User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By tomir protip

      08 Jul 2022 06:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Mohammed siddik

      12 Jun 2021 05:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #Rokomari_Book_Club_Review_Competition পোস্ট :১৪ প্রতিযোগির নাম :- Mohammed Siddik কোন উপন্যাসে যদি বিখ্যাত মানুষ যেমন মাইকেল-মধুসূদন-দত্ত,প্রিন্স দ্বারকানাথ,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ঠাকুর যদি আপনার সামনে ঘুরে বেড়ায়।যদি এই সকল মনীষীগণ আমাদের কানে কানে কথা বলে তখন কেমন কেমন হবে! তেমনই এক অসাধারণ উপন্যাস "সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের" লিখা 'সেই সময় '।'সেই সময়' বলতে লেখক বুঝাতে চেয়েছেন ১৮৪০ থেকে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।যেখানে কলকাতার বহুল ঘটনা ও কাহিনী উল্লেখ আছে।সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'সেই সময়' উপন্যাস এক অনবদ্য রচনা। সেই সময় বলতে যখন কলকাতার সমাজ সুরা,নারী ও ভোগবিলাসে মত্ত ছিল।নব্য যুবকরা ইংরেজদের অনুকরণে ব্যস্ত।গ্রাম নিঃস্ব করেছে প্রজা শাসন। আর অন্যদিকে জেগে উঠেছে একদল যুব সমাজ। কোন একটি সময়কে উপস্থাপন করতে হলে একটি অবলম্বন দরকার।এই উপন্যাসের সেই অবলম্বন হলো নবীনকুমার।যিনি তৈরি হয়েছেন কালীপ্রসন্ন সিংহ চরিত্রের আদলে।নবীনকুমার এর সাথে বিভিন্ন চরিত্রে এসে মিশে যায়।প্রথমত হলো ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।যিনি উচ্চ সরকারী পদে চাকরি হওয়ার পর সমাজে বিধবা বিবাহ,কুসংস্কার,বালিকা বিদ্যালয় এবং সমাজ সংস্কারের জন্য কি পরিমান সংগ্রাম করে গেছেন তা এই উপন্যাস থেকে জানা যায়।নবীনকুমার জমিদার পুত্র।তার দাদা ছিলেন গঙ্গানারায়ণ সিংহ।তিনি পড়তেন কলকাতা হিন্দু কলেজ।হিন্দু কলেজে তিনি একদিন দেখতে পেলেন একজন যুবক শ্যাম বর্ণের,সে সুরাপান করেছে।এই ছিল সেই সময়কার সমাজের চিত্র।যে বেয়ারা তাকে বয়ে বাড়ি নিয়ে যেতেন,সে পকেটে হাত দিয়ে যা পেতো তাই সে তাদের কে দিয়ে দিত।বলতো রাজনারায়ণ দত্তের পুত্র কখনো গুনে পয়সা দেয় না। মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রথম থেকে নিজকে ইংরেজ কবি মনে করতেন।তিনি মনে করতেন বাংলা ভাষা হল মধ্যবিত্ত,গ্রাম্য ও কৃষক শ্রেণীর ভাষা।বাংলা ভাষার প্রতি তার তীব্র ঘৃণা ছিল।তবে মাইকেল মধুসূদন দত্ত অস্থির স্বভাবের লোক ছিলেন।তিনি শর্মিষ্ঠা নাটক লিখেছেন, মেঘ্নাদবদ কাব্য তিনি লিখেছেন। তাকে সংবর্ধনার জন্য ডাকা হলে তিনি বলেন ঐ (বাংলা)বলতে হবে! এই রকম নানান ঘটনা রয়েছে এই উপন্যাসে। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন প্রচন্ড ব্যবসায়িক বুদ্ধি।তার বাবার অনেক ঋন ছিলো, তিনি তা শোধ করে।তবে তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন ছেড়ে আধ্যাত্মিকতা চর্চা করতেন। উপন্যাসে ব্রাহ্মণ সমাজের এর কথা ও জানা যায়।তবে উপন্যাসের অলীক চরিত্র হলো গঙ্গানারায়ণ সিংহ।তিনি একাধারে মেধাবী ছাত্র,আদর্শ জমিদার।সাধু-সন্ন্যাসী পছন্দ করতেন। তবে তা খুব বেশিদিন স্থায়ী ছিল না। গঙ্গানারায়ণ সিংহের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এই যে,তিনি নীল বিদ্রোহের সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একদিন মাইকেল মধুসূদন দত্ত বসে আছেন তার বন্ধুদের সঙ্গে।একজন পোস্টমাস্টার আসলেন একটা অনুরোধ করলেন নীল চাষীদের কষ্ট নিয়ে একটা নাটক লিখেন।মধুসূদন দত্ত বলেন আমি নাটক লিখবো না, আমি কাব্য লিখবো।আপনি লিখেন! তারপরই রচিত হয় অমর নাট্য কাহিনী 'নীলদর্পণ',তিনিই "দীনবন্ধু মিত্র"। সেই সময় কলকাতার দাদাবাবুদের দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখব যে,তারা কঠিন রকমের ইংরেজি অনুকরণে ব্যস্ত এবং নানান রকমের অনৈতিক কাজ করতেন। এই উপন্যাসে যাকে নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে,তিনি নবীনকুমার। বিভিন্নভাবে বুঝানো হয়েছে তিনি আসলে কালীপ্রসন্ন সিংহ।যিনি সম্পূর্ণভাবে মহাভারত গদ্যে লিখেন,যেটা বিদ্যাসাগরের তত্ত্বাবধায়নে হয়েছে।যা তিনি উৎসর্গ করেছিলেন রানী ভিক্টোরিয়াকে।নবীনকুমার অকালমৃত্যু হয়,বিশাল জমিদারি থাকা সত্ত্বেও তিনি সমাজ সংস্কার,হুতোম প্যাঁচার ট্রাজেডি তিনি লিখেছিলেন।তবে নবীনকুমার(কালীপ্রসন্ন সিংহ) যখন মৃত্যু হয় সে-সময় খুব দুঃখ প্রকাশ করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং খুবই কষ্ট পান। পরিশেষে বলা যায়, অনবদ্য এক উপন্যাস "সেই সময়" কে বলা হয়ে থাকে ১৮৪০থেকে ১৮৭০ সালের কলকাতার দলিল। ________________________ বই:- সেই সময় লেখক :- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম অখন্ড সংস্করণ:- ১ বৈশাখ ১৩৯৮ প্রচ্ছদ :-সুনীল শীল প্রকাশক :- আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড পৃষ্ঠাসংখ্যা:-৭০৪ মূল্য:-৬০০৳ ব্যক্তিগত রেটিং:-৪.৭০/৫.০০ _________________________________

