Our User Product Reviews

আপনি যদি হাজার বছর আগের মিশরীয় সমাজে হারিয়ে যেতে চান তবে এই বইটা অবশ্যপাঠ্য।অনুবাদ চমৎকার ও গতিশীল, কখনো মনেই হবে না অনুবাদ পড়ছেন।

Nothing to say about the book as it is a best seller. But paper quality is not good against the price. I bought few books from this publisher earlier. Disappointed now. Hope, Rokomari will make a segment in specifications on Paper Quality!

ওহ টাইটা , তুমি অসাধারন। অনুবাদককে ধন্যবাদ আমাদের খুব সুন্দর করে টাইটার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য!!!

সব মিলিয়ে ভালোই লেগেছে । তবে অনুবাদ তেমন ভালো হয় নি,, অনুবাদ ভালো না হওয়াতে বাক্যগুলো তেমন গুছানো হয় নি

boiti pore khob valo lagtise sobai nite paren

বইটি পুরোপুরি না পড়লেও যতটুকু পড়েছি তা থেকে মোটামুটি আন্দাজ করা যায় বইটি অসাধারণ। সাবলীল এবং প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে পাঠকের নিকট একদমই দুর্বুদ্ধ নয়। শিক্ষা সংস্কৃতি অ্যাডভেঞ্চার সবকিছু মিলিয়ে বইটি হতে দারুন অভিজ্ঞতা অর্জন হল।

রিভার গড বইটা উইলবার স্মিথ যথেষ্ট ভালো লিখছে।এই বইটা পড়লে বাস্তব জীবনে বেশ কাজে দিবে।জীবনে পথ চলার ক্ষেত্রে এই বইটা থেকে বেশ ট্রিকস পাওয়া যাবে পাশাপাশি মিশরের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে ও আমরা ধারণা লাভ করতে পারবো।

Well packing and very fast delivery as always. Thanks Rokomari ♥️

Thanks For This Amazing Book

It's a great book. Recommended.

Good book to read

Joss book with not so joss onubad

nice

ভাষা যথেষ্ট বোধগম্য নয়।

র আর ড় এর মুদ্রন ত্রুটিগুলো সমাধান করবেন আশাকরি।

সম্প্রতি "রিভার গড" পড়ে শেষ করলাম। মিশর সিরিজ এবং সম্পর্কিত কাহিনী হওয়ায় "দ্যা সেভেনথ স্ক্রৌল" বইটাও যে শীঘ্রই পড়ব- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন দুর্দান্ত একটা গল্পের বর্ননাকারীর নাম টাইটা। পুরো গল্পটা টাইটার নিজস্ব বর্ননা এবং চিন্তাধারার লিপিগত রূপ। টাইটা মূলত একজন ক্রীতদাস। একই সাথে সে একজন লিপিকার, স্থপতি, চিকিৎসক এবং দার্শনিক। এই ক্ষেত্রে প্রাচীন মিশরের বর্বর, নিষ্ঠুর, অজ্ঞ এবং কুসংস্কারপূর্ণ দিকগুলো ফুটিয়ে তুলতে একজন ক্রীতদাসের দৃষ্টিকোণ যথেষ্ট ভুমিকা রেখেছে। থিবেসের রাজ-উজির কন্যা লসট্রিস-এর চৌদ্দ বছর বয়স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পুরো জীবনের গল্পটি তুলে ধরেছেন তারই ক্রীতদাস টাইটা। বইটিতে আবেগ নাড়া দেয়ার মত রয়েছে টাইটার নপুংসক হওয়ার করুণ কাহিনী। রয়েছে লসট্রিস এবং ট্যানাসের অনবদ্ধ প্রেম। পুরো নীলনদের উত্তর - দক্ষিন ধরে থিবেস থেকে কেবুই পর্যন্ত যাত্রার বর্ননা। যুদ্ধ এবং যুদ্ধ প্রস্তুতির নিখুঁত বর্ননা। ট্যানাসের মৃত্যু এবং সবশেষে লসট্রিসের মৃত্যু। টাইটার মত একজন ক্রীতদাস ও নপুংসকের পক্ষ থেকে তার কর্ত্রী লসট্রিসের প্রতি তার ভালোবাসা রীতিমত বইয়ের শেষে আমাকে কাঁদিয়েছে। পরিশেষে বলব, প্রাচীন মিশরের মানুষদের বিশ্বাস, চিন্তাধারা, জীবনযাত্রা, সভ্যতা এবং ফারাও, মমি, সমাধি-সম্পদ ইত্যাদি সমস্ত বিষয়ের নিখুঁত বর্ননা এবং ধারনার জন্য এটি একটি অতুলনীয় বই ♥

