User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Dipak

      08 Dec 2020 11:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      চারপাশে ঘটে যাওয়া কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা যেগুলার কোন ব্যাখ্যা নেই...

      By mazharul

      07 Dec 2019 10:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ুন আহমেদ স্যারের ছায়া সঙ্গী বইয়ে মোট ৮ টি ছোট গল্প রয়েছে, ১)ছায়া সঙ্গী ২) শবযাত্রা ৩) ওইজা বোড ৪) সে ৫) দ্বিতীয় জন ৬) ঝণার অসুখ ৭) কুকুর ৮) ভয় ৮ টি গল্পই অসাধারণ আর ভয়ের, তবে সে এবং কুকুর গল্প দুইটা সেরা। যারা ভূতে ভয় পান্না তাদের পড়ার অনুরোধ রইল।

      By Sahariar Kabir

      05 Oct 2019 05:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমাদের চারপাশে অহরহ কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটে চলেছে যার কোনও ব্যাখ্যা আমাদের জানা নেই। কিছু ঘটনার হয়ত ব্যাখ্যা দাড় করানো যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ঘটনাই ব্যাখ্যার অতীত। ব্যাখ্যার অতীত ঘটনাগুলোকে আবার অনেকে ভূতের ঘটনা মনে করে। আবার অনেকে আল্লাহর কুদরত বলে মেনে নেয়। সেরকম ৯টি ঘটনা নিয়ে এই বই। বইটির নাম ভূমিকায় যে গল্পটি আছে সেটা অনেকটা এরকমঃ লেখক একবার সপরিবারে গ্রামেরবাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে মন্তাজ মিয়া নামে একটা বাচ্চা ছেলের সাথে তার পরিচয় হয়। ঘটনাক্রমে সে জানতে পারে যে মন্তাজ মিয়া একবার অনেক অসুখে পরে মৃত্যু বরন করেছিল।ডাক্তার এসে তাকে দেখে মৃত ঘোষনা করলে সবাই মিলে ওকে কবর দিয়ে দেয়। কিন্তু মন্তাজের বড় বোন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ২৫ কিঃমিঃ দূর থেকে হেটে আসেন। দুপুর রাতে বাড়িতে এসেই বলেন যে মন্তাজ মরে নাই। গ্রামের হুজুরকে অনেক আকুতি মিনতি জানিয়ে বলেন কবর খুড়ে মন্তাজ কে বের করতে। হুজুর কবর খুড়ে দেখেন মন্তাজ মিয়া কাফনের কাপড় লুঙ্গির মত পেঁচিয়ে কবরের গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে। কিভাবে মন্তাজের বোন বুঝতে পারল যে মন্তাজ বেচে আছে? এই ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি। এই রকম আরও কিছু গল্প নিয়েই হুমায়ূন আহমেদের "ছায়াসঙ্গী"। প্রত্যেকটা গল্পই আপনার ভালো লাগবে আশা করছি।

    • Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই :ছায়াসঙ্গী লেখক :হুমায়ূন আহমেদ। ধরণ :ভৌতিক গল্প। প্রকাশনী : অম্বেষা প্রকাশন। মূল্য :২০০ (রকমারিতে ১৫৪ ) আপনি কি ভূত বিশ্বাস করেন? আমাকে অনেকেই এই প্রশ্ন করেছেন, আমি মজা করার জন্য প্রতিবারই বলেছি ----ভূত প্রেত বিশ্বাস করি তবে মানুষ বিশ্বাস করি না।কোনো অতিপ্রাকৃত ব্যাপারে আমার বিশ্বাস নেই। চল্লিশ বছর পার করে দিয়েছি, এখন পর্যন্ত ভূত দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনটাই হয়নি। -হুমায়ূন আহমেদ। রবীন্দ্রনাথ নাকি ভূতের গল্প লিখেছেন, হুমায়ূন আহমেদ ও লিখেছেন। কিন্তুু আমার পড়া হয়নি শুধু তাই না এই বইটি উপহার সূত্রে পাওয়া এবং পড়ার আগ অব্দি বুঝতে পারছিলাম না এটা ভূতের বই। যাইহোক হুমায়ূন আহমেদ এই বইটি সাজিয়েছেন ৮ টি ভৌতিক বা অস্বাভাবিক ঘটনা দিয়ে। হুমায়ূন আহমেদ খুব সহজ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে সব গল্পগুলো। গল্পগুলো হচ্ছে :: ছায়াসঙ্গী, শবযাত্রা, ওইজ বোর্ড, সে, দ্বিতীয় জন, ঝর্ণার অসুখ, কুকুর, ভয়। প্রতিটি গল্পগুলো ভিন্ন রকমের ভৌতিক রস পাওয়া যাবে। তার কয়েকটি খুবই ছোট করে তুলে ধরছি। ছায়াসঙ্গী গল্পে হুমায়ূন আহমেদ একটু বলে নেই বইটিতে লেখক কথক হিসাবে গল্প বর্ণনা করে গেছেন। হুমায়ূন গ্রামে বেড়াতে গিয়েছেন। সেখানে অনেক গল্প শুনেছেন কিন্তুু কয়েক দিন পর উনি একটি অদ্ভুত গল্প শুনলেন। মন্তাজ মিয়া গ্রামের দরিদ্র ঘরে ছেলে হঠাৎ একদিন জ্বরে মারা গেলো। দুইদিন পর মন্তাজ মিয়া বোন এসে কান্না কাটি করে গ্রামের সবাইকে বলছে লাশ উঠাতে হবে মন্তাজ মরে নাই সে নাকি তাকে স্বপ্নে বলেছে। অনেক ঝামেলা পড় সত্যি দেখা দিলো মন্তাজ বেঁচে আছে। তার সাথে নাকি একজন ছিলো সে তারসঙ্গে কথা বলেছে। এইটুকু মন্তাজ বলেছিলো। হুমায়ূন আহমেদ অনেক চেষ্টা করেও মন্তাজ মিয়াকে আর কিছুই জানা যায়নি। গল্প :ওইজ বোর্ড। বিদেশ থেকে ভাই ও তার বিদেশী বউ এসেছে নাসরিনদের বাসায়। ভাই নাসরিন জন্য একটি ওইজ বোর্ড নিয়ে এসেছে এটি নাকি একধরনের খেলা। একদিন খেলা মাধ্যমে হঠাৎ নাসরিন ভাবী ঘরে আগুন লেগে যায় যেমনটি নাসরিন খেলায় নির্দেশনা দিয়ে ছিলো। গল্প সে :: আমার খুব মন কেড়েছে গল্পটা। হুমায়ূন আহমেদ মেয়ে গলায় কাটা বেধেছে। তো সেই কাঁটা তুলে দিয়েছিল একজন মহিলা ডাক্তার। মহিলা ডাক্তার তার নিজের অলৌকিক ঘটনা শেয়ার করেছিল লেখকের সাথে। একজন গর্ভবতী তার সন্তান জন্ম দেওয়া জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গর্ভবতী মা ডাক্তারকে বলেছিল সে যেনো কথা দেন তার সন্তানটিকে যেনো হত্যা না করা হয়। ডাক্তার রোগীকে প্রতিজ্ঞা দেয় সে তার সন্তানকে রক্ষা করবে। সব ঠিক ছিলো হঠাৎ প্রসবের সময় দেখা দিল বাচ্চা উল্টা দিকে রয়েছে।ডাক্তার ও তার সহকারী ডাক্তার অপারেশন করে বের করে আনলো, আর যেটা বেড়িয়ে এলো সেটা ছিলো কুৎসিত একটি কিছু যার হাতির মতো শুর ছিলো।সহকারী ডাক্তার চেঁচিয়ে বলে উঠলো কিল ইট। রডে আঘাতে বাচ্চাটি বলে উঠলো মা। তারপর ডাক্তার রিসার্চ করে পেয়েছিল বালভিয়ান একটি দেশে নাকি এরকমই একটি কেইস ছিলো যেটা ডাক্তারের কেইস ক্ষেত্রে ঘটে ছিলো। অদ্ভুত বিষয়ছিলো অই বাচ্চাটিকে আঘাত করার সময় বালভিয়ান ভাষায় সেও নাকি "মা "বলে ডেকে ছিলো। গল্প দ্বিতীয়জন : জাভেদ আর প্রিয়াংকা বিয়ে হয়েছে ২১ দিন। কিন্তু প্রিয়াংকা মন খারাপ তার কারণ তার ধারনা সে পাগল হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে প্রিয়াংকা দুইটি জাভেদ দেখে। বাসার কাজের মেয়ের থেকে জানতে পারে জাভেদ সাহেবের প্রথম স্ত্রী নাকি পাগল হয়ে মারা গিয়েছিল কারণ সে নাকি দুইটি জিনিস দেখে একটি আসল অন্যটি নকল। গল্পটা অন্যরকম। গল্প ভয় :: কেমিস্ট্রি প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার জন্য হুমায়ূন আহমেদ গিয়েছিল পাড়াগাঁয়ে। সেখানে সিরাজউদ্দিন নামে সাথে একজনের সাথে পরিচিত হয়। সিরাজউদ্দিন চলে যাবার পর হুমায়ূন আহমেদ হঠাৎ প্রচন্ড ভয় অনুভব করে। হুমায়ূন আহমেদ যখনই সিরাজউদ্দিন সাথে কথা বলে এবং তার চলে যাবার পরই সে অন্ধ ভয় অনুভব করে তাই সে হঠাৎ করেই ঢাকায় চলে আসে। নিজেস্ব মতামত ::ভয় গল্পটা আমি ভাসা ভাসা বলেছি কারণ কারো এই বইটি পড়া না থাকলে এবং নতুন পাঠক যখন বইটি পড়বে তখন সে যেনো গল্পের মজাটা উপভোগ করতে পারে। সবগুলো গল্প অন্যরকম আর যেগুলো লিখার চেষ্টা করেছি সেইগুলা মনে দাগ কেটে রেখেছে। আর সেটা খারাপ লেগেছে সেটা হচ্ছে আমি ভয় অনুভব করিনি এটা হয়তো বয়সের দোষ। ভয় পাওয়ার বয়স আমি পেরিয়ে এসেছি।

