User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
ঠিক ঠাক মতো পেয়েছি
Was this review helpful to you?
or
এ যেন হার না মানা মিসির আলির থমকে উঠে থমকে যাওয়ার খন্ড খন্ড চিত্র। মাঝে মাঝে মনে প্রশ্নবিদ্ধ আর কখনও কখনও করেছে চঞ্চল।
Was this review helpful to you?
or
Superb.
Was this review helpful to you?
or
Nicees
Was this review helpful to you?
or
Paper and print quality is very poor. Disappointed.
Was this review helpful to you?
or
I Love this book so much
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
I enjoyed this book. Thriller story.
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
Amazing
Was this review helpful to you?
or
khub valo
Was this review helpful to you?
or
সত্যি অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
This is a very interesting book........
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ is the best writer.
Was this review helpful to you?
or
মন্দ নয়
Was this review helpful to you?
or
বইটাতে খন্ড খন্ড করে গল্প দেওয়া আছে। সেই গল্প গুলোই দেওয়া আছে যেগুলো মিসির আলী কোন কারণ খুজে পায়নি,এমন কোন ক্লুও পাননি যেটা দিয়ে রহস্য খুজবেন।পুরোপুরি হার মানা ঘটনা গুলোই দেওয়া আছে বইগুলোতে
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
Nicee
Was this review helpful to you?
or
বইটিতে লেখক মিসির আলির কিছু আকর্ষণীয় এবং মজাদার ব্যর্থতার গল্পই তুলে ধরেছেন। যেমন ধরুন, মিসির আলির বাবার রেখে যাওয়া এক রহস্যময় তালাবদ্ধ সিন্দুকের ঘটনা। যাতে কান পাতলেই শোনা যেত এক কিশোরী মেয়ের আবেগঘন কণ্ঠস্বর এবং নুপুরের শব্দ। শুধু মিসির আলি একা নন, এই কণ্ঠস্বর কিংবা শব্দ শুনেছেন তাঁর পালক মাতাও। ‘সিন্দুকের ভেতরে নিশ্চয়ই মূল্যবান কিছু রয়েছে’ এমন মূল্যায়নে তাঁর মায়ের পরামর্শে চাবি জোগাড় করে তাঁর মৃত বাবার আদেশ অমান্য করেই খোলা হয় সিন্দুকের তালা। এবং ফলাফল শূন্য। সিন্দুকের ভেতরে এক টুকরো সুতোও পাওয়া যায়নি। এর পর থেকে আর কখনও সেই সিন্দুক থেকে রহস্যময় কোন শব্দ বা কারও কণ্ঠস্বর শোনা যায়নি। ছোটবেলার এই রহস্য নিয়ে মিসির আলি পরবর্তী কালে বেশ চিন্তা ভাবনা করলেও কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি। এমন বিভিন্ন অব্যাখ্যায়িত সমস্যাবলী নিয়েই ‘মিসির আলি UNSOLVED’। মিসির আলির অন্যান্য বইয়ের মত এই বইটিও বেশ থ্রিলিং বলে আমি মনে করি। বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত ঘটনা যা মিসির আলি সমাধান করতে পারেননি সেগুলো পড়ার সময় বেশ রোমাঞ্চ এবং উত্তেজনা বোধ করেছি। ভেদ করতে না পারা উল্লেখিত সেসকল রহস্যের ভেতরে ঢুকে মিসির আলি হবারও খানিকটা ব্যর্থ চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে বইটির সাথে আমি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি বলেই মনে করি। © Aishu Rehman
Was this review helpful to you?
or
Good one
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলি Unsolved এ মিসির আলির কিছু গৌরবময় পরাজয়ের কাহিনী বলা হয়েছে। সিন্দুক, ফ্রুট ফ্লাই, সোনার মাছি,ছবি,রোগভক্ষক রউফ মিয়া,লিফট রহস্য,হামা-ভূত এবং মাছ এর কাহিনী গুলো বলা হয়েছে এখানে। মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্যগুলোই মূলত এই বইয়ের আলোচ্য বিষয়। "অতি অল্প পুরুষমানুষই অতি রূপবতীদের মা ডাকতে পারে।" "সঙ্গে রবে সুরার পাত্র অল্প কিছু আহার মাত্র আরেকখানি ছন্দমধুর কাব্য হাতে নিয়ে।" "Ignorence is bliss."