অদ্ভুত একটা বাস্তব মিশরীয় কাহিনী হচ্ছে এই বইটি। বইটির নামের যথার্থতা বোঝা যাবে বইটি পড়া শেষ হলেই। লসট্রিস, ট্যানাস এবং একজন অপুরুষ টাইটা এর অনবদ্য প্রেম কাহিনী এবং টাইটা এর ভালবাসার প্রতিরূপ যেন এই বইটি। চার হাজার বছর আগের মিশরীয় এই গল্পটি যেন কালের গর্ভ থেকে উঠে আসা এক জলজ্যান্ত কাহিনী।নাটকীয়তা, রহস্য, ক্রোধ, আবেগ, যুদ্ধ, ষড়যন্ত্র যেন পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধের মতো নিয়ে যাবে সেই চার হাজার বছর আগের ফারাওদের জগতে।

আফ্রিকান লেখক উইলবার স্মিথ-এর অত্যাধিক আলোচিত উপন্যাস "রিভার গড"। এর কাহিনীর সত্যতা নিয়ে আছে বিতর্ক। একটি প্রাচীন, রাজকীয় এবং রহস্যপূর্ণ ভালোবাসার গল্প মিশরের মাটিতে। বইটি মুলত ৪০০০ বছর আগের মিশরীয় সভ্যতা নিয়ে লেখা। সম্পূর্ণ গল্প বর্ণনা করা হয়েছে ক্রীতদাস টাইটার ভাষায়। সে ছিল বহু প্রতিভার অধিকারী। মিশরের রাজা ফারাও এর রাজত্ব এবং এর পরিণতির গল্প রয়েছে এই বইয়ে। বইটির প্রথম ১০০ পৃষ্ঠা মোটামুটি, মূল গল্প শুরু হয় এর পর থেকে। যদি কারো যেকোনো বিষয়ের ইতিহাস ভালো লাগে বা অতিত সম্পর্কে জানতে ভালো তার এই বইটি পড়তে মজা লাগবে। বইয়ে টাইটার একটা কথা ভালো লেগেছিল, "রাণীর প্রতি প্রণয় দেশদ্রোহিতার নামান্তর। ক্রীতদাসের সাথে বন্ধুত্ব পরিচয় দেয় হীনমন্যতার"। বইটা না পড়ে লেখাটা পড়লে আপনার যা মনে হবে, বইটা পড়ার পর লেখাটার অর্থ অন্যরকম মনে হবে।

আফ্রিকান লেখক উইলবার স্মিথ-এর অত্যাধিক আলোচিত উপন্যাস "রিভার গড"। এর কাহিনীর সত্যতা নিয়ে আছে বিতর্ক। একটি প্রাচীন, রাজকীয় এবং রহস্যপূর্ণ ভালোবাসার গল্প মিশরের মাটিতে। বইটি মুলত ৪০০০ বছর আগের মিশরীয় সভ্যতা নিয়ে লেখা। সম্পূর্ণ গল্প বর্ণনা করা হয়েছে ক্রীতদাস টাইটার ভাষায়। সে ছিল বহু প্রতিভার অধিকারী। মিশরের রাজা ফারাও এর রাজত্ব এবং এর পরিণতির গল্প রয়েছে এই বইয়ে। বইটির প্রথম ১০০ পৃষ্ঠা মোটামুটি, মূল গল্প শুরু হয় এর পর থেকে। যদি কারো যেকোনো বিষয়ের ইতিহাস ভালো লাগে বা অতিত সম্পর্কে জানতে ভালো তার এই বইটি পড়তে মজা লাগবে। বইয়ে টাইটার একটা কথা ভালো লেগেছিল, "রাণীর প্রতি প্রণয় দেশদ্রোহিতার নামান্তর। ক্রীতদাসের সাথে বন্ধুত্ব পরিচয় দেয় হীনমন্যতার"। বইটা না পড়ে লেখাটা পড়লে আপনার যা মনে হবে, বইটা পড়ার পর লেখাটার অর্থ অন্যরকম মনে হবে।

এই উপন্যাসের বর্ণনা এত বেশি প্রাঞ্জল যে আপনাকে ধরে রাখবেই। কাহিনীর টুইস্ট গুলো কিছু কিছু একদমই কল্পনার বাইরের ছিলো। তবে কিছু কিছু টুইস্ট ধরে ফেলা বেশ সহজ ছিলো। তবে সাহিত্যের রস পুরোটা এর মধ্যে ছিলো। প্রত্যেক উপন্যাসেই কিছু ভুল রয়ে যায়।

বইটি না পড়লে কেও বুঝতেই পারবেন না যে এই কেটাগরির বই এত সুন্দর হয়। ধন্যবাদ লেখক কে আমাদের এত সুন্দর একটি বই উপহার দেবার জন্য। সত্যিই বইটি পড়ে আমি অনেক আনন্দ পেয়েছি। থ্রিলার আর মিস্ট্রি তে ভরা বইটি সবার একবার হলেও পড়া উচিত।

