User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
kuv valo bola jabe na, aro update and hotel and resort er information deya uchit silo
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
This is best book of bangladesh bromon
Was this review helpful to you?
or
ভ্রমণ করতে কে না ভালবাসে- হোক তা দেশে বা বিদেশে। ইট-কাঠ-পাথরের জঞ্জালে ভরা এই শহুরে রোবটিক জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে হোক আর প্রকৃতির প্রতি রোমান্টিকতা থেকেই হোক, ভ্রমণের প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমবেশি সবারই থাকে। হয়ত সময়, সুযোগ কিংবা আর্থিক স্বল্পতার কারণে সবার সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা হয়ে উঠে না। কিন্তু সময় এবং অর্থের সুষম বণ্টনের সুপরিকল্পনার মাধ্যমে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠা যায়। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যেই ঘুরে আসা যায় অপরূপ কোন স্থান থেকে। এরজন্য প্রয়োজন শুধু সঠিক দিক নির্দেশনা। একটি ভাল ভ্রমণ বিষয়ক বই এই চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে পারে। কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেই স্থান সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে যাওয়া উচিত। সাথে একটি ট্যুরিস্ট ম্যাপ থাকলে খুব ভাল হয়। এর সাথে দর্শনীয় জায়গাগুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা থাকলে তো আরো ভাল। এই কাজটি করতে পারে একটি ভ্রমণ গাইড জাতীয় পুস্তক। অনেকেই বিদেশ ভ্রমণে বিশেষ আগ্রহী। বস্তুত এতে দোষের কিছু নেই। সুন্দর স্থানের প্রতি আকর্ষণ থাকতেই পারে। আমাদের দেশেও কিন্তু সুন্দর জায়গার অভাব নাই। কবিগুরু লিখেছেন- "বহু দিন ধরে, বহু দেশ ঘুরে দেখিতে দিয়েছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু"। ঋতুবৈচিত্র্যের এই দেশে এক এক ঋতুর এক এক রূপ। বরেন্দ্র এলাকার উচ্চভূমি, মধুপুর ও ভাওয়াল গড়ের বনাঞ্চল, ছোট টিলা আর চাবাগান পরিবেষ্টিত সিলেট, পাহাড়-পর্বত ঘেরা পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, সাগর কন্যা কুয়াকাটা (বাংলাদেশে একমাত্র এইস্থানেই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করা যায়), সবুজে ঘেরা সুন্দরবন, আরও কত যে দর্শনীয়, রূপসী জায়গা আছে বাংলাদেশে, তার ইয়াত্তা নাই। কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অসংখ্য স্থাপনাও আছে সারাদেশ জুড়ে। এগুলোর বেশ কয়েকটি আবার ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতও। এগুলো বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। সুতরাং সবুজ-শ্যামল এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ঘুরে না দেখলে জীবনটা অপূর্ণই থেকে যাবে। লিয়াকত হোসেন খোকন রচিত ‘৬৪ জেলায় ভ্রমণ’ বইটি বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়েই লেখা। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত লেখক দেশের ৬৪ জেলাই ভ্রমণ করেছেন। তাঁর এই অভিজ্ঞতা থেকেই বইটি লেখা। বইটিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর বর্ণনার পাশাপাশি ছবিও দেওয়া আছে। এ রকম অসংখ্য ছবি সংযুক্ত করার ফলে বইটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। কোথায় কিভাবে যেতে হবে, থাকার সুযোগ সুবিধা কেমন, সময় কেমন প্রয়োজন- সবই বর্ণনা করা আছে এখানে। যদিও ৬৪ জেলার সমস্ত তথ্য একটিমাত্র বইয়ের দুই মলাটের ভিতরে আবদ্ধ করা শুধু কষ্টসাধ্যই নয়, অসম্ভবও বটে। তাই হয়ত সব তথ্য না নিয়ে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোই নিয়েছেন লেখক। কিছু তথ্য আবার সময়ের সাথে সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে। এই যেমন যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়ার খরচ। বইটির সমস্যা এই একটিই। এতদসত্ত্বেও বইটি যথেষ্টই তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয়। বইটিতে বর্ণিত বিভিন্ন স্থানের নামকরণের ইতিহাস পাঠকদের এবং ভ্রমণপিয়াসীদের কৌতূহল মেটানোর ক্ষেত্রে বেশ অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। বইটিকে ভ্রমণ কাহিনী না বলে ভ্রমণকোষ বলাই শ্রেয়তর। যদিও বিভিন্ন স্থানের বর্ণনা করতে গিয়ে লেখক সুনিপুণ দক্ষতার সাথে সাহিত্যের প্রয়োগ করেছেন। সাহিত্য আর প্রকৃতি যে একই সুত্রে গাঁথা। সব মিলিয়ে সংগ্রহে রাখার মত একটা বই বৈকি।
Was this review helpful to you?
or
The book ‘64 district travelling’ is written by Liakat Hossain Khokon and and published from ‘Anindoprokash’, situated at 30/1a hemondra das road, Dhaka in Ferbruary 2007 for the first time. The book is thoroughly concerned with traveling and can be a good friend for the persons who love to travel. There are 64 districts in our country and in every districts there are something where we can travel. Some of us may think about certain districts where only we can serve our traveling purpose, but this is not true. There are many more beautiful known-unknown places everywhere in our country. This book will make them known to us and besides it will give directions how can we go there, where will we stay etc. This book is an authentic book which show the list of notable places in a particular district. So before going to any district we can go through this book and watch for the places we should go. Another important feature of this book is that it shows the images of a particular place where the writer of the same thought fit and proper. Thus according to me this book is not only sufficient to know about the places to see but also gives sufficient information of all aspect in case of traveling there. Therefore it can be the friend forever for the travelers.