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলি একজন মনোবিজ্ঞানী, যে যুক্তিতে বিশ্বাস করে। মিসির আলির একটা ডায়েরি আছে যেখানে তিনি তার অমীমাংসিত কাহিনি গুলো লেখে রেখেছেন। জগতের সকল কিছু যে ব্যাখ্যা করে বলা যায় না, কিছু কিছু জিনিস আছে যা আলৌকিক তার কথাই জানতে পারবেন এই বইটি পড়ে
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলির গল্পগুলো অনেক সুন্দর Unsolved গুলো আমার খুব ভালো লাগে... মিসির আলি মানেই রহস্য..... যা সত্যি খুব অবাক করা..
Was this review helpful to you?
or
কঠিন কঠিন রহস্যের সমাধানকারী হলেন মিসির আলী।আমরা তার অন্যান্যগল্পে দেখেছি ওনি সমাধান করেছেন কঠিন রহস্য। কিন্তু কেমন হয় এমন কিছু গল্প পড়লে যেখানে মিসির আলি রহস্যের সমাধান করতে পারছেন না?এমনই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে মিসির আলি আনসলভ্ড বইটা।এখানে হুমায়ূন আহমেদ ব্যাখ্যার অতীত কিছু গল্প রচনা করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর চরিত্রগুলোর মধ্যে মিসির আলি এক অসাধারণ চরিত্র। মিসির আলি চরিত্র এর বই গুলো একেকটা অসাধারণ। মিসির আলি একজন প্রফেসার। তিনি অলৌকিক সব ঘটনা যুক্তি দিয়ে মীমাংসা করেন। কিন্তু কয়েক সময় তিনি হেরে যান। এই হেরে যাওয়া কোন লজ্জার নয় গর্বের। 'মিসির আলী unsolved' অসাধারণ একটা বই। এই বইটিতে মিসির আলি হেরে যাওয়া আটটি গল্প রয়েছে। আটটি গল্পই অসাধারণ। প্রত্যেকটা গল্প আলাদা। তাই দেরি না করে মাত্র১৪১ টাকায় অর্ডার করুণ 'মিসির আলী unsolved' আর হারিয়ে যান বইয়ের রাজ্যে।
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলী সিরিজের যে বইগুলো রয়েছে এই বইটি বলবো একদম ব্যাতিক্রমধর্মী একটি বই। প্রত্যেকটি বই পড়ে আমরা দেখেছি মিসির আলীর যুক্তিতর্কের কাছে সব পরিস্থিতি হার মেনেছিলো, কিন্তু এই বইটিতে কিছু গল্পের যে সংকলন রয়েছে তার একটিও মিসির আলী সমাধান করতে পারিনি। এই পরিস্থিতি গুলো কোনভাবেই সামলাতে পারেনি মিসির আলী তার যুক্তিবিদ্যা দিয়ে। বইটিতে অনেক গুলো গল্প স্থান পেয়েছে । তাহলে কি ছিলো সে গল্পগুলো?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লাগল বইটা পড়ে
Was this review helpful to you?
or
মিসির আ্লির চরিত্রের সাথে আমরা সবাই ই অতি পরিচিত।কিন্তু এই বই আমাদের সামনে মিসির আলির এক নতুন রুপ তুলে ধরেছে।এখানে মিসির আলির কিছু অ্মীমাংসিত ঘটনার কথা রয়েছে যা মিসির আলিকে এখনো মাঝে মাঝে ভাবিয়ে তোলে।এই বইটি পড়লে মিসির আলির পাঠকেরা মিসির আলির সম্পর্কে আরো গভির ভাবে জা্নতে পারবে।
Was this review helpful to you?