রিভার গড....এতে নপুংসক দাস টাইটার বর্ণনায় প্রাচীন মিসরীয় জীবন, হিক্সসের আক্রমণে মিশরীয় ফারাও সম্রাজ্যের পতন অতঃপর পলায়ন ও ফিরে এসে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। “Never trust anyone who has not brought a book with them.” – Lemony Snicket

রিভার গড উপন্যাসে দাস টাইটার দৃষ্টিতে দেখা মিসরীয় ফারাওয়ের রাজত্ব ও তার পরিণতির গল্প, যে নিজে একজন নপুংসক ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। টাইটা ছিল প্রভু ইনটেফে দাস যে তার মেয়ে লস্ট্রিসের দেখাশোনা করত। আদতে প্রভু ইনটেফের প্রাসাদের সকল কর্মকাণ্ডই টাইটা দেখাশোনা করত। সেই সময় মিশরের ফারাওয়ের কোন ছেলে উত্তরাধিকারী ছিল না । ওরিসিস উৎসবের নাটকে মহান ফারাও লস্ট্রিসকে দেখে মোহিত হন। লস্ট্রিস ঐ সময় বীর সৈনিক ট্যানাসের প্রেমে পড়ে। ঘটনা চক্রে ফারাওয়ের সাথে লস্ট্রিসের বিয়ে হয়ে যায় এবং লর্ড ইনটেফ টাইটাকে যৌতুক হিসেবে দিতে বাধ্য হন। একপর্যায়ে সৈনিক ট্যানাস মহান ফারাওকে মিসরের প্রধান সমস্যা শ্রাইক্ দস্যুদের সম্পর্কে অবহিত করেন ও প্রতিকার প্রার্থনা করেন যা ফারাও কে ক্ষুব্ধ করে । তিনি ট্যানাসকে দুই বছরের মধ্যে শ্রাইক্ দস্যুদের নির্মূল করার আদেশ দেন অন্যথায় তার মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। ট্যানাস, টাইটার সাহায্যে শ্রাইক্ দস্যুদের নির্মূল করতে সক্ষম হন এবং তাদের সর্দার যে লর্ড ইনটেফ তা প্রমাণ করেন। দুর্ভাগ্যক্রমে লর্ড ইনটেফ পালাতে সক্ষম হন। এদিকে ফারাও তার পরিষদ নিয়ে শিকারে গেলে মরু ঝড়ের কবলে পরেন। সেখানে এক গুহায় আটকে পরে ট্যানাস ও লস্ট্রিস মিলিত হন। তাদের মিলনের ফসল ফারাও পুত্র ম্যামোস নামে ভুমিষ্ট হয়। যার আসল পিতৃ পরিচয় একমাত্র লস্ট্রিস, ট্যানাস ও টাইটাই জানেন। রাজ্যের জন্য নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দেয় বহিরাগত হিস্কক বাহিনী। তাদের সামরিক ঘোড়া, রথ, বাঁকানো ধনুক সবই যান্ত্রিক ভাবে এতই উত্কৃষ্ট যে পদাতিক মিসরীয় বাহিনিকে মুহূর্তে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলে । ফারাও নিহত হন। রানী লস্ট্রিস, ট্যানাস ও টাইটাই, শিশু ম্যামোস, সম্মানিত সভাসদ্দের ও বাকি সৈন্যদের নিয়ে কি নিয়ে নীল নদ দিয়ে মিসর ছেড়ে পালিয়ে যান। তাদের নির্বাসনে থাকার সময় রানী লস্ট্রিস আরো দুইটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেয়, কিন্তু টাইতা কৌশলে তাদের পিতৃ পরিচয় গোপন রাখেন। এই সময় টাইটা ঘোড়া ধরে এনে ঘোড়সওয়ার বাহিনী, রথের চাকার উন্নতি সাধন করে যা পরে হিস্ককদের সাথে যুদ্ধ জয়ে প্রধান ভুমিকা পালন করে। ফারাওয়ের সমাধির জন্য উপযুক্ত জায়গা খোজার সময় নৃশংস ইথিওপিয়ার সর্দার আরকুন টাইটাকে বন্দি করে। সেখানে বন্দিদশায় প্রতিদ্বন্দ্বী সর্দারদের মেয়ে মাসারার সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয় টাইটার। টাইটা পালিয়ে গিয়ে তার পিতা(মাসারার) কে খুজে বের করে আর তার মেয়েকে উদ্ধার করে দেবার চুক্তি করে। বিনিময়ে তারা প্রচুর ঘোড়া ও নীল তলোয়ার দাবি করে। মিসরিয়দের সাথে যুদ্ধে আরকুন বাহিনী পরাজিত হয়। যুদ্ধে বীর ট্যানাস মারা যায়। মাসারা ও মেমন প্রেমে পরে তাদের বিয়ে হয়। নতুন সম্রাট ফারাও মেমনের নেতৃত্বে তারা মরুভুমি পারি দিয়ে মিসরে ফিরে আসে। তাদের নবাবিষ্কৃত অস্ত্রসম্ভার, যুদ্ধ কৌশল, নতুন ধরনের রথ নিয়ে তারা হিক্সস বাহিনির মোকাবেলা করে এবং থিবেস থেকে বিতারিত করে হারানো সম্রাজ্যের আংশিক ফিরে পায়।