      By Sawon Ahmed

      17 Jul 2016 12:23 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমাদের চারপাশে অহরহ কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটে চলেছে যার কোনও ব্যাখ্যা আমাদের জানা নেই। কিছু ঘটনার হয়ত ব্যাখ্যা দাড় করানো যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ঘটনাই ব্যাখ্যার অতীত। ব্যাখ্যার অতীত ঘটনাগুলোকে আবার অনেকে ভূতের ঘটনা মনে করে। আবার অনেকে আল্লাহর কুদরত বলে মেনে নেয়। সেরকম ৯টি ঘটনা নিয়ে এই বই। বইটির নাম ভূমিকায় যে গল্পটি আছে সেটা অনেকটা এরকমঃ লেখক একবার সপরিবারে গ্রামেরবাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে মন্তাজ মিয়া নামে একটা বাচ্চা ছেলের সাথে তার পরিচয় হয়। ঘটনাক্রমে সে জানতে পারে যে মন্তাজ মিয়া একবার অনেক অসুখে পরে মৃত্যু বরন করেছিল।ডাক্তার এসে তাকে দেখে মৃত ঘোষনা করলে সবাই মিলে ওকে কবর দিয়ে দেয়। কিন্তু মন্তাজের বড় বোন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ২৫ কিঃমিঃ দূর থেকে হেটে আসেন। দুপুর রাতে বাড়িতে এসেই বলেন যে মন্তাজ মরে নাই। গ্রামের হুজুরকে অনেক আকুতি মিনতি জানিয়ে বলেন কবর খুড়ে মন্তাজ কে বের করতে। হুজুর কবর খুড়ে দেখেন মন্তাজ মিয়া কাফনের কাপড় লুঙ্গির মত পেঁচিয়ে কবরের গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে। কিভাবে মন্তাজের বোন বুঝতে পারল যে মন্তাজ বেচে আছে? এই ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি। এই রকম আরও কিছু গল্প নিয়েই হুমায়ূন আহমেদের "ছায়াসঙ্গী"। প্রত্যেকটা গল্পই আপনার ভালো লাগবে আশা করছি।

