User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটির নাম কবি। বড় ও মোটা বই। পড়তে ৩-৪ দিন লাগবে। তবে কাহীনিটা অসাধারণ। কিছু ট্রাজেডি আছে গল্গে। মূল চরিত্র তাহের ?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি গল্প। যে গল্প পড়া শেষ করে ঘোর কাটতে কিছুটা সময় লাগে।
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ? অনেক সুন্দর ? বলে বুঝাতে পারব না!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
Ses part ta sundor boitar... atahar ar nitu namer khub comotkar duti coritro ache.
Was this review helpful to you?
or
কবি হচ্ছে হুমায়ুন আহমেদের এক অনবদ্য সৃষ্টি। কবি মানেই কষ্ট এটা আমি মনে করিনা। ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
তিন বন্ধু আতাহার,সাজ্জাদ আর মজিদ। তাদের মাঝে একটা কমন ব্যাপার হল তারা সবাই নিজেদের কবি বলে দাবি করে, তারা বোহেমিয়ান জীবন কাটায়, তারা কোনো কিছুতে বাধা পড়তে চায় না, তারা সৌন্দর্য খুঁজে বেড়ায়। এই তিন কবিবন্ধুর জীবন আর তাদের ঘটনাপ্রবাহই 'কবি' উপন্যাসের আলোচ্য। আতাহার।বাবা,মা, আমেরিকাপ্রবাসী মনিকা আপু আর ছোট দুই ভাইবোন মিলি ও ফরহাদ নিয়ে তার পরিবার।বাবা রশীদ আলি নিতান্ত ভদ্রলোক। রিটায়ার্ড করেও সংসার চালাতে টিউশন করে চলেন আর মা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের বাসিন্দা। আতাহারের আরেকটা জগত আছে আর সে হল তার বাইরের জগত।কখনো না বলা প্রেমিকা সাজ্জাদের বোন নীতু, সাহিত্য সম্পাদক গনি মিয়া, লোহার ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ এই জগতের সহচর। এই দুই জগতের মধ্যে সমন্বয় করতে সে বরাবরই ব্যর্থ। তাইতো তার কখনো বাবার দিকে তাকিয়ে চাকরি করা হয় না, নীতুকে ভালবাসার কথা জানানো হয় না, কবিতাকে নিয়ে ঠিকমত কাজ করা হয় না।তাইতো যখন বাবা-মা মারা যায়,বোনের বিয়ে হয়ে যায় তখন সে দিশেহারা হয়ে পড়ে।সে বুঝে যায় সে এক ব্যর্থ মানুষ। সাজ্জাদ। মেধাবী এই যুবকও আরেকজন কবি। কিন্তু তার কবিতা কেউ ছাপে না। তাইতো মাঝে মাঝে তাকে গনি মিয়ার বাসার সামনে মেথর থেরাপি (!) দিতে দেখা যায়। গৎবাধা নিয়মে ভীষণ অসন্তুষ্ট সাজ্জাদ পারে না ৮-৪ টার চাকরি করতে,পারে না বিবাহিতা কণাকে নিয়ে সংসার গড়তে,পারে না তার তুমুল আকাঙ্ক্ষী লীলাবতীকে সাড়া দিতে। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের ডিভোর্স ও মায়ের চলে যাওয়া তার মনে তীব্র দাগ কাটে যা বয়সের সাথে সাথে আরও বড় হতে হতে একসময় তাকে নিয়ে যায় মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে। মজিদ।ত্রিভুজের তৃতীয়বাহু কাব্যপ্রতিভায় সবার চেয়ে উন্নত হলেও পেটের দায়ে কাব্য ঘুচে তার। তাইতো একসময় ইতিহাসের অধ্যাপক হয়ে সে চলে যায় দূরে। কিন্তু কবিতা তাকে ছাড়ে না। সে আকড়ে ধরতে চায় কবিতাকে কিন্তু একসময় জাহেদা নামের এক জীবন্ত কবিতা তাকে করে তোলে তীব্র সংসারী। এছাড়া এই বইটা নীতুর যে বুকে তীব্র ভালবাসা নিয়েও আতাহারকে ভালবাসার কথা বলতে পারে না। গল্পটা কণার যে পেটের দায়ে নগ্ন চিত্রের মডেল হলেও ভিতরের তীব্র মাতৃসত্তাকে বারবার জলাঞ্জলি দেয় বাস্তবতার কাছে। গল্পটা রশীদ আলি আর হোসেন আলির যারা পরিবারে দারুনভাবে ব্যর্থ।মোটকথা গল্পটা কিছু ব্যর্থদের,কিছু ব্যর্থতার। তারাশঙ্করের কবি পড়ার পড়েই হুমায়ূনের কবি পড়ারও একটা আকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়েছিল যার সমাপ্তি ঘটল বইটা পড়ার মাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে বই দুইটার মধ্যে গঠনগত ও বিষয়গত কোনো মিল নেই শুধু নাম ছাড়া। বইটার ভালো লাগার বিষয় বলতে বইটার সাবলীলতা এবং নিখাদ বর্ণনা। বইটার কাহিনি যেন আমাদের আশেপাশের কাহিনি। অসহায় বাবা, পেটের দায়ে ঘৃণিত কাজ করা মানুষজন, বাস্তবতার চাপে হারিয়ে যাওয়া কবি - এসব তো আমাদের সমাজের কথাই। তাইতো রশীদ আলির অসহায়ত্ব, নীতুর অব্যক্ত ভালবাসা, গণি মিয়ার ত্রিভুজ কবিদের প্রতি মমতা, ময়না ভাইদের আন্তরিকতা আমাদের হৃদয় ছুয়ে যায়। কাহিনির প্রয়োজনেই ব্যবহার হয়েছে বেশ কিছু কবিতা যাদের সম্পর্কে লেখক শুরুতেই ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে কিছু কবিতা নিম্নমানের মনে হলেও কিছু কবিতা বিশেষ করে প্রায় সবার পরিচিত গৃহত্যাগী জোছনা কবিতাটা অসাধারন লেগেছে। কিছু কিছু জায়গায় লেখকের চিরাচরিত বর্ণনাভঙ্গি বিরক্তকরও মনে হয়েছে। আর আরেকটা বিষয় মনে হয়েছে অন্তত রোজার দিনে বইটা পড়া আমার উচিত হয় নি। আরে ভাই, চরিত্রগুলোকে এত বেশি চা,কফি খাওয়ানো হয়েছে আমাকে তো বারবার ঢোঁক গিলতে হচ্ছিল!