#REVIEW:- Book: River God_Writer: Willbour Smith_Translator: Makhdum Ahmed# A sensational fiction book of ancient Egypt story narrated of back 3,800 year with a magical way of thinking and illustrating the geographical sight. This book contains journey, geography, action, fight, conspiracy, romance; overall a perfect trilling book you can say. Willbour Smith covers the condition and situation of ancient Egypt with a story teller; Taita and various characters including Tenas and Lostris who carry on the events with great feelings. Thanks to Makhdum Ahmed to make that book ease to enjoy the shiver. I just enjoyed that book.

বইটি প্রথম পড়ার সময় তেমন একটা উৎসাহ পায় নি, তবে গল্প কিছুদূর এগুতেই মনোমুগ্ধকর ভাবে পড়ে গিয়েছি। টাইটার মাধ্যমে লেখক প্রতিটি লাইন এমন ভাবে স্থাপন করেছেন মনে হয়েছে, সকল ঘটনাই আমি চোখের সামনে দেখছি। সেইসাথে সারা গল্প জুড়েই টাইটা ছিল এক অনন্য বিস্ময়কর চরিত্র। ভাবুন তো একবার? একজন ক্রীতদাস যে কি না একাধারে লিপিকার, নাট্যকার, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, জ্যোতিষবিদ্যা, গণিতবিদ ছাড়াও অসংখ্য বিষয়ে পন্ডিত অতচ থাকতে হয় সবার আড়ালে। বইটি পড়তে পড়তেই এই অসামান্য ক্রীতদাসের প্রতি আমার মায়া জন্মে গিয়েছে, তার কষ্ট গুলো মনে হয়েছে আমাকেও ছোঁয়ে গেছে। সেই সাথে তার ভীতরে জমা থাকা অপ্রকাশিত আবেগ-অনূভুতি গুলো টাইটার সাথে সাথে পাঠক'কেও নাড়িয়ে দিবে।

রিভার গড, ইতিহাসের এই অধ্যায়টির মূল রচয়িতার নাম টাইটা। এক নপুংসক মিশরীয় দাস, যে কিনা আজ থেকে প্রায় ৩৮০০ বছর আগে তার উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে গােটা মিশরের ইতিহাস বদলে দিয়েছিলেন। দশটি অ্যালাবাস্টারের পাত্রে নিবদ্ধ তার লেখা ইতিহাসের স্কুলগুলি উদ্ধারের পর লেখক উইলবার স্মিথ নিজের ভাষায় এই ইতিহাসকে আমাদের সামনে জীবন্ত করে তুলেছেন। আর অনুবাদের কথা বলতে অনুবাদ কাছে যথেষ্ট ভাল লেগেছে। এটুকু বলতে পারি বইটি পড়বার সময় পাঠকদের অনুবাদ পড়তে কোথাও দক্ষ অনুবাদ উপস্থাপনের বাহুল্য থাকলেও বিরক্তি আসবে না।

Name : River God (Ancient Egypt-1) Author : Wilbur Smith Genres : Historical Historical Fiction, Fiction, North Africa Egypt, Adventure, Fantasy. লেখকের লিখার ধরন এবং অনুবাদকের অনুবাদ খুবই ভাল হয়েছে। বইটি পড়ার সময় মনে হয়েছে আমি টাইম ট্র্যাভেল করে অতীতে গিয়েছি আর এই ঘটনাগুলো আমি নিজ চোখে দেখছি।

