User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: দ্য প্রিন্স এন্ড দ্য পেপার লেখক: মার্ক টোয়েন রূপান্তর: নিয়াজ মোরশেদ প্রচ্ছদ মূল্য:১৬২ টাকা ছাড়কৃত মূল্য: ১৪৩ টাকা মার্ক টোয়েন সম্পর্কে যারা হালকা বই পত্র নাড়াচাড়া করেন তারাও মার্ক টোয়েন নামের সাথে পরিচিত। কিছু কিছু লেখক আছেন যাদের লেখা কখনো পুরোনো হয় না মার্ক টোয়েনের লেখা বইগুলো সেরকমই। এই বইটি প্রত্যেক মানুষের পড়া উচিত। বইটি একজন পাঠকের সৎ মানবিকতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। লেখক তার এই বইয়ে ষোড়শ শতাব্দীর ব্রিটিশের চিত্র তুলে ধরলেও এটি এখন আমাদের বর্তমান সমাজের সাথে হুবুহু অনেকাংশেই মাইল যায়। এদেশেও এখন সামান্য অন্যায়ে গুরু শাস্তি যেমন হচ্ছে সেভাবে বড় অপরাধীরা নিশ্চিন্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বইটি পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন তাই আর লিখবো না। এই বইটিতে দুইজন দুইজন কিশোরের ব্যাপারে বলা হয়েছে। যাদের চেহারা একই রকম। তাদের দুইজনের জন্ম একই সময়ে হয় কিন্তু লন্ডনের দুইটি ভিন্ন স্থানে। একজন টম ক্যানটি যার বাবা একজন ভিখেরি এবং চোর। টম ক্যান্টির পরিবারে অভাব অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। তাছাড়া কলহ তো লেগেই থাকতো। তোমার বাবা তোমাকে ভিক্ষা করতে বাধ্য করতো আর সে ভিক্ষা না করে প্রায়ই খালি হাতে ফিরে আসতো। তখন তার দাদি এবং বাবা তাকে মারধর করতো। অপরজন ব্রিটিশ রাজ্ পরিবারের সদস্য। রাজা অষ্টম হেনরির দীর্ঘদিনের প্রতাশ্যার ফসল এডওয়ার্ড টুডর।এডওয়ার্ড এর জীবন কঠিন শৃঙ্খলার ভিতর আবদ্ধ।এডওয়ার্ড স্বপ্ন দেখতো স্বাধীন ভাবে জীবন যাপনে আর টম স্বপ্ন দেখতো রাজা হওয়ার। একসময় টম রাজপ্রাসাদে আসে এবং রাজপুত্র এডওয়ার্ড এর সাথে দেখা হয়ে যায়। তারা একে ওপরের জীবনের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা শুরু করে এবং এই আকর্ষণ থেকে নিজেদের জামা পরিবর্তন করে। ঘটনাচক্রে তাদের পরিচয় পরিবর্তন হয়ে যায়। এভাবে টম রাজার জীবন আর এডওয়ার্ড গরিব জীবনের সাথে জড়িয়ে পরে। টম রাজা হয়ে মহানুভবতার সাথে দেশ চালাতে শুরু করে এবং এডওয়ার্ড মুখোমুখি হয় জীবনের কিছু নিষ্ঠুর বাস্তবতার সাথে। অন্যায় অনিয়মের সাথে পরিচয়ের এই অভিজ্ঞতা থেকে সে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার রসদ খুঁজে পায়। সে কিছু ভালো মানুষের সাথেও পরিচিত হয়। যাদের সে রাজত্ব ফায়ার পাবার পর পুরুস্কৃত করে। একসময় এডওয়ার্ড এবং টম আবার একত্রে মিলিত হয় এবং নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে। গল্পটি অত্যন্ত ছোটোভাবে উপস্থাপন করলাম আপনাদের কাছে কারণ নয়তো আপনাদের অনেকেই বইটি পড়বার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। বইটি যদি পড়েন সত্যি আপনারা মানব জীবনের কিছু বাস্তবতার সাথে পরিচিত হবেন। আর আপনাদের মনে হবে যে আপনারাই সেই সমস্যা গুলোর মুখোমুখি।