Was this review helpful to you?
or
কেমনে কেমনে জানি এই বইটা বাদ পড়ে গিয়েছিল। সত্যি বলয়ে বই পড়ে এতটাই হুমায়ুনোভিত যে চিন্তা করলাম যে এই বই একবারে পড়া যাবেনা। কিছুক্ষন পড়ে পড়ে রেক্তে দিতে হবে। যাতে যত সময় ধরে পড়ব ততক্ষন সেই চরিত্রের রেশ রয়ে যাবে। পড়ে যাচ্ছি নিতুর প্রেমে। পড়ে যাচ্ছি আতাহারের প্রেমে। আতাহারের মাঝে একটু হিমুর ভাব আছে। বইটা ৯৬ এর। প্রতি পৃষ্ঠায় অনেক লেখা। দেখেই জিভে জল আস বৈকি। অনেকদিন পর হুমায়ুনের বড় উপন্যাস পড়লাম মনে হচ্ছিল। ২ সপ্তাহ লাগিয়ে। পড়তে পড়তে নীতুকে বাদ দিয়ে আবার কনার প্রেমে পড়েছি। কল্পনায় ভেসে উঠেছে হাস্যজ্জ্বল রমনীর মুখ। যার দুই গালে টোল পড়ে। বেণিও আছে। টোল পড়ার ব্যাপারটা আমার নিজের সৃষ্টি। হেটেছি আতাহারের সাথে সাথে রৌদ্র তপ্ত পথ ধরে। চায়ের দোকানে গিয়ে বসে থেকেছি। চা খাইনি। পকেট থেকে টাকা বের করে ভেবেছি বাস ভাড়া হবেত। নীতুর মত নাস্তা খাওয়া একটা ঘর থাকলে মন্দ হত না। এই নিসংগ ঢাকা শহরে একজন আমার জন্য নাস্তা নিয়ে বসে থাকবে। চিঠি লিখবে, আবার ছিড়বে। কুচিকুচি করে ছিড়বে ভাবতেই কত ভালো লাগে। ভালো লেগেছে সাজ্জাদের পাগলামি। কবির জন্য কবিতার জন্য পাগলামি। অফিসের সেই চার দেয়ালে বসের রক্তচক্ষু কবিকে কখনওই তার সত্তায় থাকতে দিবেনা। তাই হাসফাসের দিন ছেড়ে আসা যায়। কিন্তু ড্রাগস। সেও হয়ত একই কবিত্ব। হুমায়ুন এভাবেই আমাদের মনের মাঝে প্রভাব ফেলেন। আমরা নিজেদের কে সেই আতাহার ভাবতে থাকি। ভাবতে ভাবতে নিতুর জন্য মন খারাপ করি। জীবন সায়াহ্নে এসেই সেই নিতুকেই খুজতে থাকি। আমিত মন্দ নারে। হায় নিতু যদি আমার মনের কথা জানত। আর সুদুরে হালকা হিমেল হাওয়ায় ছাদের উপরে বা বাসার রেলিং থেকে নীতুর চোখের জ্বল টপকে টপকে বাইরের ঘাসের উপর পড়ে। দুর থেকে সেই আলোতে সব কিছু ঝলকে উঠে। হায় আতাহার যদি তা জানত। মধ্যবিত্ত পরিবার। তার স্বপ্নের সংসার। পোড় খাওয়া বাবার অতৃপ্ত মৃত্যু। বোনের বিয়ে। সব কিছু নিয়েই সেই হুমায়ুনীয় মধ্যবিত্ত জীবন। জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণাধারায় এসো। সকল মাধুরী লুকায়ে যায়, গীতসুধারসে এসো।
Was this review helpful to you?
or
কখনো কখনো এমন হয় যে, অজানা অচেনা জীবনবোধ ফুটে ওঠে সাধারণ কোনো লেখার মাঝে। অসামান্য এক অনুভূতি হাতছানি দেয়। কবিদের ভবঘুরে জীবনে বিভিন্ন স্বপ্নের উত্থানপতন হয়। "কবি" উপন্যাসের চরিত্রগুলো সেই স্বপ্নের ট্র্যাজেডি নিয়েই চলতে থাকে। থাকে কিছু মানুষের জীবনের খুব সূক্ষ্ম না পাওয়ার কথা। যাদেরকে জীবনে প্রাপ্তির দিক থেকে মনে হয় ধনী, তাদের জীবনেও অনেক অপূর্ণতা থাকে। সেই অপূর্ণতাগুলোও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বেদনার সাথে।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "কবি" দুই বর্ণের নামের এই অসাধারণ বইটি পড়ে অসংখ্য বার হেসেছি কেঁদেছি। বইটির মূল চরিত্রটি অসম্ভব সুন্দর। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জীবন টা কি অসহনীয় কি যন্ত্রণাময়, বুকে একরাশ কষ্ট নিয়ে হাসি মুখে চলতে হয়। অসম্ভব কষ্টের মাঝেও নিজের সুখ টা বের করে নিয়েছে আতহার নামের সুদর্শন যুবক টি। শেষ টা কেমন ধোঁয়া ধোঁয়া লাগলো আমার কাছে, লেখক শেষ টা আমাদের পাঠকদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন যার যেমন ইচ্ছে সে তেমন করেই ভেবে নিক।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের বই মানেই যেনো বিশেষ কিছু৷ হুমায়ূন আহমেদের প্রতিটি বইয়ের চরিত্র বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্টমন্ডিত৷ তবে হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বই থেকে এই বইটি একটু ব্যতিক্রমধর্মী৷ বইটিতে লেখক শিখিয়েছেন কীভাবে ব্যর্থতা দূরে ঠেলে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়৷ বইটিতে হুমায়ূন আহমেদ তাঁর নিজস্ব অনেকগুলো কবিতা লিখেছেন৷ প্রতিটি কবিতাই বিমোহিত করেছে আমাকে৷ বরাবরের মতোই হুমায়ূন আহমেদ মানেই যেন বিশেষ কোনো চরিত্রের শুরু৷
Was this review helpful to you?