☼ রিভিউ ☼ উপন্যাসের নামঃ রিভার গড লেখকঃ উইলবার স্মিথ অনুবাদকঃ মখদুম আহমেদ জেনারঃ ঐতিহাসিক প্রকাশকালঃ নভেম্বর, ২০০৭ প্রকাশকঃ রোদেলা প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪১৭ রিভার গড, ইতিহাসের এই অধ্যায়টির মূল রচয়িতার নাম টাইটা। এক নপুংসক মিশরীয় দাস, যে কিনা আজ থেকে প্রায় ৩৮০০ বছর আগে তার উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে গোটা মিশরের ইতিহাস বদলে দিয়েছিলেন। দশটি অ্যালাবাস্টারের পাত্রে নিবদ্ধ তার লেখা ইতিহাসের স্ক্রলগুলি উদ্ধারের পর লেখক উইলবার স্মিথ নিজের ভাষায় এই ইতিহাসকে আমাদের সামনে জীবন্ত করে তুলেছেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে টাইটাকে যৌন দাস হিসাবে তৎকালীন মিশরের গ্রান্ড উজির ইনটেফের সেবার নিয়োজিত করার হয়। ১৬ বছর বয়সে এক পরিচারিকার সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের অপরাধে ইনটেফ টাইটা ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়। কিন্তু সৃষ্টিশীল মানুষের শক্তি কখনো শারিরীক প্রতিবন্ধকতায় বাধ মানে না। টাইটার গনিত, চিকিৎসাবিদ্যা, স্থাপত্যবিদ্যা সর্বোপরি বিজ্ঞান এবং দর্শন শাস্ত্রের প্রতি মেধার কারণে ধীরে ধীরে সে ইনটেফের সব থেকে কাছের মানুষের মাঝে একজন হয়ে ওঠেন । কিন্তু নপুশংকতা মানুষের শরীরকে অক্ষম করে দিলেও তার হৃদয়কে অক্ষম করতে পারে না। টাইটাও ভালোবাসে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সে তার ভালোবাসার প্রতি অনুগত ছিলো । আর তার ভালোবাসার মানুষের নাম ছিলো লসট্রিস, ইনটেফের কন্যা। লসট্রিস জন্মের পর থেকে টাইটার হাত বেড়ে ওঠে। তার বয়সের সাথে সাথে তার ভেতরের অনুভূতিগুলোও অন্য এক শক্তিশালী পুরুষের ছোয়া পায়। সে ছিলো ট্যানাস। সেই সময়ের ফারাও মামোসের ব্যক্তিগত নীল কুমিরের বাহিনীর প্রধান । ইনটেফ ষড়যন্ত্র করে ট্যানাসের পিতাকে হত্যা করলেও ট্যানাসের বীরত্ব পুরো মিশরে তাকে আলাদা স্থান করে দিয়েছিলো। শুধু লসট্রিস ট্যানাসকে ভালোবাসেনি, ট্যানাসও উজাড় করে দিয়েছে নিজেকে লসট্রিসের জন্য। আর তাদের এই ভালোবাসার চির জীবনের সঙ্গী এবং সাক্ষী টাইটা। টাইটা তার জীবনের সবটুকু মেধা খরচ করেছিলো শুধু এই দুটি মানুষের সুখের জন্য তাদের ভালোবাসার জয়ের জন্য। যদিও শুরুতে টাইটার ভুলের জন্যই ফারাও মামোসের সাথে লসট্রিসের বিয়ে হয়। কিন্তু টাইটা বিয়ের পরেও লসট্রিসকে সব যন্ত্রনা এবং বিপদ থেকে আগলে রাখে। টাইটার চতুরতায় লসট্রিসের গর্ভে ফারাও মামোসের নয়, ট্যানাসের সন্তান ভূমিষ্ঠ লাভ করেছিলো। সেই সন্তান টামোস হয়েছিলো মিশরীয় ভূখন্ডের উত্তরাধিকারী। এদিকে ট্যানাস মিশরের চারপাশে ঘুণের মত মিশরকে শেষ করে দেওয়া শ্রাইক দস্যুদের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আর সে শ্রাইক বাহিনীর প্রধান আকহ শেথ ওরফে ইনটেফকে ফারাও মামোসের সামনে দোষী প্রমাণিত করে। কিন্তু ইনটেফ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার জন্য মিশরকে একশো বছরের বেশি সময় ধরে মূল্য দিতে হয়। ইনটেফ সভ্য মিশরের যুদ্ধবাজ হিকসদের নিয়ে আসে। যে হিকসদের আছে উদ্ভুত এক অস্ত্র যুদ্ধযান যা মুহুর্তে মধ্যে শেষ করে দেয় বীর ট্যানাসের ৩০০০০ সৈন্যের বিশাল বাহিনীকে। ফারাও মামোস যুদ্ধক্ষেত্রেই মারা যান। সেই অদ্ভুত যুদ্ধযান যানের সামনে ট্যানাস, লসট্রিস এবং টাইটাকে অনেক বছর নীলনদের দেবী হাপির আদেশে পালিয়ে থাকতে হয়। কি ছিলো সেই অদ্ভুত যুদ্ধযান? ট্যানাস কি আর কখনো মিশরে ফিরতে পেরেছিলো? হিকসরা কি পরাজিত হয়েছিলো? মিশর কি তাদের সত্যিকারে উত্তরাধিকারীকে ফারাওরূপে ফেরত পেয়েছিলো? জানতে হলে পড়তে হবে ইতিহাসের এই বিরচিত উপখ্যান, রিভার গড। ব্যক্তিগত মতামতঃ বর্তমান থেকে প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে মানুষের ভেতর জন্ম থেকে গড়ে ওঠা প্রেম, বিশ্বাস, ঘৃণা, লোভ, ষড়যন্ত্র, বর্বরতা এমন কি সৃষ্টিশীল চেতনা যে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি তার অনবদ্য উদাহরণ এই বইটি। বইটিতে দেবতাদের সম্পর্কে তেমন আধ্যত্নিক কিছু না থাকলেও একটা ব্যাপারে বইপোকারা ধাক্কা খাবেন সেটা হলো আমন রা ইন্দ্রজাল। যেটা টাইটাকে ভবিষ্যৎ দেখার জন্য অনুশীলন করতে হয়েছে বার বার এবং প্রতিবার এই ভবিষ্যৎবাণী যথার্থ প্রমাণিত হয়েছে। লেখক উইলবার স্মিথ কতগুলো স্ক্রলে আটকে একজন ইতিহাসের এক প্রভাবশালী এবং আবেগপ্রবণ মানুষকে মুক্তই শুধু করেন নি, অমরও করে দিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। বইটিকে একেকজনের একেকভাবে দেখতে পারেন, কারো কাছে এটা হবে লসট্রিসের আর ট্যানাসের ভালোবাসার গল্প, কারো কাছে মিশর আর হিকসদের যুদ্ধের গল্প আবার কারো কাছে হবে একটা প্রতিজ্ঞার গল্প, মহারানী লসট্রিসের করা মিশরে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা। আর অনুবাদের কথা বলতে অনুবাদ কাছে যথেষ্ট ভাল লেগেছে। এটুকু বলতে পারি বইটি পড়বার সময় বইপোকাদের অনুবাদ পড়তে কোথাও দক্ষ অনুবাদ উপস্থাপনের বাহুল্য না থাকলেও বিরক্তি আসবে না ।

