন থেকে স্বজনদের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের আবেগমথিত কথামালা, চেতনা ও প্রত্যয়ের দৃঢ় উচ্চারণ আর যুদ্ধজয়ের প্রগাঢ় আকাঙ্খার বাণী। যে সব মুক্তিযোদ্ধারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এটি শুধু তাদের বীরত্বগাথাই নয়, পেছনে রেখে আসা তাদের পরিবারেরও গল্প। মূলত এটি একটি জনযুদ্ধের ইতিহাস। সেসব ঘটনা, অনুভব, ত্যাগ ও স্বপ্নের দলিলই হচ্ছে স্বজনদের কাছে লেখা মুক্তিযোদ্ধাদের এসব চিঠি। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সেসব চিঠি নিয়েই ‘একাত্তরের চিঠি’। আমাদের রয়েছে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রয়েছে ‘একাত্তরের ডায়রি’ তেমনি এই মহান যুদ্ধের নতুন দলিল ‘একাত্তরের চিঠি’। সেই উত্তাল দিনগুলোতে নানা সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বিচ্ছিন্নভাবে তাদের পরিবারে বিশেষ করে মাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন দেশের প্রতি তাদের অবস্থান, যুদ্ধের অবস্থা এবং ফিরে না আসতে পারার সম্ভাবনার কথাও। কিন্তু সেই বিচ্ছিন্ন চিঠিগুলোর মাঝে সেতুবন্ধন রচনা করেছে তাদের মহান কর্ম মুক্তিযুদ্ধ আর মহান চেতনা দেশমাতৃকার প্রতি সুগভীর ভালোবাসা। ফলে সেই চিঠি আর ব্যক্তিগত গোপনীয় বস্তুতে পরিণত না হয়ে নির্মাণ করেছে এক জাতীয় অর্কাইভ। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন-সংগ্রামের আলেখ্যকে নবীন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেবার মধ্য দিয়ে এই প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঞ্চারণ ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘একাত্তরের চিঠি’। এই গ্রন্থ থেকে ২৬টি চিঠি নিয়ে ২০-২২ মিনিটের আলাদা গল্প নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ২৬ পর্বের প্রামাণ্য ধারাবাহিক ‘একাত্তরের চিঠি’ও । চিঠিগুলোর বেশিরভাগই লিখেছেন তরুণ যোদ্ধারা; অল্পশিক্ষিত যুবক, স্কুল কলেজের ছাত্র। যোদ্ধারা লড়াই করেছেন প্রাণের আবেগকে শ্রেষ্ঠ অস্ত্র বানিয়ে। এবং এই আবেগের স্পষ্ট প্রকাশ ঘটেছে প্রকাশিত বেশিরভাগ চিঠিতে। উদাহরণ দেয়া যাক: তারিখ: ২৫/০৮/১৯৭১ মা, আমার সালাম নিবেন। ভাবির কাছ থেকে আপনার চিঠি পেলাম। আপনি আমার জন্য সব সময় চিন্তা করেন। কিন্তু মা, আপনার পুত্র হয়ে জন্ম নিয়ে মাতৃভূমির এই দুর্দিনে কি চুপ করে বসে থাকতে পারি? আর আপনিই বা আমার মতো এক পুত্রের জন্য কেন চিন্তা করবেন? পূর্ব বাংলার সব যুবকই তো আপনার পুত্র। সবার কথা চিন্তা করুন। আমাদের সবাইকে আশীর্বাদ করুন, যেন আমরা যে কাজে নেমেছি তাতে সাফল্য লাভ করতে পারি। তবেই না আপনার পুত্র হয়ে জন্ম নেওয়া সার্থক হবে। আমাদের বিজয়েই না আপনার এবং শত শত জননীর গৌরব। শুনতে পেলাম আপনার শরীর খুব খারাপ। শরীরের দিকে নজর দেন। কেননা বিজয়ের পর যে উৎসব হবে, সেই উৎসবে আপনাকে তো আমাদের গলায় মালা পরিয়ে দিতে হবে। আপনি তো শুধু আমার জননীই নন, শত শত বিপ্লবী যুবকের মা। আপনি আমাকে বাড়ি আসতে লিখেছেন। এই মুহূর্তে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করি সামনের মাসের প্রথম দিকে বাড়ি আসতে পারব। আমার জন্য চিন্তা না করে আশীর্বাদ করবেন। আব্বাকে আমার সালাম জানাবেন আর ছোটদেরকে স্নেহশীষ। আমি ভাল আছি। ইতি আপনার শত শত বিপ্লবী যুবক সন্তানদের একজন আজু চিঠি লেখক: শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী আবু হাসমত রশিদ। চিঠি প্রাপক: মা, তাহমিনা বেগম। আরএকটি উদাহরণ: যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শাফী ইমাম রুমী’র ইংরেজিতে লেখা চিঠির বাংলা অনুবাদ। লিখেছিলেন তাঁর মামা সৈয়দ মোস্তফা কামাল পাশা’কে প্রিয় পাশা মামা, অবাক হয়ো না! এটা লেখা হয়েছিল আর তোমার কাছ পর্যন্ত পৌঁছলও। পড়ার পর চিঠিটা নষ্ট করে ফেলো। এ নিয়ে আম্মাকে* কিছু লিখে জানানোর চেষ্টা কোরো না। তাহলে তাদের বিপদে পড়তে হবে। তাড়াহুড়া করে লিখলাম। হাতে সময় খুব কম। বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে কাল এখান