User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
One of the best books I've ever read.
Was this review helpful to you?
or
Beautiful
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমার ভালো লাগেনি। হয়তো সেটা অনুবাদের কারণেও হতে পারে। আবার হতে পারে গল্পটাই ভালো না। তবে বইটির এত এত অনুবাদ এবং বিক্রি থেকে মনে হয় রশ ভাষায় লেখা মূল বইয়ের উপস্থাপন হয়তো ভালো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুবই ভালো, তবে পড়ার সময় ধৈর্য্য ধরে রাখা একটু কষ্টকর। অনুবাদের মান খুবই ভালো মানের।
Was this review helpful to you?
or
A great book
Was this review helpful to you?
or
খুব ভাল বই
Was this review helpful to you?
or
Wow
Was this review helpful to you?
or
khoob valo
Was this review helpful to you?
or
goof enough
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
very good book
Was this review helpful to you?
or
very nice and interesting
Was this review helpful to you?
or
চমৎকারএকটি বই।
Was this review helpful to you?
or
দারুণ লাগছে বইটা।অনেক সুন্দর গল্প।বইটি যে এত ভালো লাগবে ভাবতে পারিনি??
Was this review helpful to you?
or
ম্যাক্সিম গোর্কির কালজয়ী উপন্যাস "মা"। রুশ বিপ্লবকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এই উপন্যাসের পটভুমি। লেখক অসাধারণ দক্ষতায় সময়টাকে তুলে ধরেছেন। পড়তে পড়তে একটু একঘেয়ে লাগতে পারে। কিন্তু গল্পের বুনন এতটাই ভালো যে পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে নিশ্চিত। আর অনুবাদককে ধন্যবাদ এত অসাধারণ অনুবাদ করার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
পড়ার সময় বেশ আলসেমি করেছি। পড়বো পড়বো বলেও পড়তে চাইনি। শুনেছিলাম খুব বোরিং নাকি। কিন্তু পড়া ধরতেই মনে হলো আমি যেন বইয়ের মাঝে তলিয়ে যাচ্ছি। তবে মাঝেমাঝে বোরিং লেগেছে এটা অস্বীকার করবো না তবে সেই লাগাটা ভালো লাগাকে ছাড়াতে পারেনি। বইটাতে প্রেম ভালোবাসা, মায়ের জন্য ভালোবাসা, বন্ধুদের জন্য ভালোবাসা, গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য লড়াই সবটা স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। ভালো লাগার চরিত্র হিসেবে আমার কাছে আন্দ্রেইকে বেশ লেগেছে। মাকে নেনকো বলে তার ডাকার ধরণ সবটাই অত্যন্ত ভালো লাগার ছিলো। তাদের গ্রুপের প্রত্যেকের চরিত্র বেশ ভালো লাগার মতো। আর মায়ের চরিত্র অসামান্য।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ রকমারি.কম কে।
Was this review helpful to you?
or
কলকারখানা শ্রমিক দের জীবন কাহিনী লেখকের লেখার বর্ণনায় এমন করে চিত্রিত করেছেন যেন নিজের বর্ণনা অবলিলায় বলছেন । কলকারখানার ধোঁয়ায় কালো রুগ্ন চেহারার মানুষগুলো সারাদিনের কর্মব্যস্ততা হাড় ভাঙ্গা খাটুনি থেকে সুখ নিচ্ছে মদের বোতল আর নিয়তির দোহাই থেকে বউ পেটানো তাদের জীবনযাপন ,সামাজিকতা বিচ্ছিন্নতা ,কত অন্ধকার পৃথিবীর মাঝে এক শ্রেনির মানুষের দিনলিপি । এমন করে কাটছে বছরের পর বছর বাবার দেখে ছেলে শিখছে । কেউ অনুধাবন করছে না কেন তাদের জীবন এমন? কেটে যাচ্ছে এমনি করে যুগের পর যুগ...... এর মাঝে এক প্রশ্নাতুর চোখ খুজে ফিরছে কারণ জানার আগ্রহ নাম পাভেল ।জিজ্ঞাসা থেকে পড়াশুনা পরে কিছু যুবক মিলে খুজছে একাত্ম হয়ে মুক্তির জন্য লড়াই।নাতাশা নামের মেয়েটিও যুক্ত করেছে নিজেকে। সমস্যা শুধু এক্তা দেশের নয়, একটা পুরো বিশ্ব শ্রমিকের জীবনের দৃশ্য। কোন দেশে শ্রমিকের বিদ্রোহে নিজেদেরকে তাদের ভাই ভাই বলে সম্বোধন। সব বাধা উপেক্ষা করে কাগজে করে শ্রমিকদের আহ্বান করছে ।
Was this review helpful to you?
