User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Excellent book! So much to learn about diplomacy, history and, not surprisingly, politics.
Was this review helpful to you?
or
কূটনীতির অন্দরমহল মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রকাশক : সূচীপত্র, প্রকাশকাল :ফেব্রুয়ারি ২০১২ ধরন :প্রবন্ধ, মূল্য : ৪৫০ টাকা। কূটনীতি শব্দটি ১৭৯৬ সালে অ্যাডমন্ড বার্ক প্রচলিত ফরাসি শব্দ ফরঢ়ষড়সধঃরপ থেকে প্রচলন হয়। তবে গ্রিক ডিপ্লোমা শব্দটি থেকে ডিপ্লোম্যাসি শব্দটির সৃষ্টি হয়। কূটনীতি হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিদ্যার একটি শাখা, যেখানে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক চুক্তি বা আলোচনা সম্পর্কিত কলাকৌশল অধ্যয়ন করা হয়। কূটনীতির ব্যবহার নিয়ে হ্যারল্ড নিকোলসন মনে করেন, মানুষ সংঘবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই কূটনীতির ব্যবহার শুরু হয়। তার মতে, গণতান্ত্রিক কূটনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো সার্বভৌম জনগণের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। বাংলা কূটনীতি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ 'কূটানীতি' থেকে আগত। প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের উপদেষ্টা চাণক্যর [কৌটিল্য হিসেবেও পরিচিত] নাম থেকে শব্দটির উদ্ভব। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক আইনের ও জাতিসংঘের সনদে বর্ণিত নীতিগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা_ এসব নীতি হবে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি। কূটনীতির যথাযথ ও দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্র নিজের মেরুদণ্ড সোজা রাখতে পারে। বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চেও তার প্রভাব হতে পারে 'স্পষ্টত বোধগম্য'। কিন্তু সেটা কীভাবে হতে পারে বা এর কৌশলগত দিকগুলো কী তা মতিউর রহমান চৌধুরীর 'কূটনীতির অন্দরমহল' গ্রন্থে সুস্পষ্ট বিশ্লেষণ করা হয়েছে। লেখক বলেন, পররাষ্ট্রনীতি আর কিছু নয়, এটি আসলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির একটি বর্ধিতাংশ। বাংলাদেশের অস্থির, ভঙ্গুর গণতন্ত্র ও রাজনীতি মনে রাখলে তার বৈদেশিক নীতির দোদুল্যমান অবস্থা আঁচ করে নিতে খুব কষ্ট হয় না। বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও তার ভৌগোলিক অবস্থানই বাংলাদেশের কূটনীতির জন্য এক অপ্রতিরোধ্য বিভাজন রেখা। আধুনিককালে বিশেষ করে সুইজারল্যান্ড এবং নরডিক দেশগুলো সন্দেহাতীতভাবে দেখিয়েছে, কী করে জ্ঞান ও বিদ্যা-বুদ্ধিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে কূটনীতিতে মনোনিবেশ করলে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র তার নিজ অনুকূলে অবিস্মরণীয় সুফল বয়ে আনতে পারে। আলোচ্য গ্রন্থে লেখক কূটনীতির বিষয় এবং কূটনীতির ধরন, সাফল্য বিষয়ে স্বচ্ছ উপস্থাপনা উপহার দিয়েছেন। ষ শ্যামল চন্দ্র নাথ