      By Md. Minhajul Abedin

      27 Sep 2020 01:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Last night porechilam.. seriously voy peyechi

      By jami jahan

      31 Jan 2017 11:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-ছায়াসঙ্গী লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-গল্প সংকলন পৃষ্ঠা-১২০ মূল্য-১৬০ অন্বেষা প্রকাশনা ..... কথা হচ্ছে আপনারা কি কেউ ভূত বিশ্বাস করেন? লেখক করেন না। আমিও করি না। আমি বাসার ছাদে পুরো রাত হেটে কাটিয়ে দিছি এমন রেকর্ড অনেক আছে। রাতের ২ টা বা ৩ টা নাই আমি ছাদে। কিন্তু কখনো ভয় পাইনি।অন্য কোন ছাদে বা আশে পাশে চোখের ভুলে কিছু দেখলে, যতক্ষন না ভালো করে বুঝবো এটা কি ততক্ষন তাকিয়ে থাকতাম। জিনিসটা বুঝে ফেলার পর আর কিছু সমস্যা হতো না। তবে কোন দিন যদি ভয়ের গল্প শুনতাম, বা আম্মুর কাছে জাহান্নামের শাস্তি আর কবরের শাস্তি শুনতাম তখন বাইরে গেলে খারাপ লাগতো। লেখক এই বই টা আমার মতো কিঞ্চিত ভয় পায় এমন একজন কে উৎসর্গ করেছেন।আমার আব্বু যখন মারা যায়, তখন খুব খারাপ লাগতো বলে আমি রাতে বাসার বাইরে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম। মনে মনে খুব চাইতাম আব্বু যাতে সামনে আসে। আমাদের বাসার পেছন দিকে একটা তেতুল গাছ আছে। কিন্তু কোন দিনও আমি অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি। কেউ দেখেছে তাও শুনিনি। তাই আমার দৃষ্টিতেও ভূত বলে কিছু নেই। তবে আমি আর কতোটুকু জানি! ছায়াসঙ্গী, নাম টাতে কেমন একটা গা চমচম করা ব্যাপার। বই টা কি ভৌতিক কিছু! নাহ একেবারেই না। তবে এমন কিছু যা স্বাভাবিক নয়। লেখক বলেছেন, " আসলে গল্প গুলো ঠিক ভূতের নয়-অন্যরকম অভিজ্ঞতার গল্প। যে অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই আছে এবং যা চট করে ব্যাখ্যা করা যায় না" ছায়াসঙ্গী বইটা কিছু গল্পের সংকলন। এই বইয়ে মোট ৯ টি গল্প আছে। প্রথম টা, নামগল্প ছায়াসঙ্গী - এটা লেখক এর দেশের বাড়ির কাহিনী। তিনি অনেক দিন পর বাড়ি গেলেন বউ ও বাচ্চাদের নিয়ে। সেখানে এক ছেলের সাথে দেখা হল। নাম মান্তাজ মিয়া। কাহিনী টা ছিলো এই ছেলেটার। শবযাত্রা- এই গল্পে বলা হয়েছে পঞ্চাশ পাঁচপঞ্চাশ বয়সী একটা লোকের কাহিনী। যিনি পদার্থবিদ্যা শখ করে শিখেন এমন কি তার জন্য তিনি শিক্ষকও রেখেছেন। ভদ্রলোকের পরিচয় লেখক এভাবে দিয়েছেন, " তিনি নিতান্ত অপরিচিত লোক কে শীতল গলায় বলে দিতে পারেন -ভাই কিছু মনে করবেন না আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি একজন মহামূর্খ" এই অসাধারন চরিত্র টা ছিল এই গল্পে কাহিনীটির বক্তা। ওইজা বোর্ড-এটা একটা পরিবারের গল্প। নাসরিন তার ভাইয়ের থেকে উপহার পেয়েছিল, এই ওইজা বোর্ড। এটা নিয়েই কাহিনী। সে- এই গল্প কথক ছিল এক জন ডাক্তার। তাঁর নাম হাসনা বানু। এই মহিলা ডাক্তার এর সাথে পরিচয় লেখক এর মেয়ের মাধ্যমে। দ্বিতীয় জন- এক বিবাহিত দম্পতিদের কাহিনী এটা। বেয়ারিং চিঠি -জমির সাহেব ও তার পরিবারের কাহিনী। বীণার অসুখ- বীণার বয়স একুশ। হঠাৎ তার মামা তাকে কলেজে যেতে নিষেধ করেছেন। সে জানে না কেন। এ গল্পের কাহিনী টা বীণার। কুকুর- এই গল্পের বক্তা আলিমুজ্জামান। পোস্টাল সার্ভিসে ছিলেন, তিন বছর হলো রিটায়ার করছেন। তাঁর সাথে লেখক এর পরিচয় হয় চা দোকানে। আর সে সুবাধে তিনি লেখক এর বাড়ি আসেন। ভয় - এই গল্পের স্থান ছিলো অজপাড়া গাঁ যেখানে, লেখক পরীক্ষার ডিউটি দিতে গেছিলেন। গল্প গুলো পড়ার সময় একটা অন্যরকম অনুভূতি হবে পাঠকের। যদিও লেখক বিশ্বাস করেন ব্যাখ্যার অতীত কিছু নেই। কিন্তু এই বিষয় গুলোর তিনি কোন ব্যাখ্যা পান নি। তিনি এই বইয়ে কিছু অন্ধকার জগতের কথা তুলে ধরেছেন। যার বেশির ভাগ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার গল্প। আর কিছু প্রিয়জনদের গল্প। লেখকের মতে এটা স্বীকার করে নেওয়া ভালো -"আজকের বিজ্ঞান যা ব্যাখ্যা করতে পারে নি আগামীদিনের বিজ্ঞান তা পারবে।" কিন্তু কিছু রহস্য তো থেকেই যায় প্রকৃতিতে। রকমারি লিংক https://www.rokomari.com/book/1199/ছায়াসঙ্গী