Was this review helpful to you?
or
ভ্রমণ করতে কে না ভালবাসে- হোক তা দেশে বা বিদেশে। ইট-কাঠ-পাথরের জঞ্জালে ভরা এই শহুরে রোবটিক জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে হোক আর প্রকৃতির প্রতি রোমান্টিকতা থেকেই হোক, ভ্রমণের প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমবেশি সবারই থাকে। হয়ত সময়, সুযোগ কিংবা আর্থিক স্বল্পতার কারণে সবার সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা হয়ে উঠে না। কিন্তু সময় এবং অর্থের সুষম বণ্টনের সুপরিকল্পনার মাধ্যমে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠা যায়। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যেই ঘুরে আসা যায় অপরূপ কোন স্থান থেকে। এরজন্য প্রয়োজন শুধু সঠিক দিক নির্দেশনা। একটি ভাল ভ্রমণ বিষয়ক বই এই চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে পারে। কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেই স্থান সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে যাওয়া উচিত। সাথে একটি ট্যুরিস্ট ম্যাপ থাকলে খুব ভাল হয়। এর সাথে দর্শনীয় জায়গাগুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা থাকলে তো আরো ভাল। এই কাজটি করতে পারে একটি ভ্রমণ গাইড জাতীয় পুস্তক। অনেকেই বিদেশ ভ্রমণে বিশেষ আগ্রহী। বস্তুত এতে দোষের কিছু নেই। সুন্দর স্থানের প্রতি আকর্ষণ থাকতেই পারে। আমাদের দেশেও কিন্তু সুন্দর জায়গার অভাব নাই। কবিগুরু লিখেছেন- "বহু দিন ধরে, বহু দেশ ঘুরে দেখিতে দিয়েছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু"। ঋতুবৈচিত্র্যের এই দেশে এক এক ঋতুর এক এক রূপ। বরেন্দ্র এলাকার উচ্চভূমি, মধুপুর ও ভাওয়াল গড়ের বনাঞ্চল, ছোট টিলা আর চাবাগান পরিবেষ্টিত সিলেট, পাহাড়-পর্বত ঘেরা পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, সাগর কন্যা কুয়াকাটা (বাংলাদেশে একমাত্র এইস্থানেই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করা যায়), সবুজে ঘেরা সুন্দরবন, আরও কত যে দর্শনীয়, রূপসী জায়গা আছে বাংলাদেশে, তার ইয়াত্তা নাই। কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অসংখ্য স্থাপনাও আছে সারাদেশ জুড়ে। এগুলোর বেশ কয়েকটি আবার ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতও। এগুলো বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। সুতরাং সবুজ-শ্যামল এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ঘুরে না দেখলে জীবনটা অপূর্ণই থেকে যাবে। লিয়াকত হোসেন খোকন রচিত ‘৬৪ জেলায় ভ্রমণ’ বইটি বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়েই লেখা। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত লেখক দেশের ৬৪ জেলাই ভ্রমণ করেছেন। তাঁর এই অভিজ্ঞতা থেকেই বইটি লেখা। বইটিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর বর্ণনার পাশাপাশি ছবিও দেওয়া আছে। এ রকম অসংখ্য ছবি সংযুক্ত করার ফলে বইটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। কোথায় কিভাবে যেতে হবে, থাকার সুযোগ সুবিধা কেমন, সময় কেমন প্রয়োজন- সবই বর্ণনা করা আছে এখানে। যদিও ৬৪ জেলার সমস্ত তথ্য একটিমাত্র বইয়ের দুই মলাটের ভিতরে আবদ্ধ করা শুধু কষ্টসাধ্যই নয়, অসম্ভবও বটে। তাই হয়ত সব তথ্য না নিয়ে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোই নিয়েছেন লেখক। কিছু তথ্য আবার সময়ের সাথে সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে। এই যেমন যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়ার খরচ। বইটির সমস্যা এই একটিই। এতদসত্ত্বেও বইটি যথেষ্টই তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয়। বইটিতে বর্ণিত বিভিন্ন স্থানের নামকরণের ইতিহাস পাঠকদের এবং ভ্রমণপিয়াসীদের কৌতূহল মেটানোর ক্ষেত্রে বেশ অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। বইটিকে ভ্রমণ কাহিনী না বলে ভ্রমণকোষ বলাই শ্রেয়তর। যদিও বিভিন্ন স্থানের বর্ণনা করতে গিয়ে লেখক সুনিপুণ দক্ষতার সাথে সাহিত্যের প্রয়োগ করেছেন। সাহিত্য আর প্রকৃতি যে একই সুত্রে গাঁথা। সব মিলিয়ে সংগ্রহে রাখার মত একটা বই বৈকি। বইয়ের নামঃ ৬৪ জেলা ভ্রমণ। লেখকঃ লিয়াকত হোসেন খোকন। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৫৬০ প্রচ্ছদ শিল্পীঃ ধ্রুব এষ। প্রকাশকঃ আফজাল হোসেন, অনিন্দ্য প্রকাশ।