or
বইঃ কবি লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ "কবি" হুমায়ূন আহমেদ সাঁরের অসাধারণ একটি বই। বাস্তব জিবনে মানুষের বিভিন্ন অপূর্ণতা বা হাতাশা থাকে। যেখান থেকে তার জিবনের মোড় ঘুরে যায়। কবি এমনি এক উপন্যাস। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে চলার অভিজ্ঞতা অর্জন করা কিছুলোকের গল্প পড়তে হলে বইটি সংগ্রহে রাখুন।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন হুমায়ূন আহমেদ, অসাধারণ লিখনি। এতো বেশি মিশে গিয়েছিলাম গল্পের ক্যারেক্টারদের সাথে। সত্যি এখনো কেমন যেন লাগছে। পড়া শেষ অনেকক্ষণ হলো এখনো ক্যারেক্টার গুলা আমাকে ভাবাচ্ছে। উনি অসাধারন এই জন্যই হয়তো। অবশ্যই রিকমেন্ড করছি বইটি। ৫/৫ দিতে বাধ্য হচ্ছি অসাধারন। এক কথায় অসাধারন। সত্যিই অসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: "কবি"। লেখক: হুমায়ূন আহমেদ। ★কখনো কখনো এমন হয় যে, অজানা অচেনা জীবনবোধ ফুটে ওঠে সাধারণ কোনো লেখার মাঝে। অসামান্য এক অনুভূতি হাতছানি দেয়...... ছুঁয়ে দেখার জন্য ছোট একটি পদক্ষেপ..... "কবি" সেই মহান বোধকে স্পর্শ করার গল্প। জীবনের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তিরর গল্প। "কবি" উপন্যাস সম্পর্কে হুমায়ূন আহমেদ "কবি" উপন্যাসের ফ্ল্যাপে লিখেছেন :- "কবি জোছনায় ফুল ধরার মহান গল্প, বোধকে স্পর্শ করার আকাঙ্ক্ষার গল্প, জীবনকে দেখা এবং না দেখার গল্প।" কবিদের ভবঘুরে জীবনে বিভিন্ন স্বপ্নের উত্থানপতন হয়। সেই স্বপ্নের ট্র্যাজেডি নিয়েই এগুতে থাকে "কবি" উপন্যাসের চরিত্রগুলো। সেই সাথে রয়েছে কিছু মানুষের জীবনের খুব সূক্ষ্ম না পাওয়ার কথা। যাদেরকে জীবনে প্রাপ্তির দিক থেকে ধনী মনে হয়, তাদের জীবনেও অনেক অপুর্ণতা থাকে। সেই অপূর্ণতাগুলোও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বেদনার সাথে।
Was this review helpful to you?
or
তিন কবি বন্ধু মজিদ সাজ্জাদ ও আতাহারের ভবঘুরে জীবনে পাওয়া না পাওয়া অতৃপ্ত বেদনার প্রতিচ্ছবি রচিত হয়েছে "কবি" উপন্যাসে l বিত্তবান বাবার সন্তান সাজ্জাদ, সে তার মায়ের পরপুরুষের সাথে চলে যাওয়াটা কখনো ই মেনে নিতে পারেনি l তার বাবার সুবাধে অনেক চাকরি পায় কিন্তু অফিসের বাঁধাধরা নিয়ম তার একদম ই পছন্দ হয়না l সে আতাহারের মত বর্ণিল ভবঘুরে জীবন পছন্দ করে l মাঝে মাঝে সে কাউকে না বলেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় l সাজ্জাদের একমাত্র ছোট বোন নিতু আতাহারকে খুব ভালবাসে কিন্তু আতাহারকে অনেকবার সে কথা বলতে গিয়েও বলা হয়ে উঠেনি l আতাহার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া বেকার যুবক l সংসারের হাল এখনো বৃদ্ধ বাবা রশীদ আলী সাহেবের ঘাড়ে l ছোট ভাইও ডিগ্রি নিয়ে বেকার বসে আছে l ঘরে বিবাহ উপযুক্ত বোন l সংসারে মা থেকেও নেই, অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি, বলতে গেলে হাসপাতাল ই তার ঘর l কবিদের ভবঘুরে জীবনে বিভিন্ন স্বপ্নের উত্থান পতন হয়, স্বপ্নের ট্র্যাজেডি নিয়েই এগুতে থাকে গল্পের চরিত্রগুলো l উপন্যাসের শুরুর দিকে কিংবা মাঝামাঝি এসে আপনি যদি উপন্যাসের শেষাংশ কল্পনা করেন তাহলে আপনি ঠকবেন l বইয়ের শেষ পর্যন্ত যেতে পারলে আপনি বড়সড় একটা ধাক্কা খাবেন l মজিদ জাহেদার প্রেমের দায়ে কবিতা বিসর্জন দিয়ে সংসারী হয়ে যায়, সাজ্জাদের বাবা হোসেন সাহেব মাদকাসক্ত সাজ্জাদকে ড্রাগ এডিক্ট ট্রিটমেন্ট সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দেয় l আর দায়িত্ব জ্ঞানহীন আতাহারের দায়িত্ববোধ জাগ্রত হয় তার বাবার মৃত্যুর পর l বোনকে ভাল সম্বন্ধ দেখে বিয়ে দিয়েছে, ছোট ভাইকে আমেরিকায় বড় বোনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে l এবার সে নিশ্চিন্ত মনে কবিতা লিখবে l জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে আতাহার একটি গোপন সত্য প্রকাশ করে "নীতুকে একটা কথা বলবেন l ওকে বলবেন আমি যে দিনের পর দিন সাজ্জাদের পেছনে ঘুরতাম ওদের বাড়িতে যেতাম সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাশতা খাবার জন্য চলে যেতাম সেটা শুধুমাত্র ওকে দেখার জন্য ! অন্য কিছু না"!! কিন্তু আতাহার কি শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ফাঁদে আটকে যায় ? এখানেই লেখকের রহস্যময়তার সৃষ্টি ! এই রহস্যের জট খুলতে হলে আপনাকে বইটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে l কবির জীবন আর জীবনের কবিতা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টি "কবি" উপন্যাস l
Was this review helpful to you?