সর্বশেষ লেখককে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এতো সুন্দর একটি বই উপহার দেওয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা RF-07-032 কিশোর যাদের চেহারা একই রকম, আশ্চর্যজনকভাবে তাদের দুইজনের জন্ম একই দিনে-একই সময়ে, শুধু আলাদা দুই জায়গায়, আলাদা পরিবেশে। তাদের একজন টম ক্যানটি। তার বাবা একজন ভিখিরি এবং চোর। বেশ বড় পরিবার নিয়ে সে থাকে একটি বস্তিতে। অভাব-অনটন আর কলহ এখানে নিত্যদিনের সঙ্গী। তার বাবা তাকে ভিক্ষে করতে বাধ্য করত আর সে প্রায়ই খালি হাতে ফিরে আসত। তখন তার উপর শুরু হত অকথ্য নির্যাতন। আর অন্যজন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য। রাজা অষ্টম হেনরির আরাধ্য এডওয়ার্ড টুডর। কঠিন শৃঙ্খলার মধ্যে চলতে হয় তাকে, তার ইচ্ছে মতো চলাফেরা করার উপায় ছিল না। এই জীবনের প্রতি সে হয়ে উঠেছিল বিতৃষ্ণ। অন্যদিকে ভিখিরি টমের কল্পনা ছিল রাজপ্রাসাদের জীবন যাপন। টেমস নদীর তীরে সে নিজেকে রাজা ভেবে কাল্পনিক রাজসভা পরিচালনা করত। এক অনির্দিষ্ট যাত্রা তকে নিয়ে আসে রাজপ্রাসাদের সামনে। ঘটনাক্রমে তাদের দেখা হয়ে যায়।কেউই তাদের বর্তমান জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তাই তারা তদের পোষাক পিরবর্তন করে টম হয়ে যায় এডওয়ার্ড আর এডওয়ার্ড হয়ে যায় টম। সবাই টমকে রাজপুত্র এবং এডওয়ার্ডকে ভিখিরি ভাবতে শুরু করে। টম একসময় রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হয় এবং দরিদ্র প্রজাদের সমস্যাগুলো ভালভাবে জানা থাকায় সে রাজ্য শাষন করতে শুরু করল মহানুভবতার সাথে।আর এডওয়ার্ড পরিচিত হতে লাগল জীবনের কঠিন বাস্তবতার সাথে। অনেক খারাপ মানুষর মাঝে সে খুঁজে পেল সত্যিকারের কিছু মহৎ মানুষ।প্রতিদিন তার অভিজ্ঞার ভান্ডারে নতুন নতুন জিনিস যোগ হতে থাকে। একসময় আবার তাদের দেখা হয় এবং তারা আবার আগের জীবনে ফিড়ে যেতে চায়। তারপর? তারপর কি হয়েছিলো?? কি ছিল প্রতারক টমের শেষ পরিনতি??? অসাধারন এই বইটিতে লেখক নিপুন দক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন সততা, ঐকান্তিকতা এবং দায়বদ্ধতা। ষোড়শ শতাব্দীর ব্রিটেনের জীবনযাত্রার নির্যাস অত্যন্ত সুচারুরূপে ফুটিয়ে তুলেছেন। জীবন সত্যিই বিচিত্র! কতই না এর রূপ!!!
Was this review helpful to you?