      By Sahriar Sourov

      19 Feb 2021 10:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি পড়া শুরু করলে নিশ্চিত সেই সময়ে হারিয়ে যাবেন!!

      By Mehedi Manik

      19 Dec 2019 03:31 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেই সময়- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সেই সময় উপন্যাসটি ভারতের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় সাহিত্য পুরস্কার "সাহিত্য অকাদেমি" পুরস্কারে ভূষিত। অসাধারণ এই উপন্যাসে "সেই সময়" এর উল্লেখ করা হয়েছে যখন বাংলা জেগে উঠতে শুরু করেছে। একটু পরিচিত ভঙ্গিতে বলতে চাইলে বলা যায়- যে সময়ে বাংলার নবজাগরণ শুরু হয় সে কালেরই কথা। এই উপন্যাস উপমহাদেশের বেশ কিছু বাঙালি মনীষীর জীবন ও কর্ম ও তার প্রভাব- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েই আবর্তিত। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কালীপ্রসন্ন সিংহ, টেকচাঁদ, হেয়ার সাহেব, মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন ও কর্ম নিয়ে রচিত। এসব মহৎ ও বিখ্যাত মানুষদের জীবনকে বিস্তৃত ক্যানভাসে নীল লোহিত তার দক্ষ হাতে এঁকেছেন। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নবকুমার। যা মূলত কালীপ্রসন্ন সিংহকে অবলম্বন করেই। উপন্যাসটি পড়লে বাংলার জাগরণের আদিসুত্রটুকু ধরা যাবে। তাই যেকোনো বাঙালির এই বই পড়া উচিৎ।

      By Sultan

      06 Nov 2019 07:56 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেই সময় ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস। পলাশী যুদ্ধের পরবর্তীকালীন যুগ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের এক'শ বছর এবং মহারাণী ভিক্টোরিয়ার শাসনকালে প্রায় এক'শ বছরের আলোকচিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক তার কলমের গতিময়তায়। কি জীবন্ত করে দিয়েছেন সেই সময়ের চরিত্র গুলোকে ; লর্ড কর্ণওয়ালিসের চিরস্থায়ী বন্দবস্ত থেকে নীল বিদ্রোহ সূত্রপাত তিনি তুলে ধরেছেন যেন বিক্ষিপ্ত তীরের ছন্দে। ইংরেজ শাসকদের তল্পিবাহক ও তোষামোদ দার জমিদার রা যেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এর সুবিধা পেয়ে ইংরেজদের প্রতি ধন্য ধন্য। এই সব জমিদাররা যখন প্রজাদের রক্তচুষে খাজনা আদায় করে প্রাপ্ত অর্থ বারবণিতা ও সুরাপানে ভাসিয়ে দিচ্ছিল তখনি ডেভিড হেয়ার নামে আরেকজন শ্বেতচামড়া ধাড়ীর শিষ্যত্ব বরণ করে ইংরেজ প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি আত্মস্থ করে ইংরেজ দের বিরুদ্ধেই সৃষ্টি হয়েছিল ভারতের মাটিতে উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রসিদ্ধ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, হরিশ মুখার্জী,বঙ্কিমচন্দ্র প্রমুখ। ইংরেজদের তোষামোদ কারী হয়ে যখন অশিক্ষিত জমিদার রা মদ ও নারী নিয়ে ব্যস্ত তখন রাজা রাম মোহন রায় সতীদাহপ্রথা বিলুপ্ত করে রণক্ষেত্রে। সতীদাহপ্রথা বিলুপ্ত হলেও বিধবা নারীদের চিরজীবন জীবিত হয়েও নরকের জ্বালা ভোগ করতে দেখে চোখে জল আসে বিদ্যাসাগরের তিনি প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নেমে যান নিজ খরচে বিধবা বিবাহ দেয়ার কার্যে, হিন্দু ধর্মের গোঁড়ামি ও কুসংস্কার রোধ করতে ধর্মকে নতুন রূপে সংস্কার করতে ভূমিকা পালন করেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর গড়ে তোলেন ব্রাহ্ম সমাজ। আবার একি সমাজে দেখা যায় একদল ধণির দুলাল ইংরেজ দের পা চাটা জমিদার রা এসব মহৎ কর্মে বিঘ্ন ঘটাতে এক পা পিছু না হটে দশ পা এগিয়ে আসেন এমনি এক জমিদারের ঘরে জন্ম উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নবীন কুমার সিংহের। তিনি জমিদার এর সুপুত্র হলেও স্রোতের বিপরীতেই চলছেন বরাবর মদ ও নারীর সংস্পর্শে না গিয়ে বিদ্যাসাগর এর চ্যালা হয়ে বিধবাবিবাহে সভায় উপস্থিত থেকে দান করে সহস্র মুদ্রা, সুরা পান না করে নিজেকে মগ্ন করেছেন বিদ্যাচর্চার কাজে বাংলায় প্রথম অনুবাদ করেছেন মহাভারত। চিকিৎসালয়, স্কুল কলেজ নির্মানে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তবে এই চরিত্রটি লেখকের কাল্পনিক তবে লেখকের ব্যাক্তিগত কথায় জানা যায় বাস্তব চরিত্রের ছায়া থেকে এই কাল্পনিক চরিত্র রচিত। আমি পাঠক হিসেবে কৌতুহল সংবরণ করতে না পেরে খুঁজে বের করেছি নবীনকুমার ছদ্মবেশে আসল চরিত্রটি কালিপ্রসন্ন সিংহ। সিপাহি বিদ্রোহের নায়ক মঙ্গল পান্ডে ও ঐইতিহাস চরিত্র। নীল বিদ্রোহে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন গঙ্গা নারায়ণ সিংহ তবে এই চরিত্রটি লেখকের মতে কাল্পনিক।

    • Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ সেই সময় (অখণ্ড) লেখকঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রকাশনীঃ আনন্দ পাবলিশার্স পৃষ্ঠাঃ ৭০৯ মুদ্রিত মুল্যঃ ৫০০৳ (ভারতীয়) রকমারি.কম মুল্যঃ ৭২০ টাকা রেটিংঃ ৫/৫ #রিভিউঃ বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে আমার পরিচয় ঘটে “সেই সময়” উপন্যাসটি পড়ার মাধ্যমে। তার এই বইখানা পড়ে এতটাই মুগ্ধ হয়েছি যে এর রেশ কাটেনি এখনো। মনে হচ্ছিল বারবার, আমি যেন সত্যিই ফিরে গেছি সেই সময়ে। উপন্যাসের কাহিনি ১৮৪০ হতে ১৮৭০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি দ্বারা সাজানো। সেই সময়ে যখন কলকাতার বিত্তশালী জমিদারেরা মদ-জুয়া-নারী নিয়ে নেশায় বুঁদ হয়ে ছিল, প্রজাদের শোষণ করে অর্জিত অর্থ দ্বারা চালাচ্ছে সংস্কৃতি চর্চা-সমাজ ও ধর্ম সংস্কার, নব্য শিক্ষিতরা ইংরেজদের অনুকরণ করে ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। ঠিক তার বিপরীতে তরুণ বিদ্যাসাগর, রামমোহনেরা সমাজ থেকে অশিক্ষা-কুসংস্কার দূর বিধবাবিবাহ প্রচলনসহ সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শুধু কি তাই? বাংলা সাহিত্যেও আসে আধুনিকতার বিশাল ঢেউ। মাইকেল, বিদ্যাসাগর, দীনবন্ধুসহ সেইসময়কার বিখ্যাত সাহিত্যিকেরা রচনা করতে থাকেন বিখ্যাত সব গদ্য-পদ্য। মোটকথা, ইতিহাসের বিভিন্ন বিখ্যাত চরিত্র ও তাদের জীবনের বিভিন্ন সময়ের উত্থান-পতনই এই উপন্যাসের মূল কাহিনি। আর সেই সময়কে বা কাহিনিকে রক্ত-মাংসে জীবিত করতে লেখক গ্রহণ করেন এক রূপক চরিত্র। তার নাম নবীনকুমার। নবীনকুমারের জন্ম থেকে এই উপন্যাসের সূত্রপাত ঘটে আর সমাপ্তি ঘটে তারই মৃত্যু দ্বারা। মাঝখানের সময়টুকুতে বিস্তৃত হয়েছে “সেই সময়”। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে কখন যে আমি সেই সময়ে প্রবেশ করেছি বুঝতেই পারিনি। আসলে লেখক চরিত্রগুলোকে উপন্যাসে এমন করে প্রবেশ ঘটিয়েছেন তৎক্ষণাৎ আমার মনে হয়েছে তিনি একজন চিত্রশিল্পী যিনি কিনা নিখুঁতভাবে এঁকেছেন সেই সময়কে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বঙ্কিম ও সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত এই উপন্যাস বিভিন্ন সময়ে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হলেও এবার পাওয়া যাচ্ছে পুরোটাই এক মলাটে, অখণ্ড সংস্করণে। যদি উপন্যাসটি পড়া না হয়ে থাকে তবে আর দেরি না করে আজই শুরু করে দিন। খারাপ লাগবে না আশা করি। সংগ্রহে না থাকলে রকমারি থেকেও কিনে নিতে পারেন। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/16858/সেই-সময়-(অখণ্ড)