or
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, যিনি তাঁর সৃষ্ট সাহিত্য দিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে শিখিয়েছেন কীভাবে বই পড়তে হয়। বাংলা সাহিত্যের একটি অংশ তাঁর সৃষ্ট সাহিত্য দ্বারা গত চল্লিশ বছর যাবত সমাদৃত হয়ে এসেছে। জটিল এবং কষ্টপাঠ্য বাংলা সাহিত্যের একটি অংশ তাঁর সৃষ্ট সাহিত্যের কারণেই খুব সহজবোধ্য হয়ে ওঠেছে। এমন কোনো পাঠককে হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি হহুমায়ূন-সাহিত্যের স্বাদ কখনো আস্বাদন করেন নি। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে হিমু, শুভ্র, রূপা, নবনী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে সবচেয়ে সম্মানের সাথে যে চরিত্রকে উল্লেখ করা যায়, সেটি হলো 'মিসির আলী'। "লিফট রহস্য" এই বইয়ের অন্যতম চমকপ্রদ গল্পগুলোর একটি। এতে চিকিৎসাধীন এক তরুণীর কথা বলা হয়েছে, যে কোনো এক ছুটির দিনে আপাত জনমানবশূন্য একটি ভবনের লিফটে উঠে কোনো এক কারণে তীব্র ভয় পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই মেয়েটি, লিলি, সহজে মুখ খুলতে চায় না, কেন সে ভয় পেয়েছিল, কী এমন দেখেছিল সে, আর কী-ই বা ঘটেছিল সেই লিফটে? তার ভয় দূর করতে সাহায্য করতে গিয়ে মিসির আলি বরং খুঁজে পান রহস্যের মাঝে অদ্ভুত আরেক টানটান রহস্য। বাকি গল্পগুলোও লেখা হয়েছে চমৎকার আকর্ষণীয় ঢঙে। মিসির আলির স্নায়ু টান করা সব ঘটনা এবং তার মাঝে মিশে যাওয়া অন্য চরিত্রগুলোর শোনানো গল্পে বুঁদ হয়ে যেতে সময় লাগে না এতোটুকুও। একটা কথা হয়তো অনেকেই মানবেন, মানুষ জন্মগতভাবেই রহস্যপ্রিয়। অলৌকিক বা পরাবাস্তব ঘটনাবলীর প্রতি আমাদের সহজাত আকর্ষণ ঠিক সেভাবে ছকে ফেলে হয়তো বোঝানো বা ব্যাখ্যা করা সম্ভব না; কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে যতোই অবিশ্বাস্য ঠেকুক না কেন, এইসব ঘটনাগুলো আমাদের ভেতরের অজানা কোনো স্থান স্পর্শ করে ফেলে অনায়াস নৈর্ব্যক্তিকতায়। রহস্য, মূলত অমীমাংসিত রহস্যের প্রতি এই ঝোঁক, এই আগ্রহকেই মূল উপজীব্য করা হয়েছে "মিসির আলি UNSOLVED" বইটিতে। কাকলী প্রকাশনীর এই বইটির মুদ্রণ, বাঁধাই বেশ দারুণ। সেইসাথে রয়েছে ধ্রুব এষের করা মনকাড়া প্রচ্ছদ।মূল্য মাত্র ১৩০ টাকা। বড় বড় হরফে "UNSOLVED" শব্দটি কোনো এক অজানা প্রশ্নবোধক অথবা প্রশ্নবিদ্ধ আকর্ষণে বুঝি টানতে থাকে সমস্ত সত্তা জুড়ে।
Was this review helpful to you?