এই বইয়ের কাহিনী সম্পর্কে আগে থেকে কিছুই অনুমান করা সম্ভব না। পরের অধ্যায়ে কি হতে পারে তা জানার জন্য আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। শ্বাসরুদ্ধ ভাবে অপেক্ষা করতে হবে শেষ পরিনতি জানার জিন্য। কাহিনী শুরু জলহস্তী শিকার আর মন্দিরে পুজার মধ্য দিয়ে। তার পর এই উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে গেছে প্রাচীন মিশর ফারাও এর রাজত্বকাল। পুরোহিতদের দৌরাত্ম্য, রাজ উজিরের ষড়যন্ত্র, মরুর ডাকাতদের আক্রমণে রাজ্যের টালমাটাল অবস্থা। টাইটা নামের ক্রীতদাসের জবানিতে লেখা হয়েছে কাহিনীটা। টাইটা যে কিনা একজন ক্রীতদাস। কিন্তু তার পরিচয় শুধু ক্রীতদাস হিসাবে সীমাবদ্ধ নয়। অত্যন্ত বুদ্ধিমান, বিজ্ঞানমনস্ক, স্থপতি, দার্শনিক টাইটা এই টাইটা ।তার আরও পরিচয় সে একাধারে চিকিৎসক, গবেষক, লেখক, লিপিকার। যে কিনা ল্যাট্রিস কে ছোট বেলা থেকে নিজের ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছে। শিকার, ধর্মীয় আচার আচরণ, তৎকালীন মিশরের সমাজ ব্যবস্থার বর্ননা , যুদ্ধ, ষড়যন্ত্র,ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, বিশ্বাসঘাতকতা আর অ্যাডভেঞ্চার এর মধ্য দিয়ে। সুবিশাল এই বইয়ে তিনি তুলে এনেছেন অসংখ্য চরিত্র। প্রত্যেকটি চরিত্র মনে দাগ কেটে যেতে বাধ্য। বীরযোদ্ধা ট্যানাস, ফারাও মামোস,সুন্দরি ল্যাট্রিস, রাজকুমার মেমন , রাজ উজীর প্রত্যেকটি চরিত্রের ভুমিকা ছিল গুরুত্ব পূর্ন। যথাসময়ে উপযুক্ত ভাবে এদেরকে কাহিনীতে আনা হয়েছে এবং প্রত্যেকের নিজ নিজ পরিণতি আছে। অনুবাদ নিয়ে কথা বলতে চাইনা।কারন আমি অনুবাদ বই খুব কমই পড়েছি তাই।তার পরেও বলবো অনুবাদ অনেক ভালো ছিল।পড়ে তাই মনে হয়েছে।

পৃথিবীর সেরা বই।

খুব সুন্দর বর্ণনাশৈলি। কাহিনী অসাধারণ। আর অনুবাদ তো বাদ ই দিলাম। বাংলা ভাষায় যদি সেরা অনুবাদ এর কেনো তালিকা করা হয় তাহলে এইটার অনুবাদ উপরের দিকে থাকার অনেক বড় কারন রয়েছে। গল্পে কি নেই!? যুদ্ধ, থ্রিলার,প্রেম, ইতিহাস, ঐতিহ্য --- এক কথায় সব পাবেন আপনি। আমি এই বইয়ের RECOMMENDATION এর জন্য কাওকে নির্দিষ্ট করে বলবো না, কারণ সব ধরনের পাঠকই ইনশা আল্লাহ এই বইটা পড়ে খুশি হবেন।

বইটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। কিছু কিছু বানান ভুল ব্যতিত সুন্দর অনুবাদ করেছেন অনুবাদক।

Just loved reading the book! A brilliant piece of writing on anciet Egypt and thats even in the form of a novel..felt like reading those of Henry Rider Haggard. Thanks to Mr. Makhdum Ahmed for bringing the book to us in Bengali!