      By Sharmine Afrose Oishy

      11 Dec 2016 03:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ সেই সময় লেখকঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বইয়ের ধরণঃ সামাজিক উপন্যাস প্রকাশকালঃ ১৪ই এপ্রিল ১৯৯১ (ভারত); একুশে বইমেলা ২০০৮ (বাংলাদেশ) প্রকাশনীঃ আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ (ভারত); জ্যোৎস্না পাবলিকেশন্স (বাংলাদেশ) পৃষ্ঠাঃ ৮১৬ মূল্যঃ ৭২০ টাকা (ভারত); ৫১০ টাকা (বাংলাদেশ) গল্প-সংক্ষেপঃ কোম্পানী আমল। রক্ষিতার ঘরে মৃত্যু হয় জমিদার রামকমল সিংহের। মৃত্যুর আগে তিনি রেখে রেখে যান দত্তকপুত্র গঙ্গানারায়ন, নাবালক পুত্র নবীনকুমার আর স্ত্রী বিম্ববতীকে। কিন্তু সম্পত্তি ভাগের সময় দেখা গেল, গঙ্গানারায়ন তেমন কিছুই পাননি। সবই চলে গেছে বিম্ববতী আর নবীনকুমারের নামে। রামকমলের বন্ধু ও পরামর্শদাতা বিধুশেখরের প্ররোচনাতেই এই ব্যবস্থা! মায়ের কথায় গঙ্গা ভার নিলেন সম্পত্তি দেখাশোনার। কিন্তু বিধুশেখরের তা পছন্দ হলো না। তিনি চান গঙ্গাকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলতে, টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে দিতে। আর চান নবীনকুমারকে তার জীবনে সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত করে যেতে। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তরই রয়েছে কাহিনীতে। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ সেই সময়। নামটার সাথেই 'সময়' শব্দটির উল্লেখ আছে। সুতরাং বোঝাই যায়, গল্পটি একটি নির্দিষ্ট সময়কালকে ঘীরে। ১৭৫৭ সাল। বাংলার সর্বশেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে বধ করে ক্ষমতা নিল ইংরেজ সরকার। প্রথম প্রথম যদিও তারা এদেশে এসেছিল ব্যবসা করতে, তারপর ধীরে ধীরে গ্রাশ করে নিল গোটা ভারতবর্ষ। শাসন করতে লাগলো এদেশের নিরীহ মানুষদের। যদিও গোটা ভারতবর্ষে ছিল ইংরেজদের রাজ, তবে তার বড় প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যেত বাংলায়। কলকাতা ছিল রাজধানী। প্রচন্ড রকমের মানুষের আনাগোনা ছিল তাই এখানে। বৃটিশ আমলে কলকাতাও ছিল এক অদ্ভুত চেহারায়। নামমাত্র জমিদাররা শাসন করত কম, ফূর্তি করত বেশি। আবার একদল ছিল যারা শোষিত হয়ে যেত আজীবন। এই দুই সমাজ নিয়ে মিলেমিশে ছিল তৎকালীন বাংলা সমাজ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা এক অসাধারণ সৃষ্টি এই ‘সেই সময়’। এর আগে অবশ্য এই লেখকের লেখা পড়েছি। কাকাবাবু সিরিজ। তাও সেই কোন ক্লাস ফোরে থাকতে। ভালো লাগে নি। কেমন যেন খাপ ছাড়া লেগেছিল। আসলে তখন ফেলুদা পড়তাম। তাই কাকাবাবু তেমন টানে নি আমাকে। আজ এত বছর পর আবার সুনীলবাবুর লেখা পড়লাম। মনে হলো, লেখক যেন এখানে কোন গল্প বা উপন্যাস লেখার চেষ্টা করেন নি। বরং এ এক উপাখ্যান। উপাখ্যান সময়ের। কোম্পানী আমলে বাংলার চালচিত্র একেবারে ছবির মত ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। পড়তে পড়তে মনে হল, গঙ্গা, বিম্ববতী, নবীন... এরা শুধু উপলক্ষ মাত্র। এদেরকে পরিবেষ্টন করে লেখক লিখেছেন অন্যকিছু। গল্পের ছলে ফুটিয়ে তুলেছেন কলকাতার সেই সময়কার বাবুসমাজ, যখন তারা সুরা আর নারীদের নিয়ে ব্যস্ত। তুলে এনেছেন ইংরেজদের অত্যাচার, প্রজাশোষনের অর্থে চালিত সংষ্কৃতচর্চা, ধর্ম ও সমাজ সংষ্কার। তাছাড়া বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহের মত বিতর্কিত কুসংষ্কার তো ছিলই। লেখক সেই সময়ে তুলে এনেছেন কিছু বাস্তব চরিত্রও। যেমনঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, হেয়ার সাহেব, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ আরো অনেকে। সব মিলিয়ে এক বড় সংখ্যক চরিত্র দিয়ে ঘীরে ফেলেছেন তিনি। তবে তারা সবাই বাস্তব হয়ে উঠেছে। কোথাও একটুকু খামতি রাখেন নি। যে যার অবস্থান থেকেই দ্যুতি ছড়িয়েছে সমানভাবে। গল্পে তৎকালীন কলকাতার সদ্য শিক্ষিত তরুণসমাজ যখন ইংরেজ অনুকরণে মত্ত, তখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসগরকে দেখা যায় রাত জেগে রেড়ির তেলের আলোয় বাংলা গদ্যভাষা রচনা করতে। মাইকেল মধুসূদনকে দেখা যায় অধিক বিত্তের নেশায় মগ্ন হতে। আবার দেখা যায় তাঁর বাবা রাজনারায়ন দত্তের অহংকার। এদিকে গল্পের অন্যতম চরিত্র নবীনকুমার সম্পর্কে তো লেখকই বলেছেন, “সময়কে রক্ত মাংসে জীবিত করতে হলে অন্তত একটি প্রতীকি চরিত্র গ্রহন করতে হয়। নবীনকুমার সেই সময়ের প্রতীক। তার জন্মকাহিনী থেকে তার জীবনের নানা ঘটনার বৈপরীত্য,শেষ দিকে এক অচেনা যুবতীর মধ্যে মার্তৃরুপ দর্শন এবং অদ্ভুত ধরনের মৃত্যু,সবই যে সেই প্রতীকের ধারাবাহিকতা,আশা করি তা আর বিশদভাবে বলার প্রয়োজন নেই।প্রয়োজনীয় কথা শুধু এই যে,নবীনকুমারের আদলে এক অকালপ্রয়াত অসাধারন ঐতিহাসিক যুবকের কিছুটা আদল আছে,অন্য কোনো প্রসিদ্ধ পুরুষের নাম বা জীবনকাহিনী আমি বদল করিনি....” সব মিলিয়ে ‘সেই সময়’ সেই আসল সময়কে ঘীরে যখন বাঙ্গালী সমাজ প্রথমবারের মত মাথা উচু করে দাঁড়াতে শিখেছে। গোটা উনবিংশ শতাব্দীটাই যেন বিভিন্ন চরিত্র হয়ে চোখের সামনে জীবন্ত হয়েছে। তাই হয়তো লেখক নিজেই বলেছেন, “আমার কাহিনীর পটভুমিকা ১৮৪০ থেকে ১৮৭০ সাল। এবং এই কাহিনীর মূল নায়কের নাম সময়” সবশেষে বলতে হয়, “সেই সময়” এমন একটি উপন্যাস, যার পরিচয় সে নিজেই। একে আলাদা করে পরিচয় দেয়া মূল্যহীন। তবে যারা এই ব্যাপারে আরো নিশ্চিত হতে চান, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, সেই সময় বইটি পশ্চিমবঙ্গের দুটি সম্মানিত পুরষ্কার ‘বঙ্কিম পুরষ্কার’ ও ‘আকাদেমী পুরষ্কার’এ ভূষিত হয়েছে। তাই যারা এখনও পড়েননি, পড়ে ফেলুন। কথা দিচ্ছি, পড়ার পর আপনার জীবনের অন্যতম স্মরনীয় বই হয়ে থাকবে এটি! হ্যাপি রিডিং! :) রেটিংঃ ৫/৫