থেকে চলে যেতে হবে। আমরা একটা ন্যায়সংগত যুদ্ধ লড়ছি। আমরা জয়ী হব। আমাদের সবার জন্যে দোয়া কোরো। কী লিখব বুঝতে পারছি না- কতো কী নিয়ে যে লেখার আছে। নৃশংসতার যত কাহিনী তুমি শুনছ, ভয়াবহ ধ্বংসের যত ছবি তুমি দেখছ, জানবে তার সবই সত্য। ওরা আমাদের নৃশংসতার সঙ্গে ক্ষতবিক্ষত করেছে, মানব-ইতিহাসে যার তুলনা নেই। আর নিউটন আসলে যথার্থই বলেছেন, একই ধরণের হিংস্রতা নিয়ে আমরাও তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। ইতোমধ্যে আমাদের যুদ্ধ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্ষা শুরু হলে আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেবো। জানি না আবার কখন লিখতে পারব। আমাএ লিখো না। সোনার বাংলার জন্যে সর্বোচ্চ যা পার করো। এখনকার মতো বিদায়। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাসহ রুমী অন্যএকটি উদাহরণ: বেনু ভাই, শুভেচ্ছা জানবেন। হাবীব সাহেবের সিগনাল এইমাত্র এসেছে। আপনার সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। গতকাল তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য এবং তার কাছাকাছি অবস্থান করার জন্য আপনাকে লিখেছিলাম। হাবীব সাহেবের কাছাকাছি থাকবেন। পুংলীর পুল পার হবেন না। কারণ, বিপদে পড়তে পারেন। হাবীব সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলুন। আজ এনায়েত করীম সাহেব কিছু লোকজন এবং অস্ত্র নিয়ে আসবেন। সম্ভব হলে আপনাকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করব। বর্তমানে কোনো রিস্ক না নিয়ে হাবীব সাহেবের সঙ্গে মিলিত হয়ে ওই এলাকার অপারেশন সফল করুন। কারণ, এই অপারেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ জরুরি পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি হয়েছে। সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। কারণ, হেডকোয়ার্টারে নিয়মিত খবর পাঠাতে হয়। আপনারা কোনো চাঁদা জোর করে তুলবেন না। জয় বাংলা। বুলবুল খান মাহবুব। চিঠি লেখক: মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুব। চিঠি প্রাপক: হাবিবুল হক খান বেনু। গ্রাম: কোলাহাট, গৌরঙ্গী, টাঙ্গাইল। এভাবে অজস্র উদাহরণ দেয়া যায়া। গ্রন্থটিতে প্রতিটি চিঠি ছাপা হয়েছে দুইভাবে । মূল হাতের লেখা, অর্থাৎ ১০৭১ সালে যেভাবে লেখা হয়েছিল সেটাই অবিকৃত রেখে পাঠকের সামনে অংশি প্রকাশকরা হয়েছে আর ছাপার অক্ষরে পূর্ণাঙ্গ চিঠিটি ছাপনো হয়েছে সম্পাদনা করে- বানান রীতি সমতাবিধান করে। প্রচ্ছদ কাগজ ইত্যাদি মিলিয়ে এটি একটি অধুনিক পরিপাটি ও শৈল্পিক প্রকাশনা। সম্পাদকের পক্ষথেকে রশীদ হায়দারের একটি ‘সবিনয় নিবেদন’ গ্রন্থের প্রথমেই দেয়া হয়েছে যার মাধ্যমে প্রকাশনার নীতিমালাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। সর্বপরি বলতে পারি এটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকাট্য দলিল। এটি অপরিকল্পিত অথচ ভণিতাবিহীন অকৃতিম ঐতিহাসিক উপাদান। মুক্তিযুদ্ধের যে ১৫ খন্ডের দলিল প্রকাশিত হয়েছে এটিকে সেই দলিলের অংশহিসেবে ম্বীকৃতি প্রদান করে তা ঐ দলিলের একটি খণ্ডে স্থান দিয়ে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা যেতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
প্রত্যেকটি চিঠিই অসাধারণ , কোনটার সাথে কনটার তুলনা হয় না, মনে হৃদয় ছুয়ে গেল ।
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়েছি। মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছিলেন তাদের কয়জন শিক্ষিত ছিলেন? বাংলার যে সমস্ত কৃষক শ্রমিক ভাইয়েরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সেই মানুষগুলো কিভাবে সাহিত্যের ভাষায় চিঠি লিখলেন? সন্তানের জন্য চিঠি লিখলেই সেই চিঠির সংখ্যা এতো বেশি হবে কেন? নিরক্ষর মানুষের হাতের লেখা এতো সুন্দর হলো কিভাবে? আসলে পুরো ব্যাপারটাই প্রথম আলোর বানানো। এই হলুদ সাংবাদিকরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করতেও পিছপা হয় না। এরাই দেশের স্বাধীণতা ও সার্বভৌমত্যের হুমকি