or
তখন রুশ অর্থনীতি পুঁজিবাদের বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল। মা উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯০৭ সালে। কারখানার নিম্ন মজুরির শ্রমিকেরা বড় দুঃসহ আর অভাবপীড়িত জীবনযাপন করত।তাদের রক্ত পানি করা পরিশ্রমের বিনিময়ে তারা পেত শুধুই শোষণ আর নির্যাতন। এমনই এক সন্তানের মাকে নিয়ে উপন্যাসের আবর্তন।সন্তান শোষণ মুক্তির আশায় আন্দোলনে গিয়ে নিপীড়ন, জেল আর নির্বাসনের স্বীকার। আর মা তাঁর নাড়িছেঁড়া ধনকে ফিরে পাবার আশায় নামে কঠিন বাস্তবতার যুদ্ধে। পারবে কি মা তাঁর যুদ্ধে জয়লাভ করতে? নাকি তাঁর হবে নির্মম পরিণতি? জানতে চোখ রাখুন সুখপাঠ্য এই বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
#মা লেখক:ম্যাক্সিম গোর্কি(রুশ লেখক) লেখক নিজে রুশ বিপ্লবের অন্যতম সমর্থক ছিলেন,তাঁর এই বইয়ে সমাজতন্ত্রের সুন্দর প্রাথমিক দিক গুলো উঠে এসেছে।বইটা বিশ্বের সেরা বইয়ের তালিকায় অন্যতম।এক মাতালের উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলে কিভাবে একটি আদর্শের ছোঁয়ায় পাল্টে যায় এক বিপ্লবী হিসেবে।তার মা ছেলের বিপ্লবের অন্যতম সহোযোগী ছিলেন।শেষে ছেলেকে সাইবেরিয়ায় নির্বাসন দেয়া হয়,ছেলে মাকে কথা দিয়ে যায় আবার সে ফিরে আসবে।তৎকালীন রুশ জারদের দূর্নীতি,অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠা জনতাকে জাগিয়ে তোলা মা ও ছেলের গল্প এটি।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটা বই। শ্রমিক শ্রেণির জীবন, তাদের কষ্ট, আনন্দ, বিপ্লব, একঘেয়েমি জীবন থেকে মাথাতুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা সবকিছুই সুন্দর করে বইয়ের অনুবাদক তুলে ধরেছেন। বইয়ের পৃষ্ঠা এবং বাইন্ডিং মান ভাল ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
এখন পর্যন্ত আমার দেখা সবচেয়ে বাজে অনুবাদ। মনে হচ্ছে অনুবাদক ট্রাসলেটর ইউজ করে সরাসরি অনুবাদ করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
সবচেয়ে বেশি ভাষায় অনূদিত বই। একটা রাস্ট্র পালটে দিতে একটি বই যথেষ্ট
Was this review helpful to you?