      By Dipak Karmoker

      17 Apr 2021 01:17 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      [পাঠ পর্যালোচনা ০৮] সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কিছু অমর সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম একটি বই হলো 'সেই সময়'। প্রায় সাত শতাধিক পৃষ্ঠার বিশাল কলেবরের এই বইটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সৃষ্টি। ইতিহাস কে উপজীব্য করে লেখা হলেও কাঠখোট্টা টাইপের ইতিহাস বই নয় এটি। এটি একটি পুরোদুস্তর উপন্যাস। লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পাঠক হিসেবেও যে সমৃদ্ধ, তাছাড়া ইতিহাস প্রাঞ্জলভাবে বলায় এবং এত বড় বইয়ে কোথাও খেই হারিয়ে না ফেলার যে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন তা এক কথা বাহবা পাওয়ার যোগ্য। তবে একটা কথা বলে নেওয়া ভালো—অনেকেই ‘সেই সময়’ ‘প্রথম আলো’ এবং ‘পূর্ব পশ্চিম’ এই তিনটি বইকে সুনীলের ‘টাইম ট্রিলোজি’ বলে আখ্যা দেন। তবে বই তিনিটি তিন ভিন্ন সময়ের হলেও এবং সময়ের ধারাবিহকতা বজায় থাকলেও এরা কোন ট্রিলজির অন্তর্ভুক্ত নয়। এক বইয়ের সাথে নেই আরেক বইয়ের চরিত্রগত কোন সম্পর্ক। ‘সেই সময়’ এর সাথে ‘প্রথম আলো’র পটভূমি গত মিল থাকলেও নেই চরিত্রগত কোন মিল, আবার ‘পূর্ব পশ্চিম’ এর সাথে ঐ দুই বইয়ের নেই একেবারে মিল, সেখানে বাস্তব সময়ের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ থাকলেও বাস্তব চরিত্রদেরকে উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র হিসেবে পাওয়া যায় না। তাই এই তিনটি মাস্টারপিস বইয়ের যেকোন বই দিয়েই আপনি আপনার পড়া শুরু করতে পারেন। আবার প্রকাশের কাল বা ঘটনা প্রবাহের কাল অনুসারেও উপরিউক্ত সিরিয়াল মোতাবেক পড়তে পারেন। সেই সময়—বইয়ের কাহিনী গড়ে উঠেছে ঊনিশ শতকের কলকাতাকে ঘিরে। প্রধানত ১৮৪০ সাল থেকে ১৮৭০—এই ত্রিশ বছরের কাহিনীই বইটিতে জায়গা পেয়েছে। এই বই থেকে আমরা সেই সময়ের সাহিত্যের বাঘা বাঘা লোকদের উত্থান কীভাবে হয় তা জানতে পারবো। আমরা জানবো মাইকেল মধুসূদনের কথা, বিদ্যাসাগর, রাজশেখর বসু, প্র্যারীচাঁদ মিত্র বা দীনবন্ধু মিত্রের কথা। আবার আমরা ব্রাহ্ম সমাজের কথাও জানবো, জানবো ইয়ং বেঙ্গলের কথাও। আমরা পাবো ঠাকুর বাড়ির ইতিহাস থেকে শুরু করে দ্বারকানাথ ঠাকুরের কথা, তাঁর পুত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাও, এবং এক লাইনে জানতে পারবো রবীন্দরনাথ ঠাকুরের জন্মের সংবাদ। সেই ঊনিশ শতকে কলকাতার উচ্চবিত্ত সমাজের জীবনযাপন কেমন ছিল, তাদের নেশায় মত্ত জীবন, প্রায় প্রত্যেকেরই রক্ষিতা রাখার চল, যা বাবুপ্রথা নামে বেশী পরিচিত। তাদের অন্দরমহলের ভেতরের কথাও জানা যায়। সাথে বারবণিতাদের জীবনের কথাও উঠে আসে, উঠে আসে বড় জাত-ছোট জাত নিয়ে সমাজের বিশ্রী রূপ, যার ছিটেফোঁটা এখনও আমাদের সমাজে বিদ্যমান। তখনকার রাজনৈতিক ভাবনা কেমন ছিল, সবার ইংরেজী শিক্ষার ঝোক, ক্ষেত্রবিশেষে ইংরেজপ্রীতি, তার মধ্যেই আবার দেখতে পাবো সিপাহী বিদ্রোহ, নীল চাষী সহ সাধারণ মানুষদের উপর ইংরেজদের