অসাধারণ একটি বই । মিশরের ইতিহাস সম্পর্কে কারও আগ্রহ থাকলে তাদের অবশ্যই উইলবার স্মিথের রিভার গড বইটি পড়া উচিত ।

really good book.

আফ্রিকান লেখক উইলবার স্মিথ এর অত্যাধিক আলোচিত উপন্যাস,রিভার গড বা নদী-ঈশ্বর এর কাহিনীর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক আছে, আছে তুমুল জল্পনা-কল্পনা। বইয়ের সমাপ্তিতে লেখকের বক্তব্য এই বিতর্কের মূল কারণ, বইটির অসাধারণ জনপ্রিয়তার পর তিনি লিখেছেন এর সিকুয়েল- “দ্যা সেভেন্স স্ক্রল”। রিভার গড উপন্যাসে দাস টাইটার দৃষ্টিতে দেখা মিসরীয় ফারাওএর রাজত্ব ও তার পরিনতির গল্প, যে নিজে একজন নপুংসক ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। টাইটা ছিল প্রভু ইনটেফ এর দাস যে তার মেয়ে লস্ট্রিস এর দেখাশোনা করত। আদতে প্রভু ইনটেফের প্রাসাদের সকল কর্মকাণ্ডই টাইটা দেখাশোনা করত।সেই সময় মিশরের ফারাও এর কোন ছেলে উত্তরাধিকারি ছিল না । ওরিসিস উৎসবের নাটকে মহান ফারাও লস্ট্রিসকে দেখে মোহিত হন। লস্ট্রিস ঐ সময় বীর সৈনিক ট্যানাসের প্রেমে পড়ে। ঘটনা চক্রে ফারাওের সাথে লস্ট্রিসের বিয়ে হয়ে যায় এবং লর্ড ইনটেফ টাইটাকে যৌতুক হিসেবে দিতে বাধ্য হন। এভাবেই শুরু হয় গল্পের যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় নানা রহস্য আর রোমাঞ্চে । বইটির শেষে দুই পাতা উপসংহারে স্মিথ দাবী করেন যে তার কাহিনী ১৭৮০ খ্রিস্টপূর্বে লিখিত স্ক্রোলের কাহিনি অনুসারে লেখা হয়েছে যা প্রাচীন মিসরীয় সমাধি খননের সময় আবিষ্কৃত হয়। স্ক্রোল গুলি আবিস্কার করেন ইজিপ্টোলজিষ্ট ডঃ দুরাইদ আল সিমা, যিনি তা অনুবাদের পর স্মিথকে বই লেখার জন্য প্রদান করেন। এটি একটি ভ্রান্ত দাবী ছিল যা স্মিথ পরের বই দ্য সেভেন্থ স্ক্রোলে জানিয়ে দেন।বইএর প্রধান বিভ্রান্তি ছিল হিক্সসদের আগমন নিয়ে। যা বইয়ে দাবি করা সময়ের প্রায় ১০০ বছর পরের ঘটনা। অর্থাৎ ১৭৮০ খ্রিস্টপূর্বে মিসরের ত্রয়োদশ ডাইনেষ্টির সময়ে নয় প্রকৃত পক্ষে পঞ্চদশ ডাইনেষ্টির সময়ে মিশরে হিক্সসদের আগমন ঘটে। বইয়ের ঘটনা ও চরিত্রের সাথে যা সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়।বইয়ের আরেকটি বিভ্রান্তিকর তথ্য হচ্ছে আরকূনের নীল তরবারি। যা স্টিলের তৈরী বলে লেখক দাবী করেন। প্রকৃত পক্ষে স্টিল আবিষ্কৃত হয় ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে। আর যদি ধরেও নেই যে তরবারিটি লোহার তৈরী তাহলেও বিভ্রান্তি কারণ ১২০০ খ্রিস্টপূর্বের আগে লোহার ব্যবহার আবিষ্কৃত হয়নি যা কাহিনীর সময়কালের অন্তত ৪০০ বছর পরের ঘটনা।

