User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটা বই। একটা চাপা থাকা বেদনা ও ছিলো যেনো শেষটাই।
Was this review helpful to you?
or
দারুণ, উপভোগ্য!
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
খুবই সুন্দর কাহিনীর একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
একজন লেখক এতো সুন্দর করে বই লিখতে পারে তা হয়তো হুমায়ুন আহমেদের বই না পড়লে জানতেই পারতাম না। এই বইটি আমার হুমায়ূন আহমেদের পড়া প্রথম বই। বইটি পড়া শেষে অনেকক্ষণ বইটি হাতে নিয়ে বসেছিলাম। মনে হচ্ছিল একপ্রকার ভালোলাগা আর বিষন্নতার গোলকধাধার মদ্ধ্যে দিয়ে বইটির সমাপ্তি হলো। বইয়ের মধ্যে থাকা এই অনুভূতিগুলো যদি সবার সাথে শেয়ার করতে পারতাম। যারা বই পড়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারে তাদের কাছে বইটি পড়ে সত্যি ভালো লাগবে
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর আমার পড়া অন্যতম সুন্দর উপন্যাস?
Was this review helpful to you?
or
ভালো লাগছে ?
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই । সবার ই উচিত বইটি পড়া
Was this review helpful to you?
or
গল্পের শুরুতে হাসান আর লীনার সখ্যতা দেখে মনে হয় তাদের প্রেম বুঝি এখনই শুরু হবে, অন্য দিকে হাসানের নিজের পরিবারের প্রতি হেয়ালীপনা,বউ ছেলে মেয়ের প্রতি অনীহা, এমনকি ছেলেকে যখন মাদ্রাজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেল, তখনও হাসান ব্যস্ত তার প্রজেক্ট মায়ানগর নিয়ে। হাসান চরিত্রটি এখানে নিজের স্বপ্ন আর কাজ ছাড়া কিছুই ভালবাসে না। স্বার্থপরতা তার চরিত্রে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। লীনা গল্পের অতি আহাল্লাদী বিরক্তিকর চরিত্র আমার কাছে, যার নিজস্বতা বলতে কিছুই নেই।সে তার বসের প্রেমে হাবুডুবু খায়,আবার বস এড়িয়ে গেলে পুরোনো প্রেমিক ফিরোজকে বিয়ে করে। ইয়াকুব খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, কোটি কোটি টাকার মালিক সে, বিদেশ ফেরত নাতনীকে খুশি করতে মায়ানগর বানিয়ে চমকে দিতে চায় সে। বীনা,ফিরোজ,হাসানের স্ত্রী লেখকের খুব সাবলীল বাস্তবিক চরিত্রায়ন। গল্পের শেষে কিছুটা বিষণ্ণতায় ভুগেছি।
Was this review helpful to you?
or
জুন মাস। নয় তারিখ। আকাশ মেঘশূন্য। গতকাল সন্ধ্যায় বেশ কিছুক্ষন বৃষ্টি হয়েছে।বাতাসে বৃষ্টির আদ্রতা আছে, জুন মাসের উত্তাপ নেই। মায়ানগরের প্রধান ফটক কিছুক্ষনের জন্যই খোলা হবে। ফটকের বাইরে ইয়াকুব সাহেব অপেক্ষা করছেন, সাথে তার নাতনী এলেন। ইয়াকুব সাহেবের দিকে তাকিয়ে এলেন ইংরেজিতে বললো, আমরা কি কারো জন্য অপেক্ষা করছি? ইয়াকুব সাহেব মাথা নাড়ালেন,,,নাহ, অপেক্ষা কারো জন্যই না! #বইয়ের নাম: বৃষ্টি ও মেঘমালা #লেখক: হুমায়ূন আহমেদ #পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১১৫ #রকমারি মূল্য: ১৭৬ টাকা প্রথমেই বইয়ের পাত্র পাত্রী সম্পর্কে বলি,,,, হাসান। বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকা এই মানুষটা