or
onk vlo boi .rohosomoi, onk interesting ,onk vlo , osadharon boi ,amr onk vlo legeche.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম:মিসির আলি আনলসলভড লেখক:হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী:কাকলী প্রকাশনী প্রচ্ছদ:ধ্রুব এষ মূল্য:১৩০(মূদ্রিত) পৃষ্ঠা:৯৩ হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে মিসির আলি অন্যতম।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এই মিসির আলি পছন্দ করেন রহস্য এবং রহস্যের সমাধান করতে। মিসির আলি দেখেন চোখ বন্ধ করে,যে পৃথিবীতে চোখ খুলেই কেও দেখতে পায় না, সেখানে চোখ বন্ধ করে দেখা এক আশ্চর্য্য ফলবতী চেস্টা। এমনই রসহস্যময়ী মানুষ মিসির আলি। বইয়ের প্রসঙ্গে ফিরে আসি। আপনি যদি মিসির আলি 'র অন্যান্য বই পড়ে থাকেন এবং পড়ে যদি জেনে থাকেন যে,মিসির আলি খুব গম্ভীর, নিরস এবং প্রিতিটি রহস্যের সমাধান করতে পারেন এমন একজন মানুষ তাহোলে মিসির আলি সম্পর্কে আপনি খুব কমই জনেছেন।কারন, মিসির আলি আনসভড বইটাতে মিসির আলি তার নিজের অমীমাংসিত রহস্যের কথা নিজের মুখে বলেছেন!মিসির আলির সাথে আনসলভড কথাটা কি আসোলে যায়?দুইটা তো দুই মেরুর দুইটা কথা,দুই মেরু কি কখনো এক হতে পারে?কি এমন রহস্য, যা মিসির আলি সমাধান করতে পারেননি?নিশ্চয় আপনার বা মিসির আলি ভক্তদের জানতে ইচ্ছা করছে রহসগুলো কি? জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে 'মিসির আলি আনসলভড 'বইটা পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
humayun sir ar jonoprio coritro gulor moddeh misir ali holo akti coritro..je kina sokol prblm ar solution dite pare.bt sir amn akta boI liklen jekane tini dkhalen misir alir o onk unsolved problm ace..
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্য ভালোবাসেন অথচ মিসির আলী পড়েননি, এরকম লোক খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা, আমার এতে বিস্তর সন্দেহ আছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমি হুমায়ূন স্যারের দ্বারা সৃষ্ট মিসির আলী চরিত্রের অনেক বড় ফ্যান। মিসির আলী কোন গোয়েন্দা নন, কিংবা চুক্তির ভিত্তিতে তিনি কারো সমস্যার সমাধানও করেন না। মিসির আলী Unsolved বইটিতে মূলত মিসির আলী কারো কোন সমস্যার সমাধান করেননি। এখানে আছে তার ব্যার্থতার গল্প। মানে এখানে সেই গল্পগুলোই লিপিবদ্ধ করেছেন হুমায়ূন আহমেদ, যেই গল্প বা ঘটনার সমাধান বা তাৎপর্যপূর্ণ কোন ব্যাখ্যা মিসির আলী দাড় করাতে পারেন নি। আমার পড়া প্রথম মিসির আলী চরিত্রের বই। বইটি এতটাই ভালো যে, জাস্ট ভাষায় প্রকাশ করার মত না...?