    • Was this review helpful to you?

      or

      আমাদের চারপাশে অহরহ কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটে চলেছে যার কোনও ব্যাখ্যা আমাদের জানা নেই। কিছু ঘটনার হয়ত ব্যাখ্যা দাড় করানো যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ঘটনাই ব্যাখ্যার অতীত। ব্যাখ্যার অতীত ঘটনাগুলোকে আবার অনেকে ভূতের ঘটনা মনে করে। আবার অনেকে আল্লাহর কুদরত বলে মেনে নেয়। সেরকম ৯টি ঘটনা নিয়ে এই বই। বইটির নাম ভূমিকায় যে গল্পটি আছে সেটা অনেকটা এরকমঃ লেখক একবার সপরিবারে গ্রামেরবাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে মন্তাজ মিয়া নামে একটা বাচ্চা ছেলের সাথে তার পরিচয় হয়। ঘটনাক্রমে সে জানতে পারে যে মন্তাজ মিয়া একবার অনেক অসুখে পরে মৃত্যু বরন করেছিল।ডাক্তার এসে তাকে দেখে মৃত ঘোষনা করলে সবাই মিলে ওকে কবর দিয়ে দেয়। কিন্তু মন্তাজের বড় বোন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ২৫ কিঃমিঃ দূর থেকে হেটে আসেন। দুপুর রাতে বাড়িতে এসেই বলেন যে মন্তাজ মরে নাই। গ্রামের হুজুরকে অনেক আকুতি মিনতি জানিয়ে বলেন কবর খুড়ে মন্তাজ কে বের করতে। হুজুর কবর খুড়ে দেখেন মন্তাজ মিয়া কাফনের কাপড় লুঙ্গির মত পেঁচিয়ে কবরের গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে। কিভাবে মন্তাজের বোন বুঝতে পারল যে মন্তাজ বেচে আছে? এই ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি। এই রকম আরও কিছু গল্প নিয়েই হুমায়ূন আহমেদের "ছায়াসঙ্গী"। প্রত্যেকটা গল্পই আপনার ভালো লাগবে আশা করছি।