ওয়ার্কহোলিক। কাজ ছাড়া পৃথিবীর আর কোন কিছুই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। তার ছোট ছেলে অন্তুকে সে ভীষনরকম ভালোবাসে। হয়তো আর সবাইকেও ভীষন রকম ভালোবাসে কিন্তু বোঝাতে পারেনা। লীনা হচ্ছে বইয়ের দ্বিতীয় প্রধান চরিত্র। হাসানের পি এ এবং ভীষন আবেগী একটা মেয়ে। বসকে ভীষন রকম ভয় পায়। বসের সামনে স্বাভাবিক হয়ে কথাও বলতে পারেনা। তার ধ্যান ধারনা সবকিছুই বসকে ঘিরে। ফিরোজ নামের একটা ছেলের সাথে লীনার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। লীনা যেদিন বলবে সেদিনই টুক করে বিয়ে হয়ে যাবে দুজনের। তিন নাম্বার চরিত্র ইয়াকুব সাহেব। এই চরিত্রটা বইয়ে বেশিক্ষন আলো ছড়ায়নি যদিও, তবুও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্র। জীবনের শেষভাগে পা দেওয়া এই ভদ্রলোক অঢেল টাকার মালিক। প্রবাসী নাতনি কে চমকে দেওয়ার জন্য তিনি একটি মায়ানগর বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি চান তার নাতনি দেশে এসেই একটা ফাঁদে পড়ে যাক। মায়ার ফাঁদ। এবার গল্পটা বলি ইয়াকুব সাহেব হাসানকে দায়িত্ব দিলেন মায়ানগর তৈরী করার। টাকা খরচ হোক সেটা ব্যাপার না কিন্তু মায়ানগরের মায়ায় যাতে যে কেউ পড়ে যায় সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। হাসান কাজে হাত দিলো। শুরু হলো মায়ানগর তৈরীর কাজ। লীনা মেয়েটা হাসানের প্রতিটা ব্যাপারেই মুগ্ধ। হাসান যা করে, যা বলে তার কাছে সবই আহামরি মনে হয়। মনে হয় এই লোকটার চাইতে সুন্দর করে কথা নিশ্চয়ই কেউ বলতে পারেনা। এই মানুষটার চাইতে সুন্দর পরিকল্পনাও হয়তো কেউ করতে পারেনা। মানুষটা এতো প্রতিভাবান কেন? লীনার স্যারকে নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনা, তার মন খারাপ হয়। বাসায় চিঠি লিখলে পুরো চিঠি জুড়েই থাকে স্যারের কথা। স্যার কিছু করতে বললে সে কাজ করার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে মেয়েটা। নিজের চাইতে দশগুন বেশি করে স্যারের প্রশংসা। তার সমস্ত চিন্তা ভাবনা সব কিছুই স্যার কে ঘিরে। লীনার এই অবস্থা দেখে এর পরিণতি সহজেই আন্দাজ করে ফেললো তার বোন বীণা। ফিরোজ সাহেব ও চিন্তায় আছেন। একটা মেয়ে যেকিনা ছোট বেলা থেকেই কঠিন ধাধা'র জবাব না খুঁজে পেয়ে ভেউ ভেউ করে কান্না করতো আজ সে নিজেই জড়িয়ে যাচ্ছে কঠিন কোনো ধাঁধাঁয়! পুরোদমে চলছে মায়ানগরীর কাজ। এই মায়া নগরীতে হুট করে জোছনা নামে। হাসান তার স্ত্রী পুত্রকে খবর দিতে ছুটে যায় ঢাকায়। সবাই মিলে আজ জোছনায় ঘোরাঘুরি করবে। কিন্তু কেন জানি শেষমেষ ঘোরাঘুরি করা হয়না। কেউ একজনের অসুখ করেছে। ডাক্তার বলেছে কঠিন অসুখ। হাসান অবশ্য এসব কে একদমই পাত্তা দেয়নি, অসুখ থাকুক অসুখের মতো। তাকে নির্দিষ্ট সময়ের আগে শেষ করতে হবে মায়ানগরীর কাজ। একটা জোছনা বৃথা চলে যায়, সবাই সবার মতোই থাকে শুধু একজন ছাড়া। সে একজন একটা সাদা শাড়ি পরে জোছনা গায়ে মেখে ঘুরে বেড়ায়। পরীর মতো মেয়েটা কার তাবুর সামনে যেনো সারারাত বসে থাকে। কিসব অদ্ভুত