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলি হলো বাংলা সাহিত্যে সর্বশেষ আপডেট।মিসির আলির সকল বই অত্যন্ত চমৎতকার।তাই এই বইটিও অনেক সুন্দর।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ মিসির আলী UNSOLVED লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ কাকলী প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯৪ মূল্যঃ ১৩০ টাকা মূল রিভিউঃ মিসির আলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক পার্ট-টাইম শিক্ষক। লজিক ধরে ধরে অব্যাখ্যায়িত বিভিন্ন ধরণের সাইকোলজিক্যাল সমস্যার সমাধান তিনি করে থাকেন। এটা অবশ্য তাঁর পেশা নয়, এক প্রকার নেশা। প্রকৃতির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তিনি ভাবতে ভালোবাসেন। এরকম বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন লোকজন তাঁর কাছে আসেন। আকর্ষণীয় কিংবা প্রয়োজনীয় মনে হলে নিজের মেধার সবটুকু ব্যয় করে সেই সমস্যা সমাধানে ব্রত হন তিনি। কিন্তু অতিবুদ্ধিমান মিসির আলিও মাঝে মাঝে হেরে যান। হাজার চেষ্টা করেও কিছু সমস্যার সমাধান তিনি করতে পারেন না। রহস্য ভেদ করতে না পারা সেসকল সমস্যাগুলো তিনি ‘আনসল্ভড’ নামক একটি খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখেন। আর এই খাতার কিছু ঘটনা নিয়েই হুমায়ূন আহমেদ এর ‘মিসির আলি UNSOLVED’। নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যতম জনপ্রিয় সৃষ্টি এই মিসির আলি সিরিজ। ‘দেবী’ বইটির মাধ্যমে সিরিজটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। অতঃপর সিরিজের একের পর এক বইয়ের মাধ্যমে ‘মিসিল আলি’ পাঠকহৃদয়ে জায়গা করে নেয় এক অনন্য স্থান। সাধারণত পাঠকেরা মিসির আলির বুদ্ধি দিয়ে ভেদ করা বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল রহস্যের গল্প পড়ে থাকেন কিন্তু এই বইটি লেখক সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ভাবে পাঠকদের সামনে উপস্থিত করেছেন। বইটিতে লেখক মিসির আলির কিছু আকর্ষণীয় এবং মজাদার ব্যর্থতার গল্পই তুলে ধরেছেন। যেমন ধরুন, মিসির আলির বাবার রেখে যাওয়া এক রহস্যময় তালাবদ্ধ সিন্দুকের ঘটনা। যাতে কান পাতলেই শোনা যেত এক কিশোরী মেয়ের আবেগঘন কণ্ঠস্বর এবং নুপুরের শব্দ। শুধু মিসির আলি একা নন, এই কণ্ঠস্বর কিংবা শব্দ শুনেছেন তাঁর পালক মাতাও। ‘সিন্দুকের ভেতরে নিশ্চয়ই মূল্যবান কিছু রয়েছে’ এমন মূল্যায়নে তাঁর মায়ের পরামর্শে চাবি জোগাড় করে তাঁর মৃত বাবার আদেশ অমান্য করেই খোলা হয় সিন্দুকের তালা। এবং ফলাফল শূন্য। সিন্দুকের ভেতরে এক টুকরো সুতোও পাওয়া যায়নি। এর পর থেকে আর কখনও সেই সিন্দুক থেকে রহস্যময় কোন শব্দ বা কারও কণ্ঠস্বর শোনা যায়নি। ছোটবেলার এই রহস্য নিয়ে মিসির আলি পরবর্তী কালে বেশ চিন্তা ভাবনা করলেও কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি। এমন বিভিন্ন অব্যাখ্যায়িত সমস্যাবলী নিয়েই ‘মিসির আলি UNSOLVED’। মিসির আলির অন্যান্য বইয়ের মত এই বইটিও বেশ থ্রিলিং বলে আমি মনে করি। বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত ঘটনা যা মিসির আলি সমাধান করতে পারেননি সেগুলো পড়ার সময় বেশ রোমাঞ্চ এবং উত্তেজনা বোধ করেছি। ভেদ করতে না পারা উল্লেখিত সেসকল রহস্যের ভেতরে ঢুকে মিসির আলি হবারও খানিকটা ব্যর্থ চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে বইটির সাথে আমি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি বলেই মনে করি। অসাধারণ এই বইটি পড়ে ফেলতে পারেন আপনিও। আশা করছি আমার মত আপনারও বইটির সাথে বেশ ভালো সময় কাটবে। শুভ কামনা রইল।