or
এই বইয়ের রিভিউ লেখার সাধ্য আমার নাই।তবে অনুভুতির তরজমা তো করতেই পারি। এই উপন্যাস একাধিক ব্যর্থ মানুষদের উপাখ্যান। রশীদ সাহেব মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না , ডিগ্রীধারি বেকার দুই ছেলে সহ এক পরিবারে রোজগার চালু রাখতে বুড়ো বয়সে ছাত্র পড়াতে হচ্ছে। স্ত্রী কেন ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তা জেনেও জানতে পারেন নি হোসেন সাহেব। মায়ের পরপুরুষের হাত ধরে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি সাজ্জাদ।দিনে দিনে বেড়ে উঠেছে antisocial psychopath হিসেবে। কবি হয়ে ওঠার স্বপ্নেবিভোর সাজ্জাদের ঠাই হয় মাদকাসক্তদের চিকিত্সাকেন্দ্রে। সাজ্জাদের দুই বন্ধু মজিদ আর আতাহার। মজিদের কাছে কবিতা আরাধনার বস্তু।সুবর্ন পত্রিকার সম্পাদকের মতে সত্যি সত্যি কবি হয়ে উঠছিল মজিদ। জাহেদার নিষ্কলুষ প্রেমও তার আরাধ্য। শেষে কবিত্ব বিসর্জন দিয়ে সংসারী হয় মজিদ। এদিকে লেখার হাত যেমনই, হোক কবিতার জন্য প্রায় সবকিছুই বিসর্জন দেয় আতাহার।কবিতা আর নীতু এই দুইজন বাদে বাকি সবই জীবন থেকে বাদ গেছে তার। উপন্যাসের শেষ অংশে এসে তারাশঙকরের নিতাই কে কোট করছেন লেখক ("জীবন এত ছোট কেনে")। মানুষের জীবনের অপ্রাপ্তি নিয়ে উপন্যাস সম্ভবত অনেক লেখা হয়েছে। তারাশংকরের "কবি"র পর হুমায়ুন আহমেদের "কবি" যেন এক সিক্যুয়েল।হয়তো অন্য কোন লেখকের লেখায় আবার আরো "কবি" লেখা হবে। যতবার লেখা হবে ততবারই হয়তো আমি এমনটাই মুগ্ধ হয়ে পড়ব।
Was this review helpful to you?
or
শুধু একবার পড়েন,রিকোয়েস্ট! সেরা বই!আমার রেটিং ৯.৫/১০!❤️??
Was this review helpful to you?
or
কবি বইটি কেনার পর প্রায় ৩ মাস না পড়ে রেখে দিয়েছিলাম । কারন বইটা মোটা । কিন্তু একসময় যখন বইটা হাতে নিলাম , পড়া শেষ না করে উঠতে পারলাম না । সাজ্জাদ , আতাহার , মজিদ - এই তিনজনের কর্মকান্ড গুলো পড়ে না হেসে পারা যায়না । গল্পটা পড়ার সময় বারবার হিমুর কথা মনে পড়ছিল । যতই মজাদার হোক শেষের দিকে খুব কষ্ট লাগে । শেষে আতাহারের পরিনতি কি , তা লেখক পাঠকদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন । লেখকের লেখা শেষ যে বিন্দুতে , পাঠকের চিন্তার শুরু সেই বিন্দুতে!
Was this review helpful to you?
or
মাঝে একটা খরার মৌসুম নেমে এসেছিল এদেশের পাঠক সমাজে। বই বিমুখ প্রজন্ম গড়ে উঠছিল। তখন ত্রাতা হয়ে এ্সেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। সহজ সরল ভাষায়, সেন্স অব হিউমার দিয়ে তিনি আবারও পাঠককে নিয়ে এসেছিলেন বইয়ের পাতায়,তার সেরকম কিছুর বইয়ের মধ্যে 'কবি' প্রথম সারিতে থাকবে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে অন্য এক জগতে চলে গিয়েছিলাম । হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম সেরা উপন্যাস এটি। এই বইয়ে আছে মজিদ,আতাহার,সাজ্জাদ নামক তিন তরুন কবি যারা জোছনা খেতে নদীর ধারে যায়। আছে হ্রিদয়বিদারক অনেক ঘটনা । At last one of the best writing of SIR HUMAYUN AHMED
Was this review helpful to you?
or
ইমদাদুল হক মিলনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ “কবি” উপন্যাস নিয়ে বলেছেন:----মিলন: আপনি লেখালেখির শুরুর দিকে কবিতা লিখেছেন, আপনার বোনের নামে সেগুলো ছাপা হয়েছে এবং হুমায়ূন আহমেদ নামেও একটি কবিতার কার্ড ছাপা হয়েছে৷ তাতে কি আপনার কবিতার প্রতি তীব্র টান প্রকাশিত হয় না?===হুমায়ূন আহমেদ: আমি একটি উপন্যাস লিখেছি৷ নাম ‘কবি’৷ তারাশঙ্করও এই নামে একটি উপন্যাস লিখেছেন- বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলোর মধ্যে এটি একটি৷ সেইখানে আমার মতো একজন লেখকের আরেকজন কবিকে নিয়ে উপন্যাস লেখার ব্যাপারটি কি দুঃসাহসিক নয়? তারাশঙ্করের কবি ছিলেন সেই সময়ের কবি, আর আমার কবি হচ্ছে আজকের কবি৷ তাদের জীবনবোধ, জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে৷ তারাশঙ্করের কবি ছিল অতিদরিদ্র, আমার কবিও অতিদরিদ্র৷ দু’জনের মধ্যেই কাব্য প্রতিভা আছে৷ এই জিনিসটাকে নিয়েই লেখালেখির চেষ্টা করেছিলাম আর কি৷ তো এই উপন্যাসের জন্যেই কবিতার দরকার পড়ল৷ কাকে বলবো? ভাবলাম আমিই লিখি৷ একইভাবে আমার একটি টিভি সিরিয়ালে গ্রাম্য গায়কের কিছু গানের দরকার ছিল৷ নাটকের গান তো, সিকোয়েন্স অনুযায়ী লিখতে হয়, কাকে দিয়ে গান লেখাবো? নিজেই লিখলাম৷ দায়ে পড়ে আর কি! আমি হলাম দায়ে পড়ে কবি, দায়ে পড়ে গীতিকার।===মিলন: ‘কবি’ উপন্যাসে যে টুকরো টুকরো কবিতার লাইন ব্যবহার করেছেন বা আপনার প্রথম উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’-এ যে কবিতার লাইনগুলো রয়েছে- ‘দিতে পারো একশ’ ফানুস এনে/ আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে ফানুস ওড়াই৷’ এটা একজন কবির লেখা কবিতা- তা আপনি যতই ঠাট্টা-তামাশা করম্নন না কেন! কবিতার ছন্দ, শব্দের ব্যবহার এসব নিয়েও আপনি অনেক ভেবেছেন৷ এ ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা কী?”===হুমায়ূন আহমেদ: ”না, আমি কোনো ব্যাখ্যায় যেতে চাচ্ছি না৷ আমি নিজেকে একজন গল্পকার মনে করি এবং গল্পকার পরিচয়েই আমি অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি৷ কবিতাকে বলা হয় সাহিত্যের ফাইনেস্ট ফর্ম৷ এই ফাইনেস্ট ফর্মে কাজ করার ৰমতা আমার নেই৷ গদ্যটা হয়তো খানিকটা লিখতে পারি৷ কবিতা নিয়ে মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা চলতে পারে, তাই বলে নিজেকে কখনোই আমি কবি বলি না৷ সেই প্রতিভাও আমার নেই৷”
Was this review helpful to you?