      By Jahan-E-Noor

      23 Mar 2013 05:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের একটি গল্পের বইয়ের নাম ‘ছায়াসঙ্গী’। এ বইয়ের সেই কবে পড়া, গা ছমছম করা একটি গল্প আমাকে একটা ঘোরের মধ্যে ফেলে দেয়। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলায় দোলায়িত করে। গল্পটির নাম ‘সে’। বড়ই রহস্যঘন ও কৌতুহল উদ্দীপক গল্প। আসুন, আজ আমরা সে গল্পটি নিয়ে আলোচনা করি। অতিপ্রাকৃত রসের গল্প বাংলা ছোটগল্পকে একটি বিশেষ দিক থেকে চিহ্ণিত করে। ভৌতিক রসের মধ্যে আকস্মিক বাস্তব অথচ বিশ্বাসযোগ্য কোনো বিষয়ের উপস্থাপনা হুমায়ূন আহমেদের অতিপ্রাকৃত রসের গল্পগুলোকে কখনো কখনো বিজ্ঞানসম্মত রূপ দিয়েছে। মানুষের অবচেতন মনে যে অতিপ্রাকৃতের একটা অনিবায স্পর্শ থাকে, জন্মলগ্ন থেকে; বোধ ও বুদ্ধিতে অতিপ্রাকৃত যে কখনো কখনো জগতের বিশ্বাসযোগ্য ব্যাপারের সঙ্গে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে মিতালি রক্ষা করে চলে, হুমায়ূন আহমেদের ‘ছায়াসঙ্গী’ বইয়ে অন্তর্গত ‘সে’ গল্পের বিষয়ভাবনা ও তার রূপায়ণ সেই সত্যেরই ইঙ্গিত দেয়। এ সম্পর্কে স্বয়ং হুমায়ূন আহমেদ বলেন : কিছু কিছু সময় আসে যখন আমরা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সীমারেখায় বাস করি। তখন একই সঙ্গে আমরা দেখতে পাই ও দেখতে পাই না। বুঝতে পারি ও বুঝতে পারি না। অনুভব করি এবং অনুভব করি না। সে বড় রহস্যময় সময়। প্রাসঙ্গিক ভাবনায় ‘ছায়াসঙ্গী’র অন্তর্গত ‘সে’ গল্পটি তিনি লিখেছেন। অতিপ্রাকৃতের শিহরণসৃষ্টি কিংবা কোনো মনোলোভা বিষয়ের সাধারণ রূপায়ণ নয় এ গল্প। এতে লেখক প্রকৃতির এক অস্বাভাবিক খেয়ালখুশি চরিতার্থের মধ্যে বিজ্ঞানের স্বাভাবিক সত্য আবিষ্কার করে পাঠকের মনে কৌতুহল জাগানোর যে প্রয়াস পেয়েছেন, তাতে আমাদের বাস্তববুদ্ধিতে এরূপ একটি ধারণার হয় যে, ‌'Miracle still happens in life.’ গল্পের মূল প্রসঙ্গটি উপস্থাপন করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এক অল্প বয়সী মা ক্লিনিকে এমন এক শিশুর জন্ম দেয় যার শরীরটা ‘ঘন কৃষ্ণবর্ণের একতাল মাংসপিন্ড’ ছাড়া আর কিছুই নয়। অবশ্য তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘হাতির শুঁড়ের মত আট দশটি শুঁড়। শুঁড়গুলি বড় হচ্ছে এবং ছোট হচ্ছে। তালে তালে মাংপিন্ডটিও বড় ছোট হচ্ছে। মানবশিশুর সঙ্গে এর একটিমাত্র মিল- এই জিনিসটিরও দুটি বড় বড় চোখ আছে। চোখ ঘুরিয়ে সে দেখছে চারদিকের পৃথিবকে। চোখ দুটি সুন্দর কাজল টানা।’ কিন্তু মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থাটি যখন মানুষেই হিংস্র রূপ ধারণ করে শিশু জন্তুটিকে মারবার জন্য উদ্যত থাবা বিস্তার করে, তখন ‘সে মেঝে বেয়ে বেয়ে তার মার খাটের দিকে যাচ্ছে- খাট বেয়ে উপরে উঠছে। আশ্রয় খুঁজছে মার কাছে। যেন সে জেনে জেনে গেছে এই অকরুণ পৃথিবীতে একজনই শুধু তাকে পরিত্যাগ করবে না।’ আর সে হচ্ছে তার মা, সকল করূণার আধার তার মা। কিন্তু একটা জন্তুর জন্য আমাদের করুণা নেই। কেননা আমরা মানুষ। আর মানুষ বলেই ‘আমাদের মাঝে তাকে গ্রহণ করবো না। এই ভয়ংকর অসুন্দর ও কুৎসিতকে আমরা আশ্রয় দেব না। সে পশু হয়ে এলে ভিন্ন কথা ছিলো। সে পশু হয়ে আস নি। এসেছে মানুষের সিড়ি বেয়ে।’ সুতরাং মানুষের নির্মম হস্ত দয়াশূন্য হয়ে বিকৃত অবয়বের শিশুটিকে হত্যা করে। কিন্তু মৃত্যুর আগে শিশুটি অবিকল মানুষের মতো গলায় কেঁদে উঠেছিলো- মা মা বলে। এই অদ্ভুত বিষয়টির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে গল্পের এক ডাক্তার হাসনা ক্লান্ত গলায় বলেছিলেন, ‘এই ঘটনার প্রায় সাত বছর পর আমেরিকান জার্নাল অব মেডিকেল সোসাইটিতে এরকম একটি শিশুর জন্মবৃত্তান্তের কথা পাই। শিশুটির জন্ম হয়েছিলো বলিভিয়ার এক গ্রামে। শিশুটির বর্ণনার সঙ্গে আমাদের জন্তুটির বর্ণনা হুবহু মিলে যায়। ঐ শিশুটিকেও জন্মের কুড়ি মিনিটের মাথায় হত্যা করা হয়। এবং রিপোর্ট অনুসারে সেও মৃত্যুর আগে ব্যাকুল হয়ে বলিবিয়ান ভাষায় মাকে কয়েকবার ডাকে।’ ডাক্তার হাসনা আরো বলেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার নিজের হাইপোথিসিস অনুযায়ী, প্রকৃতি ইভোলিউশন প্রক্রিয়ায় হয়ত নতুন কোন প্রাণ সৃষ্টির কথা ভাবছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। আমরা প্রাণপণে সেই প্রক্রিয়াকে বাধা দিচ্ছি। কিন্তু প্রকৃতি সহজে হাল ছাড়বে না। সে চেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং লক্ষ রাখবে যাতে ভবিষ্যতে আমরা বাধা দিতে না পারি।’ ‘সে’ একটি মনোবীক্ষণজাত রহস্য গল্প। গল্পের বিষয়টি কৌতুহল উদ্দীপক ও রহস্যঘন। তার ব্যাখ্যায় অবিশ্বাসের রহস্যপাড়ে একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসের সেতুযোজনার প্রয়াস আছে। রহস্যঘন প্রকৃতির উন্মাদ খেয়াল, বীভৎস জন্মবৃত্তান্ত, মানুষের মর্মান্তিক নিষ্টুরতা, দয়া, করুণা আর প্রেমের মৃত্যু এবং বিচিত্র প্রকৃতির সম্ভাব্য প্রক্রিয়ার বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা, যার তীক্ষ্ণতায় অবিশ্বাসের নাস্তিক্যবাদ টুকরো টুকরো হয়ে যায়। গল্পটির অন্তর্নিহিত শক্তিরূপে বিশ্লেষিত এসব বিষয় হুমায়ূন আহমেদের আধুনিক শিল্পভাবনার বৈচিত্র্য ও বিস্তৃতির চমৎকার নিদর্শন।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!