or
"মা" হলো মার্কসবাদী ঔপন্যাসিক ম্যাক্সিম গোর্কি রচিত কালজয়ী উপন্যাস। "মা" উপন্যাসটি বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত । এই উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্র হল প্যাভেল ও তার মা। উপন্যাসটি ১৯০৫ সালের বিপ্লবী ১ মে’র মিছিলের ঘটনাবলিকে উপজীব্য করে লেখা। উপন্যাসটিতে তৎকালীন বাস্তব অবস্থার জীবন্ত রূপ তুলে ধরা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটির মূল চরিত্রে আছেন একজন মা, যিনি জন্ম দিয়েছিলেন এক বিপ্লবী সন্তানের। তাঁর সেই সন্তান নিজেকে গড়েছিল এমনভাবে যেন খেটে খাওয়া মানুষগুলাের জন্য কিছু করতে পারে। আর তাই শােষিত সমাজের মানুষগুলাের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে লড়াই করে গিয়েছিলাে সে শেষপর্যন্ত। মা প্রথমে ভয় পেয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে নিজেই যােগ দিলেন সেই দাবি আদায়ের বিপ্লবী আন্দোলনে। উৎসাহ যােগালেন অন্যদের মাঝে। এই আন্দোলন তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিলাে অনেক কিছু। কিন্তু তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেছিলেন শুধু একজনের নয়, আরও অনেক সন্তানের মা হিসেবে।। কিছুটা ঘাঁটাঘাঁটি করে জানলাম যে, ম্যাক্সিম গাের্কি তাঁর ছেলেবেলায় এমনই একজন মায়ের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন এবং সেই মায়ের আদলেই তৈরি হয় এই নিলাভনা চরিত্রটি। আসলে ওয়ান্ডারওমেনরা শুধু গল্প-সিনেমায় না, বাস্তবেও থাকেন। অনুবাদ পড়ে কখনােই পুরােপুরি সন্তুষ্ট হতে পারি না। মনে হয়, লেখকের কিছু কথা হয়তাে বাদ পড়ে গিয়েছে অনুবাদ করবার সময়! রাশিয়ান ভাষা জানা থাকলে ভাল হত!
Was this review helpful to you?
or
অনেকের মতে মা উপন্যাসের মাধ্যমেই গত শতাব্দীর শুরুতে শিল্পসাহিত্যে সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদের সূত্রপাত ঘটে। মা গাের্কির সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য উপন্যাস। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ঘরানার উপন্যাস হিসেবে তা পাঠকদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়। শুধু রাশিয়ায় নয়, সমগ্র বিশ্বের উপন্যাস পাঠকের কাছে অনুবাদের মাধ্যমে উপন্যাসটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। অনেকে মনে করেন, রুশ সাহিত্যের সমৃদ্ধ পটভূমি, সমকালীন বিশ্বপরিস্থিতি, রুশ সমাজের নানা টানাপড়েন এবং সাহিত্যের চিরায়ত হয়ে উঠবার কিছু উপাদান মা উপন্যাসে আছে বলেই তা বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্পর্শী পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
পাভেল। ছোট্ট মানুষ। নিজেকে ভালবাসে। স্বপ্ন দেখে বড় হবার, প্রতিষ্ঠিত হবার, ভাল কিছু করার। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র পাভেলের মা পেলেগিয়া। যিনি সারাদিন কারখানায় অমানষিক পরিশ্রম করে বাসায় ফেরেন। এবং প্রতিরাতে তার স্বামীর হাতে নির্যাতিত হন। এভাবেই কুড়ি বছর কেটে যায়। একদিন পাভেলের বাবা মিখাইল ভ্লাসভেরের মৃত্যু হয়।
Was this review helpful to you?
or
বই যে কতটা জীবন্ত হতে পারে তার প্রমাণ ম্যাক্সিম গোর্কির 'মা'। ১৯০৭ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর ও কদর একটুও কমেনি। অনুবাদ ও অসাধারণ। ভালো থাকুক জগতের সকল মায়েরা।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। এর বেশি বই সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই, যারা পড়েন নাই তারা পড়ে ফেলুন। সবসময়ই ঢাকার ভিতর থেকে বই অর্ডার করেছি যা এক দিনের মাঝেই হাতে পেয়ে গেছি। এই প্রথম ঢাকার বাহির থেকে অর্ডার করি তাই বই হাতে পেতে একটু দেরি হলেও হাতে পাওয়ার পর সব কষ্ট দূর হয়ে গেছে। বই এর বাইন্ডিং, পেইজ খুব ভালো। এক জন পাঠক হিসেবে বই হাতে নিয়ে শান্তি পাওয়াটা অনেক বড় কিছু যা বরাবরই রকমারি দিয়ে আসছে। ধন্যবাদ রকমারি টিম।।।
Was this review helpful to you?