or
অনেক বইয়ের রিভিউ দিয়েছি।তবে অবশেষে আমার কনফিডেন্স শুন্যের কোঠায় নামিয়ে দিলেন হুমায়ুন স্যার।এক ধরনের অহংবোধ আমার ছিল।না জানি সব বইয়ের ব্যাপারে আমার সমালোচনা ক্ষমতা আছে।মানে আমি সব ধরনের বইয়ের ব্যাপারে একটা রিভিউ লেখব।তবে আমি ঠিক কট্টর হুমায়ুন ভক্ত নই।যে এইটার রিভিউ লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না।কিন্তু এইবার ব্যাপার টা গভীর।আসলেই আমি সমালোচনা ও ব্যাখ্যাক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। আমাকে এ পর্যন্ত বেশ কয়টা উপন্যাস ঠিক হৃদয়ে গভীরভাবে আঘাত করেছে।যাদের আঘাতটা আমাকে একটা গভীর তৃপ্তি দিয়েছে।বুকটা ফাঁকা ফাঁকা বোধ করছে।এক অপরিসীম তৃপ্তি ও সুক্ষ্ম বেদনা অনুভব করছি।পথের পাঁচালী,সপ্তপদী, কবি (তারাশঙ্কর),কবি (হুমায়ুন আহমেদ),কে কথা কয়,শঙ্খনীল কারাগার,চরিত্রহীন এই সকল উপন্যাস আমাকে আসলেই হতবাক করেছে।আমার যুক্তিবাদিতা,স্বাভাবিক চিন্তা,আবেগ প্রশমন এই সবকিছুর সংমিশ্রন ঘটিয়ে দিয়েছে। পথের পাঁচালীর সবচেয়ে গুরুত্ত্বপুর্ন অংশ তার শেষাংশ। কেউ কি সেটা ভেবে দেখেছেন?লেখক পথের পাঁচালী নামকরন করেছেন সেই শেষ অংশে একটা বিষাদময় উক্তি দিবেন বলে। আমারো তাই মনে হয়। শেষ অংশটি যে আমার কত প্রিয়!! " পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন - মুর্খ বালক,পথ ত আমার শেষ হয় নি তোমাদের গ্রামের বাশের বনে,ঠ্যাঙাড়ে বীরু রায়ের বটতলা কি ধলচিতের খেয়াঘাটের সীমানায়? তোমাদের সোনাডাঙ্গা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতী পার হয়ে,পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়্র,বেক্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে,পথ আমার চলে গেল সামনে,সামনে,শুধুই সামনে......দেশ ছেড়ে বিদেশের দিকে,সুর্যোদয় ছেড়ে সুর্যাস্তের দিকে,জানার গন্ডি এরিয়ে অপরিচয়ের উদ্দেশ্যে..... দিনরাত্রি পার হয়ে,জন্ম মরন পার হয়ে,মাস,বর্ষ,মন্বন্তর,মহাযুগ পার হয়ে চলে যায়.....তোমাদের মর্মর জীবন স্বপ্ন শেওলা ছাতার দলে ভরে আসে,পথ আমার তখনো ফুরায় না.....চলে.....চলে......চলে......এগিয়েই চলে..... অনির্বান তার বীনা শোনে শুধু অনন্ত কাল আর অনন্ত আকাশ.... সে পথের বিচিত্র আনন্দ যাত্রার অদৃশ্য তিলক তোমার ললাটে পরিয়েই তো তোমায় ঘরছাড়া করে এনেছি!..... চল এগিয়ে যাই। [পথের পাচালী (বিভুতিভুষন বন্দোপাধ্যায় ] আসলেই চমৎকার। ★★ মুল কথায় আসি।হুমায়ুন আহমেদের কবি আমি পড়েছি একটা কঠিন রিডার্স ব্লকে থেকে।আমি সচরাচর রিডার্স ব্লকে পড়িনা। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রকৃতি রিডার্স ব্লকে লাগিয়ে দিয়েছে।কোনো বই ই আমি পড়ায় আগ্রহ পাচ্ছিনা।তবে বিচিত্র এক কারনে আমার পড়ার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে হুমায়ুন্স এর বই। উনার তিনটা বই দুইদিনে খতম দিলাম। কবি উপন্যাস টা তার আসলেই চমৎকার সৃষ্টি।গ্রুপে একবার অলস মস্তিষ্ক নামে একজনের কমেন্ট পড়েছিলাম।উনি বলেছিলেন হুমায়ুনের নস্যিমার্কা বাজে পঁচা জিনিস তিনি গ্রহন করবেন না।কিন্তু এই নস্যিমার্কা লেখক কিভাবে কিভাবে জানি হৃদয় ছুয়ে দেন। স্বভাবতই হুমায়ুন স্যারের স্বভাবসুলভ রসিকতা দিয়ে গল্প শুরু। আমি যে প্রমাদ গুনছিলাম সেটাই সত্য প্রমানীত হল। হুমায়ুনের প্রতি হাস্যরসের উপন্যাসে একটা করুন রস শুরু হয়।সেটা গল্পের মাঝখানে থেকে।এই গল্পেও ব্যতিক্রম না।স্বভাবতই গল্পে ভাবুক গোষ্টী টাইপ অপদার্থ ব্যক্তিদের তুলে ধরেছেন।আবার মধ্যবিত্ত পরিবারের বেশ কিছু আনন্দ বেদনা তুলে ধরেছেন। গল্পে আমি প্রধান চরিত্র নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। সাজ্জাদ আর আতাহার এই দুটি চরিত্র নিয়ে। গল্পে বেশ কয়জন ভাবুক গোষ্টী পেয়েছি।তারা হলেন ঃ ১ আতাহার ২ সাজ্জাদ ৩ মজিদ ৪ গনী সাহেব ৫ হোসেন সাহেব ৬ মোসাদ্দেক আগে অন্য কথা।গনী সাহেব উপন্যাসে এক অসামান্য চরিত্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছে।এক মহান শিল্পী মোসাদ্দেক।এটাই বোধহয় প্রমান করলেন, "a great artist can come from anywhere" প্রধান চরিত্র যে আতাহার তাতে আমার সন্দেহ নেই।কারন মজিদ আর সাজ্জাদ কাব্যদেবীর সাহচর্য্য পেয়েও হারিয়ে ফেলে।আতাহার সেটা অক্ষুন্ন রাখে।সেই বিজয়ী কবি।কবি উপন্যাসের কবি আমার নিজের একটা প্রশ্ন উপন্যাসটা পড়ার পর।বিরক্ত হয়েন না।আমি কৌতুহল সামলাতে পারছিনা। তারাশঙ্করের কবি উপন্যাসে একটা কথা ছিল 'জীবন এত ছোট কেনে?" এই উপন্যাসে একটা প্রশ্ন উদয় হল। আমরা জীবন ছোট না বড় এটা নিয়েই কি সবাই ভাবি?আচ্ছা কেউ কি নেই?যে ভাবে জীবন টা ত ঠিক ই আছে।শুধু সামনে এগিয়েই যাই।ছোট বড় পরে হিসেব
Was this review helpful to you?