Was this review helpful to you?
or
সত্যি বলতে, দেশের পড়ুয়া পাঠকসমাজের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুরূহ হবে যিনি হুমায়ূন আহমেদ পড়েননি। অথবা তাঁর সৃষ্ট জনপ্রিয় চরিত্র "মিসির আলি" সম্পর্কে জানেন না। হুমায়ূন আহমেদের লেখায় প্রায়শই ঘুরেফিরে এসেছে মিসির আলির কথা। রহস্যের আঙিনায় যার দুর্নিবার পদচারণা, বলা যায় তিনি নিজেও প্রতিটা লেখায়ই আবির্ভূত হয়েছেন অনেকটা রহস্যের ঘেরাটোপেই। পেশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর, মিসির আলির আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যুক্তি, মানুষের মন, আচরণ এবং নানাবিধ অলৌকিক ঘটনা। তিনি ভালোবাসেন যুক্তির মাধ্যমে প্রকৃতিতে লুকিয়ে থাকা নানান রহস্যের মোড়ক উন্মোচন করতে, মানুষের মনের গহীনে প্রোথিত কুসংস্কার ভাঙতে, অতিপ্রাকৃত বা আধিভৌতিক ঘটনাবলীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজতে। কিন্তু সবসময় যে তিনি সফল হন, তা কিন্তু না। অনেক সময়ই তাঁকে হার মানতে হয় অসীম ক্ষমতাধর প্রকৃতির অতল রহস্যের কাছে। সমাধান করতে না-পারা এইসব রহস্যগুলো, লেখকের ভাষ্যমতে — মিসির আলির "কিছু গৌরবময় পরাজয়", নিয়েই আবর্তিত হয়েছে "মিসির আলি UNSOLVED"। সূচিপত্র বিহীন বইটাতে গল্প আছে মোট আটটি। সবগুলোই লেখা হয়েছে "গল্পের ভেতর গল্প" অথবা "গল্পের ভেতর গল্প এবং তার ভেতর গল্প" ধরন অবলম্বনে। যেমন একদম শুরুর গল্প, "সিন্দুক"-এ মিসির আলি এবং লেখকের স্বাভাবিক কথোপকথনের বুনটের মাঝেই শুরু হয় মূল গল্প, মিসির আলির জবানিতে। এ-গল্প মিসির আলির শৈশবের, যাতে উঠে এসেছে তাঁর বাবার রহস্যময় এক সিন্দুকের কথা। লোহা কাঠের তৈরি বিশাল এক সিন্দুক, যার ভেতর কী আছে, মিসির আলি জানতেন না, জানতেন না তাঁর বাবাও। মিসির আলি শুধু তাঁর বাবাকে দেখেছেন মাত্রাতিরিক্ত সতর্কতায় সিন্দুকটাকে আগলে রাখতে এবং ধীরে ধীরে মানসিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে। তবে ঘটনা সাংঘাতিক মোচড় খায় যখন বাবার মৃত্যুর পর চাবিবিহীন সিন্দুকের মালিকানা প্রাপ্তির একটা পর্যায়ে, অলৌকিকে বিশ্বাস না করা যুক্তিবাদী মিসির আলির যুক্তির ভিত নড়ে ওঠে অবিশ্বাস্য এক ঘটনায়। একই রকম লেখার ধরন অনুসরণ করা হয়েছে "ফ্রুট ফ্লাই" এবং "রোগভক্ষক রউফ মিয়া" গল্প দুটোতেও। তুলনামূলক দুর্বল "ফ্রুট ফ্লাই" মূলত মিসির আলি এবং হাবলু মিয়ার গল্প। হাবলু মিয়া আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী, যার বলে সে দু'হাত মুঠো করে চাইলেই যে কোনো ফল তার মুঠোর মধ্যে নিয়ে আসতে পারে। তার পরীক্ষা নিতে গিয়ে মিসির আলি নিজেই বিস্মিত হয়ে যান যখন তাঁর ফরমায়েশ অনুযায়ী তাঁরই চোখের সামনে হাবলু মিয়া মুঠোর মাঝে একটা আম এনে হাজির করে। তবে গল্পের শেষ নয় এখানেই। আর শিরোনামেই পরিষ্কার বুঝতে পারা যায়, "রোগভক্ষক রউফ মিয়া"-তে বলা হয়েছে কোনো এক রউফ মিয়ার কাহিনী, যে কি-না পেশায় ডাক্তার না হয়েও সম্পূর্ণ নিশ্চয়তার সাথে বিভিন্ন মানুষের রোগ সারায়। ব্যতিক্রমী এই চরিত্রের রোগ সারানোর পদ্ধতি ততোধিক ব্যতিক্রমী। যে কোনো রোগ "ভক্ষণ" করে সে রোগীকে সারিয়ে তোলে। অদ্ভুত এই পদ্ধতি বিজ্ঞান স্বীকার না করলেও, মিসির আলি যখন নিজেই উপলব্ধি করেন রউফ মিয়ার কিছু কর্মকাণ্ড, ঘটনা দানা বাধে নিদারুণ নিস্পৃহতায়। "লিফট রহস্য" এই বইয়ের অন্যতম চমকপ্রদ গল্পগুলোর একটি। এতে চিকিৎসাধীন এক তরুণীর কথা বলা হয়েছে, যে কোনো এক ছুটির দিনে আপাত জনমানবশূন্য একটি ভবনের লিফটে উঠে কোনো এক কারণে তীব্র ভয় পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই মেয়েটি, লিলি, সহজে মুখ খুলতে চায় না, কেন সে ভয় পেয়েছিল, কী এমন দেখেছিল সে, আর কী-ই বা ঘটেছিল সেই লিফটে? তার ভয় দূর করতে সাহায্য করতে গিয়ে মিসির আলি বরং খুঁজে পান রহস্যের মাঝে অদ্ভুত আরেক টানটান রহস্য। বাকি গল্পগুলোও লেখা হয়েছে চমৎকার আকর্ষণীয় ঢঙে। মিসির আলির স্নায়ু টান করা সব ঘটনা এবং তার মাঝে মিশে যাওয়া অন্য চরিত্রগুলোর শোনানো গল্পে বুঁদ হয়ে যেতে সময় লাগে না এতোটুকুও। সেই বিচারে "সোনার মাছি" এবং "ছবি" সম্ভবত এই বইয়ের সবচেয়ে দারুণ দুটো গল্প। "সোনার মাছি" এগিয়েছে মিসির আলির পিএইচডি থিসিসের গাইড প্রফেসর নেসার আলিংটন ও তাঁর স্ত্রী অ্যানিকে ঘিরে। এখানে নেসার আলিংটন শুনিয়েছেন ভীষণ আগ্রহোদ্দীপক এক টেলিপোর্টেশনের ঘটনা। সেইসাথে সেটাকে মুড়ে দিয়েছেন সোনালি রঙের একটা এম্বার খণ্ডের রহস্য দিয়ে, যার মাঝে আটকে পড়া মাছিটিও সোনালি, রোদ পড়লে যা সোনার মতোই ঝলমল করে ওঠে। সঙ্গত কারণেই সোনার মাছি নামের এই বস্তুর প্রতি অ্যানির আকর্ষণ কি কোনোভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? একইভাবে "ছবি"-তে মিসির আলি শুনিয়েছেন একজন জামাল সাহেব ও তার মেয়ে ইথেনের গল্প, এবং জামাল সাহেব আবার শুনিয়েছেন স্ত্রী জেসমিনের সাথে তাঁর পরিচয়ের তীব্র উত্তেজনাময় এক গল্প। দৈব কিন্তু ভীষণ রকম অদ্ভুত ঘটনাক্রমে পরিচয় ঘটা এই পরিবারের গল্পে আছে পাঁচ সংখ্যাটাকে ঘিরে তৈরি হওয়া ব্যাখ্যাতীত রহস্যের ছোঁয়া। "হামা-ভূত" গল্পটি, ধারণা করা যায়, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরের৩ উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে, যে খবরটি লেখক নিজেই উল্লেখ করে দিয়েছেন গল্পের শেষে। এখানে মূলত দুটি গল্প বলা হয়েছে। হামা-ভূত আপেক্ষিকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ হলেও, মূল ঘটনা ভিন্ন, যা অতীন্দ্রিয় ঘটনার লৌকিক ব্যাখ্যা প্রদানে পারঙ্গম মিসির আলিকেও হতবাক করে দেয়। এই বইয়ের সবচেয়ে দুর্বল গল্পটি, আমার মনে হয়েছে, "মাছ"। মূল চরিত্র তুমুল বাচাল মোহম্মদ সামছু, তার ছোট্ট মেয়ে জাহানারা বেগম এবং রহস্যময় দুটো মাছ নিয়েই এগিয়েছে গল্পের কাহিনী। কিন্তু কাহিনীর কারণেই হোক