or
দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পপার দুই মেরুর দুজন কিশোরের কাহিনী।একজন টম ক্যানটি।অন্যজনর এডওয়ার্ড টুডর।একই রকম চেহারা নিয়ে একই সময়ে তারা পৃথিবীতে আসে।টম ক্যানটি জন্ম নেয় বস্তির একিট পরিবারে।তার বাবা একজন ভিখিরি এবং চোর।টম ক্যানটি প্রতিদিনের সঙ্গি হচ্ছে অভাব-অনটন ঝগড়া,আর উপরি পাওনা ছিল বাবার পিটুনি।মা এবং বোনদেরও তার মত,বাবা ও দাদির হীনদৃষ্টির শিকার হত।টমকে জোড় করে পাঠানো হত ভিক্ষে করতে।এডওয়ার্ড টুডর জন্ম নেয় ব্রিটিশ রাজপরিবারে,রাজা অষ্টম হেনরির ঘরে।রাজপরিবারের সদস্যদের থাকতে হত কঠিন নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে।নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোন উপায় নেই।দুটি কিশোরের না পাওয়ার কষ্ট এবং তাদের স্বপ্নগুলো মার্ক টোয়েন তার চিরাচরিত লেখনির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।মানষের কিছু সৎ গুনাবলি যেমন সততা,চেষ্ট,একে অপরর প্রতি দায়বদ্ধতা খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহার করেছেন।দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পপার বইটি পড়লে ষোড়শ শতাব্দীর মানে তখনকার সময় ব্রিটেনে দরিদ্র মানুষের জীবনমান কেমন ছিল,তখনকার সময় রাজপরিবারের জীবন চক্র ও প্রজাদের সাথে তাদের আচরন কেমন ছিল সহজেই বুঝা যায়।মার্ক টোয়েন তার লেখার মাধ্যমে তা সহজ করে দিয়েছেন। টমের স্বপ্ন,সে রাজপ্রাসাদের রাজাদের মত করে থাকবে।রাজা যেভাবে রাজ্য শাষন করে সেও করবে।টেমস নদীর পারে সে তাই করে কল্পনায়।আর এডওয়ার্ডের জীবন কঠিন শৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ। তার ইচ্ছা-স্বাধীন মত চলাফেরা করার উপায় ছিল না। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ এই রাজকুমার সবসময় স্বপ্ন দেখত স্বাভাবিক জীবনের।ঘটনাক্রমে তাদের দেখা হয়ে যায়।কেউই তাদের বর্তমান জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তাই তারা তদের পোষাক পিরবর্তন করে টম হয়ে যায় এডওয়ার্ড আর এডওয়ার্ড হয়ে যায় টম।তারপর শুরু হয় তাদের বিপরীতধর্মী জীবন।একসময় ইংলেন্ড শাষন করার ভার টমের উপর আসে।দরিদ্র প্রজাদের সমস্যাগুলো ভালভাবে জানা থাকায় সে রাজ্য শাষন করতে শুরু করল মহানুভবতার সাথে।আর এডওয়ার্ড পরিচিত হতে লাগলো মানব চরিত্রের অনেক অচেনা আচরনের সাথে।অনেক খারাপ মানুষর মাঝে সে খুঁজে পেল সত্যিকারের কিছু মহৎ মানুষ।প্রতিদিন তার অভিজ্ঞার ভান্ডারে নতুন নতুন জিনিস যোগ হতে থাকে।গল্পের একটি জায়গায় গিয়ে আবার তাদের দেখা হয় এবং তারা আবার আগের জীবনে ফিড়ে যেতে চায়।এডওয়ার্ডকে সবাই প্রতারক ভাবে, কিন্তু টম তখন ডওয়ার্ডই সত্যিকারের রাজা বলে তার আগের জীবনে ফিরে যায়।বইটি বাংলা অনুবাদ নিয়াজ মোরশেদ করেছেন।এত সহজ ভাষায় অনুবাদ করার জন্যই বইটি এত ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
মার্ক টোয়েনের অসাধারণ শিশু কিশোর উপন্যাস 'দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্যা পপার' । রাজপুত্র এডওয়ার্ড ও ভিখিরিপুত্র টম যাদের চেহারা, জন্মতারিখ ও সময় এক কিন্তু জীবন-যাপন, সামাজিক অবস্থান আকাশপাতাল তফাৎ। একদিন ঘটনাচক্রে মুখোমুখি হয়ে এডওয়ার্ড ও টম পোশাক বদল করে নিল দুজন দুইজনের স্থান বদলের জন্য। সেই থেকে শুরু হল ওদের জীবনের অ্যাডভেঞ্চার। সোনার চামচ মুখে জন্ম নেয়া এডওয়ার্ড জীবনে কষ্ট তো দূর কষ্টের ছায়াও আসেনি আর