or
One of the greatest book of our beloved Humayun ahmed. বিস্তারিত লিখে আপনার পড়ার মজা নষ্ট করতে চাই না!!
Was this review helpful to you?
or
কেউ কি জানেন আতাহার এখন কেমন আছেন?? জানেন আমার যখন খুব মন খারাফ হয় কবি পড়ি.. কেউ যদি না পড়ে থাকেন পড়বেন একবার জিবনের পাওয়া না পাওয়ার হিসাব কসতে এই বইটা পড়বেন।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদের সবথেকে ভালো বই। েএমনকি আমার পড়া সবথেকে বেশীবার বইয়ের তালিকায় এই বই অন্যতম।বইকে ঘিরেই আমি আমার জীবনের মোড় খুঁজে পাই।তাই বার বার পড়ি। আতাহারকে এতো চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন।।অসাধারণ।।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃকবি লেখকের নামঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃকাকলী প্রকাশনী মূল্যঃ২৫৫ টাকা মাত্র হুমায়ূন আহমেদের 'কবি' আমার জন্য কেবল একটি বই না, অনেক অনুভূতির আধার বলা যায়। আমার ভালোলাগার মেয়েটা রীতিমত নীতু র মতন তাই হয়তো! বইটিতে ব্যবহার করা প্রতিটি কবিতা হুমায়ূন আহমেদের নিজের লেখা, প্রতিটিই অসাধারণ। কবিতা যাদের বুকে সামান্য হলেও কাঁপুনি তোলে তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য!আতাহার, সাজ্জাদ, মজিদ, জায়েদা, নীতু, হোসেন সাহেব মোসাদ্দেক, কণা, গণি, মিলি সহ আরো অনেকগুলো মানুষের জীবনের খুব সূক্ষ্ম কিছু পাওয়া না পাওয়ার উপাখ্যান এই বইটি। আপাতদৃষ্টিতে যাদের খুব পুর্ণ বলে মনে হয় তাদের জীবনেও অনেক অপূর্ণতা থেকে যায়, যাদের সফল বলে মনে হয় জীবনভর তারাও হয়ত কোন না কোন ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে বেড়ায়। এই অনুভূতিগুলোর সংগায়ন বেশ একেকজনের কাছে একেকরকম।আমার পক্ষে এই আবেগের নামকরণ করা অসম্ভব। তবে গুণবাবুর কবিতার মত করে বলা যায়, ''যে আবেগের নাম আজও স্থির করে উঠতে পারেনি মানুষ, আর সুনির্দিষ্ট কোন নাম না থাকার জন্যই যে আবেগের রহস্য কখনো ঘুচবার নয়; অর্থাৎ কোন অনির্দিষ্টকে ধরবার ক্ষেত্রে কোন সুনির্দিষ্ট শব্দ যেখানে সবচেয়ে বেশিবার ব্যর্থ হয়...'' এমনি কোন অদেখা আবেগের বহিঃপ্রকাশ কবি। শেষের দিকে নিজের আবেগ প্রবণতায় নিজেই আহত হয়ে পড়ি। ঠিক এতোটাই জীবন্ত একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
A review by Mohona Mehjabeen Haque জীবনে কদাচিৎ ই এমন সময় আসে যখন অচেনা এক জীবনবোধ আপনি আবিষ্কার করে বসেন অনাড়ম্বর কোন লেখার মাঝে। ফ্যাকাশে মলাটে মোড়ানো, সাদামাটা পাতায় ছাপার অক্ষরে হিবিজিবি কয়েকশত পাতা সহসাই এক নতুন দরজা খুলে দেয় সামনে। দরজার ওপাশে আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে অধরা কোন প্রাচীনতম অনুভূতি। সাহস করে এক পা বাড়ালেই হয়ত পেয়ে যাবেন আরাধ্য চেতনার সন্ধান। কিন্তু ঐ এক কদমের দূরত্ব যোজন যোজন ক্রোশের সমান হয়ে দেখা দেয়। রূঢ় বাস্তবতা নামের এক পর্দা আপনার ও আপনার অচেনা হয়েও আরাধ্য ঐ বোধের মাঝে ম্লান হয়ে ঝুলতে থাকে। কবি সেই মহান বোধ কে স্পর্শ করার গল্প। জীবনকে দেখা এবং না দেখার গল্প। বইয়ের নাম: কবি লেখক: হুমায়ূন আহমেদ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৭৮ রকমারি মূল্য: ২৫৫ টাকা প্রকাশনা: কাকলী প্রকাশনী কাব্যদেবী সচরাচর সবাইকে আশীর্বাদ দেন না, কবিতা ধারণ করার মতন গুণ দেন না। রবীঠাকুর,জীবনানন্দ, রবার্ট ফ্রস্ট, কালিদাসরা কালেভদ্রে জন্মায়। কখনো কখনো পাতার পর পাতা যে কথা বোঝাতে ব্যর্থ হয়, কবির লেখা দুই ছত্র অতি সহজে তা ধারন করে ফেলতে পারে। গিয়ে আঘাত হানতে পারে মনের গভীরতম কুঠুরিতে। মূল কাহিনী: আতাহার, সাজ্জাদ আর মজিদ তিন বন্ধু। এদের চিন্তা, মনন, মানসিকতা, পারিপার্শ্বিকতায় আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকলেও কবিতা নামের একটা অদৃশ্য বন্ধন তাদের