or
ম্যাক্সিম গোর্কির লেখা উপন্যাস ' মা ' মূলত একটী বাস্তব কাহিনীকে ভিত্তি করে লেখা হয়েছে । গল্পটির শুরু হয়েছে কারখানার শ্রমিকদের দৈনন্দিন নিদারুন কষ্টের আর একঘেয়ে জীবনের বর্ণনা দিয়ে । যেখানে নেই কোনো আনন্দ , নেই কোনো উচ্ছাস । যেখানে প্রতিদিন কারখানার যন্ত্র তাদের ভিতরকার রক্ত চুষে নিচ্ছে , তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর গহ্বরের দিকে । তাদের কোনো ইচ্ছা ছিল না এই জীবনধারাকে পরিবর্তন করার । যদি নবাগত কেউ তাদের মধ্যে আবছায়া কৌতূহলের সৃষ্টি ও করে কিন্তু কিছুকাল পড়ে তাদের কৌতূহলের সমাপ্তি ঘটে । বুঝে ফেলে সকল দেশেই কুলি মজুরদের জীবন এমনিভাবে চলছে । তাদের জীবন চলে যন্ত্রকে নিয়ে , নিজেদের মধ্যে কথাবার্তাও হয় যন্ত্রকে নিয়ে । এভাবেই তারা যন্ত্রমানবে রূপান্তর হয় , যে মানবের ভিতরে কোনো আবেগ নেই , নেই কোনো উচ্ছ্বাস । তাদের মন ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে পড়ে দারিদ্রতার কারণে । এই ব্যাধিগ্রস্ত মনকে শান্ত করার জন্যই হয়তোবা তারা নিজেদের মধ্যে কলহ করে , মারামারি করে এমনকি হত্যাও করে । তেমনি এক অসুস্থ মনের মানুষ ছিল মিখাইল ভ্লাসভ । তার জীবনের এই অন্ধকার কাহিনী আমাদের পীড়িত করেছে । মিখাইল ভ্লাসভ একজন শ্রমজীবী মানুষ ছিলেন , যে কিনা তারই স্ত্রী পেলাগোয়া নিলভনাকে নিদারূন যন্ত্রণা দিত আর মারধোর করত । মিখাইল ভ্লাসভের মৃত্যুর পর তারই ছেলে পাভেল মিখাইলভিচ শ্রমজীবী মানুষদের জীবনে এক বড় পরির্বতনের জন্য নিজেকে সঁপে দেয় । পাভেল ভ্লাসভ অন্য সব শ্রমজীবী মানুষদের মত না । সে সারাদিন খেটে রাতে এসে ঘরের কোনায় বই নিয়ে বসে । মাইনের টাকা প্রায় সবই মায়ের হাতে তুলে দেয় । চিন্তিত মা সর্বদা নিজের ছেলের জন্য উদ্বেগ হয়ে থাকে । মা বুঝতে চাইলে ছেলে বলে সে শ্রমিকদের শেখাতে চায় , তাদের জীবনে এত কষ্ট কেন জানাতে চায় । মা ভয় পেয়ে যায় একা একা তার ছেলে কীভাবে পারবে এত বড় কাজ করতে । কিন্তু একা পাভেলই নয় এ কাজে নাতাশা , নিকলাই , রীবিন , সোফিয়া সিজভ এমনিই আরও অনেকে সহায়তা করে । ধীরে ধীরে মা বুঝে কত বড় কাজে হাত দিয়েছে তার ছেলে । একসময় নিজেও ছেলেকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসে । নিজের জীবনে যে এক আমূল পরির্বতন আসে মা সেটা বুঝতে পারে । বিয়ের পরের জীবন আর এখনকার জীবনে যে বিশাল পার্থক্য আছে মা সেটা বুঝে অবাক হয় । যে কিনা সারাদিন রান্নার কাজ করত আর স্বামীর হাতে মার খেত সে আজ ওই ঘরের গন্ডি পেরিয়ে অনেক