অকথ্য অত্যাচার, দেখতে পাব নীল বিদ্রোহও। এছাড়া বেথুন কলেজ, হিন্দু কলেজের মতো ইতিহাসবিখ্যাত কিছু কলেজের পূর্ব ইতিহাসও জানা যাবে বইটি থেকে। গল্পচ্ছলে ইতিহাসের এমন বিচরণ সচরাচর চোখে পড়ে না। ইতিহাস আশ্রয় করে অনেককেই লিখতে দেখা যায়, কিন্তু এত বিশদভাবে, বাস্তব চরিত্রের দিনযাপন এরূপ খুব একটা দেখা যায় না। লেখকের কল্পনা শক্তির পরিপূর্ণ ব্যবহার যেন লেখাটিকে ভিন্ন মাতা যোগ করেছে। লেখকের মতে এই বইয়ের মূল চরিত্র হলো সময়। কিন্তু তবুও আমরা যেন একটা মূল চরিত্র খুঁজে পাই। তাঁর নাম নবীন কুমার সিংহ। লেখক আভাস দিয়েছেন যে এই চরিত্রটি ইতিহাসের এক ক্ষণজন্মা স্বল্পায়ু যুবকের আদলে তৈরী। বুদ্ধিমান পাঠকের বুঝতে অসুবিধা হয় না যে সেই চরিত্রটি আসলে কালীপ্রসন্ন সিংহ এর চরিত্র থেকে অনুপ্রানিত। কালীপ্রসন্ন সিংহ সম্পর্কে যেটুকু জানা যায় তার বাইরে যেটুকু বইয়ে উল্লেখ আছে তা কতখানি সত্য তা লেখকই ভালো বলতে পারবেন। প্রায় চার দশক আগে প্রকাশিত এই বইটি দিনকেদিন পাঠক সমাজে আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। বইটি যে কালজয়ী বই সেটি বলতে আর দ্বিধা রাখে না। তাই আপনি যে ধরণের পাঠকই হন না কেন, আপনার জন্য এই বইটি একটি অবশ্যপাঠ্য বই।

      By Abdullah Al Noman

      05 Nov 2019 09:59 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেই সময় FOR BENGALI LANGUAGE READERS THE BENGALI VERSION IS RECOMMENDED A wonderfully written historical fiction around the lives of Vidyasagar, Michael Madhusudan Dutta and others. Life of Zamindars, of English Babus, of lowly laid peasants and of Women. A time when well bred or poor bred competed in intellectual pursuit, social pursuit and cultural pursuit. Bengali language coming of age and sycophancy around English learning. It captures all.

      By Junayad Ahmed Tanmoy

      28 Sep 2019 10:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনুপম!

      By Turin Tanchangya

      03 Feb 2020 02:35 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মাত্র শেষ করলাম এই বইটি। অসাধারণ এক উপন্যাস। কালীপ্রসন্ন সিংহের জীবনের আদলে লেখা এ উপন্যাসটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন কোন ইতিহাসের বই পড়ছি। আগে শুধু পাঠ্যবই কিংবা চাকরির বই থেকে মুখস্ত করেছি বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধূসুদন দত্ত, কালীপ্রসন্ন সিংহ, দীনবন্ধু মিত্র কিংবা পাদ্রী লঙ এর কীর্তি। মুখস্ত করেছি সংস্কৃত কলেজ, বেথুন কলেজ এর সাল। মজার কথা এই বই পড়ার সময় এসব চোখের সামনে আসতে লাগলো সিনেমার মতো। যেনো দেখতে পেলাম কত কষ্টই না করেছেন বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ চালু করতে। বইটি যদি কিনতে চান তাহলে বিনা দ্বিধায় কিনে ফেলুন। আপনার ৯৫০ টাকা গচ্চা যাবে না। একে তো কাহিনী অসাধারণ তার ওপর বইয়ের পৃষ্ঠাগুলোও ভালো। এ রকম একটা বই কালেকশনে থাকাটা মন্দ নয়।