বেঁধে রাখে একে অপরের সাথে। আতাহার মধ্যবিত্যের ছেলে। বাবা, মা, ছোটভাই, বোনের প্রতিদিনকার সংসারের টানাপোড়ন যার নিত্যসঙ্গী কবিতা তার জন্য বিলাসিতা বটে। আতাহারের ভেতরের কবিসত্বা এই বিলাসকে খুব আগ্রহভরে মাথা পেতে নেয়। সাজ্জাদের ছোটবোন কৃষ্ণকলি নীতুর সাথে তার অদ্ভুত সম্পর্ক। অযথা প্রচুর কথা বলতে পারলেও মনের নিগূঢ় কথা বলতে এই কবি ব্যর্থ হয় বারবার। বিশাল বড়লোক হোসেন সাহেবের বড় ছেলে সাজ্জাদ। মারাত্মক মেধাবী ছেলেটার চাকুরীবাকরির প্রতি কোন আগ্রহ নেই। অফিসে বসে ফ্রস্টের কবিতা অনুবাদ করায় মনোযোগ দেয়। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে যাকে পরিণত করে এন্টিসোশাল সাইকোপ্যাথ এ। জাগতিক অনেক মোহকে কি সহজেই না সাজ্জাদ ছেড়ে দেয়। এমনকি পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য ধারন দাঁড়িয়ে থাকা লীলাবতীর বাঁধভাঙা আবেগকে স্থূল নিবেদন বলে উপেক্ষা করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। প্রচন্ড প্রতিভাবান মজিদ কবিতার জগত ছেড়ে নতুন এক জগতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। কবিতার ছত্র ভেঙে এখন সে স্কুল মাস্টার, লজিং থেকে পড়ায় এক মায়াবতী কে। কবিতাকে নাকি তার আর দরকার নেই, আরাধনা করার জন্য রক্তমাংসের নতুন দেবী খুঁজে পেয়েছে। মোসাদ্দেক নামের অসাধারণ প্রতিভাধর মানুষটা ফরমায়েশে ন্যুড ছবি, রিক্সার পেছনের লেখালেখি করে প্রতিভার অপচয় বেড়াচ্ছে। কি নিতান্ত অপচয়! আসলেই কি অপচয়?! জীবিকার তাগিদে যেই মেয়েটি শাড়ির আঁচল ফেলে হাসিহাসি মুখে ছবির মডেল হচ্ছে তার চোখের দিকে তাকালে কি গভীর বিষাদ ছাড়া অন্য কোন আবেগ দেখা যাবে? পাঠ প্রতিক্রিয়া: আতাহার, সাজ্জাদ, মজিদ, জায়েদা, নীতু, হোসেন সাহেব মোসাদ্দেক, কণা, গণি, মিলি সহ আরো অনেকগুলো মানুষের জীবনের খুব সূক্ষ্ম কিছু পাওয়া না পাওয়ার উপাখ্যান এই বইটি। আপাতদৃষ্টিতে যাদের খুব পুর্ণ বলে মনে হয় তাদের জীবনেও অনেক অপূর্ণতা থেকে যায়, যাদের সফল বলে মনে হয় জীবনভর তারাও হয়ত কোন না কোন ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে বেড়ায়। এই অনুভূতিগুলোর সংগায়ন বেশ একেকজনের কাছে একেকরকম।আমার পক্ষে এই আবেগের নামকরণ করা অসম্ভব। তবে গুণবাবুর কবিতার মত করে বলা যায়, ''যে আবেগের নাম আজও স্থির করে উঠতে পারেনি মানুষ, আর সুনির্দিষ্ট কোন নাম না থাকার জন্যই যে আবেগের রহস্য কখনো ঘুচবার নয়; অর্থাৎ কোন অনির্দিষ্টকে ধরবার ক্ষেত্রে কোন সুনির্দিষ্ট শব্দ যেখানে সবচেয়ে বেশিবার ব্যর্থ হয়...'' এমনি কোন অদেখা আবেগের বহিঃপ্রকাশ কবি। ব্যক্তিগত অভিমত: হুমায়ূন আহমেদের 'কবি' আমার জন্য কেবল একটি বই না, অনেক অনুভূতির আধার বলা যায়। জীবনে প্রথমবার ভেঙেচুরে যার প্রেমে পরেছিলাম সে অনেকটাই আতাহারের মতন তাই হয়তো! বইটিতে ব্যবহার করা প্রতিটি কবিতা হুমায়ূন আহমেদের নিজের লেখা, প্রতিটিই অসাধারণ। কবিতা যাদের বুকে সামান্য হলেও কাঁপুনি তোলে তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য! ব্যক্তিগত রেটিং দিতে হলে আমি ৫/৫ দিবো। বইটি শেষ করে আমার মতন আপনিও বলতে বাধ্য হবেন, 'আহা কি অপূর্ব পঙক্তিমালা' :') বি:দ্র: আমার জীবনে লেখা প্রথম রিভিউ এটা! ভুলত্রুটি প্রচুর হয়েছে জানি। বোদ্ধারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি :)
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর সব লেখার মধ্যে সেরা লেখা এটি। পুরো উপন্যাস জুড়েই ছিল বিভিন্ন ব্যার্থ মানুষের ব্যার্থতায় মাখা বিভিন্ন কাহিনি। তবে সবগুলোর শেষেই ছিল একটি মধুমাখা উপলব্ধি। কষ্টের জীবন কিভাবে মানুষ সুখি করছে তাও দেখা যেয় এই বইটিতে। মোট কথা আপনি হুমায়ুন ভক্ত হোন অথবা না হোন, এটি পড়ে আপনার হুমায়ুন আহমেদকে এবং তার লিখাকে ভালো লাগতে বাধ্য।
Was this review helpful to you?