বড় কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারছে । ধীরে ধীরে নিজের মনের আত্মবিশ্বাস বেড়ে ওঠে । পাভেলের সাথে সহায়তাকারী সঙ্গীদের সাথে কীভাবে জানি এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে । পাভেলকে যখন আন্দোলনের মধ্যে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তখন মা চিৎকার করে সবাইকে বলে তার ছেলে আজ শ্রমজীবী মানুষদের জীবন দিতে পথে নেমেছে । সত্যের জীবন দিতে , ন্যায়ের জীবন দিতে । তাদেরকে বলে তার ছেলে আজ সবার জন্য , সারা দুনিয়ার শ্রমিকদের জন্য লড়ছে । ছেলে এই সত্যের পথে নেমেছে বলে মা আজ গর্বিত । কিন্তু এরই মধ্যে পাভেলকে সাইবেরিয়ায় যাবজ্জীবন নির্বাসন দেয় । তবুও আন্দোলন থেমে থাকে নি । পাভেলের মা নিজেই কারখানায় বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার কাজ করে । পাভেলের সঙ্গীদের সাথে মা শ্রমজীবী মানুষদের কাছে জীবনের সত্যটা পৌঁছে দেয় । আদালতে পাভেল যে বক্তৃতা দেয় তার বয়ান-ছাপা বেআইনি প্রচারপত্রের স্যুটকেস সহ নিলভনা ধরা পড়ে সশস্ত্র পুলিশের হাতে । শত অত্যাচারেও মা ওদের বলছে : 'মূর্খের দল ! দিন দিন নিজেদের বোঝা নিজেরাই বাড়িয়ে চলেছিস । একদিন সে ভারে তোরা নিজেরাই নুয়ে পড়বি । কেউ একজন মায়ের গলা টিপে ধরে । অস্ফুট স্বরে মা বলে উঠে - 'হায় রে , হতভাগার দল ...! ম্যাক্সিম গোর্কির লেখা মা উপন্যাসটি মূলত বাস্তব চরিত্র অবলম্বনে লেখা । পিওতর জালোমভ আর তাঁর মা আন্না কিরিলোভনা - ই ছিলেন উপন্যাসের পাভেল ভ্লাসভ আর তাঁর মা পেলাগোয়া নিলভনা । উপন্যাসের নিলভনা মতই আন্না কিরিলোভনার জীবনে ও সুখ ছিল না । স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারটিকে সেই টিকে রাখে । পিওরতরের বিপ্লবী চক্রে যোগ দেয়ার পর পরই তার গোটা পরিবারই এ আন্দোলনে যোগ দেয় । পিওতরের সাইবেরিয়া নির্বাসনেও তাকে সত্য প্রচারে বাধা দেয় নি । সে সময় গোর্কি-ই জালোমভের পরিবারে নিয়মিত টাকা পাঠাত । এমনকি জালোমভের নির্বাসন থেকে পালাতেও গোর্কি-ই সাহায্য করে । জালোমভ অনেক কষ্টের মধ্যে থেকেও এ আন্দোলন থামায় নি । সে তার এক চিঠিতে লিখেছিলেন - 'আমি চাই গোলাম যেন না থাকে , গোলামদের আমি ভালোবাসি না । ভালোবাসি যোদ্ধাদের । যাদের মধ্যে দেখি স্বাধীন মানুষের পৌরুষ । ভালোবাসি সেই সব মানুষকে । 'এমনই ভাবে পহেলা মে-কে সার্থক বানাতে এগিয়ে এসেছিল বিপ্লবের এক সাধারন সৈনিক পিওতর জালোমভ । তিনি যেমন মুগ্ধ করেছেন গোর্কিকে তেমনিই আমাদের মুগ্ধ করেছেন তার নৈতিক শুচিতায়।