      By Jahan-E-Noor

      09 Apr 2013 03:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘সেই সময়’ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।আমার পড়া অন্যতম সেরা একটা উপন্যাস এটি।উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ১৮৪০ থেকে ১৮৮০ এর সময়কালের তৎকালীন বাংলার পটভূমিতে। আমার কাছে গল্পের কোনো চরিত্রকেই প্রধান বলে মনে হয়নি। লেখকের মতে, ‘এই কাহিনীর মূল নায়ক হল সময়।’আসলেও তাই।উনবিংশ শতাব্দীতে ঘটে যাওয়া নানা ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে চলেছে।আর সেই সময়প্রবাহকে লেখক তুলে ধরেছেন নবীনকুমার নামক চরিত্রের মধ্য দিয়ে। নবীনকুমার হল কলকাতার বিখ্যাত জমিদার বংশ সিংহী পরিবারের উত্তরাধিকারী। তার জন্মসংবাদ দিয়েই কাহিনির সূচনা।ধীরে ধীরে আমরা পরিচিত হই তার বাবা রামকমল মা বিম্ববতী, পালক ভাই গঙ্গানারায়ণ,বাবার বন্ধু বিধুশেখর ও আরো নানা চরিত্রের সাথে।নবীনকুমারের শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত প্রায় পুরো জীবনের বর্ণনা লেখক উপন্যাসটিতে করেছেন, আর সেই বর্ণনাই তুলে ধরেছে উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সমাজের পরিস্থিতি ও বিবর্তনকে। লেখকের নবীবকুমার সম্পর্কে বক্তব্য, ‘ সময়কে রক্ত মাংসে জীবিত করতে হয়। নবীনকুমার সেই সময়ের প্রতীক। তো কেমন ছিল সেই সময়? বাংলা তথা সমগ্র ভারতবর্ষ তখন ব্রিটিশদের পদতলে। দেশীয় জমিদার ও শাসকেরা তখন নামমাত্র ক্ষমতায়, আসল ক্ষমতা কুক্ষিগত ইস্ট ইন্ডিয়া শাসকদের হাতে। তাদের তৈরি কলকাতা শহর তখন সারা বঙ্গের রাজধানী এবং সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র।সেখানকার বেশির ভাগ জমিদার ও উচ্চবিত্তরাই ভোগবিলাসে মগ্ন, মধ্যবিত্ত নামক শ্রেণী তখনো অনুপস্থিত, নিম্নবিত্তরা ভয়াবহ শোষনের শিকার। বাংলা ভাষা এবং সাহিত্য ভীষণভাবে উপেক্ষিত। শতাব্দী ধরে চলে আসা ফার্সী এবং আরবীর ব্যবহারও পড়তির দিকে, সর্বদিকে ইংরেজ ও ইংরেজী সাহিত্যের জয়জয়কার। সমাজ অশিক্ষা এবং নানা ধরণের প্রথা এবং ধর্মীয় সংস্কারে আকন্ঠ নিমজ্জিত, নারীরা কেবলই ভোগ্যদ্রব্য। একদিকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ, অন্যদিকে হাজারো অন্যায় এবং অনাচারের এক বিশাল সমুদ্রের নিচে ডুবে ছিল গোটা বঙ্গসমাজ। ধীরে ধীরে এখানে গড়ে ওঠে একটি শিক্ষিত যুবকশ্রেণী। যাদের অনেকেই উদ্যগী হন সমাজকে পরিবর্তনের। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মধূসুদন দত্ত সহ আরো অনেক ইতিহাসখ্যাত চরিত্র উঠে এসেছে উপন্যাসের নানা পর্যায়ে। নবীবকুমার এই শ্রেণীরই একজন সদস্য। লেখকের সার্থকতা এখানেই যে, তিনি উপন্যাসে ইতিহাসের নিরস বর্ণনাকে প্রাণ দান করতে সক্ষম হয়েছেন । তার গল্প বলার সাবলীল ভঙ্গি, বিশদ বর্ণনা আমাকে যেন সেই সময়টিতে নিয়ে গিয়েছিল। এতটাই মগ্ন হয়েছিলাম যে, টানা একবসাতেই ১২ ঘন্টা পড়ে শেষ করেছিলাম বইটি। এই উপন্যাসটির জন্যে সুনীল বঙ্কিম এবং একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন

      By mithun sarker

      18 Sep 2015 09:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃ সেই সময় লেখকের নামঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় জেনারঃ ঐতিহাসিক উপন্যাস পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৭০৪ প্রকাশনীঃ আনন্দ পাবলিশার্স প্রথম অখণ্ড সংস্করণঃ ১ বৈশাখ ১৩৯৮ পুরস্কারঃ বঙ্কিম (১৯৮৩) এবং আকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫) সেই সময় উপন্যাসটির প্রকৃত আর্বতনকাল হলো ১৮৪০ থেকে ১৮৭০ পর্যন্ত ঐতিহাসিক সময়কালে যখন রাজা রামমোহন রায়ের সতী দাহ প্রথার বিলোপকরণ, কুসংস্কারাচ্ছন এবং অন্ধকার ভারতবর্ষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। যখন একদল তরূনের জাগরণ ঘটেছে, শিক্ষা এবং জ্ঞানের আলোবর্তিকা হাতে কুসংস্কার আর অশিক্ষায় আধারকে দূর করে নতুন ভারতবর্ষের মনুষ্যত্বের অর্ঘ্য প্রদান করতে। ঘটনার প্রবাহকালে যখন বাংলা সমাজ ব্যবস্থা (বিশেষ করে হিন্দু সমাজ) কতিপয় ব্রাহ্মণ আর উচ্চবংশীয় জমিদার দ্বারা অত্যাচার আর ব্যাভিচারের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছিলো । যখন মেয়েদের বাল্যকালে বিবাহ আর বাল্যকালেই বিধবা হয়ে সমাজ তাকে বারবণিতার অন্ধকারে কূপে বিসর্জন দিত। যখন রাঢ়, ভাড় আর সুরা ছিলো উচ্চ সমাজের সভ্যদের অবলম্বন। তখন এক ব্রাহ্মণই সমাজে বিধবা বিবাহ প্রচলনের মাধ্যমে এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নবজাগরণের সঞ্চার ঘটান। আর তিনি কেউ নন, আমাদের শৈশবের বর্ণ পরিচয়ের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছাড়াও, যারা এসময়ে নবজাগরণের স্রোতে পাল ছুটিয়েছেন। তাদের মাঝে ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং কবি গুরুর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর আর বাংলা সাহিত্যের প্রাণ প্রতিষ্ঠাতা রূপে মাইকেল মধুসূদন দত্তের অভিপ্রায় উল্লেখ্য। লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এখানে গঙ্গানারায়ণ নামের একজন কাল্পনিক এবং নবীকুমার নামে একজন প্রতীকি (কালীপ্রসন্ন সিংহ চরিত্রে অনুপ্রাণিত) চরিত্রের মাধ্যমে উপন্যাসের ঘটনার বিস্তার করেছেন। গঙ্গানারায়ণ একজন জমিদারের পালিত সন্তান, যে কিনা নিজের স্বীয় ব্যক্তিত্ব দ্বারা উদ্ভাসিত। ভালবাসার জন্য শুধু নয়, মানবতার জন্য হয়েছেন বিদ্রোহী, তুলে নিয়েছেন হাতে অস্ত্র। নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে জ্বালিয়েছেন লেলিহান শিখা। লোভ নামের রিপুকে বশ করে ছেড়েছেন সব বিলাসিতা। আবার যখন প্রত্যাবর্তন করেছেন বিধবা বিয়ে করে হয়েছেন সমাজের দৃষ্টান্ত। আর নবীনকুমার এক কথায় এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। যিনি বাল্যকাল থেকেই এক বিস্ময়। বাল্যকাল থেকেই একরোখা, জেদী এবং একই সাথে দান এবং মেধার সমন্বয়। বাল্যকাল থেকে থিয়েটার, অভিনয়, লেখালিখি আর মানবিকতার মতও কিছু অসামান্য গুণের প্রকাশ ঘটে তার মাঝে। অর্থ আর বৈভবের কাছে বশ না মানা এই ব্যক্তিত্ব শুরু থেকেই অনেক টা খেয়ালী। বাংলার সাহিত্য এবং সম্পাদকীয় জগতের ভার একসময়ে এই বিস্ময় বালক নিজের একার কাধে তুলে নেন। অনুবাদ করেন পৃথিবীর সব থেকে বড় মহাকাব্য “মহাভারত” । ঈশ্বরচন্দ্রের হাতে হাত রেখে বিধবা বিয়ের জন্য সামাজিক আন্দোলনেও পিছপা হন না। তবে আর একটি চরিত্রের কথা না বললেও লেখাটি পূর্নতা পায় না। চন্দ্রনাথ, এক বারবণিতার সন্তান। সমাজ তার রক্তের জন্য বার বার আস্তাকুড়ে ছুড়ে দিতে চেয়েছে । চন্দ্রনাথ পরাজিত হয়নি, ঘুরে দাঁড়িয়েছে বার বার। পরিনত বয়সে সমাজের কুসংস্কার আর ব্যভিচার নামক ব্যধির বিরুদ্ধে সংগ্রাম ঝাপিয়ে পড়েছে। লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার অসাধারণ লেখনী শক্তি দিয়ে পাঠকের সম্মুখে অদৃশ্য অতীতকালকে কে দৃশ্যমান করে তুলেছেন। কলমের কালি আমাদের সামনে প্রতিটি চরিত্রকে করে তুলেছে জীবন্ত। পাঠকগণ যারা এখনো এই অনবদ্য ঐতিহাসিক উপন্যাসটি পড়েন নি। তারা দেরি করবেন না। আশা রাখছি, সন্দেহাতীতভাবে এটি আপনাদের প্রিয় উপন্যাসের তালিকায় স্থান করে নিবে।

      By Shayla Jesmin

      25 Apr 2012 10:35 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আসলেই হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই সময় পড়তে যেয়ে সেই সময়ে. চমত্কারভাবে তুলে ধরা হয়েছে সেই জমিদারী আমলের বাঙালি সমাজের চাল চলন, রক্ষণশীলতা, প্রেম, কূটনীতি, লোভ, অনিশ্চয়তা, বাল্য বিবাহ, পুনর্বিবাহ, জমিদারী বদ অভ্ভাস, মদ, তোষামোদ, টিকে থাকার যুদ্ধ. পুরো গল্পটা আবর্তিত হয়েছে জমিদারের বহু আকাঙ্খিত সন্তান নবিনকুমারের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত. লেখকের অক্লান্ত পরিশ্রম উপন্যাসের প্রতিটি লাইনে পাওয়া যায়. পাওয়া যায় বিভিন্ন বিখ্যাত লোকের উপস্থিতিও. যদিও গল্পটি শুরু হয়েছে নবিনকুমারকে ঘিরে কিন্তু প্রতিটি চরিত্র এখানে নিজগুনে শক্তিশালী. এমনকি নবিনকুমারের চাকরটির জীবন পর্যন্ত সূক্ষ বর্ণনা সমৃদ্ধ. এটি একটি নিঃসন্দেহে কালজয়ী উপন্যাস

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!