ব্যাপার স্যাপার! লীনাকে দেখতে মাঝেমাঝে ফিরোজ সাহেব এখানটায় আসেন। যে মানুষটার সাথে লীনার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে লীনা তাকে একদমই সহ্য করেনা। সহ্য না করার অবশ্য কারন ও আছে,,মানুষটা তার স্যারকে নিয়ে ঠাট্টা করে যেটা লীনার একদমই পছন্দ না। লীনা চায়না এখানে কেউ আসুক। এই জগতটা তার এবং আর একজন মানুষের। এখানে অন্য কারো প্রবেশাধিকার নেই। গল্প ফুরোচ্ছে! গল্পের এই অংশে হাসানের নিকট একটা চিঠি আসে। চিঠিটা আসার পরপরই কেউ যেনো একটা কঠিন ধাধা থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। এদিকে মায়ানগরী তৈরীর কাজটাও প্রায় শেষপ্রান্তে। আর মাত্র ক'টা দিন। এই ক'টা দিন বাদেই কারো সাথে গলাগলি করে বসে ভুতের মুভি দেখা হবে। আর ক'টা দিন বাদেই কেউ একজনের হাত ধরে ঘোরা হবে মায়ানগরীর প্রতিটা কোনায় কোনায়। আর ক'টা দিন বাদেই মায়ানগরীর গোলকধাঁধা থেকে একটা বাচ্চা ছেলের কান্না শোনা যাবে। সবাই কান্না শুনবে কিন্তু কেউই বাচ্চাটাকে কেউই খুঁজে পাবেনা। সবাই কান্না শুনবে, কান্নার উৎস খুঁজে পাবেনা। অদ্ভুত!! জুন মাস। নয় তারিখ। মায়ানগরীর মেইন গেট খোলা হবে আজ কিন্তু কার জন্য যেনো অপেক্ষা করা হচ্ছে। ইয়াকুব সাহেবের নাতনী বিরক্ত মুখে জিজ্ঞেস করলো,,,আমরা কি কারো জন্য অপেক্ষা করছি? ইয়াকুব সাহেব হাসানের দিকে তাকিয়ে জানালেন। নাহ,তারা কারো জন্যই অপেক্ষা করছেনা। মায়ানগরীর ফটক খোলা হলো,,,,,,,,,,,,,,,,,, কেউ একজন একলা একা হেটে যাচ্ছে। মায়ানগরী তৈরী করা একটা মানুষ আজ সব মায়া বিসজর্ন দিয়ে একলা হেটে যাচ্ছে। হাজারজন মানুষের মধ্যে মায়া ছড়ানো মানুষটা আজ বড্ড বেশি একা। এটাই বোধহয় জগতের নিয়ম। ভালোবাসা ছড়িয়ে বেড়ানো মানুষগুলো কখনোই ভালোবাসার দেখা পাবেনা। অন্যের সংসার গুছিয়ে দেওয়া মানুষটার নিজের ঘর এক বর্ষায় হুট করে ধ্বসে পড়বে। অন্যের মুখে হাসি ফোঁটাতে যে মানুষটা সারাটা জীবন ব্যয় করেছে, সে মানুষটাই রাত কাটায় কান্না করে!! কিসব অদ্ভুত নিয়ম কানুন!! #ব্যক্তিগত মতামত : লেখক নিয়ে কিছুই বলছিনা। এই লেখক নিয়ে বলার মতো কিছুই নেই। বইটা নিয়ে বলি,,,, আগেও পড়েছিলাম এবার নিয়ে তৃতীয়বার হলো। ভীষন ভালো লেগেছে। হুমায়ূন স্যারের বই পড়ার একটা পজিটিভ দিক হলো,,,একটানা পড়া যায়। কাহিনী যেমনই হোক, এতো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেন যে শুধু পড়ে যেতেই ইচ্ছে করে! এই বইটায় অন্যান্য বইয়ের মাত্রাতিরিক্ত হিউমার নেই। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে দুইটা গল্পকে এক সূতোয় গেঁথে দিয়েছেন লেখক। ভীষন রকম ভালো লেগেছে। বইটার নামটাও সুন্দর,,,বৃষ্টি ও মেঘমালা!
Was this review helpful to you?
or
ai boita porar somoy cilam kisu ta gorer moddhe.ses a jokon hasan ar cele mara gelo tokon jeno sob change hoye gelo.kub karap lagcilo tokon......
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটা বই। খুব ভালো বইটি ।
Was this review helpful to you?
or
বৃষ্টি ও মেঘমালা! সম্ভবত আমার পড়া হুমায়ন আহমেদের প্রথম বই। বাবা কলেজের লাইব্রেরিয়ান হওয়ার সুবাদে ছোটবেলা পড়ার বইয়ের অভাব হয়নি। যখন প্রথম বইটা আমি পড়ি তখন খুব সম্ভবত ক্লাস ফাইভে পড়ি। ওই সময়টাতে বইটা পড়ে পুরো অনুভূতিটাকে ধরতে পারিনি। ক্লাস ফাইভে পড়া একটা ছেলের জন্য বইটাতে হাসানের ছেলে অন্তুর জন্য সহানুভূতি আর কষ্ট জন্ম নেয়া ছাড়া আর বিশেষ কোন নাড়া দেয়ার মতন অনুভূতি নেই । ঠিক সেইম বইটাই কিছুদিন আগে যখন আবার পড়লাম তখন নিজেকে এবার হাসানের জায়গাটাতে বসিয়ে কল্পনা করতে করতে কখন যে বইয়ের শেষ পাতায় এসে চোখের পানি পড়ে শেষ লাইনের বৃষ্টি লেখাটা ঝাপসা হয়ে গেলো নিজেই বুঝতে পারিনি। আমার সবসময়ের প্রিয় তালিকায় থাকা অন্যতম একটা বই বৃষ্টি ও মেঘমালা।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: বই: বৃষ্টি ও মেঘমালা লেখক: হুমায়ূন আহমেদ ক্যাটাগরি: সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনী: পার্ল পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা: ১১৮ মূল্য: ১৭৬ টাকা রিভিউ: ইয়াকুব সাহেব একটি বড় কোম্পানির মালিক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একা। তাই তিনি চান তার নাতনি এদেশে থাকুক। তাই নাতনিকে আকর্ষিত করতে জন্মদিনের উপহার হিসেবে তৈরি করতে চান মায়ানগর। তাই এ দায়িত্ব তিনি হাসান সাহেবকে দেন। কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসান সাহেব, যিনি একটি ছোট কোম্পানির মালিক। লীনা নামের একটি মেয়ে তার সেক্রেটারি। লীনার বিয়ে ঠক হয়ে আছে ফিরোজ নামের এক যুবকের সাথে। কিন্তু লীনা ভালোবাসে হাসানকে। এ ভালোবাসা প্রেমিক-প্রেমিকার নয়। শ্রদ্ধা আর ভালো লাগায় মিশ্রিত ভালোবাসা। হাসানের সব কিছু মুগ্ধ করে লীনাকে। কিন্তু লীনার বোন বীণার হাসান সম্পর্কে বাজে ধারণা। হাসানের ছেলে অন্তু অসুস্থ। কিন্তু হাসানের সময় হয় না অন্তুর পাশে থাকার। অন্তুকে তার মা মাদ্রাজ নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু বাবা-পাগল অন্তু খোজে তার বাবাকে। যখন অন্তু ডাকে- Where is my dad? তখন হাসান ব্যস্ত মায়ানগর তৈরিতে। নয় জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। সময় নেই। সময় মেই অন্তুরও। অন্তু কি তার বাবাকে পাশে পাবে? কিছু মুহূর্তের জন্য? পাঠ প্রতিক্রিয়া : হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস বরাবরই ভালো লাগে আমার। তবু 'বৃষ্টি ও মেঘমালা' অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি করে। উপন্যাসটা শেষ করার পর একটা ঘোর কাজ করে আমার মাঝে। ভাবি-শেষটা কি অন্যরকম হতে পারত না? কিন্তু জীবনটাই তো এরকম। একটা দীর্ঘশ্বাস থেকে যায়। হাসান, লীনা, অন্তু, বীনা, ইয়াকুব চরিত্রগুলো ভেসে আসে চোখের সামনে। মনের অচিন কোনে হাসানের জন্য একটা অভিমান কাজ করে। তবে সেটা রাগ নয়। আর অন্তুর জন্য অনেক ভালোবাসা। ব্যক্তিগত রেটিং : ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের সকল বইয়ের সৃষ্ট চরিত্র আমার কাছে সমান গুরুত্ব নিয়ে আসে। তা সেটা হিমু, মিসির আলী বা শুভ্র যেটাই হোক। লজিকপূর্ণ কাজে যেমন মিসির আলী দক্ষ, তেমনি অ্যান্টি-লজিক চিন্তা ভাবনা করতে গেলে হিমু অসাধারণ। চিন্তার প্রসারতা এবং ছোটর ভেতর প্রসার খোঁজাও এই শুভ্রড় ণা কাজ। তার বই পড়ে যেমন হাসা যায়, তেমনি কখনও অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে হৃদয় মন। বালিশের নিচে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে পারলে মনে হয় নিজেকে শান্ত করা যায়। বৃষ্টি ও মেঘমালা এদিক থেকে আমার কাছে ভিন্নই ঠেকে। যে বই আপনি পড়বেন সেখান থেকে গোটা কয়েকটি চরিত্র আপনাকে টানবে। কিন্তু বৃষ্টি ও মেঘমালাতে আমার কেন জানি সবগুলো চরিত্রর প্রতি আলাদা মায়া সৃষ্টি হয়। হাসান যেমন মায়ানগর তৈরি করায় ব্যস্ত তার প্রিয় সন্তান অন্তু এবং পরিবার ছেঁড়ে। যখন তাঁর ছেলে চিকিৎসার জন্য মাদ্রাজ যেয়ে বার বার বলতে থাকে, বাবা কোথায় ? Where is my dad ? কিন্তু সে ব্যস্ত ছিল তার স্বপ্ন নিয়ে। অন্য দিকে প্রতিভাহীন ছেলে ফিরোজ ভালোবাসে প্রতিভা প্রেমী মেয়ে লীনাকে। সে জানে মেয়েরা তার মতো ছেলেকে ভালো না বেসে করুণা করে। তবুও সে সাধারনের ভেতর অসাধারণ। আর লীনা? সে ভাবে যে মায়ানগরের মতো স্বপ্ন নিজের মনের ভেতর রাখতে পারে তাকে কীভাবে একা ছেঁড়ে চলে আসে। মনের গোপন লগনে সে ভালোবেসে ফেলে হাসানকে। আর বীনা? সে তো পড়ুয়া এবং উপদেশপ্রেমী মেয়ে, কিন্তু জানে তার চেয়েও সুখ তার বোন লীনা পাবে। এভাবে এক গোছালো অসাধারণ উপন্যাস বৃষ্টি ও মেঘমালা। "কোন এক সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে। হাসান বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কদম বনে ঘুরে বেড়াবে। সে খুজে বেড়াবে তার প্রিয় মুখদের। যেহেতু দ্বীপের নাম মায়া দ্বীপ সেহেতু খুজলেই সব প্রিয় জনদের সেখানে পাওয়া যাবে। তাদের খুব কাছে যাওয়া যাবে না, কিন্তু তাদের পায়ের শব্দ পাওয়া যাবে। প্রিয় পদরেখা দেখা যাবে। শোনা যাবে তাদের চাপা হাসি। হাসান যখন ডাকবে- বাবা অন্তু তুমি কোথায় গো? তখন কোন কদম গাছের আড়াল থেকে অন্তু বলবে আমি এখানে। হাসান আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশে বৃষ্টি ও মেঘমালা। " কাল রাতে বইটা শেষ করে অনেকক্ষণ বইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কোন কথা বলতে পারি নি। কেন জানি ভোর ৫ টার পরেও চোখে ঘুম আসেনি। থাক না! প্রতিদিনই তো ঘুমায়, এক দিনে কি আসে যায়! :'( আজকে ঢাকার আকাশেও যে মেঘ। © সামহোয়্যার ইন...
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের সব বই-ই আমার ভালো লাগে । কেননা তার বই পড়ে কখন ও হিমুর মতো অ্যান্টি-লজিক নিয়ে ভেবেছি , আবার কখনো মিসির আলির মতো লজিক নিয়ে ভেবেছি । তার বই পড়ে কখনো যেমন হাসতে হাসতে মেঝেতে গড়াগড়ি খেয়েছি আবার কখনো বালিশের নিচে মুখ নিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদেছি । বৃষ্টি ও মেঘমালা হুমায়ূন আহমেদের এমন এক উপন্যাস যেখানের সব চরিত্রের জন্য এক ধরনের কষ্ট অনুভূত হয় । কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসান একটি ছোট কোম্পানীর মালিক । হাসান ব্যস্ত তার মায়ানগর তৈরী করায় । এদিকে তার অসুস্থ ছেলে অন্তু মাদ্রাজে তার বাবার জন্য অপেক্ষা করছে । কেঁদে কেঁদে বলছে -বাবা কোথায় ? Where is my dad ? কিন্তু সে ব্যস্ত ছিল তার স্বপ্ন নিয়ে । এদিকে হাসানের প্রেমে পড়ে তারই সেক্রেটারি লীনা । কিন্তু লীনার বিয়ে ঠিক করা আছে তারই ভাইয়ের বন্ধু ফিরোজের সাথে যে কিনা তাদের আর্থিক সমস্যার সময় সাহায্য করেছে । এভাবেই একটা ঘোর নিয়ে উপন্যাসটি পড়ছিলাম । বইটি পড়া শেষে অনেকক্ষণ বইটি হাতে নিয়ে বসে ছিলাম । জানি না কেন ?