or
আসলে কবি উপন্যাস একাধিক ব্যার্থ মানুষদের উপাখ্যান। পুরো উপন্যাস জুড়েই তুলে ধরা হয়েছে ব্যার্থ মানুষগুলোর জীবন। একেকটা ব্যার্থ মানুষ কিভাবে তার লক্ষে অবিচল থাকে, তার উৎকৃষ্ট উধাহরণ কবি। কবি পুরোটাই ব্যার্থ মানুষদের জীবনের কক্ষপথে টিকে থাকার লড়াই। . প্রথমত রশিদ সাহেব মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না। দুটো বড় ছেলে পরিবারে আছে কিন্তু কোন রোজগারের উপায় বের করতে পারছে না। যার কারনে শেষ সময়েও ছাত্রী পড়িয়ে উপার্জনের পথটা ধরে রাখতে হচ্ছে । অন্য দিকে হোসেন সাহেব আজও জানেন না, -কেন স্ত্রী ফরিদা তাকে ছেরে তারই বন্ধুর হাত ধরে চলে গেছে। অন্যদিকে মায়ের পরপুরুষেরর হাত ধরে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি সাজ্জাদ। যেটা আজও তাকে তারা করে বেড়ায়। যার ফলে দিনে দিনে সে বড় হয়েছে Antisocial Psychopath হিসেবে। কবি হয়ে ওঠার স্বপ্নেবিভোর থাকা সাজ্জাদ অবশেষে সুখ পেয়েছে মাদকে। মাদকেই সে খুঁজে নিয়েছে শান্তি। যার ফলে তাকে যেতে হয়েছে মাদকাসক্ত কেন্দ্রে। তার মধ্যে মজিদের আছে কবিতা নামক অসাধারন বস্তু। সূবর্নের সম্পাদকের মতে, -সত্যিই একজন কবি হয়ে উঠেছিল মজিদ। কিন্তু পরিশেষে নিস্তব্ধ জাহেদান নিষ্কুলুষ প্রেম বাধ্য করেছে মজিদকে কবিতা ছাড়তে। অবশেষে নৈঃশব্দবতী জাহেদার ভালোবাসার কাছে হার মেনে, তাকে কবিতা বিসর্জন দিয়ে বাধ্য করেছে সংসারী হতে। এদিকে লেখার হাত যেমনই হোক, একমাত্র কবিতার জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই বিসর্জন দেয় আতাহার। তার জীবন মানেই শুধু কবিতা আর বারং বার কঠিন অভিনয় করা নিতু। কবি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র আতাহার শুধুমাত্র কবিতার জন্য জীবনের সব কিছু বিসর্জন দেয় সে। একদিকে আতাহারের মধ্যবিত্ত জীবনের টানাপোড়ন। অন্যদিকে উচ্চবিত্ত বন্ধু সাজ্জাদের ছোট বোন আদরের দুলালী কঠিন অভিমানী নিতুর ভালোবাসা। মধ্যবিত্ত জীবনের এ যেন এক কঠিন বাস্তবতা। বারং বার বুঝেও না বোঝার ভান করে নিতুর ভালোবাসাকে এড়িয়ে যাওয়া। এই যেন আসলেই একজন ব্যার্থের জীবনের কঠিন লুকোচুরি খেলা!! . কবি উপন্যাসের প্বার্শচরিত্র সূবর্ন পত্রিকার সম্পাদক গনি ভাই। আতাহারকে একটা দিক করে দিতে চাওয়া ময়না ভাই। আতাহারের ছোট বোন মিলি। ছোট ভাই ফরহাদ। বড় বোন মনিকা আপু। বাবা রশীদ আলী। মা সালমা বানু। আতাহারের লৌহ বিতানের বন্ধু আবদুল্লাহ্ সাহেব। আবদুল্লাহ্ সাহেবের স্ত্রী নিতু। সাজ্জাদের বাবা হোসেন আলি সাহেব। মা ফরিদা। সাজ্জাদের আর্টিস্ট বন্ধু মোসাদ্দেক সাহেব। সাজ্জাদকে ভালোবাসা নৃত্যকন্যা লীলাবতী। মজিদকে ভালোবাসা নৈঃশব্দবতী জাহেদা। আতাহারেরর মাকে দেখাশোনা করা মহিলা ডাক্তার হোসনা। চিড়িয়াখানা দেখতে চাওয়া শিল্পি কণা। আসলে কাউকেই আমার উপন্যাসের প্বার্শচরিত্র বলে মনে হয়নি। চরিত্রগুলো উপন্যাসের সাথে এমন ভাবে মিশে গেছে যে, প্রত্যেকটা চরিত্র কেন্দ্রীয় চরিত্রের মত, -এই হাসাচ্ছে। -এই কাঁদাচ্ছে। এই আবার গভীর ভাবে ভাবাচ্ছে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন স্যারের সেরা লেখার একটা।
Was this review helpful to you?
or
যে বইটির রিভিও লিখছি তার নাম ‘কবি’ । লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। যারা বইটি পড়েছেন তারা জানেন বইটি হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বই থেকে একটু আলাদা। তিন কবি বন্ধুর কাহিনী আছে এই উপন্যাসে। আছে তাদের হতাশা, পাওয়া না পাওয়া আর তাদের কাছের মানুষের গল্প। ‘কবি’ তে কিছু কবিতা আছে যেগুলো হুমায়ূন আহমেদ নিজেই লিখেছেন। হুমায়ূন আহমেদের ভাষায়ঃ ‘‘কবি উপন্যাসে কিছু কবিতা ব্যবহার করতে হয়েছে। অতি বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি কবিতাগুলি আমার লেখা। পাঠক-পাঠিকারা আমার দুর্বল গদ্যের সঙ্গে পরিচিত। সেই গদ্য তাঁরা ক্ষমা সুন্দর চোখে গ্রহণ করেছেন। কবিতাগুলিও করবেন- এই অসম্ভব আশা নিয়ে বসে আছি। ক্ষমা পেয়ে পেয়ে আমার অভ্যাস গেছে খারাপ হয়ে।’’ -হুমায়ূন আহমেদ ধানমণ্ডি, ঢাকা। কবিতাগুলির মধ্যে একটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছিঃ প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই গৃহত্যাগী হবার মত জোছনা কি উঠেছে? আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জোছনার জন্যে বসে আছি। যে জোছনা দেখা মাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে- ঘরের ভেতর ঢুকে পরবে বিস্তৃত প্রান্তর। প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব- পূর্ণিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে। চারদিক থেকে বিবিধ কণ্ঠ ডাকবে- আয় আয় আয়। -হুমায়ূন আহমেদ