প্রাচীন মিশর। ফারাও যুগ। লোভ আর বিচ্ছিন্ন পাপাচারে টালমাটাল হয়ে গেছে সোনালী এই সাম্রাজ্য। ষড়যন্ত্র, হত্যা আর নিষ্ঠুরতা শুষে নিচ্ছে এর জীবনসুধা। দুর্বল ফারাও সম্রাট মামোস কিছুই করতে পারছেন না। গর্বোদ্ধত সিংহপুরুষ, সেনাপতি ট্যানাসের উপর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন দেবতারা,মিসরের দুই রাজ্য একীভূত করার যুদ্ধে সেই দিবে নেতৃত্ব। কিন্তু তার ভালোবাসা উজির কন্যা অপরূপা লসট্রিসকে ঘিরে যাকে আবার ভালোবাসে আর একজন অসামান্য প্রতিভাধর অপুরুষ লিপিকার টাইটা। এক কথায় এটাই উপন্যাসের মূল কাহিনী, কিন্তু আসলেই কি ট্যানাস পেরেছিল দুই মিশরকে এক করতে?? কিংবা লসট্রিস কি পেয়েছিল তাকে?? আর টাইটা কি বেঈমানি করেছিল বন্ধুর মতো ভালোবাসা ট্যানাসকে?? যা সে বর্ণনা করেছিল এভাবে, “ রানির প্রতি প্রণয় দেশদ্রোহিতারই নামান্তর। ক্রীতদাসের সঙ্গে বন্ধুত্ব পরিচয় দেয় হীনমন্যতার। ” নাটকীয়তা আর রহস্যে ঠাসা পুরো উপনাসটি। তবে স্থানে স্থানে লিপিকার টাইটার অনর্থক গর্ব আর অতিশয়োক্তি পাঠককে বিরক্ত করলেও তার জ্ঞানের পরিব্যাপ্তি অবাকও করবে। যেমন সে বের করেছিল, “রথের একবার চাকা ঘুরলে ঠিক তার পরিধির সমান দূরত্ব অতিক্রম করে” কিংবা বলেছিল, “পুরোহিত আর আইনজ্ঞদের জন্য সবচেয়ে বিশ্রী জাহাজ বরাদ্দ করে যার-পর-নাই আনন্দ পেলাম,কেননা এরা হল রাজ্যের রক্তচোষা জোঁকের মতো। ” পুরো উপন্যাস জুড়ে ফুটে আছে মিশরের সেই সময়কার অব্যবস্থাপনা আর ব্যাভিচারের কথা। সেই অবস্থায় মিশরে আক্রমণ চালায় হিকসস বাহিনী, আর তা থেকে মুক্ত হতে মিশরকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১০০ বছর!! আফ্রিকান লেখক উইলবার স্মিথ এর অত্যাধিক আলোচিত উপন্যাস,রিভার গড বা নদী-ঈশ্বর এর কাহিনীর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক আছে, আছে তুমুল জল্পনা-কল্পনা। বইয়ের সমাপ্তিতে লেখকের বক্তব্য এই বিতর্কের মূল কারণ।

রিভার গড Wilbur Smith এর সবচেয়ে ফেইমাস বই। বইটা মূলত প্রায় ৪০০০ হাজার বছর আগেকার Egyptian সভ্যতা নিয়ে লেখা। বইএর মেইন character টাইটা, একজন ক্রীতদাস। তার বর্ণনায় পুরো এই বই। বই এর মেইন genre হলো adventure, romance, war. বই এর প্রথম ১০০ পৃষ্ঠা মোটামুটি but আসল plot শুরু হয় ১০০ পৃষ্ঠার পর থেকে। যদি হিস্ট্রি এর প্রতি interest থাকে তাহলে বইটা awesome লাগবে। কারণ ঐ সময়ে রোমান, গ্রীক, পার্সিয়ান সভ্যতা কিছুই ছিল না। ছিল Assyria এর সভ্যতা। আমি যতদূর পড়ে যা জানলাম তা হল উপন্যাসটা সত্য ঘটনা বেইয করে। যদি সত্য হয় তাহলে কিছু হিস্ট্রি অ পড়া হয়ে গেল। যাই হক বইটা ভালই। আর এর রেইটিং অ goodreads এ 4.2/5 যা অনেক rare। তাই আমার মনে হয় একটা chance নিয়ে বইটা পড়া উচিত।

আমার জীবনে পড়া অন্যতম সেরা অনুবাদ বই। মখদুম আহমেদকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম চমৎকার কাজের জন্যে। কোনো বিশেষণ দিয়েই আসলে বিশেষায়িত করা সম্ভব না। টু থাম্বস আপ (y)

একটি প্রাচীন রাজকীয় এবং রহস্যপূর্ণ ভালবাসার গল্প মিশরের মাটিতে. পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম. কি নেই এই বইটি তে? ভালবাসা, ঘৃনা, খুন, কলহ, লোভ, নির্লোভ, সম্পদ, স্বপ্নের কাছে চলে যাওয়া, না পাওয়া ইত্যাদি. Wilbur Smith এর কলমের কারিগরী আর সাবলীল অনুবাদ এর জন্য বইটি শেষ না করে ওঠা সম্ভব না