তাকেই কিনা পদে পদে সহ্য করতে হয়েছে ভিখিরি জীবনের কষ্ট। অন্যদিকে টম হয়তো অনেক সুখে ছিল রাজপ্রাসাদে কিন্তু সেও তো রাজপুত্রের জীবনে অনভ্যস্ত। তাছাড়া রাজারাজড়াদের জীবন সুখের হলেও বিরক্তিকর । পরিবারের সবাইকে ছেড়ে রাজপুত্রের জীবনে তাই সেও হাঁপিয়ে উঠছিল। নানা ঘাত-প্রতিঘাত শেষে যখন রাজপুত্র থেকে রাজার অভিষেকের দিনে সবাই জানতে পারে সত্যিকারের রাজপুত্র কে ছিল। কিন্তু সে পর্যন্ত দুইজনের জীবনেই ঘটে নানা চমকপ্রদ ঘটনা। ষোড়শ শতাব্দীর ব্রিটেনের অভিজাত ও সাধারণ- দুই দিকের জীবনযাত্রা চমৎকার রূপে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। উপন্যাস যেমন সুখপাঠ্য তেমনি কিশোরদের জন্য তৎকালীন ইতিহাস এবং সেই সাথে সততা, পরিশ্রম, ধৈর্য, প্রতিশ্রুতি রক্ষার মানবিক গুণাবলীর বিকাশের ক্ষেত্রেও এটি একটি দুর্দান্ত বই! ,মার্ক টোয়েনের অসাধারণ শিশু কিশোর উপন্যাস 'দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্যা পপার' । রাজপুত্র এডওয়ার্ড ও ভিখিরিপুত্র টম যাদের শুধু চেহারাই এক কিন্তু জীবন-যাপন, সামাজিক অবস্থান আকাশপাতাল তফাৎ। একদিন ঘটনাচক্রে মুখোমুখি হয়ে এডওয়ার্ড ও টম পোশাক বদল করে নিল দুজন দুইজনের স্থান বদলের জন্য। সেই থেকে শুরু হল ওদের জীবনের অ্যাডভেঞ্চার। সোনার চামচ মুখে জন্ম নেয়া এডওয়ার্ড জীবনে কষ্ট তো দূর কষ্টের ছায়াও আসেনি আর তাকেই কিনা পদে পদে সহ্য করতে হয়েছে ভিখিরি জীবনের কষ্ট। অন্যদিকে টম হয়তো অনেক সুখে ছিল রাজপ্রাসাদে কিন্তু সেও তো রাজপুত্রের জীবনে অনভ্যস্ত। তাছাড়া রাজারাজড়াদের জীবন সুখের হলেও বিরক্তিকর । পরিবারের সবাইকে ছেড়ে রাজপুত্রের জীবনে তাই সেও হাঁপিয়ে উঠছিল। নানা ঘাত-প্রতিঘাত শেষে যখন রাজপুত্র থেকে রাজার অভিষেকের দিনে সবাই জানতে পারে সত্যিকারের রাজপুত্র কে ছিল/ কিন্তু সে পর্যন্ত দুইজনের জীবনেই ঘটে নানা চমকপ্রদ ঘটনা। ষোড়শ শতাব্দীর ব্রিটেনের অভিজাত ও সাধারণ- দুই দিকের জীবনযাত্রা চমতকার রূপে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। উপন্যাস যেমন সুখপাঠ্য তেমনি কিশোরদের জন্য তৎকালীন ইতিহাস এবং সেই সাথে সততা, পরিশ্রম, ধৈর্য, প্রতিশ্রুতি রক্ষার মানবিক গুণাবলীর বিকাশের ক্ষেত্রেও এটি একটি দুর্দান্ত বই!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পপার। লেখকঃ মার্ক টোয়েন। অনুবাদকঃ নিয়াজ মোরশেদ। প্রকাশকঃ সেবা প্রকাশনী। অনন্যসাধারন এই বইটিতে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে কিছু মানবীয় গুণাবলীর কথা তুলে ধরা হয়েছে। আর তা হল সততা, ঐকান্তিকতা এবং দায়বদ্ধতা। লেখক মার্ক টোয়েন ষোড়শ শতাব্দীর ব্রিটেনের জীবনযাত্রার নির্যাস অত্যন্ত সুচারুরূপে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর ‘দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পপার’ বইটিতে। এ নির্যাস শুধুমাত্র দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনধারার নয়, ব্রিটিশ রাজপরিবারেরও বটে। আর তিনি এতো কিছু করেছেন তাঁর আশ্চর্য সরল লেখনী শক্তির মাধ্যমে। মার্ক টোয়েন সম্পর্কে নতুন করে বলার আর কিছুই নেই। তাঁর ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার অফ টম সয়ার’ এবং ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার অফ হাকলবেরি ফিন’ বই দুইটি এরই মধ্যে বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম বেস্ট সেলার কিশোরপাঠ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আলোচ্য বইটিও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এই বইটিতে শিক্ষণীয় বিষয়গুলির পরিমাণ আর একটু বেশি বলে আমার মনে হয়। ‘দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পপার’ বইটিতে দুইজন কিশোরের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে যাদের চেহারা একই রকম। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল তাদের দুইজনের জন্ম একই দিনে-একই সময়ে, কিন্তু লন্ডনের দুইটি পৃথক স্থানে। তাদের একজন টম ক্যানটি। তার বাবা একজন ভিখিরি এবং চোর। বেশ কয়েকজন সদস্যবিশিষ্ট এই পরিবার থাকত ওফাল কোর্টের একটি বস্তিতে। অভাব-অনটন আর কলহ এখানে নিত্যদিনের সঙ্গী। অবশ্য এই কলহের পুরোপুরি দায়ভার তার দাদী আর বাবার উপরেই পড়ে। তাদের হীনদৃষ্টির শিকার হত পরিবারের বাকী সবাই- সে, তার মা আর তার বোনেরা। বিশেষ করে টমের অবস্থা হত সবচেয়ে খারাপ। তার বাবা তাকে ভিক্ষে করতে বাধ্য করত আর সে প্রায়ই খালি হাতে ফিরে আসত। তখন তার উপর শুরু হত অকথ্য নির্যাতন। অপরজন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য। রাজা অষ্টম হেনরির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ফসল এডওয়ার্ড টুডর। এডওয়ার্ডের জীবন কঠিন শৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ। তার ইচ্ছা-স্বাধীন মত চলাফেরা করার উপায় ছিল না। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ এই রাজকুমার সবসময় স্বপ্ন দেখত স্বাভাবিক জীবনের। অপর দিকে টমের দিবাস্বপ্নের বিষয়বস্তু ছিল রাজপ্রাসাদের জীবন যাপন। টেমস নদীর তীরে বসে সে প্রায়ই নিজেকে রাজা ভেবে কাল্পনিক রাজসভা পরিচালনা করত। তার এই স্বপ্নের টানেই সে একবার অনির্দিষ্ট যাত্রা করে। একসময় সে হাজির হয় রাজপ্রাসাদের সামনে। ঘটনাচক্রে তাদের দেখা হয়ে যায় এবং বিপরীতধর্মী জীবনের প্রতি আকর্ষণের কারণে নিজেদের পোশাক বদল করে। একসময় তাদের অবস্থান এবং পরিচয়ও বদল হয়ে যায়। সবাই টমকে রাজপুত্র এবং এডওয়ার্ডকে ভিখিরি ভাবতে শুরু করে। এরপর কিছু ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে দুইজন দুইরকম জীবনধারার সাথে যুক্ত হয়। টম একসময় রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হয় এবং মহানুভবতার সাথে দেশ চালাতে থাকে। অপরদিকে এডওয়ার্ড মুখোমুখি হয় জীবনের কিছু নিষ্ঠুর বাস্তবতার সাথে। অন্যায় অনিয়মের সাথে পরিচয়ের এই অভিজ্ঞতা থেকে সে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার রসদ খুঁজে পায়। আবার সে কিছু ভাল মানুষেরও সন্ধান পায়, যাদের সে রাজত্ব ফিরে পাওয়ার পর পুরস্কৃত করেছিল। অবশেষে একসময় তারা আবার মুখোমুখি হয় এবং তাদের অবস্থান বদল করে। কিন্তু এই পরিবর্তন খুব একটা সহজ উপায়ে হয়নি। রাজপরিষদের সবাই এডওয়ার্ডকে ভিখিরি মনে করে এবং তার রাজা হিসেবে নিজেকে দাবী করাকে প্রতারণা হিসেবে ধরে নেয়। এই সময় টমই সঠিক রাজাকে চিনিয়ে দেয় এবং তাকে তার সিংহাসন ফিরিয়ে দেয়। এডওয়ার্ড টমের এই মহানুভবতা কখনও ভোলে নি। তাকে তার উপযুক্ত পুরস্কার ঠিকই দিয়েছিল। আর ভিখিরি জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে সে তার দেশ পরিচালনা করতে শুরু করল। এই প্রসঙ্গে তার পরিষদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য ছিল এরকম- ‘ আপনারা দুর্দশা এবং ভোগান্তির কি জানেন? জানি আমি আর আমার প্রজারা, আপনারা নন।’ আমার পঠিত অন্যতম সেরা একটি বই।