অথবা মূল ঘটনা থেকে বারবার মনোযোগ বিচ্যুত করা পার্শ্ব বর্ণনা, এই গল্পটি কেন যেন জমে ওঠেনি খুব একটা। একটা কথা হয়তো অনেকেই মানবেন, মানুষ জন্মগতভাবেই রহস্যপ্রিয়। অলৌকিক বা পরাবাস্তব ঘটনাবলীর প্রতি আমাদের সহজাত আকর্ষণ ঠিক সেভাবে ছকে ফেলে হয়তো বোঝানো বা ব্যাখ্যা করা সম্ভব না; কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে যতোই অবিশ্বাস্য ঠেকুক না কেন, এইসব ঘটনাগুলো আমাদের ভেতরের অজানা কোনো স্থান স্পর্শ করে ফেলে অনায়াস নৈর্ব্যক্তিকতায়। রহস্য, মূলত অমীমাংসিত রহস্যের প্রতি এই ঝোঁক, এই আগ্রহকেই মূল উপজীব্য করা হয়েছে "মিসির আলি UNSOLVED" বইটিতে। একনাগাড়ে ছাইপাশ লিখে ক্রমাগত পাঠকদের বিরাগভাজন হয়ে ওঠা হুমায়ূন আহমেদের এই বইটিকে গড়পড়তা তাঁর অন্যান্য সাম্প্রতিক লেখাগুলো থেকে এগিয়ে রাখব অনেকাংশেই। এর মূল কারণ হয়তো ওই রহস্যের হাতছানিই। চমকপ্রদ সব গা ছমছম করা কাহিনী নিঃসন্দেহে পাঠককে আনন্দ দিবে বলে ধারণা করা যায়। এমনকি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন লেখক স্বয়ং। কাহিনীর চমৎকারিত্বের পাশাপাশি আরও যে বিষয়টি নজর কাড়ে, তা হলো দুর্দান্ত গতিময় লেখনী। পড়া শুরু করার পর ৮৫ পৃষ্ঠা (পুরো বইটি ৯৪ পৃষ্ঠার) জুড়ে লেখা আটটি গল্প শেষ করতে খুব একটা সময় লাগে না। পাশাপাশি মোহাবিষ্ট পাঠক যে অনেক জায়গাতেই আচ্ছন্ন হবেন রহস্যময়তায়, সেটাও বলা যায়। যদিও এরপর প্রশ্ন উঠতে পারে পাঠ শেষে প্রাপ্তি নিয়ে। সেই অর্থে হয়তো তেমন কোনো আহামরি প্রাপ্তি নেই। কিন্তু খুব হিসেবী না হয়ে, ভালো লাগাই যদি মূল উদ্দেশ্য হয়, তাহলে নিশ্চয়তার সাথে বলা যায়, লেখক তা-তে উৎরে গেছেন বেশ ভালোভাবেই, অন্তত এবারের মতো। তবে সেইসাথে এটাও অবশ্যই উল্লেখ করা প্রয়োজন, যতটুকুই ভালো লাগে বইটি, তারপরও সামান্য অতৃপ্তি রয়েই যায় যে, লেখক চাইলেই আরো অনেক ভালো হতে পারতো। হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, অল্প কিছু বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ছাড়া, বর্ণনা বা সংলাপ, সবই খুব স্বাভাবিক বলে মনে হয়; অনেকটা আটপৌরে দৈনন্দিন জীবনের মতোই, তেমন একটা আরোপিত মনে হয় না। তারপরেও দু'একটা গল্পে কিছু কিছু বর্ণনা বাহুল্য মনে হয়েছে। মনে হয়েছে অপ্রাসঙ্গিক ওই অংশগুলো ছেটে ফেললে হয়তো বইটি প্রাণ পেতো আরও বেশি। তারপরও গল্পচ্ছলে বলা টুকরো টুকরো এসব কথোপকথন বা বর্ণনা হয়তো চাইলেই উপেক্ষা করা যায়, তেমন অসুবিধার কারণ সৃষ্টি ছাড়াই। তবে বইটির বেশ কিছু জায়গায় ইংরেজি শব্দের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার চোখে পড়ার মতোই। ১৩০ টাকা মূল্যের কাকলী প্রকাশনীর এই বইটির মুদ্রণ, বাধাই বেশ দারুণ। সেইসাথে রয়েছে ধ্রুব এষের করা মনকাড়া প্রচ্ছদ। বড়ো বড়ো হরফে "UNSOLVED" শব্দটি কোনো এক অজানা প্রশ্নবোধক অথবা প্রশ্নবিদ্ধ আকর্ষণে বুঝি টানতে থাকে সমস্ত সত্তা জুড়ে। সবশেষে তাই বলা যায়, অবসরের কিছুটা সময় বইটির পিছে ব্যয় করলে মনে হয় না খুব একটা ঠকতে হবে।